পানি প্রার্থনার সলাত । দুআর সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন।

পানি প্রার্থনার সলাত । দুআর সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন।

পানি প্রার্থনার সলাত । দুআর সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন , এই পর্বের হাদীস =৫ টি (৫১৫ – ৫১৯) >> আল লুলু ওয়াল মারজান এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্ব-৯ঃ পানি প্রার্থনার সলাত

০/০. পানি প্রার্থনার সলাত
৯/১. ইসতিস্কা সলাতে দুআর সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন।
৯/২. ইসতিস্কার সলাতে দুআ।
৯/৩. ঝড়ো হাওয়া ও মেঘ দেখে আল্লাহ তাআলার আশ্রয় প্রার্থনা করা ও বৃষ্টি দেখে আনন্দিত হওয়া।
৯/৪. পূর্ব পশ্চিমের বায়ু প্রসঙ্গে।

০/০. পানি প্রার্থনার সলাত

৫১৫. আবদুল্লাহ্ ইবনি যায়িদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বৃষ্টির জন্য দুআ করেন এবং নিজের চাদর উল্টিয়ে দেন।

[বোখারী পর্ব ১৫ : /৪ হাঃ ১০১১, মুসলিম পর্ব ৯ হাঃ ৪৯৮] পানি প্রার্থনার সলাত-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

৯/১. ইসতিস্কা সলাতে দুআর সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন।

৫১৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] ইসতিস্কা ব্যতীত অন্য কোথাও দুআর মধ্যে হাত উঠাতেন না। তিনি হাত এতটুকু উপরে উঠাতেন যে, তাহাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যেত।

[বোখারী পর্ব ১৫ : /২২ হাঃ ১০৩১, মুসলিম ৯/১, হাঃ ৮৯৫] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

৯/২. ইসতিস্কার সলাতে দুআ।

৫১৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর যুগে একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময় কোন এক জুমুআহর দিন নাবী [সাঃআঃ] খুত্‌বা দিচ্ছিলেন। তখন এক বেদুইন উঠে দাঁড়াল এবং আরয করিল, হে আল্লাহ্‌র রসূল ! [বৃষ্টির অভাবে] সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পরিবার পরিজনও অনাহারে রয়েছে। তাই আপনি আল্লাহ্‌র নিকট আমাদের জন্য দুআ করুন। তিনি দু হাত তুললেন। সে সময় আমরা আকাশে এক খণ্ড মেঘও দেখিনি। যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তাহাঁর শপথ [করে বলছি]! [দুআ শেষে] তিনি দু হাত [এখনও] নামান নি, এমন সময় পাহাড়ের ন্যায় মেঘের বিরাট বিরাট খণ্ড উঠে আসল। অতঃপর তিনি মিম্বর হইতে অবতরণ করেন নাই, এমন সময় দেখিতে পেলাম তাহাঁর [পবিত্র] দাড়ির উপর ফোটা ফোটা বৃষ্টি পড়ছে। সে দিন আমাদের এখানে বৃষ্টি হল। এর পরে ক্রমাগত দুদিন এবং পরবর্তী জুমুআহ পর্যন্ত প্রত্যেক দিন। [পরবর্তী জুমুআহর দিন] সে বেদুইন অথবা অন্য কেউ উঠে দাঁড়াল এবং আরয করিল, হে আল্লাহ্‌র রসূল ! [বৃষ্টির কারণে] এখন আমাদের বাড়ি ঘর ধ্বসে পড়ছে, সম্পদ ডুবে যাচ্ছে। তাই আপনি আমাদের জন্য আল্লাহ্‌র নিকট দুআ করুন। তখন তিনি দু হাত তুললেন এবং বললেনঃ

اللهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا

আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়া লা আলাইনা;

হে আল্লাহ্ আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় [বৃষ্টি দাও], আমাদের উপর নয়।

[দুআর সময়] তিনি মেঘের এক একটি খন্ডের দিকে ইঙ্গিত করছিলেন, আর সেখানকার মেঘ কেটে যাচ্ছিল। এর ফলে চতুর্দিকে মেঘ পরিবেষ্টিত অবস্থায় ঢালের ন্যায় মাদীনার আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে গেল এবং কানাত উপত্যকায় পানি একমাস ধরে প্রবাহিত হইতে লাগল, তখন [মদীনার] চতুষ্পার্শ্বের যে কোন অঞ্চল হইতে যে কেউ এসেছে, সে এ প্রবলভাবে বৃষ্টির কথা আলোচনা করেছে।

[বোখারী পর্ব ১১ : /৩৫ হাঃ ৯৩৩, মুসলিম ৯/২, হাঃ ৮৯৭] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

৯/৩. ঝড়ো হাওয়া ও মেঘ দেখে আল্লাহ তাআলার আশ্রয় প্রার্থনা করা ও বৃষ্টি দেখে আনন্দিত হওয়া।

৫১৮. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] যখন আকাশে মেঘ দেখিতেন, তখন একবার সামনে আগাতেন, আবার পেছনে সরে যেতেন। আবার কখনও ঘরে প্রবেশ করিতেন, আবার বেরিয়ে যেতেন আর তাহাঁর মুখমণ্ডল মলিন হয়ে যেত। পরে যখন আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করত তখন তাহাঁর এ অবস্থা দূর হত। আয়েশা [রাদি.]-এর কারণ জানতে চাইলে নাবী [সাঃআঃ] বলেন, আমি জানি না, এ মেঘ এমন মেঘও হইতে পারে যা দেখে আদ জাতি বলেছিলঃ অতঃপর যখন তারা তাহাদের উপত্যকার দিকে উক্ত মেঘমালাকে এগোতে দেখল। [আল আহকাফ [৪৬]: ২৪]

[বোখারী পর্ব ৫৯ : /৫ হাঃ ৩২০৬, মুসলিম ৯/৩ হাঃ ৮৯৯] পানি প্রার্থনার সলাত-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

৯/৪. পূর্ব পশ্চিমের বায়ু প্রসঙ্গে।

৫১৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আমাকে পূবালী হাওয়া দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। আর আদজাতিকে পশ্চিমা বায়ু দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

[বোখারী পর্ব ১৫ : /২৬ হাঃ ১০৩৫, মুসলিম ৯/৪, হাঃ ৯০০] পানি প্রার্থনার সলাত-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


by

Comments

One response to “পানি প্রার্থনার সলাত । দুআর সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন।”

Leave a Reply