সূরা দুখান এর তাফসীর । তাফসিরুল কুড়ান
সূরা দুখান এর তাফসীর । তাফসিরুল কুড়ান >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা দুখান আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৪৬ঃ সূরা দুখান এর তাফসীর
৩২৫৪. মাসরূক্ব [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক লোক আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর নিকট এসে বলল, কোন এক বক্তা বলেছে যে, যামীন হইতে একটি ধোঁয়া বের হইবে। তা কাফিরদের কান বধির করে দিবে এবং মুমিনদের সর্দিতে আক্রান্ত করিবে। মাসরূক্ব [রঃ]বলেন, এতে আবদুল্লাহ [রাদি.] রাগান্বিত হন। তিনি হেলান দিয়ে বসা ছিলেন, এবার সোজা হয়ে বসলেন, তারপর বলিলেন, তোমাদের কাউকে তার জ্ঞাত [বিষয়] সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সে যেন তার উত্তর দেয় বা সেই প্রসঙ্গে অবহিত করে। আর তাকে তা না জানা বিষয় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সে যেন বলে, আল্লাহ্ তাআলাই ভাল জানেন। কেননা এটাও লোকের জ্ঞানের কথা যে, তাকে এমন কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলো যা সে জানে না, সে বলবে আল্লাহ্ তাআলাই ভাল জানেন। কেননা আল্লাহ্ তাআলা তার নাবীকে বলেছেনঃ “আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট এর জন্য [হিদায়াতের বিনিময়ে] কোন পরিশ্রমিক চাই না এবং আমি কৃত্রিমতা প্রদর্শনকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই” – [সূরা দুখান ৮৬]। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন দেখিতে পেলেন যে, কুরাইশরা তাহাঁর অবাধ্যতা ও বিরোধিতায় চরম পরাকাষ্ঠা দেখাচ্ছে তখন তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ্! ইউসুফ [আঃ]-এর সময়কার সাত বছরের দুর্ভিক্ষের মত এদেরকেও সাত বছর দুর্ভিক্ষে নিক্ষেপ করে আমাকে সাহায্য করুন। তারপর তাহাদের উপরে দুর্ভিক্ষ ও অনাবৃষ্টি নেমে এলো এবং সবকিছু নিঃশেষ হয়ে গেল। এমনকি তারা চামড়া, হাড় ও মৃত জীব ভক্ষণ করিতে লাগল। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, এ সময় মাটি হইতে ধোঁয়ার মত এক পদার্থ বের হইতে লাগল। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবু সুফইয়ান রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলেন, আপনার জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং তাহাদের জন্য আল্লাহ্ তাআলার দরবারে দুআ করুন। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, এটাই আল্লাহ্ তাআলার এই বাণীর “যেদিন স্পষ্টই ধোয়াচ্ছন্ন হইবে এবং তা মানবজাতিকে গ্রাস করে ফেলবে, এটা হইবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” তাতপর্য – [সুরা দুখান ১০-১১]। মানসুর [রঃ]বলেন, এটাই নিম্নোক্ত আয়াতের তাৎপর্যঃ “হে আমাদের রব! আমাদের উপর হইতে শাস্তি দূরীভূত কর নিশ্চয় আমরা মুমিন”- [সূরা দুখান ১২]। আখিরাতের শাস্তি দূরীভূত করা হইবে কি? আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, ধরপাকড়, কঠিন বিপদ ও ধোঁয়া সবই অতিবাহিত হয়েছে। আমাশ ও মানসুরের মধ্যে একজন বলেন, চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনা অতিক্রান্ত হয়েছে এবং অপরজন বলেন, রোম বিজয়ের ঘটনা [অতিবাহিত হয়েছে]।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। আবু ঈসা [রঃ]বলেন, লিযাম বলিতে সেই হত্যা বুঝানো হয়েছে যা বদরের দিন সংঘটিত হয়েছে । এই হাদীসটি হাসান সহীহ । সূরা দুখান এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৫৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মুমিনের জন্যই ঊর্ধ্ব জগতে দুটি দরজা আছে। একটি দরজা দিয়ে তার আমল উপরে উঠে যায় এবং অপরটি দিয়ে তার রিযিক নেমে আসে। তারপর সে যখন মারা যায় তখন দরজা দুটি তাহাঁর জন্য কাঁদে। এই পর্যায়ে আল্লাহ বলেনঃ “আসমান-যমিনে কেউ তাহাদের জন্য কাঁদেনি এবং তাহাদেরকে অবকাশও দেয়া হয়নি” [ সূরাঃ আদ-দুখান-২৯]।
জঈফ, যঈফা [৪৪৯১] আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সনদেই এই হাদীস মারফূ হিসাবে জেনেছি। মূসা ইবনি উবাইদা ও ইয়াযীদ ইবনি আবান আর-রাকাশী হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। সূরা দুখান এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply