হাঁচির উত্তর দেয়া ও হাই তোলা মাকরূহ হওয়ার বর্ণনা

হাঁচির উত্তর দেয়া ও হাই তোলা মাকরূহ হওয়ার বর্ণনা

হাঁচির উত্তর দেয়া ও হাই তোলা মাকরূহ হওয়ার বর্ণনা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৯. অধ্যায়ঃ হাঁচির উত্তর দেয়া ও হাই তোলা মাকরূহ হওয়ার বর্ণনা

৭৩৭৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, দু ব্যক্তি নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে হাঁচি দেয়ার পর তিনি একজনের হাঁচির উত্তর দিলেন। কিন্তু অপরজনের হাঁচির উত্তর দিলেন না। এ দেখে নবী [সাঃআঃ] যার হাঁচির উত্তর দেননি সে বলিল, অমুক হাঁচি দিয়েছে আর আপনি তার উত্তর দিয়েছেন, তবে আমি হাঁচি দিয়েছি কিন্তু আপনি আমার হাঁচির কোন উত্তর দেননি। এ কথা শুনে নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ সে তো আল্লাহর প্রশংসা করেছে; কিন্তু তুমি আল্লাহর কোন প্রশংসা করনি

। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭২১৬, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৬৮]

৭৩৭৭. আনাস [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭২১৭, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৬৯]

৭৩৭৮. আবু বুরদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমি আবু মূসা [রাদি.]-এর কাছে গেলাম। তখন তিনি ফায্ল ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর মেয়ের ঘরে ছিলেন। তখন আমি হাঁচি দিলাম; কিন্তু আবু মূসা [রাদি.] তার কোন প্রত্যূত্তর দিলেন না। তারপর ফায্ল-এর মেয়ে হাঁচি দিল, তিনি এর উত্তর দিলেন। আমি আমার মায়ের কাছে ফিরে এসে তাকে এ ব্যাপারে জানালাম। তরপর কোন এক সময় আবু মূসা [রাদি.] আমার মায়ের কাছে আসলে তিনি তাকে বলিলেন, তোমার কাছে আমার ছেলে হাঁচি দিয়েছিল, তুমি উত্তর দাওনি। কিন্তু ফায্লের মেয়ে হাঁচি দিলে তুমি উত্তর দিয়েছ। এ কথা শুনে আবু মূসা [রাদি.] বলিলেন, তোমার ছেলে হাঁচি দিয়েছে এবং আল্লাহর প্রশংসা করেনি। তাই আমিও তার হাঁচির উত্তর দেইনি। আর ঐ মহিলা হাঁচি দিয়েছে এবং আল্লাহর প্রশংসা করেছে তাই আমিও তার হাঁচির উত্তর দিয়েছি। কেননা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে আমি এ কথা বলিতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যদি হাঁচি দেয় এবং আল্লাহর প্রশংসা করে তাহলে তোমরা তার হাঁচির উত্তর দিবে। আর যদি সে আল্লাহর প্রশংসা না করে তবে তোমরাও তার হাঁচির উত্তর দিও না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭২১৮, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৭০]

৭৩৭৯. সালামাহ্ ইবনি আক্ওয়া [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক লোক নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে হাঁচি দেয়ার পর তিনি তাকে বলিলেন, আল্লাহ তোমার প্রতি দয়া করুন। অতঃপর সে আরেকবার হাঁচি দেয়ার পর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ সে সর্দিতে আক্রান্ত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭২১৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৭১]

৭৩৮০. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, হাই তোলা শাইতানের পক্ষ হইতে আসে। তোমাদের কেউ যদি হাই তোলে তবে যথাসাধ্য সে যেন তা ব্যাহত করার চেষ্টা করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭২২০, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৭২]

৭৩৮১. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি হাই তোলে তবে সে যেন তার মুখের উপর হাত রাখে। কেননা এ সময় শাইতান মুখের অভ্যন্তরে ঢুকে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭২২১, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৭৩]

৭৩৮২. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যদি তোমাদের কেউ হাই তোলে তবে সে যেন তার মুখের উপর হাত রেখে সেটাকে ব্যাহত করে। কেননা এ সময় শাইতান মুখ দিয়ে প্রবেশ করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭২২২, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৭৪]

৭৩৮৩. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, নামাজের মধ্যে তোমাদের কেউ যদি হাই তোলে তবে সে যেন যথাসাধ্য তা ব্যাহত করার চেষ্টা করে। কেননা, শাইতান এ সময় মুখ দিয়ে প্রবেশ করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭২২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৭৫]

৭৩৮৪. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.]-এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

বিশ্র ও আবদুল আযীয-এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

Comments

Leave a Reply