স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস । সুসংবাদ প্রদানের ধারা অব্যাহত আছে

স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস । সুসংবাদ প্রদানের ধারা অব্যাহত আছে

স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস । সুসংবাদ প্রদানের ধারা অব্যাহত আছে , এই অধ্যায়ে মোট ২৫ টি হাদীস (২২৭০-২২৯৪) >> সুনান তিরমিজি শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়-৩২ঃ স্বপ্ন ও তার তাৎপর্য, অনুচ্ছেদঃ (১-১০)=১০টি

১. অনুচ্ছেদঃ মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন নাবূয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ
২. অনুচ্ছেদঃ নাবূওয়াতের ধারা সমাপ্ত হয়ে গেছে এবং সুসংবাদ প্রদানের ধারা অব্যাহত আছে
৩. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌ তাআলার বাণীঃ পার্থিব জীবনে তাহাদের জন্য আছে সুসংবাদ
৪. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]র বাণী, যে ব্যক্তি স্বপ্নে আমাকে দেখেছে সে আমাকেই দেখেছে।
৫. অনুচ্ছেদঃ কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে তার করণীয়
৬. অনুচ্ছেদঃ স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে
৭. অনুচ্ছেদঃ পছন্দনীয় ও অপছন্দনীয় স্বপ্ন প্রসঙ্গে
৮. অনুচ্ছেদঃ কেউ যদি মনগড়া [মিথ্যা] স্বপ্ন বলে
৯. অনুচ্ছেদঃ স্বপ্নে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-র দুধপান ও জামা দর্শন
১০. অনুচ্ছেদঃ স্বপ্নে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দাঁড়িপাল্লা ও বালতি দর্শন

১. অনুচ্ছেদঃ মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন নাবূয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ

২২৭০. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কিয়ামাত নিকটবর্তী সময়ে মুমিনদের স্বপ্ন খুব কমই মিথ্যা হইবে। তাহাদের মধ্যে বেশি সত্যবাদীর স্বপ্নও তদনুরূপ সত্য হইবে। মুমিনের স্বপ্ন হলো নাবূওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ। আর স্বপ্ন তিন প্রকারঃ [১] ভাল স্বপ্ন হলো আল্লাহ্‌ তাআলার নিকট হইতে সুসংবাদস্বরূপ। [২] আরেক প্রকার স্বপ্ন হলো শাইতানের নিকট হইতে মুমিনের জন্য দুশ্চিন্তাস্বরূপ। [৩] আরেক প্রকার স্বপ্ন হলো মানুষের মনের চিন্তা-ভাবনা [সে যা চিন্তা করে তা-ই স্বপ্নে দেখে]। অতএব, তোমাদের কেউ যদি অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখে তাহলে সে যেন উঠে যায় এবং [বাম দিকে] থুথু ফেলে এবং তা লোকের নিকট না বলে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি স্বপ্নে [পায়ে] শৃঙ্খল দেখা পছন্দ করি; কিন্তু [গলদেশে] শৃঙ্খল দেখা অপছন্দ করি। [পায়ে] শিকলের তাৎপর্য হলো ধর্মের উপর স্থিতিশীল।

সহীহ্ঃ বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৭১, উবাদা ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন হলো নাবূওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ।

সহীহ, বুখারী, মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা, আবু রাযীন আল-উকাইলী, আবু সাঈদ, আবদুল্লাহ ইবনি আমর, আওফ ইবনি মালিক, ইবনি উমার ও আনাস [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উবাদা [রাদি.]-এর বর্ণিত হাদীসটি সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২. অনুচ্ছেদঃ নাবূওয়াতের ধারা সমাপ্ত হয়ে গেছে এবং সুসংবাদ প্রদানের ধারা অব্যাহত আছে

২২৭২. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ রিনামাজ ও নাবূওয়াতের ধারাবাহিকতা অবশ্যই সমাপ্ত হয়ে গেছে। অতএব, আমার পরে আর কোন রাসূলও প্রেরিত হইবে না এবং নাবীও আসবে না। বর্ণনাকারী বলেন, বিষয়টি জনগণের নিকট কঠিন মনে হলো। তারপর তিনি বললেনঃ তবে মুবাশশিরাত অব্যাহত থাকিবে। সাহাবীগণ প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল [সাঃআঃ]! মুবাশশিরাত কি? তিনি বলিলেন, মুসলমানের স্বপ্ন। আর তা নাবূওয়াতের অংশসমূহের একটি অংশ।

সনদ সহীহ। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা, হুযাইফা ইবনি আসীদ, ইবনি আব্বাস উম্মু কুরয ও আবু আসীদ [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সিহীহ, তবে এ সূত্রে মূখতার ইবনি ফুলফুলের রিওয়ায়াত হিসাবে গরিব। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌ তাআলার বাণীঃ পার্থিব জীবনে তাহাদের জন্য আছে সুসংবাদ

২২৭৩. জনৈক মিসরীয় ব্যাক্তি হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আবুদ দারদা [রাদি.] কে আল্লাহ্‌ তাআলার বাণীঃ

لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا

“দুনিয়াবী জীবনে তাহাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ” [সূরাদি. ইউনুস-৬৪] প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার পর হইতে আজ পর্যন্ত তুমি ও অপর এক ব্যক্তি ব্যতীত আর কেউ আমাকে প্রশ্ন করেনি। আমি এ বিষয়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ এই আয়াত নাযিলের পর হইতে আজ পর্যন্ত আমাকে তুমি ব্যতীত আর কোন ব্যক্তি এ বিষয়ে প্রশ্ন করেনি। আর তা [বুশরা] হল সত্য স্বপ্ন যা মুসলিম ব্যক্তি দেখে বা তাঁকে দেখানো হয়।

সহীহ, সহীহাহ্‌ [১৭৮৬], মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৭৪. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ ভোর রাতের স্বপ্নই বেশী সত্য হয়।

যঈফ, যঈফা [১৭৩২] স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২২৭৫. উবাদা ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে আল্লাহ্‌ তাআলার বাণীঃ “দুনিয়াবী জীবনে তাহাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ” প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ তা হলো সৎ স্বপ্ন, যা মুমিন ব্যক্তি দেখে বা তাঁকে দেখানো হয়।

সহীহ, সহীহাহ্‌ [১৭৮৬]। বর্ণনাকারী হারব তার সনদ সূত্রে এভাবে বলেছেনঃ ইয়াহইয়া ইবনি কাসীর আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]র বাণী, যে ব্যক্তি স্বপ্নে আমাকে দেখেছে সে আমাকেই দেখেছে।

২২৭৬. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি স্বপ্নের মধ্যে আমাকে দেখিতে পেয়েছে সে আমাকেই দেখিতে পেয়েছে। কেননা, শাইতান আমার রূপ [সাদৃশ্য] ধারণ করিতে পারে না।

সহীহ, ইবনি মা-জাহ [৩৯০০]। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা, আবু কাতাদা, ইবনি আব্বাস, আবু সাঈদ, জাবির, আনাস, আবু মালিক আল-আশজাঈ তার পিতার সূত্রে, আবু বাকরা ও আবু জুহাইফা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫. অনুচ্ছেদঃ কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে তার করণীয়

২২৭৭. আবু কাতাদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আসে আল্লাহ্‌ তাআলার পক্ষ হইতে এবং মন্দ স্বপ্ন আসে শাইতানের পক্ষ হইতে। কাজেই কেউ যদি স্বপ্নে অপছন্দীয় কিছু দেখিতে পায় তাহলে সে যেন তার বামদিকে তিনবার থুথু ফেলে এবং এর অকল্যাণ হইতে আল্লাহ্‌ তাআলার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে। তাহলে তাতে তার কোন ক্ষতি হইবে না।

সহীহ, বুখারী, মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনি আমর, আবু সাঈদ, জাবির ও আনাস [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৬. অনুচ্ছেদঃ স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে

২২৭৮. আবু রাযীন আল-উকাইলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুমিনের স্বপ্ন নাবূওয়াতের চল্লিশ ভাগের একভাগ। স্বপ্নের ব্যাপারে যে পর্যন্ত আলোচনা করা না হয় সে পর্যন্ত এটা পাখির পায়ে [ঝুলে] থাকা জিনিসের মতো। আলোচনা করার সাথে সাথে তা যেন পা হইতে পড়ে গেল। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি এ কথাটুকুও বলেছেনঃ আর স্বপ্ন দ্রষ্টা ব্যক্তি যেন জ্ঞানী ব্যক্তি অথবা পছন্দীয় ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারো নিকট স্বপ্নের ব্যাপারে আলোচনা না করে।

সহীহ, সহীহাহ্‌ [১২০], মিশকাত তাহকীক ছানী [৪৬২২]। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৭৯. আবু রাযীন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুসলমানের স্বপ্ন নাবূওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ। স্বপ্নদ্রষ্টা এ প্রসঙ্গে [কারো সাথে] আলোচনা না করা পর্যন্ত তা পাখির পায়ে ঝুলন্ত জিনিসের অনুরূপ। আর যখনই সে এটা আলোচনা করে তখনই তা ছিটকে পড়ে যায়।

সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ। আবু রাযীন আল-উকাইলী [রাদি.]-এর নাম লাকীত ইবনি আমির। এ হাদীসটি ইয়ালা ইবনি আতার সূত্রে হাম্মাদ ইবনি সালামা বর্ণনা করিতে গিয়ে ওয়াকীর বাবার নাম হুদুস উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু ইয়ালা ইবনি আতার সূত্রে শুবা, আবু আওয়ানা ও দুশাইম [রাহঃ] বর্ণনা করিতে গিয়ে তার বাবার নাম “উদুস” উল্লেখ করিয়াছেন এবং এটিই অনেক বেশি সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭. অনুচ্ছেদঃ পছন্দনীয় ও অপছন্দনীয় স্বপ্ন প্রসঙ্গে

২২৮০. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ স্বপ্ন তিন প্রকারঃ [১] সত্য স্বপ্ন, [২] বান্দার মনের চিন্ত-ভাবনা [যা চিন্তা করে তাই স্বপ্নে দেখে] ও [৩] শাইতানের পক্ষ হইতে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু। অতএব, কেউ যদি অপছন্দনীয় কোন কিছু স্বপ্নে দেখে তাহলে সে যেন ঘুম হইতে জেগে নামাজ আদায় করে। আর তিনি বলিতেন, স্বপ্নে [পায়ে] শৃংখল দেখা আমার পছন্দনীয় এবং [গলায়] শৃংখল দেখা অপছন্দনীয়। [পায়ে] শৃংখলের ভাবার্থ হচ্ছে দ্বীনের উপর সুদৃঢ় থাকার ইঙ্গিত। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আরো বলিতেনঃ যে আমাকে স্বপ্নে দেখলো তা সত্যিই আমি। কেননা, শাইতান আমার রূপ [সাদৃশ্য] ধারণ করিতে পারে না। তিনি আরো বলিতেনঃ জ্ঞানী ব্যক্তি অথবা শুভাকাংখী ব্যক্তি ব্যতীত আর কোন ব্যক্তির কাছে স্বপ্নের কথা প্রকাশ করিবে না।

সহীহ, সহীহাহ্‌ [১১৯, ১২০, ১৩৪১], রাওযুন নাযীর [১১৬২]। আবু ঈসা বলেন, আনাস, আবু বাকরা, উম্মুল আলা, ইবনি উমার, আইশা, আবু মূসা, জাবির, আবু সাঈদ, ইবনি আব্বাস ও আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতেও এ অনুছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৮. অনুচ্ছেদঃ কেউ যদি মনগড়া [মিথ্যা] স্বপ্ন বলে

২২৮১. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] হইতে আমি বর্ণনা করছি যে, তিনি বলেছেনঃ মনগড়া [মিথ্যা] স্বপ্ন বর্ণনাকারীকে কিয়ামতের দিন যবের দানায় গিঁট লাগাতে বাধ্য করা হইবে।

সহীহ, সহীহাহ্‌ [২৩৫৯]। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৮২. উপরোল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ কুতাইবা–আবু আওয়ানা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আবদুল আলা হইতে, তিনি আবু আবদুর রাহমান আস-সুলামী হইতে, তিনি আলী [রাদি.] হইতে, তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। এ হাদীসটি হাসান। ইবনি আব্বাস, আবু হুরাইরা, আবু শুরাইহ ও ওয়াসিলা ইবনিল আসকা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদ হাদীস বর্ণিত আছে।

আবু ঈসা বলেন, পূর্বোক্ত হাদীসের সনদসূত্রের চেয়ে এই সনদসূত্রটি অনেক বেশি সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২২৮৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মনগড়া [মিথ্যা] স্বপ্ন বর্ণনাকারীকে কিয়ামাতের দিন দুটি যবের দানায় গিঁট লাগাতে বাধ্য করা হইবে; আর সে তাতে গিঁট লাগাতে সক্ষম হইবে না।

সহীহ, ইবনি মা-জাহ [৩৯১৬], বুখারী। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৯. অনুচ্ছেদঃ স্বপ্নে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-র দুধপান ও জামা দর্শন

২২৮৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ কোন এক সময় আমি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম, এ সময় আমার সামনে এক পেয়ালা দুধ নিয়ে আসা হলো। আমি তা হইতে পান করলাম এবং বাকী টুকু উমার ইবনিল খাত্তাবকে দিলাম। লোকেরা প্রশ্ন করিল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল [সাঃআঃ]! আপনি এর কি তাবীর [ব্যাখ্যা] করেন? তিনি বললেনঃ জ্ঞান।

সহীহ, তালীকাত আল-হাস্‌সান [৬৮১৫, ৬৮৩৯], বুখারী, মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা, আবু বাক্‌রা, ইবনি আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনি সালাম, খুযাইমা, তুফাইল ইবনি সাখবারা, আবু উমামা ও জাবির [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনি উমার [রাদি.]-এর বর্নিত হাদীসটি সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৮৫. আবু উমামা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ]-র জনৈক সাহাবীর সূত্রে বর্ণিত আছে, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন একদিন আমি ঘুমন্ত অবস্থায় [স্বপ্নে] দেখিতে পাই যে, জামা পরিহিত লোকদেরকে আমার সামনে হাযির করা হচ্ছে। তাহাদের কারো জামা বুক পর্যন্ত এবং কারো জামা তার নীচে পর্যন্ত। তখন উমারকে আমার সামনে হাযির করা হলো এবং তার পরনে ছিলো লম্বা পোশাক, যা সে হেঁচড়িয়ে চলছিল। লোকেরা প্রশ্ন করিল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল [সাঃআঃ]! আপনি এর কি তাবীর [ব্যাখ্যা] করেন? তিনি বললেনঃ এর দ্বারা দ্বীন বুঝানো হয়েছে।

সহীহ, বুখারী, মুসলিম। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৮৬. পূর্বোক্ত হাদীসের মতো হাদীস আব্‌দ ইবনি হুমাইদ-ইয়াকূব ইবনি ইবরাহীম ইবনি সাদ হইতে বর্ণীতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের মতো হাদীস আব্‌দ ইবনি হুমাইদ-ইয়াকূব ইবনি ইবরাহীম ইবনি সাদ হইতে, তিনি তার বাবা হইতে, তিনি সালিহ ইবনি কাইসান হইতে, তিনি যুহ্‌রী হইতে, তিনি আবু উমামা হইতে, তিনি আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে, তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে এই সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন এবং এই সনদসূত্রটি অনেক বেশি সহিহ।

স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১০. অনুচ্ছেদঃ স্বপ্নে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দাঁড়িপাল্লা ও বালতি দর্শন

২২৮৭. আবু বাকর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

কোন একদিন নাবী [সাঃআঃ] প্রশ্ন করিলেন, তোমাদের মধ্যে কে স্বপ্ন দেখেছে? জনৈক ব্যক্তি বলিল, আমি স্বপ্নে দেখি যে, আকাশ হইতে একটি দাঁড়িপাল্লা নেমে এলো। তারপর আপনাকে ও আবু বাকরকে ওজন করা হলো। আবু বাকরের চেয়ে আপনার ওজন ভারী হলো। তারপর আবু বাকর ও উমারকে ওজন দেয়া হলো এবং তাতে আবু বাকরের ওজন বেশি হলো। তারপর উমার ও উসমানকে ওজন দেয়া হলো এবং তাতে উমারের ওজন বেশি হলো। তারপর দাঁড়িপাল্লা উঠিয়ে নেয়া হলো। এমন সময় আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চেহারায় অসন্তুষ্টির ভাব লক্ষ্য করলাম।

সহীহ, মিশকাত, তাহকীক ছানী [৬০৫৭]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৮৮. আইশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে ওয়ারাকা ইবনি নাওফল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় [তিনি কি জন্নাতী না জাহান্নামী]। খাদিজা [রাদি.] তাঁকে বলেন, তিনি তো আপনাকে সত্য বলে সমর্থন করেছিলেন এবং আপনার নবুওয়াত প্রকাশের পূর্বেই মারা যান। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি তাকে সাদা পোশাক পরে থাকা অবস্থায় স্বপ্নে দেখেছি। তিনি জাহান্নামী হলে তার পরিধানে অন্য রংয়ের পোশাক থাকত।

যঈফ, মিশকাত [৪৬২৩], আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আর হাদীস বিশারদদের মতে উসমান ইবনি আবদুর রহমান খুব একটা মজবুত রাবী নন। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২২৮৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবু বকর [রাদি.] ও উমার [রাদি.] এর সম্পর্কে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর স্বপ্ন দেখা প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি জনগণকে সমবেত হইতে দেখলাম। আবু বাকর এক বালতি কি দুই বালতি পানি তুললো। তার মধ্যে সামান্য দুর্বলতা ছিল। আল্লাহ্‌ তাআলা তাকে ক্ষমা করুন। তারপর উমার দাঁড়ালো এবং পানি তুলতে লাগল। বালতিটি বেশ বিরাট আকার ধারণ করিল। তার মতো করে কোন শক্তিশালী ব্যক্তিকে আমি কাজ করিতে দেখিনি। আর সে এত পানি তুললো যে, লোকেরা তাহাদের উটের পানির চৌবাচ্চা পূর্ণ করে নিল।

সহীহ, বুখারী, মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি সহীহ্‌, তবে ইবনি উমার [রাদি.]-এর রিওয়ায়াত হিসাবে গারীব। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯০. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ]-এর স্বপ্ন দর্শন প্রসঙ্গে তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি এলোমেলো চুল ওয়ালা এক কালো মহিলাকে মাদীনা হইতে বের হয়ে মাহ্‌ইয়াআহ-তে গিয়ে দাঁড়াতে দেখেছি। মাহ্‌ইয়াআহ হলো জুহ্‌ফা। তারপর আমি এর ব্যাখ্যা করেছি যে, মাদীনার মহামারী জুহ্‌ফাতে স্থানান্তরিত হলো।

সহীহ, ইবনি মা-জাহ [৩৯২৪], বুখারী। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ্‌ গারীব। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯১. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ শেষ যামানায় মুমিনের স্বপ্ন খুব কমই মিথ্যা হইবে। তাহাদের মধ্যে অধিক সত্যবাদীর স্বপ্নই বেশি সত্য হইবে। স্বপ্ন তিন প্রকারঃ [১] ভাল স্বপ্ন, যা আল্লাহ্‌ তাআলার পক্ষ হইতে সুসংবাদ, [২] স্বপ্নের আকারে ব্যক্তির মনের চিন্তা-ভাবনা ও [৩] শাইতানের পক্ষ হইতে দুশ্চিন্তায় ফেলার স্বপ্ন। কাজেই তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখে তাহলে সে যেন তা অন্যের নিকট প্রকাশ না করে বরং সে যেন তখন উঠে গিয়ে নামাজ আদায় করে। আবু হুরাইরা [রাদি.] বলেন, [স্বপ্নে পায়ে] শৃংখল দেখা আমার পছন্দনীয় এবং গলায় শৃংখল দেখা অপছন্দনীয়। [পায়ে] শৃংখল দেখা হলো দ্বীনের উপর সুদৃঢ়তার প্রতীক। তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুমিনের স্বপ্ন নাবূওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ।

সহীহ, দেখুন ২২৮০ নং হাদীস। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি আবদুল ওয়াহ্‌হাব আস-সাকাফী [রঃ] আইয়্যূব [রঃ] হইতে মারফূরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। আর তা হাম্মাদ ইবনি যাইদ [রঃ] আইয়্যূব [রঃ] হইতে মাওকূফরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি কোন একদিন স্বপ্নে দেখলাম যে, আমার হাতে যেন দুটি স্বর্ণের চুড়ি। বিষয়টি আমাকে চিন্তিত করে তুললো। তারপর আমার নিকট ওয়াহী প্রেরিত হলো যে, আমি যেন ঐ দুটিতে ফুঁ দেই। আমি দুটিতে ফুঁ দেয়ার পর তা উড়ে চলে গেল। আমি চুড়ি দুটির এই ব্যাখ্যা করলাম যে, আমার পরে দুইজন মিথ্যাবাদী [নাবূওয়াতের দাবিদার] আত্মপ্রকাশ করিবে। তারা হলোঃ মুসাইলামা নামে ইয়ামামার অধিবাসী এবং আল-আনাসী নামে সানআর [ইয়ামানের রাজধানী] অধিবাসী।

সহীহ, বুখারী। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহিহ হাসান গারীব। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আবু হুরাইরা [রাদি.] হাদীস বর্ণনা করিতেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে কোন একজন লোক এসে বলিল, আমি আজ রাতে একটি ছায়াযুক্ত মেঘ স্বপ্নে দেখিতে পেয়েছি এবং তা হইতে ঘি ও মধু ঝরে পড়ছে। লোকদের দেখলাম যে, তারা হাতে তুলে তা পান করছে। কেউ বেশি পাচ্ছে এবং কেউ অল্প। আমি আরো দেখিতে পেলাম যে, আকাশ হইতে মাটি পর্যন্ত একটি রশি ঝুলছে। হে আল্লাহ্‌র রাসূল [সাঃআঃ]! আপনাকে দেখলাম যে, আপনি সেটা ধরে উপরে উঠে গেছেন, তারপর আরেকজন সেটা ধরে উঠে গেছে, তারপর আরেকজন ধরল এবং সেও উঠে গেল। তারপর অপর একজন ধরলে সেটা ছিড়ে গেল। আবার সেটা জোড়া লেগে গেল এবং সেও তা ধরে উঠে গেল। আবু বকর [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল [সাঃআঃ]! আমার পিতা-মাতা আপনার প্রতি কুরবান হোক! আল্লাহ্‌র শপথ! আমাকে এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করিতে দিন। তিনি বললেনঃ ঠিক আছে, এর তাবীর [ব্যাখ্যা] কর। আবু বকর [রাদি.] বলিলেন, ছায়াযুক্ত মেঘ হলো ইসলামের ছায়া, পতিত ঘি ও মধু হলো কুরআনের কোমলতা, সুমিষ্টতা ও মাধুর্য। আর বেশি ও কম লাভকারী হল কুরআন হইতে বেশি ও কম লাভকারী। আকাশ হইতে যমীন পর্যন্ত ঝুলন্ত রশি হলো সেই মহাসত্য যার উপর আপনি প্রতিষ্ঠিত। আপনি তা ধরে আছেন, আপনাকে এর মাধ্যমে আল্লাহ্‌ তাআলা উপরে তুলে নিয়েছেন। তারপর সেটা আরেকজন ধারণ করবেন এবং তিনিও উপরে উঠে যাবেন। তারপর আরেকজন তা ধরবেন এবং তিনিও উপরে উঠে যাবেন। তারপর আরেকজন তা ধরবেন এবং রশি ছিঁড়ে যাবে। আবার তা জোড়া লাগবে এবং তিনিও উপরে উঠে যাবেন। হে আল্লাহ্‌র রাসূল [সাঃআঃ]! বলুন, আমি সঠিক বলেছি না তাতে ভুল করেছি। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, সামান্য তো সঠিকই বলেছ আর সামান্য ভুল বলেছ। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল [সাঃআঃ]! আল্লাহ্‌র কসম! আপনার প্রতি আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক। আপনি আমাকে বলুন আমি কোথায় ভুল করেছি। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, কসম দিয়ে বলো না।

সহীহ, ইবনি মা-জাহ [৩৯১৮], বুখারী, মুসলিম। আবু ঈসা বলিলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯৪. সামুরা ইবনি জুনদাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামাজ আদায়ের পর লোকদের দিকে মুখ ফিরিয়ে প্রশ্ন করিতেনঃ আজ রাতে তোমাদের মধ্যে কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছে কি?

সহীহ, তালীকুর রাগীব [১/১৯৮-১৯৯], বুখারী। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ। কিন্তু এ হাদীসটি আওফ ও জারীর ইবনি হাযিম হইতে আবু রাজা এ সূত্রে সামুরা [রাদি.] এর বরাতে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে দীর্ঘ আকারে বর্ণিত আছে। মুহাম্মাদ ইবনি বাশ্‌শার [রঃ] ওয়াহব ইবনি জারীর [রঃ] হইতে সংক্ষিপ্ত আকারে আমাদের নিকট এই হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

Comments

One response to “স্বপ্ন সম্পর্কিত হাদিস । সুসংবাদ প্রদানের ধারা অব্যাহত আছে”

Leave a Reply