মযলুমের বদ দুআ অধ্যায় । Muatta Malek Bangla
মযলুমের বদ দুআ অধ্যায় । Muatta Malek Bangla, এই অধ্যায়ে হাদীস =১ টি ( ১৮৮৮-১৮৮৮ পর্যন্ত ) >> মুয়াত্তা ইমাম মালিক এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় – ৬০ঃ মযলুমের বদ দু‘আ
পরিচ্ছেদ ১: মযলুমের বদ দুআ হইতে বেঁচে থাকা প্রসঙ্গে
১৮৩১আসলাম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইব্নু খাত্তাব [রাদি.] স্বীয় আযাদকৃত গোলাম, যাকে হুনাই বলা হত, তাকে সরকারী চারণভূমিতে [রক্ষক] নিযুক্ত করলেন এবং বলিলেন, হে হুনাই! জনসাধারণের দিক হইতে স্বীয় বাহু সংকুচিত কর [তাদের উপর যুলুম করো না], মযলুমের [অত্যাচারিতের] বদ দুআকে ভয় কর। কেননা মযলুমের দুআ কবূল হয়। যাদের নিকট সুরাইম [অল্প সংখ্যক উট] এবং গুনাইম [অল্প সংখ্যক ছাগল] আছে তাদেরকে উহা [সরকারী চারণভূমিতে] চরাইতে বাধা দিও না। [উসমান] ইবনি আফফান [রাদি.] ও [আবদুর রহমান] ইব্নু আউফ [রাদি.]-এর জানোয়ারের প্রতি ছাড় দিবে না। কেননা তাঁদের জানোয়ার ধ্বংস হয়ে গেলে তাদের বিশেষ ক্ষতি হইবে না। তখন তারা মদীনায় নিজেদের বাগানে এবং ক্ষেত-খামারে চলে যাবে। কিন্তু কয়েকটি উট ও ছাগলওয়ালার [এই পশুসম্পদ] ধ্বংস হয়ে গেলে তারা তাদের সন্তানাদি নিয়ে আমার কাছে আসবে এবং হে আমীরুল মুমিনীন বলে ডাক দিবে, তখন কি আমি তাদেরকে [কিছু না দিয়ে এমনিই] ছেড়ে দিব? পানি ও ঘাস দেয়া স্বর্ণ ও রৌপ্য দেয়ার তুলনায় আমার কাছে খুবই সহজ। আল্লাহ্র কসম! যারা মনে করিবে যে, আমি তাদের উপর যুলুম করেছি, অথচ এই শহর এই পানি তাদেরই, এরই জন্য তারা অন্ধকার যুগে যুদ্ধ করেছে এবং পরে ইসলাম গ্রহণ করেছে। সেই পবিত্র সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, যদি সাদাকাহর এই উটগুলো না হত যার উপর আমি মুজাহিদীনকে সওয়ার করাই, তা হলে তাদের যমীন হইতে আমি এক বিঘতও গ্রহণ করতাম না।
[সহীহ, বুখারি ৩০৫৯]এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply