ওয়াসিয়াত । তিনের-একাংশ সম্পত্তিতে ওয়াসিয়াত সীমাবদ্ধ

ওয়াসিয়াত । তিনের-একাংশ সম্পত্তিতে ওয়াসিয়াত সীমাবদ্ধ

ওয়াসিয়াত । তিনের-একাংশ সম্পত্তিতে ওয়াসিয়াত সীমাবদ্ধ , এই অধ্যায়ে মোট ৯ টি হাদীস (২১১৬-২১২৪) >> সুনান তিরমিজি শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়-২৮ঃ ওয়াসিয়াত, অনুচ্ছেদঃ (১-৭)=৭টি

১. অনুচ্ছেদঃ তিনের-একাংশ সম্পত্তিতে ওয়াসিয়াত সীমাবদ্ধ
২. অনুচ্ছেদঃ ওসিয়াতের মাধ্যমে ক্ষতিসাধন
৩. অনুচ্ছেদঃ ওয়াসিয়াতের জন্য উৎসাহ দেয়া
৪. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ওয়াসিয়াত করেননি
৫. অনুচ্ছেদঃ উত্তরাধিকারীদের জন্য ওয়াসিয়াত করার বৈধতা নেই
৬. অনুচ্ছেদঃ ওয়াসিয়াত মঞ্জুরের পুবে দেনা পরিশোধ করিতে হইবে
৭. অনুচ্ছেদঃ মৃত্যুর সময় কেউ দান খয়রাত করলে বা গোলাম আযাদ করলে

১. অনুচ্ছেদঃ তিনের-একাংশ সম্পত্তিতে ওয়াসিয়াত সীমাবদ্ধ

২১১৬. আমির ইবনি সাদ ইবনি আবী ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে তার বাবার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [সাদ] বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর আমি গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে গেলাম এবং মৃত্যুর আশংকা করলাম। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে দেখিতে এলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল [সাঃআঃ]! আমার প্রচুর ধন-সম্পদ রয়েছে। মাত্র একটি মেয়ে সন্তান ব্যতীত আমার আর কোন উত্তরাধিকারী নেই। আমি আমার সমস্ত সম্পদের ওয়াসিয়াত করবো কি? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, তবে দুই-তৃতীয়াংশ সম্পদ ওয়াসিয়াত করব কি? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ এক তৃতীয়াংশ করিতে পার, তবে এক-তৃতীয়াংশও অনেক। তোমার উত্তরাধিকারীদেরকে দরিদ্র এবং অন্যকারো নিকট হাত পাতাতে বাধ্য অবস্থায় রেখে যাওয়ার চাইতে তাহাদেরকে সম্পদশালী অবস্থায় রেখে যাওয়া অধিক উত্তম। তুমি যেটুকু খরচ কর না কেন নেকী অবশ্যই পাবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে গ্রাসটি তুলে দাও তুমি তার জন্যও নেকী পাবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহ্‌র রাসূল [সাঃআঃ] ! আমি কি আমার হিজরাত হইতে পিছনে পড়ে থাকব [মাদীনায় ফিরে যেতে পারব না]? তিনি বললেনঃ তুমি আমার পরেও যদি জীবিত থাক এবং আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি হাসিলের উদ্দেশ্যে যে কোন কাজই কর তাতে তোমার মর্যাদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। আশা করি আমার পরবর্তীতেও তুমি জীবিত থাকিবে। তোমার মাধ্যমে বহু লোকের উপকার হইবে এবং অসংখ্য লোকের ক্ষতি সাধিত হইবে। হে আল্লাহ! আমার সাহাবীদের হিজরাত পূর্ণ করে দাও, তাহাদেরকে পিছনে ফিরিয়ে দিও না। সাদ ইবনি খাওলা হতভাগ্য। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাদ ইবনি খাওলার জন্য অনেক দুঃখ প্রকাশ করিতেন। তিনি মক্কাতে মারা যান।

সহীহ, ইবনি মা-জাহ [২৭০৮], বুখারী, মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, ইবনি আব্বাস রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। এ হাদীসটি সাদ ইবনি আবী ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতেও একধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীস মুতাবিক অভিজ্ঞ আলিমগণ আমল কারেছেন। কারো পক্ষে তার সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের বেশি ওয়াসিয়াত করা উচিত নয়। তিনের-একাংশও বেশী রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এক-তৃতীয়াংশের কম পরিমাণ ওয়াসিয়াত করাকেই একদল বিশেষজ্ঞ আলিম উত্তম বলেছেন। ওয়াসিয়াত- এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২. অনুচ্ছেদঃ ওসিয়াতের মাধ্যমে ক্ষতিসাধন

২১১৭. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন পুরুষ অথবা স্ত্রীলোক ষাট বছর ধরে আল্লাহ্ তাআলার আনুগত্যমূলক কাজ করিল। তারপর তাহাদের মৃত্যু হাযির হলে তারা ওসিয়াতের মাধ্যমে ক্ষতিকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে তাহাদের জন্য জাহা্ন্নামের আগুন নির্ধারিত হয়ে যায়। [শাহর ইবনি হাওশাব বলেন] তারপর আবু হুরাইরা [রাদি.] আমার উপস্থিতিতে এ আয়াত পাঠ করেনঃ

‏مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَى بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ وَصِيَّةً مِنَ اللَّهِ

“যখন ওসিয়াত পূরণ করা হইবে এবং [মৃত ব্যক্তির অনাদায়ী] ঋণ পরিশোধ করা হইবে। অবশ্য তা [ওসিয়াত] যেন ক্ষতিকর না হয়। ওসিয়াত প্রসঙ্গে এটা আল্লাহ্ তাআলার নির্দেশ…. প্রকৃতপক্ষে এটা বিরাট সাফল্য”। [সূরাঃ নিসা-১২,১৩]

যঈফ, ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[২৭০৪], আবু ঈসা বলেন, উল্লেখিত সনদসূত্রে এ হাদীসটি হাসান গারীব। আল-আশআস ইবনি জাবির হইতে যে নাসর ইবনি আলী হাদীস বর্ণনা করেন তিনি হলেন নাসর ইবনি আলী আল-জাহযামীর দাদা। ওয়াসিয়াত – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৩. অনুচ্ছেদঃ ওয়াসিয়াতের জন্য উৎসাহ দেয়া

২১১৮. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যদি কোন মুসলমানের নিকট ওয়াসিয়াত করার মতো কিছু থাকে তাহলে তার নিজের নিকট ওয়াসিয়াতনামা লিখে না রেখে দুই রাতও অতিবাহিত করার অধিকার তার নেই।

সহীহ, ইবনি মা-তজাহ [২৬৯৯], বুখারী, মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ। উক্ত হাদীসটি যুহরী-সালিম হইতে, তিনি ইবনি উমার [রাদি.] হইতে, তিনি রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হইতে এ সূত্রেও বর্ণিত আছে। ওয়াসিয়াত – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ওয়াসিয়াত করেননি

২১১৯. তালহা ইবনি মুসাররিফ [রাহঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ইবনি আবী আওফা [রাদি.]-কে আমি প্রশ্ন করলাম, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি [কিছু] ওয়াসিয়াত করেছিলেন? তিনি বলেন, না। আমি বললাম, তাহলে কিভাবে ওয়াসিয়াতটি বিধিবদ্ধ হলো এবং কিসের ভিত্তিতে তিনি জনগণকে [ওয়াসিয়াতের] নির্দেশ দিলেন? তিনি বলিলেন, তিনি আল্লাহ তাআলার কিতাবে অনুসারে ওয়াসিয়াতের নির্দেশ দিয়েছেন।

সহীহ, ইবনি মা-জাহ [২৬৯৬], বুখারী, মুসলিম।আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আমরা এ হাদীস প্রসঙ্গে শুধুমাত্র মালিক ইবনি মিগওয়ালের সূত্রেই জেনেছি। ওয়াসিয়াত – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫. অনুচ্ছেদঃ উত্তরাধিকারীদের জন্য ওয়াসিয়াত করার বৈধতা নেই

২১২০. আবু উমামা আল-বাহিলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জের খুতবায় আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ অবশ্যই আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক হকদারের হক [নির্দিষ্ট করে] দিয়েছেন। অতএব, উত্তরাধিকারীদের জন্য ওয়াসিয়াত করা বৈধ নয়। সন্তান বিছানার [মালিকের]; আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। তাহাদের সবর্শেষ ফায়সালার ভার আল্লাহ তাআলার উপর। যে লোক নিজের বাবাকে পরিত্যাগ করে আরেকজনকে বাবা বলে পরিচয় দেয় এবং যে গোলাম নিজের মনিব ব্যতীত অন্য মনিবের পরিচয় দেয় তার উপর অব্যাহতভাবে কিয়ামাত পর্য্ন্ত আল্লাহ তাআলার অভিশাপ। স্ত্রী তার স্বামীর বিনা অনুমতিতে তার ঘর হইতে কোন কিছু ব্যয় করিবে না। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ! খাদ্যদ্রব্যও নয়? তিনি বললেনঃ এটাতো আমাদের সবোর্ত্তম সম্পদ। তিনি আরো বললেনঃ ধারনকৃত বস্তু ফেরত যোগ্য, মানীহা [দুধপানের উদ্দেশ্যে ধার করা পশু] ফেরত দিতে হইবে, ঋণ পরিশোধ করিতে হইবে এবং যামিনদার দায়বদ্ধ থাকিবে।

সহীহ, ইবনি মা-জাহ [২৭১৩]। আবু ঈসা বলেন, আমর ইবনি খা-রিজাহ [রাদি.] ও আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আবু উমামা [রাদি.] হইতে অপরাপর সূত্রেও বর্ণিত আছে। ইরাক ও হিজাযবাসীদের হইতে ইসমাঈল ইবনি আইয়্যাশের একক বর্ণনাগুলো গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ, তিনি তাহাদের সূত্রে বহু মুনকার হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে সিরিয়াবাসীদের সূত্রে বর্ণিত তার হাদীসসমূহ অনেক বেশি সহিহ। মুহাম্মাদ ইবনি ইসমাঈল আল-বুখারী এরকম কথাই বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, আমি আহমাদ ইবনি হাম্বলকে বলিতে শুনিয়াছি যে, বাকিয়্যা সিকাহ বর্ননাকারীদের সূত্রেও মুনকার হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। আমি আবদুল্লাহ ইবনি আবদুর রাহমানকে বলিতে শুনিয়াছি, আমি যাকারিয়া ইবনি আদীকে বলিতে শুনিয়াছি, আবু ইসহাক আল-ফাযারী বলেন, সিকাহ্ বর্ণনাকারীদের সূত্রে বাকিয়্যা যা কিছু বর্ণনা করেন তোমরা তা গ্রহণ কর। আর নির্ভরযোগ্য ও অনির্ভরযোগ্য যাদের সূত্রেই ইসমাঈল ইবনি আইয়্যাশ হাদীস বর্ণনা করুন না কেন তোমরা তা গ্রহণ করো না। ওয়াসিয়াত – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১২১. আমর ইবনি খা-রিজাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর উষ্ট্রীর পিঠে বসে থাকাবস্থায় খুতবাহ দেন। আমি এর ঘাড়ের নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। উষ্ট্রী জাবর কাটছিল এবং আমার কাঁধের মাঝখান দিয়ে এর লালা গড়িয়ে পড়ছিল। আমি তাঁকে বলিতে শুনেছিঃ সকল হকদারের হক আল্লাহ তাআলা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। অতএব, উত্তরাধিকারীদের জন্য ওয়াসিয়াত করা বৈধ নয়। সন্তান বৈধ বিছানার [মালিকের] এবং ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। যে ব্যক্তি নিজের বাবাকে পরিত্যাগ করে অন্যজনকে বাবা বলে পরিচয় দেয় অথবা যে গোলাম নিজ মনিবকে পরিত্যাগ করে অন্য মনিবের পরিচয় দেয় তার প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত। আল্লাহ তার ফরয ও নফল কোন ইবাদাতই কবূল করবেন না।

সহীহ, ইবনি মা-জাহ [২৭১২]। আবু ঈসা বলেন, আহমাদ ইবনিল হাসানকে আমি বলিতে শুনিয়াছি, আহমাদ ইবনি হাম্বল বলেছেন, আমি শাহর ইবনি হাওশাবের বর্ণিত হাদীসের কোন তোয়াক্কা করি না। আমি শাহর ইবনি হাওশাবের প্রসঙ্গে মুহাম্মাদ ইবনি ইসমাঈলকে প্রশ্ন করলে তিনি তাকে নির্ভরযোগ্য বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, ইবনি আওন তার সমালোচনা করিয়াছেন। কিন্তু তিনিই আবার হিলাল ইবনি আবী যাইনাব হইতে শাহর ইবনি হাওশাবের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। ওয়াসিয়াত – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৬. অনুচ্ছেদঃ ওয়াসিয়াত মঞ্জুরের পুবে দেনা পরিশোধ করিতে হইবে

২১২২. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ওয়াসিয়াত পূরনের পূর্বে ঋন পরিশোধ করার জন্য রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ তোমরা ঋন পরিশোধের পূর্বে ওয়াসিয়াত পূরণের স্বীকৃতি দিয়ে থাক।

হাসান, [২০৯৪] নং হাদীসে আরও পূর্ণাঙ্গ ভাবে ইতোপূর্বে আলোচনা হয়েছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীস অনুসারে সকল বিশেষজ্ঞ আলিম আমল করেন। তাহাদের মতে ওয়াসিয়াত পূরণ করার পূবে ঋন পরিশোধ করিতে হইবে। ওয়াসিয়াত – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৭. অনুচ্ছেদঃ মৃত্যুর সময় কেউ দান খয়রাত করলে বা গোলাম আযাদ করলে

২১২৩. আবু হাবীবা আত-তাঈ [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার ভাই তার সম্পদের একটা অংশ আমার জন্য ওসিয়াত করে যান। আমি আবুদ দারদা [রাদি.]-এর সাথে দেখা করে বললাম, আমার ভাই তার সম্পত্তির একটা অংশ আমার জন্য ওসিয়াত করে গেছেন। এ ব্যাপারে আপনার কি মত? আমি কি তা ফকীর-মিসকীনদের জন্য খরচ করব, না আল্লাহ্ তাআলার পথের সৈনিকদের জন্য খরচ করব? তিনি বলিলেন, যদি আমি হতাম তবে এ ব্যাপারে আমি মুজাহিদদের মুকাবিলায় অন্য কাউকে অগ্রাধিকার দিতাম না। আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময় [গোলাম] মুক্ত করে সে হচ্ছে এমন ব্যক্তির মত যে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার পর উপহার দেয়।

যঈফ, যঈফা [১৩২২], মিশকাত, তাহকীক ছানী [১৮৭১] আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ওয়াসিয়াত – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২১২৪. উরওয়া [রাহঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তাকে আইশা [রাদি.] জানিয়েছেন। বারীরা [রাদি.] আইশা [রাদি.]- এর নিকট আসেন নিজের মুক্তির চুক্তিপত্রের ব্যাপারে তার সাহায্য প্রার্থনা করিতে। তিনি তার চুক্তিপত্রের ব্যাপারে তার সাহায্য প্রার্থনা করিতে। তিনি তার চুক্তিপত্রের শর্ত মুতাবিক এ পযর্ন্ত কিছুই পরিশোধ করিতে পারেননি। আইশা [রাদি.] তাকে বলিলেন, তুমি তোমার মালিক পরিবারে ফিরে যাও। তারা যদি সম্মত হয় যে, তোমার চুক্তিপত্রের নির্ধারিত মূল্য আমি পরিশোধ করব এবং আমি তোমার ওয়ালাআর হক্বদার হবো, তাহলে আমি মূল্য পরিশোধ করিতে তৈরী আছি। তিনি ফিরে গিয়ে বিষয়টি তার মালিক পরিবারের কাছে বলিলেন। কিস্তু তারা এ শর্তে সম্মত হলো না। তারা বলিল, তিনি যদি নেকীর উদ্দেশ্যে তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তোমার ওয়ালআর অধিকারী আমরা হবো তাহলে এই শর্তে আমরা সম্মত আছি এবং তিনি তা করিতে পারেন। তিনি [আইশা] বিষয়টি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উল্লেখ করেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় করে মুক্ত করে দাও। কেননা, যে ব্যক্তি মুক্ত করে সে-ই ওয়ালাআর মালিক হয়। তারপর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] উঠে দাঁড়িয়ে বললেনঃ লোকদের কি হলো! তারা এমন শর্তারোপ করে যা আল্লাহ তাআলার গ্রন্থে নেই। যে লোক এরুপ শর্তারোপ করে যা আল্লাহ তাআলার গ্রন্থে নেই সেরুপ শর্ত তার কোন উপকারে আসবে না, সে শতবার শর্তারোপ করলেও।

সহীহ, ইবনি মা-জাহ [২৫২১], বুখারী, মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ। এ হাদীসটি আইশা [রাদি.] হইতে একাধিকসূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীস অনুযায়ী অভিজ্ঞ আলিমগণ আমল করিয়াছেন। তাহাদের মতে আযাদকারীই ওয়ালাআর স্বত্বাধিকারী হইবে। ওয়াসিয়াত – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস


Posted

in

by

Comments

One response to “ওয়াসিয়াত । তিনের-একাংশ সম্পত্তিতে ওয়াসিয়াত সীমাবদ্ধ”

Leave a Reply