সূরা ইউনুস এর তাফসীর । তাফসির উল কোরআন

সূরা ইউনুস এর তাফসীর । তাফসির উল কোরআন

সূরা ইউনুস এর তাফসীর । তাফসির উল কোরআন >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >>সুরা ইউনুস আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-১১ঃ সূরা ইউনুস এর তাফসীর

৩১০৫. সুহাইব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] আল্লাহ তাআলার বানী “ যারা উত্তম কাজ করে তাহাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং আরও বেশি [সুরা ইউনুস ২৬] প্রসঙ্গে বলেনঃ জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশ করার পর একজন আহবানকারী ডেকে বলবে, আল্লাহ তাআলার কাছে তোমাদের জন্য একটি প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং তিনি সেটা পূর্ণ করিতে চান। তারা বলবে, আল্লাহ তাআলা কি আমাদের মুখ উজ্জল করেননি এবং আমাদেরকে জাহান্নাম হইতে মুক্তি দিয়ে জান্নাতে দাখিল করেননি? রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ এমন সময় পর্দা উন্মোচিত হইবে [এবং তারা আল্লাহ তাআলাকে দেখিতে পাবে]। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আল্লাহর শপথ! আল্লাহ তাআলার দর্শন লাভের চাইতে বেশী প্রিয় ও কাঙ্ক্ষিত কোন বস্তুই তিনি তাহাদেরকে দান করেননি।

সহীহ : ইবনি মাজাহ [১৮৭] , মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এটি হাম্মাদ ইবনি সালামার হাদীস। একাধিক বর্ণনাকারী এটি হাম্মাদ ইবনি সালামাহ [রঃ]হইতে মারফু ভাবে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। সুলাইমান ইবনিল মুগীরাহ এ হাদীস সাবিত আল-বুনানী হইতে, তিনি আবদুর রাহমান ইবনি আবী লাইলা হইতে তার বক্তব্যরুপে বর্ণনা করিয়াছেন এবং তাতে সুহাইব [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ] হইতে এ রকম উল্লেখ নেই । সূরা ইউনুস এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১০৬. আতা ইবনি ইয়াসার [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ

জৈনেক মিসরবাসীর সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবুদ দারদা [রাদি.]–কে আল্লাহ তাআলার বানী “পার্থিব জীবনে তাহাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ –[সুরা ইউনুস ৬৪] প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে এ আয়াত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার পর হইতে আজ পর্যন্ত আর কেউ এ প্রসঙ্গে আমার নিকট জানতে চায়নি। আমিও এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন : এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়া অবধি তুমি ব্যতীত আর কেউ আমাকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেনি। এটা [বুশরা] হচ্ছে সত্য স্বপ্ন, যা মুসলিম ব্যক্তি দেখে বা তাকে দেখানো হয়।

সহীহ : মুসলিম। ইবনি আবী উমার-সুফইয়ান হইতে, তিনি আবদুল আযীয ইবনি রুফাই হইতে, তিনি আবু সালিহ আল সান্মান হইতে, তিনি আতা ইবনি ইয়াসার হইতে, তিনি মিসরীয় ব্যক্তি হইতে, তিনি আবুদ দারদা [রাদি.] হইতে এই সুত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন । আহমাদ ইবনি আবদাহ আয-যাব্বী –হান্মাদ ইবনি যাইদ হইতে, তিনি আসিম ইবনি বাহদালাহ হইতে, তিনি আবু সালিহ হইতে, তিনি আবুল দারদা [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সুত্রেও পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। অবশ্য তাতে আতা ইবনি ইয়াসার –এর উল্লেখ নেই। উবাদা ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। সূরা ইউনুস এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১০৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা ফিরআউনকে যখন পানিতে ডুবিয়ে দিলেন তখন সে বললো, আমি ঈমান আনলাম বানী ইসরাঈল যার উপর ঈমান এনেছে তার প্রতি। নিশ্চয় তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই –[সুরা ইউনুস ৯০]। জিবরীল [আঃ] বলিলেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি যদি আমাকে ঐ সময় দেখিতেন যখন আমি সমুদ্র হইতে কালো কাদামাটি তুলে তার মুখে ঢাকছিলাম যাতে আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ তাকে পরিবেষ্টন না করে।

সহীহ : পরবর্তী হাদীসের সহায়তায়। আবু ঈসা বলেন , এ হাদীসটি হাসান । সূরা ইউনুস এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১০৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] উল্লেখ করেন যে, জিবরীল [আঃ] এই আশংকায় ফিরআউনের মুখে কাদামাটি ঠেলে দিচ্ছিল যে, সে “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ বলবে ফলে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অনুগ্রহ করবেন। অথবা তিনি বলেছেন, ”এই আশংকায় যে, আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করবেন।

সনদ সহীহ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহী , অত্র সুত্রে গারীব। সূরা ইউনুস এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply