সুরা ইখলাসের তাফসীর । তাফ-সিরুল কোরআন
সুরা ইখলাসের তাফসীর । তাফ-সিরুল কোরআন >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা ইখলাস আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৯৩ঃ সুরা ইখলাসের তাফসীর
৩৩৬৪. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মুশরিকরা রাসূল [সাঃআঃ]-কে বলল, আমাদেরকে আপনার প্রভুর বংশ বৃত্তান্ত দিন। এরই জবাবে মহান আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেনঃ কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ [“আপনি বলুন, তিনিই আল্লাহ” যিনি এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তাআলা কারো মুখাপেক্ষী নন]। আর সামাদ [অমুখাপেক্ষী] তিনিই, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। কেননা যে কারো ঔরসজাত হইবে সে মারা যাবে এবং তার উত্তরাধিকারীও হইবে। অথচ আল্লাহ তাআলা মৃত্যুবরণ করবেন না এবং তাহাঁর উত্তরাধিকারীও কেউ নেই। “এবং তার সমান কেউ নেই।” রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তাহাঁর কোন সদৃশ ও সমকক্ষ নেই। “কোন কিছুই তার সদৃশ নয়।” [সূরা শুরা ১]
“আর সামাদ তিনিই” অংশ বাদে হাদীসটি হাসান, যিলালুল জান্নাহ।” [তাহক্বীক্ব সানী [হাঃ ৬৬৩] – এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৩৬৫. আবুল আলিয়া [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুশরিকদের দেবতাহাদের প্রসঙ্গে আলোচনা করলে তারা বললঃ আপনি আপনার প্রভুর বংশধারা আমাদেরকে জানিয়ে দিন। তখন জিবরাঈল [আঃ] কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ সূরাটি নিয়ে আসেন…… উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এ সনদে উবাই ইবনি কাব [রাদি.]-এর উল্লেখ নেই।
দুর্বল, প্রাগুক্ত। সূত্রটি আবু সাদের সনদ হইতে বিশুদ্ধতর। আর আবু সাদের নাম মুহাম্মাদ ইবনি মুইয়াস্সার। আবু জাফর-এর নাম ঈসা, আবুল আলিয়াহ্-এর নাম রুফাই। তিনি ক্রীতদাস ছিলেন, একজন সাবিয়াহ মহিলা তাঁকে মুক্ত করেন। – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply