বায়াত গ্রহন অধ্যায় । বায়আত সম্পর্কিত বিবরণ

বায়াত গ্রহন অধ্যায় । বায়আত সম্পর্কিত বিবরণ

বায়াত গ্রহন অধ্যায় । বায়আত সম্পর্কিত বিবরণ, এই অধ্যায়ে হাদীস =৩ টি ( ১৮৩৯-১৮৪১ পর্যন্ত ) >> মুয়াত্তা ইমাম মালিক এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায় – ৫৫ঃ বায়‘আত

পরিচ্ছেদ ১: বায়আত সম্পর্কিত বিবরণ

১৭৮২ আবদুল্লাহ্ ইব্নু দীনার [রহঃ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার [রাদি.] বলেছেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর নিকট তাঁর কথা শ্রবণ করব এবং মেনে চলব বলে বায়আত গ্রহণ করতাম তখন তিনি বলিতেন, তোমরা যা পার [অর্থাৎ যতটুকু তোমাদের শক্তিতে কুলায় ততটুকু আমল করিবে]।

[বুখারি ৭২০২, মুসলিম ১৮৬৭]বায়াত গ্রহন -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৭৮৩ উমাইমাহ্ বিনত রুকাইকা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আমি অপরাপর মহিলার সহিত রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর নিকট বায়আত গ্রহণের জন্য গমন করলাম। অতঃপর তারা [মহিলাগণ] আরয করিল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমরা আপনার কাছে এই কথার বায়আত গ্রহণ করছি যে, আমরা আল্লাহ্‌র সাথে অপর কোন বস্তুকে শরীক করব না, চুরি করব না, যেনা [ব্যভিচার] করব না, আমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করব না। আমরা নিজে কারো বিরুদ্ধে অপবাদ রটাব না এবং যেকোন ভাল কাজে আপনার নাফরমানী [বিরুদ্ধাচরণ] করব না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, তোমাদের সাধ্যানুযায়ী করিবে। অতঃপর তারা বলল, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল আমাদের প্রতি আমাদের নিজেদের চাইতেও অধিক দয়ালু। অতএব, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আসুন, আমরা আপনার সাথে হাত মিলাই। রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, আমি স্ত্রীলোকদের সাথে হাত মিলাই না। আমার কথা এক শত মহিলার জন্য যেই রকম, একজনের জন্যও ঠিক সেই রকম।

[সহীহ, তিরমিজি ১৫৯৭, নাসাঈ ৪১৮১, ইবনি মাজাহ ২৮৭৪, আলবানী হাদীসটি সহীহ বলেছেন {সিলসিলা সহীহা ৫২৯}]বায়াত গ্রহন -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৭৮৪ আবদুল্লাহ্ ইব্নু দীনার [রহঃ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার [রাদি.] আবদুল মালিক ইব্নু মারওয়ানের নিকট এই মর্মে একটি বায়আতনামা লিখলেন– বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, আল্লাহ্‌র বান্দা আবদুল মালিকের নিকট, যিনি মুসলমানদের আমীর। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আমি সেই আল্লাহ্‌র প্রশংসা করছি, যিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। আমি এই কথার স্বীকারোক্তি দিচ্ছি যে, আমি আমার সাধ্যানুযায়ী আপনার কথা শ্রবণ করব এবং মানব যদি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মুতাবিক হয়।

{১} [হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]{১} এখানে বুঝা যাচ্ছে যে, ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক যতক্ষণ আল্লাহ্ ও রাসূলের নির্দেশ মুতাবিক চলবেন এবং তাঁর আদেশ-নির্দেশ শরীআত মুতাবিক হইবে, ততক্ষণ নাগরিকদের জন্য তাঁর আনুগত্য করা ওয়াজিব।বায়াত গ্রহন -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

Comments

One response to “বায়াত গ্রহন অধ্যায় । বায়আত সম্পর্কিত বিবরণ”

Leave a Reply