সূরা শুয়ারা তাফসীর । তাফশীড়ূল কুড়ান

সূরা শুয়ারা তাফসীর । তাফশীড়ূল কুড়ান

সূরা শুয়ারা তাফসীর । তাফশীড়ূল কুড়ান >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা শু’য়ারা আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-২৭ঃ সূরা শুয়ারা তাফসীর

৩১৮৪. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন “তোমরা নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সতর্ক কর”- [সুরা শুআরা ২১৪]। এ আয়াত অবতীর্ণ হলে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ “হে আব্দুল মুত্তালিবের কন্যা সাফিয়াহ, হে মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমাহ, হে আব্দুল মুত্তালিবের গোত্রের লোকেরা! তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলার পাকড়াও থেকে রক্ষা করার কোন ক্ষমতা আমার নেই। আমার সম্পদ হইতে যত ইচ্ছা তোমরা চেয়ে নিতে পার।”

সহীহঃ মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। ওয়াকী প্রমুখ-হিশাম ইবনি উরওয়াহ হইতে, তিনি তার পিতা হইতে, তিনি আয়িশাহ [রাদি.] সূত্রে এ হাদীস মুহাম্মাদ ইবনি আব্দুর রাহমান আত-তুফাবারী রিওয়াতের একই রকম বর্ণনা শুনেছেন। কোন কোন বর্ণনাকারী এ হাদিসটি হিশাম ইবনি উরওয়াহ হইতে, তিনি তার পিতা হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সুত্রে এ হাদিস মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন এবং আয়িশাহ [রাদি.] এর উল্লেখ করেননি। এ অনুচ্ছেদে আলী ও ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে।  সূরা শুয়ারা তাফসীর =এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১৮৫. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, “ওয়া আনযির আশীরাতাকাল আক্বরাবীন”- [সুরা শুআরা ২১৪] আয়াত অবতীর্ণ হলে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরাইশ গোত্রের সাধারন-বিশেষ সকলকে ডেকে একত্র করে বলেনঃ হে কুরাইশ গোত্রের লোকেরা! তোমরা নিজেদেরকে আগুন হইতে রক্ষা কর। আল্লাহ তাআলার দরবারে তোমাদের উপকার বা অপকার করার কোন ক্ষমতা আমার নাই। হে আবদে মানাফ বংশের লোকেরা! তোমরা নিজেদের কে আগুন হইতে রক্ষা কর। আল্লাহ তাআলার দরবারে তোমাদের কোন উপকার বা অপকার করার করার ক্ষমতা আমার নাই। হে কুসাই বংশের লোকেরা! তোমরা নিজেদেরকে আগুন হইতে রক্ষা কর। আল্লাহ তাআলার দরবারে তোমাদের কোন উপকার বা অপকার করার করার ক্ষমতা আমার নাই। হে আব্দুল মুত্তালিব বংশের ব্যক্তিরা! তোমরা নিজেদেরকে আগুন হইতে রক্ষা কর। আল্লাহ তাআলার দরবারে তোমাদের কোন উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা আমার নাই। হে মুহাম্মাদের মেয়ে ফাতিমা! নিজেকে আগুন হইতে রক্ষা কর। কেননা তোমার কোন উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা আমার নেই। অবশ্য তোমার সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। আমি এই সম্পর্কের অধিকার সজীব রাখার চেষ্টা করব।

সহীহঃ মুসলিম [১/১৩৩], বোখারি [৪৭৭১] সংক্ষেপিত। আবু ঈসা বলেন, উল্লেখিত সনদ সুত্রে এ হাদিসটি হাসান সহীহ গারীব। এটি শুধুমাত্র মুসা ইবনি তালহা সুত্রেই জানা যায়। আলী ইবনি হুজুর শুআইব ইবনি সাফওয়ান হইতে, তিনি আব্দুল মালিক ইবনি উমাইর হইতে, তিনি মূসা ইবনি তালহা হইতে, তিনি আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সনদে উক্ত মর্মে একই রকম হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন।  সূরা শুয়ারা তাফসীর -এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১৮৬. আবু মুসা আল আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

“ওয়া আনযির আশীরাতাকাল আক্বরাবীন”- [সুরা শুআরা ২১৪] আয়াত অবতীর্ণ হলে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর দুই হাতের দুই আঙ্গুল তাহাঁর দুই কানের মধ্যে স্থাপন করে উচ্চ কণ্ঠে বলেন, হে আবদে মানাফ বংশের লোকেরা! ইয়া সাবাহ [হে প্রভাতকালের বিপদ]”।

হাসান সহীহঃ [বোখারি ৪৮০১]। আবু ঈসা বলেন, আবু মুসার হাদীস হিসেবে উল্লেখিত সনদ সুত্রে এ হাদিস টি গারীব। কিছু বর্ণনাকারী আওফ হইতে, তিনি কাসামাহ ইবনি যুহাইর হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সনদে এ হাদিস মুরসাল রুপে বর্ণনা করিয়াছেন এবং এ সনদে আবু মুসা আল- আশআরী [রাদি.] ের উল্লেখ নেই এবং এ সুত্র টি অনেক বেশি সহীহ। আমি [তিরমিজি] হাদিসটি মুহাম্মাদ ইবনি ইমাঈলের নিকট উল্লেখ করলাম কিন্তু তিনি এটিকে আবু মুসার হাদিস রুপে চিনতে পারেন নি।  সূরা শুয়ারা তাফসীর -এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান সহীহ


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply