কাউকে কষ্ট, বিদ্বেষ, কুধারণা, খোঁটা দেওয়া ও হিংসা করা হারাম
কাউকে কষ্ট, বিদ্বেষ, কুধারণা, খোঁটা দেওয়া ও হিংসা করা হারাম
কাউকে হিংসা করা হারাম – রিয়াদুশ ছালেহিন হাদিস সংকলিত >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর কয়েকটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
কাউকে কষ্ট, বিদ্বেষ, কুধারণা, খোঁটা দেওয়া ও হিংসা করা হারাম
পরিচ্ছেদ – ২৬৮ঃ [অন্যায় ভাবে] কাউকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ২৬৯ঃ পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ, সম্পর্ক ছেদন এবং শক্রতা পোষণ করার নিষেধাজ্ঞা
পরিচ্ছেদ – ২৭০ঃ কারো হিংসা করা হারাম
পরিচ্ছেদ – ২৭১ঃ অপরের গোপনীয় দোষ সন্ধান করা, অপরের অপছন্দ সত্তেক্ষও তার কথা কান পেতে শোনা নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ২৭২ঃ অপ্রয়োজনে মুসলমানদের প্রতি কুধারণা করা নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ২৭৩ঃ মুসলমানদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করা হারাম
পরিচ্ছেদ – ২৭৪ঃ কোন মুসলিমের দুঃখ-কষ্ট দেখে আনন্দ প্রকাশ করা নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ২৭৫ঃ শরয়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত কারো বংশে খোঁটা দেওয়া হারাম
পরিচ্ছেদ – ২৬৮: (অন্যায় ভাবে) কাউকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ
১৫৭৩. আব্দুল্লাহ ইবনে আম্র ইবনে আস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘প্রকৃত মুসলিম সেই, যার মুখ ও হাত হইতে মুসলিমগণ নিরাপদে থাকে। আর প্রকৃত মুহাজির (দ্বীন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে স্বদেশ ত্যাগকারী) সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ কর্মসমূহ ত্যাগ করে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১০, ৬৪৮৪, মুসলিম ৪০, নাসাঈ ৪৯৯৬, আবু দাঊদ ২৪৮১, আহমাদ ৬৪৫১, ৬৪৭৮, ৬৭১৪, ৬৭৫৩, ৬৭৬৭, ৬৭৭৪, ৬৭৯৬, ৬৮৭৩, দারেমী ২৭১৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৭৪. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘যে পছন্দ করে যে, তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হোক এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হোক, তার মরণ যেন এমন অবস্থায় হয় যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান রাখে এবং অন্যের প্রতি এমন ব্যবহার দেখায়, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।’’ (মুসলিম, এটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশবিশেষ, যা ৬৭৩ নম্বরে গত হয়েছে।)
(মুসলিম ১৮৪৪, নাসাঈ ৪১৯১, আবু দাঊদ ৪২৪৮, ইবনু মাজাহ ৩৯৫৬, আহমাদ ৬৪৬৫, ৬৭৫৪, ৬৭৭৬ ) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ২৬৯: পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ, সম্পর্ক ছেদন এবং শক্রতা পোষণ করার নিষেধাজ্ঞা
১৫৭৫. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমরা পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করো না, একে অপরের প্রতি হিংসাপরায়ণ হয়ো না, পরস্পরের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হয়ো না, পরস্পরের সাথে সম্পর্ক ছেদন করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও। আর কোন মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তার (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে তিনদিনের বেশি কথাবার্তা বলা ত্যাগ করে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬০৫৬, ৬০৭৬, মুসলিম ২৫৫৯, তিরমিজী ১৯৩৫, আবু দাঊদ ৪৯১০, আহমাদ ১১৬৬৩, ১২২৮০, ১২৬৪০, ১২৭৬৭, ১২৯৪১, মুওয়াত্তা মালিক ১৬৮৩) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৭৬. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘সোম ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দ্বারসমূহ খুলে দেওয়া হয়। (ঐ দিনে) প্রত্যেক সেই বান্দাকে ক্ষমা ক‘রে দেওয়া হয়, যে আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার স্থাপন করেনি। কিন্তু সেই ব্যক্তিকে নয়, যার সাথে তার মুসলিম ভাইয়ের শত্রুতা থাকে। (তাদের সম্পর্কে) বলা হয়, এদের দু’জনকে সন্ধি হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও, এদের দু’জনকে সন্ধি হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও।’’
(মুসলিম ২৫৬৫, তিরমিজী ৭৪৭, ২০২৩, আবু দাঊদ ৪৯১৬, ইবনু মাজাহ ১৭৪০, আহমাদ ৭৫৮৩, ৮১৬১, ৮৯৪৬, ৯৯০২, মুওয়াত্তা মালিক ১৬৮৬, ১৬৮৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ২৭০: কাউকে হিংসা করা হারাম
১৫৭৭. আবু হুরাইরাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: তোমরা হিংসা থেকে দূরে থাক। কেননা হিংসা মানুষের উত্তম কাজগুলো এভাবে ধ্বংস করে দেয়, যেভাবে আগুন শুকনো কাঠ বা ঘাস ছাই করে ফেলে।
(আবু দাঊদ) (আমি (আলবানী) বলছিঃ এর সনদে নাম না নেয়া বর্ণনাকারী রয়েছেন। দেখুন ‘‘য‘ঈফা’’ (১৯০২) । তিনি হচ্ছেন বর্ণনাকারী ইবরাহীম ইবনু আবী উসায়েদের দাদা। এ দাদা মাজহূল (অপরিচিত) বর্ণনাকারী। আর ইমাম বুখারী বলেন: হাদীসটি সহীহ্ নয়।) হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস
পরিচ্ছেদ – ২৭১:অপরের গোপনীয় দোষ সন্ধান করা, অপরের অপছন্দ সত্ত্বেও তার কথা কান পেতে শোনা নিষেধ
১৫৭৮. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘তোমরা কু-ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাক। কারণ কু-ধারণা সব চাইতে বড় মিথ্যা কথা। অপরের গোপনীয় দোষ খুঁজে বেড়ায়ো না, অপরের জাসূসী করো না, একে অপরের সাথে (অসৎ কাজে) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করো না, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হইয়ো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও; যেমন তিনি তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে তার প্রতি যুলূম করিবে না, তাকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দেবে না এবং তাকে তুচ্ছ ভাববে না। আল্লাহ-ভীতি এখানে রয়েছে। আল্লাহ-ভীতি এখানে রয়েছে। (এই সাথে তিনি নিজ বুকের দিকে ইঙ্গিত করলেন।) কোন মুসলমান ভাইকে তুচ্ছ ভাবা একটি মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত, সম্ভ্রম ও সম্পদ অপর মুসলমানের উপর হারাম। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের দেহ ও আকার-আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তোমরা পরস্পর হিংসা করো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করো না, অপরের জাসূসী করো না, অপরের গোপনীয় দোষ খুঁজে বেড়ায়ো না, পরস্পরের পণ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়ো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।’’
আর এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তোমরা পরস্পর সম্পর্ক-ছেদ করো না, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হয়ো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর হিংসা করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।’’
অন্য আরও এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তোমরা একে অন্যের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো না এবং অপরের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় করো না।’’ (এ সবগুলি মুসলিম বর্ণনা করিয়াছেন এবং এর অধিকাংশ বর্ণনা করিয়াছেন বুখারী)
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫১৪৪, ৬০৬৪, ৬০৬৬, ৬৭২৪, মুসলিম ১৪১৩, ২৫৬৩, তিরমিজী ১৯৮৮, ইবনু মাজাহ ৩২৩৯-৩২৪২, আবু দাঊদ ৩২৮০, ইবনু মাজাহ ১৮৬৭, ২১৭৪, আহমাদ ৭২৯২, ৭৬৪৩, ৭৬৭০, ৭৭৯৮, ৭৮১৫, ৮২৯৯, ৮৫০৫, ৮৮৬৫, ৮৮৭৬, মুওয়াত্তা মালিক ১১১১, ১৬৮৪, দারেমী ২১৭৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৭৯. মুআবিয়াহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘‘যদি তুমি মুসলমানদের গুপ্ত দোষগুলি খুঁজে বেড়াও, তাহলে তুমি তাদের মাঝে ফ্যাসাদ সৃষ্টি ক‘রে দেবে অথবা তাদের মধ্যে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করার উপক্রম হবে।’’
(আবু দাঊদ ৪৮৮৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৮০. ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট একটি লোককে নিয়ে আসা হল এবং তার সম্পর্কে বলা হল যে, ‘এ লোকটি অমুক, এর দাড়ি থেকে মদ ঝরছে।’ ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ বললেন, ‘আমাদেরকে জাসূসী করতে (গুপ্ত দোষ খুঁজে বেড়াতে) নিষেধ করা হয়েছে। তবে যদি কোন (প্রমাণ) আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আমরা তা দিয়ে তাকে পাকড়াও করব।’
(আবু দাঊদ ৪৮৯০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ২৭২: অপ্রয়োজনে মুসলমানদের প্রতি কু-ধারণা করা নিষেধ
১৫৮১. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘তোমরা কু-ধারণা থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখ। কারণ কু-ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫১৪৪, ৬০৬৪, ৬০৬৬, ৬৭২৪, মুসলিম ১৪১৩, ২৫৬৩, তিরমিজী ১৯৮৮, ইবনু মাজাহ ৩২৩৯-৩২৪২, আবু দাঊদ ৩২৮০, ইবনু মাজাহ ১৮৬৭, ২১৭৪, আহমাদ ৭২৯২, ৭৬৪৩, ৭৬৭০, ৭৭৯৮, ৭৮১৫, ৮২৯৯, ৮৫০৫, ৮৮৬৫, ৮৮৭৬, মুওয়াত্তা মালিক ১১১১, ১৬৮৪, দারেমী ২১৭৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ২৭৩: মুসলমানদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করা হারাম
১৫৮২. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছভাবে।’’ (মুসলিম, হাদীসটি ইতোপূর্বে দীর্ঘ আকারে অতিবাহিত হয়েছে।)
(মুসলিম ৯১, তিরমিজী ১৯৯৮, ১৯৯৯, আবু দাঊদ ৪০৯১, ইবনু মাজাহ ৫৯, ৪১৭৩, আহমাদ ৩৭৭৯, ৩৯০৩, ৩৯৩৭, ৪২৯৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৮৩. ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘যার অন্তরে অণু পরিমাণও অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে না।’’ (এ কথা শুনে) এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ‘মানুষ তো পছন্দ করে যে, তার কাপড়-চোপড় সুন্দর হোক, তার জুতা সুন্দর হোক, (তাহলে সেটাও কি অহংকারের মধ্যে গণ্য হবে?)’ তিনি বললেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য ভালবাসেন। অহংকার হচ্ছে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা ও মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা।’’
(মুসলিম, হাদীসটি ‘অহংকার’ পরিচ্ছেদে ৬১৭ নম্বরে উল্লিখিত হয়েছে।) (মুসলিম ৯১, তিরমিজী ১৯৯৮, ১৯৯৯, আবু দাঊদ ৪০৯১, ইবনু মাজাহ ৫৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৮৪. জুন্দুব ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘একজন বলল, ‘আল্লাহর কসম! আল্লাহ অমুককে ক্ষমা করিবেন না।’ আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ বললেন, ‘কে সে আমার উপর কসম খায় এ মর্মে যে, আমি অমুককে ক্ষমা করব না। আমি তাকেই ক্ষমা করলাম এবং তোর (শপথকারীর) কৃতকর্ম নষ্ট করে দিলাম!’’
(মুসলিম ২৬২১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ২৭৪: কোন মুসলিমের দুঃখ-কষ্ট দেখে আনন্দ প্রকাশ করা নিষেধ
১৫৮৫. ওয়াসিলাহ্ ইবনুল আসক্বা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: তোমার ভাইয়ের বিপদে আনন্দিত হয়ো না। কেননা এতে আল্লাহ তার প্রতি করুণা করিবেন এবং ঐ তোমাকে বিপদে নিমজ্জিত করিবেন। (তিরমিজী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন) (আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটিকে হাসান আখ্যা দেয়ার ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। কারণ এটি মাকহূলের আন্ আন্ করে বর্ণনাকৃত।)
ইমাম বুখারী বলেনঃ মাকহূল সহাবী ওয়াসিলাহ রাঃআঃ হইতে শ্রবণ করেননি।আবু হাতিম রাযীও ইমাম বুখারীর সিধান্তের সাথে একমত পোষণ করিয়াছেন।বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন “য’ইফাহ”(৫৪২৬)।
এ বিষয়ে পূর্বোক্ত ‘অপরের গোপনীয় দোষ সন্ধান’ নামক পরিচ্ছেদে আবু হুরাইরা কর্তৃক বর্ণিত (১৫৭৮নং) হাদীস বিদ্যমান। যাতে আছে, ‘‘প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, সম্ভ্রম ও সম্পদ অপর মুসলিমের উপর হারাম।’’ —আল হাদীস।
হাদীসটির মানঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদ – ২৭৫: শরয়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত কারো বংশে খোঁটা দেওয়া হারাম
১৫৮৬. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘লোকের মধ্যে দু’টি এমন দোষ রয়েছে, যা আসলে কাফেরদের (আচরণ): বংশে খোঁটা দেওয়া এবং মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করা।’’
(মুসলিম ৬৭, তিরমিজী ১০০১, আহমাদ ৭৮৯৪৮, ৮৬৮৮, ৯১০১, ৯২৯১, ৯৩৯৭, ৯৫৬২, ১০০৫৭, ১০৪২৮, ১০৪৯০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply