সুনানে তিরমিজি pdf – জিহাদ অধ্যায় এর হাদিস

সুনানে তিরমিজি pdf – জিহাদ অধ্যায় এর হাদিস

সুনানে তিরমিজি pdf – জিহাদ অধ্যায় এর হাদিস , এই অধ্যায়ে মোট ৫০ টি হাদীস (১৬৭০-১৭১৯) >> সুনান তিরমিজি শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়-২১ঃ জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ (১-৩৯)=টি

১. অনুচ্ছেদঃ ওজরের কারণে জিহাদে অংশগ্রহণ না করার সুযোগ
২. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি মা-বাবাকে ফেলে জিহাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে
৩. অনুচ্ছেদঃ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিকেই অভিযানে প্রেরণ করা
৪. অনুচ্ছেদঃ একাকী ভ্রমণ করা অনুচিত
৫. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধে মিথ্যা ও ধোকার আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি আছে
৬. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কয়টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করিয়াছেন
৭. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধের সময় [সৈন্যদেরকে] সারিবদ্ধভাবে বিন্যস্ত করা
৮. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধের সময় দুআ করা
৯. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর ক্ষুদ্র পতাকার বর্ণনা
১০. অনুচ্ছেদঃ [রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের] বড়] পতাকার বর্ণনা
১১. অনুচ্ছেদঃ [যুদ্ধক্ষেত্রের বিশেষ] প্রতীক বা সংকেতধ্বনি
১২. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর তরবারির বর্ণনা
১৩. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধ চলা কালীন সময়ে রোযা না রাখা
১৪. অনুচ্ছেদঃ শঙ্কিত অবস্থায় বাইরে বের হওয়া
১৫. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অবিচল থাকা
১৬. অনুচ্ছেদঃ তলোয়ার ও তার অলংকরণ বিষয়ে
১৭. অনুচ্ছেদঃ লৌহ বর্মের বর্ণনা
১৮. অনুচ্ছেদঃ শিরস্ত্রাণের বর্ণনা
১৯. অনুচ্ছেদঃ ঘোড়ার মর্যাদা
২০. অনুচ্ছেদঃ কোন প্রকার ঘোড়া উত্তম
২১. অনুচ্ছেদঃ কোন ধরনের ঘোড়া অপছন্দনীয়
২৩. অনুচ্ছেদঃ গাধা দিয়ে ঘুড়ীর পাল দেওয়া [সঙ্গম করানো] নিষেধ
২৪. অনুচ্ছেদঃ দুঃস্থ মুসলমানদের ওয়াসিলা দিয়ে বিজয়ের প্রার্থনা করা
২৫. অনুচ্ছেদঃ ঘোড়ার গলায় ঘন্টা বাঁধা নিষেধ
২৬. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর কোন দায়িত্বে নিযুক্ত করা
২৭. অনুচ্ছেদঃ ঈমাম [নেতা] প্রসঙ্গে
২৮. অনুচ্ছেদঃ নেতার আনুগত্য করা
২৯. অনুচ্ছেদঃ স্রষ্টার নাফারমানী করে সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না
৩০. অনুচ্ছেদঃ পশুর লড়াই অনুষ্ঠান এবং কোন প্রানীর মুখে দাগ দেওয়া বা আঘাত করা নিষেধ
৩১. অনুচ্ছেদঃ বালেগের বয়সসীমা এবং বাইতুল মাল হইতে ভাতা নির্ধারণের সময়
৩২. অনুচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত অবস্থায় কেউ শহীদ হলে
৩৩. অনুচ্ছেদঃ শহীদদের দাফনকার্য প্রসঙ্গে
৩৪. অনুচ্ছেদঃ পরামর্শ করা
৩৫. অনুচ্ছেদঃ বন্দীর লাশের কোন বিনিময় নেই
৩৬. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধক্ষেত্র হইতে পালানো
৩৭. অনুচ্ছেদঃ শহীদ ব্যক্তিকে তার নিহত হওয়ার জায়গায় কবর দেওয়া
৩৮. অনুচ্ছেদঃ সফর হইতে প্রত্যাবর্তনকারীদের অভ্যর্থনা জানানো
৩৯. অনুচ্ছেদঃ ফাই প্রসঙ্গে

১. অনুচ্ছেদঃ ওজরের কারণে জিহাদে অংশগ্রহণ না করার সুযোগ

১৬৭০. বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা আমার জন্য কাঁধের হাড় অথবা তক্তা আন। তিনি তাতে এই আয়াত লিখালেনঃ “মুমিনদের মধ্যে যেসব লোক ঘরে বসে থাকে তারা সমকক্ষ হইতে পারে না”। আমর ইবনি উম্মি মাকতূম [রাদি.] তাহাঁর পিছনে বসা ছিলেন। তিনি বলিলেন, আমার জন্য [ঘরে বসে থাকার] অনুমতি আছে কি? তখন অবতীর্ণ হলঃ “ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ ব্যতীত”।

সহিহ, বুখারী [২৮৩১, ৪৫৯৩, ৪৫৯৪], মুসলিম [৬/৪৩], তক্তা শব্দ ব্যতীত. ইবনি আব্বাস, জাবির ও যাইদ ইবনি সাবিত [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। আবু ইসহাক্ হইতে সুলাইমান আত-তাঈমীর সূত্রে গারীব। এ হাদীসটি আবু ইসহাকের সূত্রে শুবা ও সুফিয়ান সাওরীও বর্ণনা করিয়াছেন। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি মা-বাবাকে ফেলে জিহাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে

১৬৭১. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট একজন লোক এসে তাহাঁর কাছে জিহাদে যোগদানের সম্মতি চাইল। তিনি বললেনঃ তোমার মা-বাবা কি বেঁচে আছে? সে বলিল, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি তাহাদের সেবায় জিহাদ কর।

সহিহ, ইবনি মা-জাহ [২৭৮২], নাসা-ঈ. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। আবুল আব্বাস ছিলেন মক্কার অধিবাসী একজন অন্ধ কবি। তার নাম সাইব ইবনি ফাররূখ। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩. অনুচ্ছেদঃ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিকেই অভিযানে প্রেরণ করা

১৬৭২. ইবনি জুরাইজ [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ “তোমরা আল্লাহ্‌ তাআলার আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের সকল কাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরও” এই আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি হুযাফা ইবনি কাইস ইবনি আদী আস-সাহ্‌মী [রাদি.] বলেছেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে একটি অভিযানে প্রেরণ করেছিলেন।

সহিহ, সহিহ আবু দাঊদ [২৩৫৯], নাসা-ঈ. এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহিহ গারীব বলেছেন। এ হাদীসটি আমরা শুধুমাত্র ইবনি জুরাইজের সূত্রেই জেনেছি। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪. অনুচ্ছেদঃ একাকী ভ্রমণ করা অনুচিত

১৬৭৩. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একাকী ভ্রমণে যে কি [অনিষ্ট] রয়েছে, তা আমি যে রকম জানি, অন্যরাও সে রকম জানলে কোন ভ্রমণকারীই রাতে একাকী ভ্রমণ করত না। সহিহ, ইবনি মা-জাহ [৩৭৬৮], বুখারী. সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৬৭৪. আমর ইবনি শুআইব [রঃ] হইতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একা ভ্রমণকারী এক শাইতান, দুইজন ভ্রমণকারী দুই শাইতান এবং তিনজন ভ্রমণকারী একটি জামাআত।

হাসান, সহীহা [৬৪], মিশকাত [৩৯১০], সহীহ্‌ আবু দাঊদ [২৩৪৬] ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আমরা এ হাদীসটি শুধু উল্লেখিত সূত্রেই আসিমের রিওয়ায়াত হিসাবে জেনেছি। আসিমের বাবা মুহাম্মাদ, দাদা যাইদ, পরদাদা আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]। ঈমাম বুখারী [রঃ] বলেন, আসিম নির্ভরযোগ্য ও সত্যবাদী। আর আসিম ইবনি উমার আল-উমারী হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। আমি তার সূত্রে কোন হাদীস বর্ণনা করি না। আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৫. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধে মিথ্যা ও ধোকার আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি আছে

১৬৭৫. আমর ইবনি দীনার [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যুদ্ধ হল ধোকা।

সহিহ, ইবনি মা-জাহ [২৮৩৩, ২৮৩৪] আবু ঈসা বলেন, আলী, যাইদ ইবনি সাবিত, আইশা, ইবনি আব্বাস, আবু হুরাইরা, আসমা বিনতু ইয়াযীদ, কাব ইবনি মালিক ও আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৬. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কয়টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করিয়াছেন

১৬৭৬. আবু ইসহাক [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি যাইদ ইবনি আরকাম [রাদি.]-এর পাশে উপস্থিত ছিলাম। তাকে প্রশ্ন করা হল, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কয়টি যুদ্ধ করিয়াছেন? তিনি বলিলেন, ঊনিশটি। আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি কতটি যুদ্ধে তাহাঁর সাথে ছিলেন? তিনি বলিলেন, সতেরটিতে। আমি বললাম, এর মধ্যে সর্বপ্রথম কোন্ যুদ্ধটি ছিল? তিনি বলিলেন, যাতুল উশাইর বা উশাইরার যুদ্ধ।

সহিহ, নাসা-ঈ, এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধের সময় [সৈন্যদেরকে] সারিবদ্ধভাবে বিন্যস্ত করা

১৬৭৭. আবদুর রহমান ইবনি আওফ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বদরের যুদ্ধে আমাদেরকে রাতের বেলা সারিবদ্ধভাবে বিন্যস্ত করিয়াছেন।

সনদ দুর্বল। আবু ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আবু আইউব [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সনদসূত্রে এটি জেনেছি। আমি মুহাম্মাদ ইবনি ইসমাঈলকে এ হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রসঙ্গে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনি ইসহাক [রঃ]  ইকরিমা হইতে হাদীস শুনেছেন। তিরমিযী বলেন, আমি ঈমাম বুখারীর সাথে আমার সর্বপ্রথম সাক্ষাতে লক্ষ্য করি যে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনি হুমাইদ আর-রাযী প্রসঙ্গে ভাল ধারণা পোষণ করিতেন। কিন্তু পরে তিনি তাকে দুর্বল রাবী বলে আখ্যায়িত করেন। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৮. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধের সময় দুআ করা

১৬৭৮. ইবনি আবী আওফা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁকে অর্থাৎ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুআ করার সময় বলিতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ! কিতাব অবতীর্ণকারী এবং দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! শক্রবাহিনীকে পরাজিত কর এবং তাহাদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত কর”।

সহীহ্‌, সহীহ্‌ আবু দাঊদ [২৩৬৫], নাসা-ঈ. আবু ঈসা বলেন, ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৯. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর ক্ষুদ্র পতাকার বর্ণনা

১৬৭৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কায় প্রবেশ করেন এবং তাহাঁর ক্ষুদ্র পতাকা ছিল সাদা রং-এর।

হাসান, ইবনি মা-জাহ [৩৮১৭] এ হাদীসটিকে আবু ঈসা গারীব বলেছেন। আমরা এ হাদীসটি শারীকের সূত্রে ইয়াহ্‌ইয়া ইবনি আদামের নিকট হইতেই জেনেছি। আমি এ হাদীস প্রসঙ্গে মুহাম্মাদ ইবনি ইসমাঈলকে প্রশ্ন করলে তিনিও শুধু এই সূত্রটিই [শারীক-ইয়াহ্‌ইয়া] উল্লেখ করেন। একাধিক বর্ণনাকারী পর্যায়ক্রমে শারীক, আম্মার, আবুয যুবাইর, তারপর জাবির [রাদি.]-এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন যে, “রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কায় প্রবেশ করার সময় তাহাঁর মাথায় ছিল কালো পাগড়ী” । ঈমাম বুখারী [রঃ] বলেন, এটিই হল সেই হাদীস। আবু ঈসা বলেন, দুহ্‌ন হল বাজীলা গোত্রের একটি শাখা গোত্র। আম্মার আদ-দুহ্‌নীর উপনাম আবু মুআবিয়া। তিনি ছিলেন কূফার অধিবাসী। হাদীস বিশারদদের মতে তিনি সিকাহ্‌ [নির্ভরযোগ্য] বর্ণনাকারী। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

১০. অনুচ্ছেদঃ [রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের] বড়] পতাকার বর্ণনা

১৬৮০. মুহাম্মাদ ইবনিল কাসিমের মুক্তদাস ইউনুস ইবনি উবাইদ [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনিল কাসিম আমাকে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর [বড়] পতাকা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার জন্য বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.]-এর নিকট প্রেরণ করেন। বারাআ [রাদি.] বলেন, পতাকাটি ছিল কালো রং-এর, বর্গাকৃতির এবং পশমী কাপড়ের।

“বর্গাকৃতির” শব্দটি ব্যতীত হাদীসটি সহিহ, সহীহ্‌ আবু দাঊদ [২৩৩৩] আলী, হারিস ইবনি হাম্মান ও ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। আমরা এ হাদীস প্রসঙ্গে শুধুমাত্র ইবনি আবী যাইদার সূত্রেই জেনেছি। আবু ইয়াকুব আস-সাকাফীর নাম ইসহাক, পিতা ইবরাহীম। তার সূত্রে উবাইদুল্লাহ ইবনি মূসাও হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৬৮১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর রাইয়াহ্‌ [বড় পতাকা] ছিল কালো রং-এর এবং লিওয়া [ছোট পতাকা] ছিল সাদা রং-এর।

হাসান, ইবনি মা-জাহ [২৮১৮] আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উল্লেখিত সনদসূত্রে ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর বর্ণনা হিসাবে হাসান গারীব। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

১১. অনুচ্ছেদঃ [যুদ্ধক্ষেত্রের বিশেষ] প্রতীক বা সংকেতধ্বনি

১৬৮২. মুহাল্লাব ইবনি আবু সুফরা [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি এমন একজনের সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন, যিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ যদি রাতের আঁধারে শক্র বাহিনী তোমাদেরকে আক্রমণ করে তাহলে তোমরা এই সংকেত উচ্চারণ করঃ হা-মীম, তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হইবে না।

সহীহ্‌, মিশকাত তাহকীক ছানী [৩৯৪৮] আবু ঈসা বলেন, সালামা ইবনিল আকওয়া [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। কতিপয় বর্ণনাকারী সুফিয়ান সাওরীর অনুরূপ আবু ইসহাকের সূত্রেও বর্ণনা করিয়াছেন। এ হাদীসটি তার নিকট হইতে মুহাল্লাব-এর বরাতে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সূত্রে মুরসালভাবেও বর্ণিত আছে। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১২. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর তরবারির বর্ণনা

১৬৮৩. মুহাম্মাদ ইবনি সীরীন [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেনঃ আমি আমার তরবারি সামুরা [রাদি.]-এর তরবারির আকৃতিতে তৈরী করেছি। সামুরা [রাদি.] বলেন যে, তিনি তার তরবারি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর তরবারির আদলে তৈরী করিয়াছেন। তাহাঁর তরবারি ছিল বানূ হানীফ গোত্রের তরবারির মতই।

যঈফ, মুখতাসার শামায়িল মুহাম্মাদীয়া [৮৮]। আবু ঈসা বলেছেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উল্লেখিত সূত্রেই এ হাদীসটি জেনেছি। প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ আল-কাত্তান [রঃ] উসমান ইবনি সাদ আল-কাতিবের স্মৃতির সমালোচনা করে তাকে স্মৃতির দিক হইতে দুর্বল আখ্যায়িত করিয়াছেন। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

১৩. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধ চলা কালীন সময়ে রোযা না রাখা

১৬৮৪. আৰূ সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মাররায-যাহরান নামক জায়গায় পৌছলেন, তখন তিনি আমাদেরকে শক্রর মুকাবিলা করার কথা জানিয়ে দিলেন। তিনি আমাদেরকে রোযা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিলেন। তাই আমরা সবাই রোযা ভেঙ্গে ফেললাম।

সহীহ্‌, সহীহ্‌ আবু দাঊদ [২০৮১], মুসলিম. এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। উমার [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৪. অনুচ্ছেদঃ শঙ্কিত অবস্থায় বাইরে বের হওয়া

১৬৮৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আবু তালহা [রাদি.]-এর মানদূব নামক ঘোড়ার উপর চড়ে রাওয়ানা করিলেন। তিনি [বাইরে গিয়ে ভীতির কোন কারণ খুঁজে না পেয়ে ফিরে এসে] বললেনঃ ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আমি ঘোড়াটিকে অবশ্য সাগরের স্রোতের মতো বেগবান পেলাম।

সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [২৭৭২] আবু ঈসা বলেন, ইবনি আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৬৮৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার মাদীনার জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের মানদূব নামক ঘোড়াটি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ধার নিলেন। তিনি [বাইরে হইতে ঘুরে এসে] বললেনঃ আমরা ভয় পাওয়ার কোন কারণ খুঁজে পেলাম না। আমরা অবশ্য ঘোড়াটিকে সমুদ্রের স্রোতের অনুরূপ বেগবান পেলাম।

সহীহ্‌ দেখুন পূর্বের হাদীস এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৬৮৭. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ছিলেন অত্যন্ত সুদর্শন, দানশীল ও সাহসী পুরুষ। আনাস [রাদি.] বলেন, মদীনাবাসীগণ এক রাতে একটি [বিকট] শব্দ শুনতে পেয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তখন রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আবু তালহা [রাদি.]-এর একটি জিনবিহীন ঘোড়ায় উঠে কাঁধে তলোয়ার ঝুলিয়ে তাহাদের সাথে দেখা করেন এবং বলেন, তোমরা ভয় পেও না, তোমরা ভয় পেও না। তিনি আরও বলেন, আমি এটাকে সমুদ্রের অনুরূপ বেগবান পেয়েছি অর্থাৎ ঘোড়াটিকে।

সহীহ্‌, দেখুন হাদীস নং [১৬১৯] এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন. সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৫. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অবিচল থাকা

১৬৮৮. বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমাদেরকে একজন লোক প্রশ্ন করিল, হে আবু উমারা! আপনারা কি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃকে] [যুদ্ধে একা ফেলে] রেখে পালিয়েছিলেন? তিনি বলিলেন, আল্লাহ্‌র শপথ! কখনো নয়। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কখনো [যুদ্ধ হইতে] পালাননি। বরঞ্চ কয়েকজন তাড়াহুড়াকারী লোক পালিয়েছিল। হাওয়াযিন বংশের জনগণ তীরবৃষ্টি বর্ষণ করিতে করিতে তাহাদের মুখোমুখি হয়। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর খচ্চরের পিঠে বসা অবস্থায় ছিলেন এবং এর লাগাম ধরে রেখেছিলেন আবু সুফিয়ান ইবনিল হারিস ইবনি আবদুল মুত্তালিব। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলছিলেনঃ “নিঃসন্দেহে আমি [আল্লাহ্‌র] নাবী, এর মধ্যে বিন্দুমাত্র মিথ্যা নেই, আমি আবদুল মুত্তালিবের বংশধর”।

সহীহ্‌, মুখতাসার শামাইল [২০৯], নাসা-ঈ, আবু ঈসা বলেন, আলী ও ইবনি উমার [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৬৮৯. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা হুনাইনের যুদ্ধের দিন দুইটি দলকে পলায়নপর দেখিতে পেলাম। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে একশত জন লোকও ছিল না।

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র উবাইদুল্লাহ্‌র রিওয়ায়াত হিসাবে উপরোক্ত সূত্রে জেনেছি। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৬. অনুচ্ছেদঃ তলোয়ার ও তার অলংকরণ বিষয়ে

১৬৯০. মাযীদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, মক্কা বিজয়ের দিন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মক্কায় যাওয়ার সময় তাহাঁর তরবারি ছিল সোনা-রূপা খচিত। [অধঃস্তন রাবী] তালিব বলেন, আমি তাকে [হূদকে] রূপা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তরবারির হাতলটি ছিল রৌপ্য খচিত।

যঈফ, মুখতাসার শামায়িল মুহাম্মাদীয়া [৮৭] ইরওয়া [৩/৩০৬] আবু ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আনাস [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। হূদ-এর নানার নাম ছিল মাযীদা আল-আসরী। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

১৬৯১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর তলোয়ারের হাতল ছিল রৌপ্যখচিত।

সহীহ্‌, সহীহ্‌ আবু দাঊদ [২৩২৬-২৩২৮], ইরওয়া [৮২২], মুখতাসার শামাইল [৮৫, ৮৬] এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। হাম্মামও কাতাদার সূত্রে, তিনি আনাসের সূত্রে একইরকম বর্ণনা করিয়াছেন। কয়েকজন বর্ণনাকারী কাতাদা হইতে, তিনি সাঈদ ইবনি আবীল হাসান হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর তলোয়ারের বাট ছিল রৌপ্যখচিত [এই সূত্রে এটি মুরসাল হাদীস]। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৭. অনুচ্ছেদঃ লৌহ বর্মের বর্ণনা

১৬৯২. যুবাইর ইবনিল আওয়াম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পরিধানে দুটি লৌহ বর্ম ছিল। তিনি তা পরিহিত অবস্থায় [আহত হওয়ার পর] একটি পাথরের উপর উঠার চেষ্টা করেন, কিন্তু উঠতে পারেননি। তিনি তালহা [রাদি.]-কে নিচে বসিয়ে তার কাঁধে চড়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পাথরের উপর উঠে উপবিষ্ট হন। যুবাইর [রাদি.] বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ তালহা [তার জন্য জান্নাত] নির্ধারিত করে নিল।

হাসান, মিশকাত [৬১১২], মুখতাসার শামাইল [৮৯], সহীহ্‌ আবু দাঊদ [২৩৩২] আবু ঈসা বলেন, সাফওয়ান ইবনি উমাইয়্যা ও সাইব ইবনি ইয়াযীদ [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এটি শুধুমাত্র মুহাম্মাদ ইবনি ইসহাকের হাদীস হিসাবে জেনেছি। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

১৮. অনুচ্ছেদঃ শিরস্ত্রাণের বর্ণনা

১৬৯৩. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কা বিজয়ের দিন লোহার শিরস্ত্রাণ পড়ে মক্কায় প্রবেশ করেন। তাঁকে বলা হল, কাবার পর্দার সাথে ইবনি খাতাল জড়িয়ে আছে। তিনি বললেনঃ তাকে মেরে ফেল।

সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [২৮০৫], নাসা-ঈ. এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন। এই হাদীসটি যুহরী [রঃ] হইতে মালিক [রঃ] ব্যতীত অন্য কোন প্রবীণ বর্ণনাকারী বর্ণনা করিয়াছেন কি না তা আমরা জানি না। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৯. অনুচ্ছেদঃ ঘোড়ার মর্যাদা

১৬৯৪. উরওয়া আল-বারিকী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কিয়ামাত পর্যন্ত ঘোড়ার কপালে কল্যাণ বাঁধা রয়েছেঃ পুরস্কার ও গানীমাত।

সহীহ্‌, নাসা-ঈ, ইবনি উমার, আবু সাঈদ, জারীর, আবু হুরাইরা, আসমা বিনতু ইয়াযীদ, মুগীরা ইবনি শুবা ও জাবির [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। উরওয়া হলেন আবুল জাদ আল-বারিকীর পুত্র, তাকে উরওয়া ইবনিল-জাদও বলা হয়। ঈমাম আহমাদ বলেন, এ হাদীসে যে গভীর তাৎপর্য নিহিত আছে তা হল, কিয়ামাত পর্যন্ত প্রত্যেক ইমামের নেতৃত্বে জিহাদ অব্যাহত থাকিবে। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২০. অনুচ্ছেদঃ কোন প্রকার ঘোড়া উত্তম

১৬৯৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ লাল রং-এর ঘোড়ায় কল্যাণ রয়েছে।

হাসান সহীহ্‌, মিশকাত [৩৮৭৯], তালীকুর রাগীব [২/১৬২], সহীহ্‌ আবু দাঊদ [২২৯৩] এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। আমরা এটি শুধু এই সূত্রে শাইবানের হাদীস হিসাবে জেনেছি। সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান সহীহ

১৬৯৬. আবু কাতাদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কালো রং-এর ঘোড়া সবচাইতে উত্তম, যার কপাল ও উপরের ওষ্ঠ সাদা। তারপর যে ঘোড়ার ডান পা ও কপাল ব্যতীত বাকী পাগুলো সাদা রং-এর। কালো বর্ণের ঘোড়া পাওয়া না গেলে লাল-কালো মিশ্রিত বর্ণের অনুরূপ ঘোড়া উত্তম।

সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [২৭৮৯]

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৬৯৭

উপরোক্ত হাদীসের মতো মুহাম্মাদ ইবনি বাশশার-ওয়াহ্ব ইবনি জারীর হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত হাদীসের মতো মুহাম্মাদ ইবনি বাশশার-ওয়াহ্ব ইবনি জারীর হইতে, তিনি তার পিতা হইতে, তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবনি আইয়্যূব হইতে, তিনি ইয়াযীদ ইবনি আবী হাবীব হইতে এই সূত্রেও অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত আছে।

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব সহিহ বলেছেন।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

২১. অনুচ্ছেদঃ কোন ধরনের ঘোড়া অপছন্দনীয়

১৬৯৮

আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] শিকাল ঘোড়া অর্থাৎ তিন পা সাদা ও এক পা শরীরের রং বিশিষ্ট ঘোড়া অপছন্দ করিয়াছেন।

সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [৭২৯০], মুসলিম

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ। এই হাদীস শুবা-আবদুল্লাহ ইবনি ইয়াযীদ আল-খাসআমী হইতে, তিনি আবু যুরআ হইতে, তিনি আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে, তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে এইসূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। আবু যুরআর নাম হারিম, পিতা আমর ইবনি জারীর। মুহাম্মাদ ইবনি হুমাইদ আর-রাযী-জারীর হইতে তিনি উমারা ইবনিল কাকা হইতে বর্ণনা করেন তিনি বলেনঃ ইবরাহীম নাখাঈ [রঃ] আমাকে বলেছেনঃ আপনি আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করলে আবু যুরআর সূত্রে তা বর্ণনা করবেন। কারণ তিনি এক সময় আমার নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করেন। বেশ কয়েক বছর পর আমি আবার তাকে সেই হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি অক্ষরে অক্ষরে তা হুবহু বর্ণনা করেন, তাতে একটুও ত্রুটি করেননি। যঈফ, সনদ বিচ্ছিন্ন।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২. অনুচ্ছেদঃ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

১৬৯৯

ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

হাফ্ইয়া হইতে সানিয়্যাতুল বিদা পর্যন্ত জায়গাতে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত হালকা শরীরবিশিষ্ট ঘোড়াসমূহের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করিয়াছেন। এই দুটি জায়গার মাঝের দূরত্ব ছয় মাইল। তিনি সানিয়্যাতুল বিদা হইতে যুরাইক বংশের মাসজিদ পর্যন্ত ভারী দেহবিশিষ্ট অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়াসমূহের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করিয়াছেন। এ দুটি জায়গার মাঝের দূরত্ব এক মাইল। আমিও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় যোগ দেই। আমার ঘোড়াটি আমাকে-সহ লাফ দিয়ে একটি দেয়াল টপকে যায়।

সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [২৮৭৭], নাসা-ঈ। বুখারীতে দেয়াল টপকানোর কথা উল্লেখ নেই।

আবু হুরাইরা, জাবির, আইশা ও আনাস [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহিহ সাওরীর সূত্রে গারীব বলেছেন।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৭০০

আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তীর নিক্ষেপ এবং উট ও ঘোড়দৌড় ব্যতীত অন্য কিছুতে প্রতিযোগিতা নেই।

সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [২৮৭৮]

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান বলেছেন।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩. অনুচ্ছেদঃ গাধা দিয়ে ঘুড়ীর পাল দেওয়া [সঙ্গম করানো] নিষেধ

১৭০১

ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ছিলেন একজন আদেশপ্রাপ্ত বান্দা। তিনটি বিষয় ছাড়া তিনি আমাদেরকে কোন বিশেষ নির্দেশ দেননি। তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা যেন উত্তমরূপে ওযূ করি, সাদকার জিনিস না খাই এবং গাধা দিয়ে ঘুড়ীর পাল না দেই।

আবু ঈসা বলেন, আলী [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। এ হাদীসটি আবু জাহ্যাম হইতে সুফিয়ান সাওরীও বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস হইতে আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর সূত্রের উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু ঈমাম বুখারীর মতে তার বর্ণনাটি সুরক্ষিত নয়। কেননা এ বর্ণনাটির ব্যাপারে সাওরী ভুলের শিকার হয়েছেন। এ হাদীসটি ইসমাঈল ইবনি উলাইয়্যা ও আবদুল ওয়ারিস ইবনি সাইদ-আবু জাহ্যাম হইতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনি উবাইদুল্লাহ ইবনি আব্বাস হইতে, তিনি ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন এবং বর্ণনাটিই সহিহ।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৪. অনুচ্ছেদঃ দুঃস্থ মুসলমানদের ওয়াসিলা দিয়ে বিজয়ের প্রার্থনা করা

১৭০২

আবুদ দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আমাকে খোঁজ কর তোমাদের মধ্যে যারা নিঃস্ব-দুর্বল তাহাদের মাঝে। কেননা তোমরা রিযিক এবং সাহায্য-সহযোগীতাপ্রাপ্ত হয়ে থাক অসহায়-দুর্বল লোকদের ওয়াসিলায়।

সহীহ্‌, সহীহা [৭৭৯], সহিহ আবু দাঊদ [২৩৩৫], তালীকুর রাগীব [১/২৪]

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহিহ বলেছেন।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৫. অনুচ্ছেদঃ ঘোড়ার গলায় ঘন্টা বাঁধা নিষেধ

১৭০৩

আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে কাফেলার সাথে কুকুর অথবা ঘন্টা থাকে ফেরেশতাগণ তাহাদের সঙ্গী হয় না।

সহীহ্‌, সহীহা [৪/৪৯৪], সহিহ আবু দাঊদ [২৩০৩], মুসলিম

আবু ঈসা বলেন, উমার, আইশা, উম্মু হাবীবা ও উম্মু সালামা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৬. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর কোন দায়িত্বে নিযুক্ত করা

১৭০৪

বারাআ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুইটি বাহিনী [যুদ্ধে] পাঠান। তিনি আলী ইবনি আবু তালিব [রাদি.]-কে এক দলের এবং খালিদ ইবনিল ওয়ালীদ [রাদি.]-কে অন্য দলের অধিনায়ক নিয়োগ করেন। তিনি বলেনঃ যুদ্ধ চলার সময় আলী পুরো বাহিনীর সেনাপতির দায়িত্ব পালন করিবে। রাবী বলেন, আলী [রাদি.] একটি দুর্গ দখল করেন এবং বন্দীদের মধ্য হইতে একটি বাঁদী নিজের জন্য নিয়ে নেন। খালিদ [রাদি.] এই বিষয়ে তার সমালোচনা করে একটি চিঠি লিখে তা দিয়ে আমাকে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর নিকটে পাঠান। আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর নিকটে [চিঠি নিয়ে] উপস্হিত হলাম। তিনি তা পড়লেন এবং তাহাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা ও তাহাঁর রাসূলকে ভালোবাসে এবং যাকে আল্লাহ তাআলা ভালোবাসেন তার প্রসঙ্গে তুমি কি ভাব! আমি বললাম, আমি আল্লাহ তাআলা ও তাহাঁর রাসূলের অসন্তুষ্টি হইতে আল্লাহ্ তাআলার আশ্রয় চাই। আমি তো পত্রবাহক মাত্র। এ কথায় তিনি নীরব হলেন।

আবু ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে ইবনি উমার [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। আহওয়াস ইবনি জাওয়াবের সূত্রেই শুধুমাত্র আমরা এ হাদীস জেনেছি। হাদীসের শব্দ “ইয়াশী বিহি” অর্থঃ তার সমালোচনাযুক্ত।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২৭. অনুচ্ছেদঃ ঈমাম [নেতা] প্রসঙ্গে

১৭০৫

ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সাবধান! তোমরা সকলেই রাখাল [দায়িত্বশীল] এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার রাখালী [দায়িত্ব পালন] প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে। যিনি জনগণের নেতা তাকে তার রাখালী [দায়িত্ব] বিষয়ে প্রশ্ন করা হইবে। ব্যক্তি তার পরিবারের লোকদের রাখাল [অভিভাবক]। তাহাদের ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হইবে। স্ত্রী তার স্বামীর সংসারের রাখাল [ব্যবস্থাপিকা] তাকে এর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হইবে। গোলাম তার মনিবের সম্পদের রাখাল [পাহারাদার]। তাকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হইবে। অতএব, সাবধান! তোমরা সকলেই রাখাল এবং তোমাদের সকলকেই নিজ নিজ রাখালী বিষয়ে প্রশ্ন করা হইবে।

সহীহ্‌, সহীহ আবু দাঊদ [২৬০০], নাসা-ঈ

আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা, আনাস ও আবু মূসা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু মূসার হাদীস সুরক্ষিত নয়। একইভাবে আনাসের হাদীসও অরক্ষিত। ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহিহ। এ হাদীসটি ইবরাহীম ইবনি বাশশার আর-রামাদী-সুফিয়ান ইবনি উয়াইনা হইতে, তিনি ইয়াযীদ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি আবী বুরদা হইতে, তিনি আবু বুরদা হইতে, তিনি আবু মূসা [রাদি.] হইতে, তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। আমাকে মুহাম্মাদ ইবনি বাশশার এ বিষয়টি জানিয়েছেন। উক্ত হাদীস একাধিক ব্যক্তি সুফিয়ান হইতে, তিনি বুরাইদ হইতে, তিনি আবু বুরদা হইতে, তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সূত্রে মুরসালভাবে বর্ণনা করিয়াছেন এবং এটাই সঠিক। মুহাম্মাদ বলেন, ইসহাক ইবনি ইবরাহীম-মুআয ইবনি হিশাম হইতে, তিনি তার পিতা হইতে, তিনি কাতাদা হইতে, তিনি আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ “আল্লাহ প্রত্যেক ব্যক্তিকে যে বিষয়ের দায়িত্বশীল বানিয়েছেন সে সম্পর্কে তিনি তাহাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন”।

ঈমাম বুখারী এটাকে অরক্ষিত হাদীস বলেছেন। মুআয ইবনি হিশাম-তার পিতা হিশাম হইতে, তিনি কাতাদা হইতে, তিনি হাসান বাসরী [রঃ] হইতে, তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সূত্রে এটা মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন এবং এটাই সঠিক।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৮. অনুচ্ছেদঃ নেতার আনুগত্য করা

১৭০৬

উম্মুল হুসাইন আল-আহ্‌সামিয়া [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি বিদায় হাজ্জের সময় রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে খুতবা দিতে শুনিয়াছি। তখন তাহাঁর গায়ে একটি চাদর ছিল। তিনি তাহাঁর বগলের নিচে এটা পেচিয়ে রেখেছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাহাঁর বাহুর গোশতপিন্ডের দিকে আমি তাকিয়ে দেখলাম তা দোল খাচ্ছে। আমি তাঁকে বলিতে শুনলামঃ উপস্থিত জনমন্ডলী! আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় কর। যদি তোমাদের নেতা হিসাবে কোন নাক-কান কাটা হাবশী ক্রীতদাসকেও নিযুক্ত করা হয়, তবে সে তোমাদের জন্য যে পর্যন্ত আল্লাহ্ তাআলার কিতাবের ফায়সালা প্রতিষ্ঠিত রাখবে সে পর্যন্ত তার কথা শোন এবং তার আনুগত্য কর।

সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [২৮৬১]

আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা ও ইরবায ইবনি সারিয়া [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। এ হাদীসটি উম্মু হুসাইন [রাদি.] হইতে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৯. অনুচ্ছেদঃ স্রষ্টার নাফারমানী করে সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না

১৭০৭

ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সকল মুসলমানেরই নেতার কথা শোনা ও আনুগত্য করা অবশ্য কর্তব্য, তা হোক তার পছন্দের বা অপছন্দের, তাকে যে পর্যন্ত গুনাহের কাজের নির্দেশ না দেওয়া হইবে। যদি তাকে গুনাহের কাজের নির্দেশ দেওয়া হয় তাহলে তা না শুনা এবং না মানাই তার কর্তব্য।

সহীহ্‌, নাসা-ঈ

আবু ঈসা বলেন, আলী, ইমরান ইবনি হুসাইন ও হাকাম ইবনি আমর আল-গিফারী [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩০. অনুচ্ছেদঃ পশুর লড়াই অনুষ্ঠান এবং কোন প্রানীর মুখে দাগ দেওয়া বা আঘাত করা নিষেধ

১৭০৮

ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পশুর লড়াই বাধাতে মানা করিয়াছেন।

যঈফ, গায়াতুল মারাম [৩৮৩], যঈফ আবু দাঊদ [৪৪৩]

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

১৭০৯

মুজাহিদ [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পশুর লড়াই অনুষ্ঠান করিতে মানা করিয়াছেন।

যঈফ, গায়াতুল মারাম [৩৮]।

এ বর্ণনায় ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর উল্লেখ নেই। অর্থাৎ এই সূত্রে হাদীসটি মুরসাল হিসেবে বর্ণিত হয়েছে এবং এটা কুতবার বর্ণনার তুলনায় অনেক বেশি সহীহ। শরীক-আমাশ হইতে তিনি মুজাহিদ হইতে তিনি ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সূত্রে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। তাতে আবু ইয়াহইয়ার উল্লেখ নেই। আবু মুয়াবিয়া-আমাশ হইতে তিনি মুজাহিদের সূত্রে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ইয়াহইয়ার নাম যাযান, তিনি কুফার অধিবাসী। এ অনুচ্ছেদে তালহা, জাবির, আবু সাঈদ ও ইকরাশ ইবনি যুয়াইব [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

১৭১০

জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

মুখমন্ডলে দাগ দিতে নাবী [সাঃআঃ] বারণ করিয়াছেন।

সহিহ, ইরওয়া [২১৮৫], সহিহ আবু দাঊদ [২৩১০], মুসলিম

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহিহ বলেছেন।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩১. অনুচ্ছেদঃ বালেগের বয়সসীমা এবং বাইতুল মাল হইতে ভাতা নির্ধারণের সময়

১৭১১

ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমাকে কোন এক সেনাবাহিনীতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে হাযির করা হয়। তখন আমার বয়স চৌদ্দ বছর ছিল। তিনি আমাকে গ্রহণ করেননি। আমাকে আবার পরের বছর সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্যে তাহাঁর সামনে হাযির করা হয়। তখন আমার বয়স পনের বছর ছিল। এবার তিনি আমাকে গ্রহণ করিলেন। নাফি [রঃ] বলেন, আমি এ হাদীসটি উমার ইবনি আবদুল আযীয [রঃ] এর সামনে বর্ণনা করলে তিনি বলেন, এটাই বালেগ ও নাবালেগের মধ্যে পার্থক্যকারী বয়সসীমা। তারপর যারা পনের বছর বয়সে পদার্পণ করেছে তিনি তাহাদের জন্য বাইতুল মাল হইতে ভাতা নির্ধারণের নির্দেশ জারী করেন।

সহিহ, ইবনি মা-জাহ [২৫৪৩], নাসা-ঈ

ইবনি আবী উমার-সুফিয়ান ইবনি উয়াইনা হইতে, তিনি উবাইদুল্লাহ [রঃ]-এর সূত্রে একইরকম বর্ণনা করিয়াছেন। এতে নাফি [রঃ] বলেন, উমার ইবনি আবদুল আযীয [রঃ] বললেনঃ এ হলো বালেগ ও নাবালেগের যুদ্ধে অংশগ্রহণের বয়সসীমা। এই সূত্রে ভাতা নির্ধারণের উল্লেখ নেই।

সহিহ দেখুন পূর্বের হাদীস

আবু ঈসা বলেন, ইসহাক ইবনি ইউসুফের সূত্রে বর্ণিত হাদীস হাসান সহিহ এবং সুফিয়ান সাওরীর বর্ণনা হিসাবে গারীব।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩২. অনুচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত অবস্থায় কেউ শহীদ হলে

১৭১২

আবদুল্লাহ ইবনি আবু কাতাদা [রাহঃ] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি তার পিতা [কাতাদা [রাদি.]]-কে বর্ণনা করিতে শুনেছেন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন এক সময় তাহাদের মাঝে দাঁড়ালেন। তিনি তাহাদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলার পথে জিহাদ এবং আল্লাহ্‌ তাআলার উপর ঈমান হল সবচেয়ে উত্তম কাজ। একজন লোক দাঁড়িয়ে বলিল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আপনি কি মনে করেন, আমি আল্লাহ্‌ তাআলার পথে নিহত হলে তাতে আমার গুনাহসমূহ কি মাফ হয়ে যাবে? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, হ্যাঁ। আল্লাহ্‌ তাআলার পথে তুমি যদি এরূপভাবে নিহত হও যে, তুমি ধৈর্য ধারণকারী, সাওয়াবের আশাবাদী, অগ্রগামী হও এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শনকারী না হও। তারপর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি কিভাবে প্রশ্ন করেছিলে [তা আবার বল]? লোকটি বলিল, আপনি কি মনে করেন, আল্লাহ্‌ তাআলার পথে আমি নিহত হলে কি তাতে আমার গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যাবে? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হ্যাঁ, তোমার গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যাবে, যদি তুমি ধৈর্যশীল হও, সাওয়াবের আকাঙ্ক্ষী ও সৎ উদ্দেশ্য পোষণকারী হও, অগ্রগামী হও এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শনকারী না হও। কিন্তু ঋণের ক্ষমা হইবে না, কেননা আমাকে জিবরীল এ কথা বলেছেন।

সহিহ, ইরওয়া [১১৯৭], মুসলিম

আবু ঈসা বলেন, আনাস, মুহাম্মাদ ইবনি জাহ্‌শ ও আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। কয়েকজন বর্ণনাকারী সাঈদ আল-মাকবুরী হইতে, তিনি আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে, তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে অনুরূপভাবে উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনি সাঈদ আল-আনসারী প্রমুখ-সাঈদ আল-মাকবুরী হইতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনি আবী কাতাদা হইতে, তিনি তাহাঁর পিতা আবু কাতাদা হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। এই বর্ণনাটি আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে সাঈদ আল-মাকবুরীর বর্ণনার তুলনায় অনেক বেশি সহিহ।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৩. অনুচ্ছেদঃ শহীদদের দাফনকার্য প্রসঙ্গে

১৭১৩

হিশাম ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, উহুদের যুদ্ধে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট শহীদদের কথা বলা হলে তিনি বললেনঃ প্রশস্তভাবে কবর খনন কর, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ কর এবং একই কবরে দুই-দুইজন অথবা তিন-তিনজনকে দাফন কর। এদের মধ্যে যে কুরআনে বেশি পারদর্শী ছিল তাকে সম্মুখে [কিবলার দিকে] রাখ। বর্ণনাকারী বলেন, আমার পিতাও মারা যান। তাকে দুজনের সামনে রাখা হয়।

সহিহ, ইবনি মা-জাহ [১৫৬০]

আবু ঈসা বলেন, খাব্বাব, জাবির ও আনাস [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহিহ। এই হাদীসটি আইয়ুব হইতে, তিনি হুমাইদ ইবনি হিলাল হইতে, তিনি হিশাম ইবনি আমর [রঃ]-এর সূত্রে সুফিয়ান সাওরী প্রমুখ বর্ণনা করিয়াছেন। আবুদ দাহ্মার নাম কিরফা, পিতার নাম বুহাইস বা বাইহাস।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৪. অনুচ্ছেদঃ পরামর্শ করা

১৭১৪

আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বদর যুদ্ধকালে যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে আসা হলে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ এসব বন্দীর ব্যাপারে তোমাদের কি মত? এরপর রাবী দীর্ঘ ঘটনা বর্ণনা করেন।

যঈফ, ইরওয়া [৫/৪৭-৪৮]।

আবু ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে উমার, আবু আইউব, আনাস ও আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান। আবু উবাইদা তার পিতা হইতে হাদীস শুনার সুযোগ পাননি। আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ “রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] অপেক্ষা নিজ সঙ্গীদের সাথে অধিক পরামর্শকারী আমি আর কাউকে দেখিনি।”

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৩৫. অনুচ্ছেদঃ বন্দীর লাশের কোন বিনিময় নেই

১৭১৫

ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা মুশরিকরা তাহাদের এক মুশরিকের লাশ কিনতে চাইল। কিন্তু নাবী [সাঃআঃ] তাহাদের নিকটে লাশ বিক্রয় করিতে অস্বীকার করেন।

সনদ দুর্বল।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধু হাকামের রিওয়ায়াত হিসেবেই জেনেছি। হাজ্জাজ ইবনি আরতাতও এটিকে হাকামের সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। ঈমাম আহমাদ বলেছেন, ইবনি আবু লাইলার কোন হাদীস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। ঈমাম বুখারী বলেন ইবনি আবু লাইলা ব্যক্তিগতভাবে খুবই সৎ লোক। কিন্তু তার সহীহ হদীসগুলো দুর্বল হাদীসগুলেো হইতে আলাদা করা কঠিন। তাই আমি তার নিকট হইতে হাদীসই বর্ণনা করি না। ইবনি আবু লাইলা ব্যক্তিগতভাবে সত্যবাদী ও ফিকহবিদ, কিন্তু তিনি সনদের বর্ণনায় গোলমাল করেন। সুফিয়ান সাওরী বলেছেন, আমাদের ফিকহবিদ হলেন ইবনি আবু লাইলা ও আবদুল্লাহ ইবনি শুবরামা। বিচ্ছিন্ন সনদ সহীহ।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৩৬. অনুচ্ছেদঃ যুদ্ধক্ষেত্র হইতে পালানো

১৭১৬

ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের একটি বাহিনী অভিযানে পাঠান। [শত্রুর আক্রমণে] এক পর্যায়ে আমাদের কিছু লোক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আমরা মাদীনায় ফিরে এসে [লজ্জায়] আত্মগোপন করে থাকলাম আর [মনে মনে] বললাম, আমরা ধ্বংস হয়ে গেছি। তারপর আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকটে এসে তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা [যুদ্ধক্ষেত্র হইতে] পলায়নকারী। তিনি বললেনঃ বরং তোমরা [নিজেদের ইমামের কাছে] পুনঃপ্রত্যাবর্তনকারী এবং আমি তোমাদের দলের সাথেই আছি।

যঈফ, ইরওয়া [১২০৩]।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু ইয়াযীদ ইবনি আবু যিয়াদের সূত্রেই এ হাদীসটি জেনেছি। “ফাহাসান-নাসু হাইসাতান”-এর অর্থঃ “তারা যুদ্ধক্ষেত্র হইতে পালালো”। “বাল আনতুমুল আক্কারূন” অর্থ “যারা নেতার সাহায্যের জন্য তার নিকটে ফিরে আসে”, এটা যুদ্ধক্ষেত্র হইতে পালানো উদ্দেশ্য নয়।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৩৭. অনুচ্ছেদঃ শহীদ ব্যক্তিকে তার নিহত হওয়ার জায়গায় কবর দেওয়া

১৭১৭

জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার ফুফু উহুদের যুদ্ধে আমার বাবার মৃতদেহ নিজেদের কবরস্থানে দাফনের উদ্দেশ্যে আনেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ঘোষক ঘোষণা করিলেন, “শহীদদেরকে তাহাদের নিহত হওয়ার জায়গায় ফিরিয়ে আন”।

সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [২৫১৬]

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহিহ বলেছেন। নুবাইহ্ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৮. অনুচ্ছেদঃ সফর হইতে প্রত্যাবর্তনকারীদের অভ্যর্থনা জানানো

১৭১৮

সাইব ইবনি ইয়াযীদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তাবূকের যুদ্ধশেষে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফিরে আসলে জনগণ তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর উদ্দেশ্যে সানিয়্যাতুল বিদা পর্যন্ত এগিয়ে যায়। সাইব [রাদি.] বলেন, জনগণের সাথে আমিও এগিয়ে গেলাম। আমি তখন বালক ছিলাম।

সহিহ, বুখারী

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহিহ বলেছেন।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৯. অনুচ্ছেদঃ ফাই প্রসঙ্গে

১৭১৯

মালিক ইবনি আওস ইবনি হাদাসান [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.]-কে আমি বলিতে শুনেছিঃ ফাই হিসাবে আল্লাহ তাহাঁর রাসূলকে যেসব সম্পদ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে নাযীর গোত্র হইতে প্রাপ্ত সম্পদও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তা অর্জনের লক্ষ্যে মুসলমানরা না ঘোড়া দৌঁড়িয়েছে আর না উট হাঁকিয়েছে [বিনা যুদ্ধে অর্জিত]। বিশেষভাবে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর জন্য এই সম্পদ নির্দিষ্ট ছিল। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এই সম্পদ হইতে তাহাঁর পরিবার-পরিজনের সাংবাৎসরিক ভরণ-পোষণের যোগাড় করিতেন এবং বাকী সম্পদ আল্লাহ্ তাআলার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে ঘোড়া ও যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে খরচ করিতেন।

সহিহ, মুখতাসার শামাইল [৩৪১], সহিহ আবু দাঊদ [২৬২৪-২৬২৬], নাসা-ঈ

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহিহ বলেছেন। এই হাদীসটি সুফিয়ান ইবনি উয়াইনা মামারের সূত্রে, তিনি ইবনি শিহাবের সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন।

সুনানে তিরমিজি PDF – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

Comments

One response to “সুনানে তিরমিজি pdf – জিহাদ অধ্যায় এর হাদিস”

Leave a Reply