সূরা আল মুদ্দাসসির তাফসীর । তাফসীরুল কুরাণ

সূরা আল মুদ্দাসসির তাফসীর । তাফসীরুল কুরাণ

সূরা আল মুদ্দাসসির তাফসীর । তাফসীরুল কুরাণ >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা মুদ্দাসসির আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৭১ঃ সূরা আল মুদ্দাসসির তাফসীর

৩৩২৫. জাবির ইবনি আবদিল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে আমি সাময়িকভাবে ওয়াহী বন্ধ থাকার বিষয়ের রিওয়ায়াত প্রসঙ্গে বলিতে শুনেছিঃ আমি পথ চলছিলাম। এ সময়ে আমি ঊর্ধ্ব জগত হইতে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি মাথা তুলতেই প্রত্যক্ষ করলাম, হেরা গুহায় যে ফেরেশতারা আমার নিকট এসেছিলেন তিনি আকাশ ও যমীনের মধ্যবর্তী জায়গায় একটি চেয়ারে বসে আছেন। তাকে দেখে আমি খুব ভীত হয়ে গেলাম। [ঘরে] ফিরে এসে আমি বললামঃ আমাকে তোমরা চাদরে ঢেকে দাও! আমাকে চাদর জড়িয়ে দাও। অতঃপর তারা আমাকে চাদর দিয়ে জড়িয়ে দিল। সে সময় আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেনঃ “হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠো, আর সাবধান করো …. আর পৌত্তলিকতা পরিত্যাগ করো”- [সূরা মুদ্দাসসির ১-৫]। এটা নামায ফরয হওয়ার পূর্বেকার ঘটনা।

সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনি আবী কাসীর [রঃ]আবু সালামাহ ইবনি আবদুর রহমানের সূত্রে জাবির [রাদি.] হইতে রিওয়ায়াত করিয়াছেন। আবু সালামাহর নাম আবদুল্লাহ। সূরা আল মুদ্দাসসির তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩২৬. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ সাঊদ হল জাহান্নামের একটি পাহাড়। জাহান্নামীরা সত্তর বছর ধরে তার চূড়ায় আরোহণ করিবে এবং তারপর সেখান থেকে সত্তর বছরে গড়িয়ে পড়বে। এভাবে তারা তাতে চিরকাল ধরে উঠবে ও নামবে।

জঈফ, ২৭০২ নং হাদীসে পূর্বে বর্ণিত হয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু ইবনি লাহীআর হাদীস হিসেবে এটিকে মারফূ হিসেবে জেনেছি। আর এ হাদীসের মতই আত্যিয়া আবু সাঈদ [রাদি.] সূত্রেও মাওকূফ হিসেবে বর্ণিত আছে। সূরা আল মুদ্দাসসির তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৩২৭. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেনঃ কিছু সংখ্যক ইয়াহূদী রাসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] এর কয়েকজন সাহাবীর নিকটে প্রশ্ন করিল, জাহান্নামের দারোগার সংখ্যা কত তা কী তোমাদের নাবী জানেন? তাঁরা বলিলেন, আমরা তা তাহাঁর নিকটে জিজ্ঞেস না করে বলিতে পারি না। এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকটে এসে বললঃ হে মুহাম্মাদ! আজ আপনার সঙ্গীরা হেরে গেছে। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ কেন তারা হেরে গেছে? সে বলল, ইয়াহূদীরা তাহাদের নিকটে প্রশ্ন করেছিল, তোমাদের রাসূল [সাঃআঃ] কি জানেন জাহান্নামের দারোগার সংখ্যা কত? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তারা কি জবাব দিয়েছে? সে বললঃ তারা বলেছে, আমরা আমাদের নাবীকে জিজ্ঞেস না করে বলিতে পারি না। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ সেই জাতি কি হেরে যায়, যাদের কাছে এমন ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় যা তারা জানে না, তারপর তারা বলে, এ ব্যাপারে আমাদের নাবীর নিকটে জিজ্ঞেস না করে আমরা বলিতে পারি না? বরং ইয়াহূদীরা তো তাহাদের নাবীর কাছে অযাচিত আবদার ধরেছিল, “আমাদেরকে প্রকাশ্যে আল্লাহ্‌ তাআলাকে দেখান”। আল্লাহ্‌ তাআলার শত্রুদেরকে আমার নিকট নিয়ে এসো। আমি আল্লাহ্‌র এই শত্রুদেরকে জান্নাতের মাটি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করব। আর তা হল ময়দা। তারপর ইয়াহূদীরা এসে বলল, হে আবুল কাসিম! জাহান্নামের দারোগার সংখ্যা কত? তিনি বললেনঃ এত এতজন [এক হাতের আঙ্গুলের ইশারায়] দশজন এবং [অপর হাতের ইশারায়] নয়জন। তারা বলল, হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন। এবার রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদেরকে প্রশ্ন করলেনঃ জান্নাতের মাটি কিসের? রাবী বলেন, তারা কিছু সময় ছুপ থাকার পর বলল, হে আবুল কাসিম! তা হল রুটি। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ ময়দার রুটি।

জঈফ, যঈফা [৩৩৪৮], মুসলিম [৮/১৯১]। আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইবনি সাঈদকে বললেনঃ জান্নাতের মাটি কেমন? তিনি বললেনঃ সাদা ময়দা মিসকের মত সুগন্ধি। রাসূল [সাঃআঃ] বললেনঃ সত্য বলেছে। আবু ঈসা বলেনঃ আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র এই সনদে মুজালিদের রিওয়ায়াত হিসেবে জেনেছি। সূরা আল মুদ্দাসসির তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৩২৮. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ “তিনিই সেই সত্তা যাকে ভয় করা উচিত। আর তিনিই বান্দার পাপ মার্জনা করার অধিকারী” [সূরাঃ আল-মুদ্দাচ্ছির – ৫৬]। এই আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আল্লাহ্‌ তাআলা বলেছেনঃ আমিই কেবল মাত্র [বান্দার জন্য] ভয়ের যোগ্য। সুতরাং যে ব্যক্তি আমাকে ভয় করে, আমার সাথে কাউকে অংশীদার স্থির করে না, তাকে মাফ করার যথার্থ অধিকারী আমিই।

জঈফ, ইবনি মাজাহ [ ৪২৯৯] আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। হাদীস শাস্ত্রবিদগণের দৃষ্টিতে সুহাইল তেমন মজবুত রাবী নন। সাবিত হইতে এ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি একাকী। সূরা আল মুদ্দাসসির তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply