হজ্জ । হাজ্জের বিবরণ ও মক্কায় প্রবেশ। মিনায় খুতবা দেয়ার বৈধতা
হজ্জ । হাজ্জের বিবরণ ও মক্কায় প্রবেশ। মিনায় খুতবা দেয়ার বৈধতা >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় ৫ঃ হাজ্জের বিবরণ ও মক্কায় প্রবেশ
পরিচ্ছেদ ০১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হজ্বের বর্ণনা
পরিচ্ছেদ ০২. তালবীয়া পাঠের পর দোয়া করার বিধান
পরিচ্ছেদ ০৩. মিনার যে কোন অংশে কুরবানী বৈধ এবং আরাফা ও মুযদালিফার যে কোন অংশে অবস্থান বৈধ
পরিচ্ছেদ ০৪. কোন দিক হতে মক্কায় প্রবেশ এবং বাহির হইবে ?
পরিচ্ছেদ ০৫. মক্কায় প্রবেশের জন্য গোসল করা মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ ০৬. হাজরে আসোওয়াদের [ কালো পাথর ] উপর সাজদা করার বিধান
পরিচ্ছেদ ০৭. তাওয়াফের মধ্যে “র ল” করা শরীয়তসম্মত এবং এর স্থানসমূহ
পরিচ্ছেদ ০৮. কাবার স্তম্ভ সমূহকে স্পর্শ করার বিধান
পরিচ্ছেদ ০৯. হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার বিধান
পরিচ্ছেদ ১০. লাঠি অথবা এর সদৃশ অন্য কিছু দ্বারা হাজরকে স্পর্শ করার বৈধতা
পরিচ্ছেদ ১১. তাওয়াফে`ইযতিবা’ করার বিধান
পরিচ্ছেদ ১২. আরাফায় গমনকালে তালবিয়া এবং তাকবীর পাঠ করার বৈধতা
পরিচ্ছেদ ১৩. রাত্রিবেলায় দুর্বল ব্যক্তিদের মুযদালিফা থেকে চলে যাওয়ার বৈধতা
পরিচ্ছেদ ১৪. ফজরের পূর্বে জামরায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৫. মুযদালিফায় রাত্রিযাপন এবং আরাফায় অবস্থানের বিধানাবলী
পরিচ্ছেদ ১৬. মুযদালিফা থেকে ফিরার সময়
পরিচ্ছেদ ১৭. হজ্ব আদায়কারী কখন তালবিহা পাঠ করা শেষ করিবে ?
পরিচ্ছেদ ১৮. যে স্থান হতে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করিতে হয়
পরিচ্ছেদ ১৯. জামরায় কংকর নিক্ষেপের সময়
পরিচ্ছেদ ২০. জামরায় কংকর নিক্ষেপ পদ্ধতি
পরিচ্ছেদ ২১. ন্যাড়া করা কিংবা চুল খাট করার ফযিলতের তারতম্য
পরিচ্ছেদ ২২. ঈদের দিন হজ্জের কাজসমূহের মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিধান
পরিচ্ছেদ ২৩. মাথা মুন্ডন করার পূর্বে কুরবানী করার বৈধতা
পরিচ্ছেদ ২৪. প্রথম হালাল হওয়া কিভাবে অর্জিত হয়
পরিচ্ছেদ ২৫. মহিলাদের বেলায় মাথা মুন্ডন না করে চুল [ সামান্য ] ছোট করাই শরীয়তসম্মত
পরিচ্ছেদ ২৬. মিনায় রাত্রি যাপন পরিত্যাগ করার বিধান
পরিচ্ছেদ ২৭. মিনায় খুতবা দেয়ার বৈধতা
পরিচ্ছেদ ২৮. কিরান হজ্বকারীদের জন্য এক তাওয়াফ এবং এক সায়ীই যথেষ্ট
পরিচ্ছেদ ২৯. তাওয়াফের ইফাযায় রমল না করা শরীয়তসম্মত
পরিচ্ছেদ ৩০. আবতাহ নামক স্থানে অবতরণের বিধান
পরিচ্ছেদ ৩১. বিদায়ী তাওয়াফের বিধান
পরিচ্ছেদ ৩২. মক্কা এবং মাদীনার মাসজিদে নামাজ আদায়ে অধিক সাওয়াব
পরিচ্ছেদ ০১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হজ্বের বর্ণনা
৭৪২ – জাবির বিন আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাজ্জ [যাত্রা] করেন। আমরাও তাহাঁর সঙ্গে হজ্জ ব্রত পালনে বের হই। তারপর আমরা`যুলহুলাইফাহ’ নামক স্থানে এলাম। এখানে আসার পর আসমা বিনতু উমাইস [আবূ বাকর [রাঃআঃ]-এর স্ত্রী] সন্তান প্রসব করিলেন। ফলে নাবী তাঁকে বলিলেন গোসল কর, কাপড়কে লেঙ্গুটার মত পরিধান কর আর হাজের ইহরাম বাঁধো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মসজিদে নামাজ সমাধান করে তাহাঁর কাসওয়া নামী উটনীতে আরোহণ করিলেন। উটটি যখন তাঁকে নিয়ে`বাইদাহ’ বরাবর পৌঁছল তখন তিনি তাওহীদ বাণী ঘোষণা [তালবিয়াহ পাঠ] করিতে লাগলেনঃ
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ
উচ্চারণঃ লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি’মাতা, লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাকা। অর্থঃ আমি তোমার খেদমতে হাজির হয়েছি, ইয়া আল্লাহ, আমি তোমার খেদমতে হাযির হয়েছি। আমি তোমার খিদমাতে হাযির হয়েছি, তোমার কোন শরীক নেই। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা, নেয়ামত ও রাজত্ব তোমারই। তোমার কোন শরীক নেই।
এভাবেই আমরা চলতে চলতে বায়তুল্লায় পৌঁছে গেলাম, তিনি হাজারে আসওয়াদে চুম্বন দিলেন, তারপর তিনবার রামল করিলেন এবং চার বার সাধারণ গতিতে চললেন। তারপর মাকামে ইবরাহীমের নিকট এসে নামাজ আদায় করিলেন। পুনরায় রুকনে [হাজারে আসওয়াদে] ফিরে গিয়ে তাতে চুম্বন করিলেন। তারপর দরজা দিয়ে বের হয়ে ‘সাফা’ পাহাড়ের দিকে বের হলেন। তারপর সাফার কাছাকাছি পৌঁছে পাঠ করলেনঃ`নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম।’ তারপর বলিলেন- আল্লাহ যেখান থেকে প্রথমে শুরু করিয়াছেন আমিও সেখান থেকেই শুরু করছি। এ বলে তিনি সাফা পাহাড়ে উঠলেন যেখান থেকে তিনি বায়তুল্লাহ দেখিতে পেলেন- কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর তাওহীদের ঘোষণা দিলেন ও তাকবীর পাঠ করিলেন অতঃপর বললেনঃ
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ লা শারীকা লাহু। লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া`আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ, আযাযা ওয়া’দাহূ, ওয়া নাসারা আব্দাহূ, ওয়া হযামাল আযহাবা ওয়াহদাহু। অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই, তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাহাঁর এবং প্রশংসা তাহাঁর, তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই, তিনি তাহাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন, তিনি তাহাঁর বান্দাকে সাহায্য করেন। তিনি একাই ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করেন।
অতঃপর তিনি তার মধ্যে প্রার্থনা বা দুআ করিলেন তিনবার। তারপর তিনি সাফা পাহাড় থেকে`মারওয়া’ পাহাড়ের উদ্দেশ্যে নামলেন এবং যখন বাতনে ওয়াদিতে [দুই সবুজ বাতির মধ্যবর্তী স্থান] গিয়ে পা দুটি রাখলেন তখন তিনি মৃদু দৌড়ালেন। উপরে উঠে যাওয়ার পর মারওয়া পর্যন্ত সাধারণভাবে চললেন। এবং সাফার ন্যায়ই সবকিছু`মারওয়াতে’ও করিলেন। এখানে জাবির [রাঃআঃ] পূর্ণ হাদিসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তাতে এরূপও আছে, যখন তারবিয়া দিবস [৮ই যিলহিজ্জা] আসলো, তিনি সওয়ারীতে চড়ে`মিনা’ অভিমুখী হলেন এবং নাবী [সাঃআঃ] সেখানে যুহর,`আসর, মাগরিব, ইশা ও ফাজরের নামাজ আদায় করিলেন। তারপর অল্প কিছুকাল অবস্থান করিলেন যতক্ষণে সূর্যোদয় হল। তারপর [মুযদালিফাহ] অতিক্রম করে আরাফাহ পর্যন্ত আসলেন। দেখলেন তার জন্য পূর্ব থেকেই নামিরাহ {৭৮৯} [বর্তমান মাসজিদে নামিরাহ] নামক স্থানে একটি তাঁবু পেলেন। তিনি তাতে স্থান নিলেন। তারপর যখন সূর্য ঢলে পড়ল, তাহাঁর কাসওয়া নাম্নী উটনীকে তৈরি করার আদেশ করিলেন, তার উপর পালান বসান হল তারপর তিনি বাতনে ওয়াদী-তে পৌঁছে গেলেন। এখানে জনগণের উদ্দেশ্যে খুতবাহ প্রদান করিলেন। তারপর আযান ও ইকামাত দেয়ালেন ও যুহরের নামাজ আদায় করিলেন। তারপর সেখানেই আসরের সময় হলে আসরের আযান, ইকামাত দেয়ালেন ও আসরের নামাজ আদায় করিলেন। এ দুই নামাজের মধ্যে আর কোন নামাজ আদায় করেননি, তারপর সওয়ার হয়ে মাওকেফে [অবস্থানক্ষেত্রে] এলেন তার উটনী কাসওয়ার পেট সাখরাতের দিকে এবং পথিকের চলার পথকে তাহাঁর সম্মুখে রেখে কিবলামুখী হয়ে সূর্যস্ত পর্যন্ত অবস্থান করিলেন। হলুদ রং কিছু কেটে গেল, সূর্যের গোলাই ভালভাবে ডুবে গেল, [তখন] তিনি এমন অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করিলেন যে, কাসওয়ার লাগাম এমনভাবে টেনে ধরা হয়েছিল যে, তার মাথা নাবীর পালানের`মাওরিকে’ এসে ঠেকে যাচ্ছিল। এবং তিনি ডান হাতে ইশারা করে ঘোষণা করছিলেন-হে জনগণ ধীর ও শান্ত থাকুন। যখনই কোন পাহাড়ের কাছাকাছি এসে যাচ্ছিলেন কাসওয়ার লাগাম কিছুটা ঢিল দিচ্ছিলেন, যেন সে উপরে উঠতে পারে। অবশেষে মুযদালিফাহ এসে পৌঁছলেন এবং সেখানে একটি আযান ও দুটি ইকামাতে মাগরিব ও ইশা উভয় নামাজ সম্পদান করিলেন। এ দুই নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে অন্য কোন নফল নামাজ আদায় করেননি। তারপর ফাজর উদিত হওয়া পর্যন্ত শুয়ে থাকলেন। তারপর ফাজর সুস্পষ্ট [সুবহি সাদিক] হয়ে গেলে আযান ও ইকামাত দিয়ে ফাজরের নামাজ আদায় করিলেন। তার পর সওয়ার হয়ে মাশ’আরুল হারাম পর্যন্ত এলেন। তারপর কিবলামুখী হয়ে দু’আ করিলেন, তাকবীর ও তাহলীল ঘোষণাসহ-আকাশ বেশ ফর্সা হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করিলেন। তারপর সূর্যদয়ের পূর্বেই বাতনে মুহাসসিরে আসলেন। এখানে সওয়ারীকে একটু জোরে চালালেন। তারপর মাঝামাঝি পথটি ধরে চললেন যেটি জামরাতুল কুবরা বরাবর বেরিয়ে গেছে। তারপর এসে পৌঁছলেন গাছের নিকটস্থ জামরার নিকট এবং বাতনে ওয়াদী হতে সাতবার কঙ্কর নিক্ষেপ করিলেন এবং প্রত্যেক বার নিক্ষেপের সময় “আল্লাহু আকবার” ধ্বনি করিলেন। তারপর কুরবানীর মাঠে এসে কুরবানী করে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উটে সওয়ার হয়ে বাইতুল্লাহ পৌঁছলেন [তাওয়াফে ইফাযাহ সম্পন্ন করার জন্য] ও মক্কায় যুহরের নামাজ আদায় করিলেন। মুসলিম সুদীর্ঘভাবে। {৭৯০}
{৭৮৯} আরাফার পার্শ্ববর্তী একটি স্থান। আরাফার কোন স্থান নয়। {৭৯০} মুসলিম ১২১৬, ১২১৮, বুখারী ১৫১৬, ১৫৬৮, ১৬৫১, ১৭৮৫, তিরমিয়ী ৮৫৬, ৮৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, নাসায়ী ২৯১, ৪২৯, ৬০৪, আবূ দাউদ ১৭৮৭, ১৭৮৮, ১৭৮৯ ইবনু মাজাহ ২৯১৩, ২৯১৯, ২৯৫১, আহমাদ ১৩৮০৬, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, মালিক ৮১৬, ৮৩৫, ৮৩৬, দারেমী ১৮৫০, ১৮৯৯। হজ্জ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০২. তালবীয়া পাঠের পর দোয়া করার বিধান
৭৪৩ – খুযাইমাহ বিন সাবিত [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] যখন হজ্জ বা উমরাহর তালবিয়া [লাব্বাইকা ঘোষণা] পাঠ করিতেন তখন আল্লাহ্ তা’আলার কাছে তিনি তাহাঁর সন্তুষ্টি ও জান্নাত কামনা করিতেন এবং আল্লাহ তা’আলার দয়ার ওয়াসীলাহতে জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইতেন। শাফি’ঈ দুর্বল সানাদে। {৭৯১}
{৭৯১} ইবনু হাজার আত-তালখীসুল হাবীর ৩/৮৬২ গ্রন্থে বলেন, এর সনদে সালিহ বিন মুহাম্মাদ বিন আবূ যায়েদাহ আবূ ওয়াকেদ আল লাইসী মাদানী দুর্বল বর্ণনাকারী । ইমাম সনআনী সুবুলুস সালাম ২/৩২৪ গ্রন্থে উক্ত রাবীকে দুর্বল বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত বলে মন্তব্য করিয়াছেন। ইমাম শওকানী নাইলুল আওত্বার ৫/৫৪ গ্রন্থে একই কথা বলেছেন। শাইখ আলবানী তাখরিজ মিশকাতুল মাসবীহ ২৪৮৩ গ্রন্থে তাকে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৩. মিনার যে কোন অংশে কুরবানী বৈধ এবং আরাফা ও মুযদালিফার যে কোন অংশে অবস্থান বৈধ
৭৪৪ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আমি এখানে কুরবানী করলাম। মিনার সমস্ত স্থানই কুরবানী করার স্থান। অতএব, তোমরা তোমাদের অবস্থানক্ষেত্রে কুরবানী কর, আর আমি এখানে দাঁড়িয়েছি-আরাফাহর সমস্ত অংশ জুড়েই অবস্থান ক্ষেত্র। আর আমি এখানে অবস্থান করেছি, আর জামাউন বা মুযদালফার সমস্ত এলাকাই অবস্থান ক্ষেত্র। {৭৯২}
{৭৯২} মুসলিম ১২১৬, ১২১৮, ১২৬৩, ১২৯৯। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৪. কোন দিক হতে মক্কায় প্রবেশ এবং বাহির হইবে ?
৭৪৫ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] যখন মক্কায় আসেন তখন এর উচ্চ স্থান দিয়ে প্রবেশ করেন এবং নীচু স্থান দিয়ে ফিরার পথে বের হন। {৭৯৩}
{৭৯৩} বুখারী ১৫৭৭, ১৪০, মুসলিম ১২৫৮, তিরমিয়ী ৮৫৩, আৰু দাঊদ ১৮৬৯, আহমাদ ২৩৬০১। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৫. মক্কায় প্রবেশের জন্য গোসল করা মুস্তাহাব
৭৪৬ – ইবনু উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি [ইবনু উমর] মক্কায় প্রবেশ করার পূর্বে যূতুওয়া নামক স্থানে পৌঁছে ভোর পর্যন্ত রাত যাপন করিতেন এবং অতঃপর ফাজরের নামাজ আদায় করে গোসল করিতেন এবং বলিতেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] এরূপই করেছিলেন। {৭৯৪}
{৭৯৪} বুখারী ১৬৬, ৪৮৩, ৪৯২, ১৫৩৩, মুসলিম ১১৮৭, ১২৯৭, ১২৫৯, নাসায়ী ১১৭, ২৬৬০, ২৬৬১, আবূ দাউদ ১৭৭২, ৪০৬৪. আহমাদ ৪৪৪৮, ৪৬০৪, ৪৮৭২, মুওয়াত্তা মালেক ৭৪২, ৯০২৩, দারেমী ১৮৩৮, ১৯২৭।,হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৬. হাজরে আসোওয়াদের [ কালো পাথর ] উপর সাজদা করার বিধান
৭৪৭ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘হাজরে আসওয়াদ’কে চুম্বন করিতেন এবং তার উপর মাথা রাখতেন। হাকিম মারফুরূপে এবং বায়হাকী মাওকুফরূপে। {৭৯৫}
{৭৯৫} মারফু-মাওকূফ উভয় বর্ণনায় সহিহ। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৭. তাওয়াফের মধ্যে “র ল” করা শরীয়তসম্মত এবং এর স্থানসমূহ
৭৪৮ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাদেরকে দুটি রুকনের [ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদ] মধ্যবর্তী স্থানে [তওয়াফ কালে] প্রথম তিন চক্রে রামল করিতে ও পরের চারবার স্বাভাবিক চলতে নির্দেশ দিয়েছিলেন । {৭৯৬}
{৭৯৬} বুখারী ১৬০২, ১৬৪৯, ৪২৫৬, ৪২৫৭, মুসলিম ২১৬৬, নাসায়ী ২৯৪৫, ২৯৭৯, আৰু দাঊদ ১৮৮৬, আহমাদ ১৯২৪, ২০৩০, ২০৭৮। বুখারীর বর্ণনায় রহিয়াছে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাহাবীগণকে তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করিতে [উভয় কাঁধ হেলে দুলে জোর কদমে চলতে ]এবং উভয় রুকনের মধ্যবর্তী স্থানটুকু স্বাভাবিক গতিতে চলতে নির্দেশ দিলেন। মুসলিমের বর্ণনায় রহিয়াছে, তিনি তাদেরকে তিনবার রামল করিতে এবং চারবার স্বাভাবিক গতিতে হাঁটার নির্দেশ দিলেন। হজ্জ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৮. কাবার স্তম্ভ সমূহকে স্পর্শ করার বিধান
৭৪৯ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [ সাঃআঃ ] কে দিকের দুটো ইয়ামানী কোণ [ ইয়ামানী ও হাজারে আল-আসওয়াদ] ব্যতীত বাইতুল্লাহর আর কোন কোণ স্পর্শ করিতে দেখিনি। {৭৯৭}
{৭৯৭} মুসলিম ১২৬৯, তিরমিজি, ৮৫৮, আহমাদ ১৮৮০, ২২১১.। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৯. হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার বিধান
৭৫০ – উমর [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করে বলিলেন, আমি অবশ্যই জানি যে, তুমি একখানা পাথর মাত্র, তুমি কারো কল্যাণ বা অকল্যাণ করিতে পারো না। নবী [ সাঃআঃ ] কে তোমায় চুম্বন করিতে না দেখলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না। {৭৯৮}
{৭৯৮} বুখারী ১৫৯৭, ১৬০৫, ১৬২০, মুসলিম ১২৭০, তিরমিজি ৮৬০, নাসায়ি হাদিস ২৯৩৭, ২৯৩৮, ইবনু মাজাহ ২৯৪৩, আহমাদ ১০০, ১৩২, ১৭৭, মুওয়াত্তা মালেক, ৮২৪, দারেমী ১৮৬৮. হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১০. লাঠি অথবা এর সদৃশ অন্য কিছু দ্বারা হাজরকে স্পর্শ করার বৈধতা
৭৫১ – আবূ আত্তূফাইল থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [ সাঃআঃ ] কে তার ছড়ির সাহায্যে কালো পাথরকে স্পর্শ করে পরে ঐ ছড়িটিতে চুম্বন করিতে দেখেছি। {৭৯৯}
{৭৯৯} মুসলিম ১২৭৫, আবূ দাউদ ১৮৭৯, ইবনু মাজাহ ২৯৪৯, আহমাদ ২৩২৮৬. হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১১. তাওয়াফে`ইযতিবা’ করার বিধান
৭৫২ – ইয়ালা বিন উমাইয়াহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [ সাঃআঃ ] সবুজ চাদরে ইযতিবা [ ডান বাহুকে চাদরের বাইরে দিকে বের করে ] করে তাওয়াফ করিয়াছেন।–তিরমিজি একে সহিহ বলেছেন। {৮০০}
{৮০০} আবূ দাউদ ১৮৮৩, তিরমিজি ৮৫৯, ইবনু মাজাহ, ২৯৫৪, আহমাদ ১৭৪৯২, ১৭৪৯৫, দারেমী ১৮৪৩.। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১২. আরাফায় গমনকালে তালবিয়া এবং তাকবীর পাঠ করার বৈধতা
৭৫৩ – আনাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে যারা তালবিয়া পড়তে চাইত তারা পড়ত, তাতে বাধা দেয়া হতো না। এবং যারা তাকবীর পড়তে চাইত তারা তাকবীর পড়ত, এতেও বাধা দেয়া হতো না। {৮০১}
{৮০১} বুখারী ৯৭০, ১৬৫৯, মুসলিম ১২৮৫, নাসায়ি হাদিস ৩০০০, ইবনু মাজাহ ৩০০৮, মুওয়াত্তা মালেক ৭৫৩ মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বাকার সাকাফী [রহঃ] হতে বর্ণিত। তিনি আনাস ইবনু মালিক [রাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করিলেন, তখন তাঁরা উভয়ে সকাল বেলায় মিনা হতে`আরাফাহর দিকে যাচ্ছিলেন, আপনারা এ দিনে আল্লাহর রাসূল [ সাঃআঃ ] এর সঙ্গে থেকে কিরুপ করিতেন ? তিনি বলিলেন —–হাদিস। হজ্জ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৩. রাত্রিবেলায় দুর্বল ব্যক্তিদের মুযদালিফা থেকে চলে যাওয়ার বৈধতা
৭৫৪ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নবী [ সাঃআঃ ] তাঁকে সামানপত্র নিয়ে অথবা দুর্বল [হাজী] দের সঙ্গে করে রাতের বেলাতেই মুযদালিফাহ থেকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। {৮০২}
{৮০২} বুখারী ১৬৭৭, ১৬৭৮, ১৬৫৬, ১৮৫৬, মুসলিম ২২৭৭, ২২৭৮, ২২৮০, তিরমিজি ৮৯২, ৮৯৩, নাসায়ি হাদিস ৩০৩২, ৩১৩৩, ৩০৪৮, আবূ দাউদ ১৯৩৯, ১৯৪১, ইবনু মাজাহ ৩০২৬, আহমাদ ১৯২৩, ১৯৪০, ২০৮৩। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৭৫৫ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সওদা [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [ সাঃআঃ] এর নিকটে তাহাঁর পূর্বে মুযদালিফাহ ত্যাগের অনুমতি চেয়েছিলেন। কারণ তাহাঁর শরীর ভারি হয়েছিল, ফলে নবী [ সাঃআঃ ] তাঁকে অনুমতি দিয়েছিলেন। {৮০৩}
{৮০৩} বুখারী ১৬৮০, ১৬৮১, মুসলিম ১২৯০, নাসায়ি হাদিস ৩০৩৭, ৩০৪৯, ইবনু মাজাহ ৩০২৭, আহমাদ ২৩৪৯৫, ২৪১১৪, দারেমী ১৮৮৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪. ফজরের পূর্বে জামরায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করার বিধান
৭৫৬ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [ সাঃআঃ ] আমাদেরকে বলিলেন, সূর্যোদয়ের পূর্বে জামরাহতে কঙ্কর নিক্ষেপ করিবে না। -এর সানাদতি ইনকিতা’ [ সুত্র ছিন্ন ]। {৮০৪}
{৮০৪} আবূ দাউদ ১৯৩৯, ১৯৪০, ১৯৪৩, বুখারী ১৬৭৭, হাসান ও মুনকাতি ; তাওযিহুল আহকাম ৪/১৫৫ পৃঃ। হাদিসের তাহকীকঃ অন্যান্য
৭৫৭ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] কুরবানীর রাতে, উম্মু সালামাহকে [কঙ্কর নিক্ষেপের জন্য] পাঠিয়েছিলেন। ফলে তিনি ফজরের পূর্বে জামরাহতে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। তারপর মক্কা গিয়ে`তওয়াফে ইফাযা’ সম্পন্ন করেন। মুসলিমের শর্তানুযায়ী এর সানাদ [সহিহ]। {৮০৫}
{৮০৫} আবূ দাউদ ১৯৪২ ইবনু হাজার আসকালানী আদ দিরায়াহ ২/২৪ গ্রন্থে এর সনদকে সহিহ বলেছেন। তবে আত-তালখীসুল হাবীর ৩/৮৯০ গ্রন্থে এটি মুরসাল হিসেবে বর্ণনা হওয়ার কথা বলেছেন। শাইখ আলবানী ইরওয়াউল গালীলে [১০৭৭] যয়ীফ বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫. মুযদালিফায় রাত্রিযাপন এবং আরাফায় অবস্থানের বিধানাবলী
৭৫৮ – উরওয়াহ বিন মুযার্রাস থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে আমাদের এ [মুযদালফায় অবস্থানকালীন] ফজরের নামাজে হাজির হইবে ও আমরা সেখান হতে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে অবস্থান করিবে, আর যে`আরাফাহ’র ময়দানেও রাতে বা দিনে যে কোন সময় এর পূর্বে অবস্থান করিল-তার হজ্জ পূর্ণ হয়ে গেল ও অতঃপর সে যাবতীয় [হাজামতের] প্রয়োজন মেটাল [চুল নখ কাটার সময়ে পৌঁছে গেল]। -তিরমিজি, ইবনু খুযাইমাহ একে সহিহ বলেছেন। {৮০৬}
{৮০৬} আবূ দাউদ ১৯৫০, তিরমিজি ৮৯১, নাসায়ী ৩০৩৯, ৩০৪০, ৩০৪১, ইবনু মাজাহ ৩০১৬, আহমদ ১৫৭৭৫, ১৭৮৩৬, দারেমী ১৮৮৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬. মুযদালিফা থেকে ফিরার সময়
৭৫৯ – উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
মুশরিকরা সূর্য না উঠা পর্যন্ত রওয়ানা হত না। তারা বলত, হে সাবীর! {৮০৭} আলোকিত হও। নাবী [সাঃআঃ] তাদের বিপরীত করিলেন এবং তিনি সূর্য উঠার আগেই রওয়ানা হলেন। {৮০৮}
{৮০৭} “সাবীর” মিনায় গমণের পথে বাম পাশে অবস্থিত একটি পরিচিত পাহাড়ের নাম আর তা মাক্কাহর সবচেয়ে বড় পাহাড়। {৮০৮} আমর ইবনু মায়মুন [রহ.] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উমার [রাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। তিনি মুযদালিফাতে ফজরের নামাজ আদায় করে [মাশ’আরে হারামে] উকৃফ করিলেন এবং তিনি বলিলেন, অতঃপর উক্ত হাদিস বর্ণনা করিলেন। বুখারী ৩৮৩৮, তিরমিজি ৮৯৬, নাসায়ী ৩০৪৭, আবূ দাউদ ১৯৩৮, ৩০২২, আহমাদ ৮৫, ২০০, ২৭৭। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৭. হজ্ব আদায়কারী কখন তালবিহা পাঠ করা শেষ করিবে ?
৭৬০ – ইবনু`আব্বাস ও উসামাহ বিন যায়দ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] জামরাতুল`আকাবাহতে পাথর ছোঁড়া পর্যন্ত তালবিয়াহ পাঠ করিতে থাকতেন। {৮০৯}
{৮০৯} বুখারী ১৫৪৪, ১৬৮৫, ১৬৮৬, মুসলিম ১২৮১, তিরমিজি ৯১৮, নাসায়ী ৩০৫৫, ৩০৫৬, ৩০৮০, ইবনু মাজাহ ৩০৩৯, ৩০৪০, আহমাদ ১৮৬৩, ২৪২৩, দারেমী ১৯০২। হজ্জ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৮. যে স্থান হতে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করিতে হয়
৭৬১ – ‘আবদুল্লাহ্ বিন মাস’উদ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বাইতুল্লাহকে নিজের বামে রেখে এবং মিনাকে ডানে রেখে বড় জামরাকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করিলেন। এরপর তিনি বলিলেন, এ তাহাঁর দাঁড়াবার স্থান যাঁর প্রতি সূরা বাকারা নাযিল হয়েছে। {৮১০}
{৮১০} বুখারী ১৭৪৭, ১৭৪৮, ১৭৫০, মুসলিম ১২৯৬, তিরমিজি ৯০১, নাসায়ী ৩০৭০, ৩০৭১, আবূ দাউদ ১৯৭৪, ইবনু মাজাহ ৩০৩০, আহমাদ ৭৪৩৮, ৪৩৬৫। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৯. জামরায় কংকর নিক্ষেপের সময়
৭৬২ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরবানী দিবসে যুহার [চাশতের] সময় [‘আকাবাহ] জামরাহতে কংকর ছুঁড়েছিলেন। আর তার পরে [দিবসগুলোতে] সূর্য চলে যাবার পর। {৮১১}
{৮১১} মুসলিম ১২১৬, বুখারী ১৫১৬, ১৫৬৮, তিরমিয়ী ৮১৭, ৮৫৬, নাসায়ী ২৯১, ৪২৯, ৬০৪, আবূ দাউদ ১৭৮৭, ১৭৮৯, ইবনু মাজাহ ২৯১৩, ২৯৫১, ২৯১৯, আহমাদ ১৩৮০৬, ১৩৮২৭, মুওয়াত্তা মালেক ৮১৬, ৮৩৫, ৮৩৬, দারেমী ১৮৫০, ১৮৯৯ পূর্ণাঙ্গ হাদীসঃ [আরবি] তোমরা কি জান আজ কোন দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূল [সাঃআঃ] সবচেয়ে বেশি জানেন। নাবী [সাঃআঃ] নীরব হয়ে গেলেন। আমরা ধারণা করলাম সম্ভবতঃ নাবী [সাঃআঃ]-এর নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেনঃ এটা কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি বললেনঃ এটি কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল [সাঃআঃ]-ই সবচেয়ে বেশি জানেন। তিনি নীরব হয়ে গেলেন। আমরা মনে করিতে লাগলাম, হয়ত তিনি এর নাম পাল্টিয়ে অন্য কোন নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেনঃ এ কি যিলহজ্জের মাস নয়? আমরা বললাম, হা। অতঃপর তিনি বললেনঃ এটি কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল [সাঃআঃ]-ই সবচেয়ে বেশি জানেন। আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] নীরব হয়ে গেলেন। ফলে আমরা ভাবতে লাগলাম, হয়ত তিনি এর নাম বদলিয়ে অন্য নামকরণ করবেন। তিনি বললেনঃ এ কি সম্মানিত শহর নয়? আমরা বললাম, নিশ্চয়ই। নাৰী [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমাদের জান-মাল তোমাদের জন্য তোমাদের রবের সঙ্গে সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত এমন সম্মানিত যেমন সম্মান রহিয়াছে তোমাদের এ দিনের, এ মাসের এবং এ শহরের। নাৰী [সাঃআঃ] সহাবীদের লক্ষ্য করে বলিলেন শোন! আমি কি পৌঁছিয়েছি তোমাদের কাছে? সহাবীগণ বলিলেন, হাঁ [হে আল্লাহর রাসূল]। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ প্রত্যেক উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে [আমার দাওয়াত] পৌঁছিয়ে দেয়। কেননা, যাদের কাছে পৌঁছানো হইবে তাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি এমন থাকে যে, শ্রবণকারীর চেয়ে অধিক সংরক্ষণকারী। তোমরা আমার পরে পরস্পর পরস্পরকে হত্যা করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২০. জামরায় কংকর নিক্ষেপ পদ্ধতি
৭৬৩ – ইবনু উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি প্রথম জামরায় সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করিতেন এবং প্রতিটি কঙ্কর নিক্ষেপের সাথে তাকবীর বলিতেন। তারপর সামনে অগ্রসর হয়ে সমতল ভূমিতে এসে কিবলামুখী হয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতেন এবং উভয় হাত তুলে দু’আ করিতেন। অতঃপর মধ্যবর্তী জামরায় কঙ্কর মারতেন এবং একটু বা দিকে চলে সমতল ভূমিতে এসে কিবলামুখী দাঁড়িয়ে উভয় হাত উঠিয়ে দু’আ করিতেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন। এরপর বাতন ওয়াদী হতে জামরায়ে`আকাবায় কঙ্কর মারতেন। এর কাছে তিনি বিলম্ব না করে ফিরে আসতেন এবং বলিতেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে এরূপ করিতে দেখেছি। {৮১২}
{৮১২} বুখারী ১৭৫৩, ১৭৫১, নাসায়ী ৩০৮৩, ইবনু মাজাহ ৩০৩২, আহমাদ ৪৩৬৫, ৬৩৬৮, দারেমী ১৯০৩। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১. ন্যাড়া করা কিংবা চুল খাট করার ফযিলতের তারতম্য
৭৬৪ – আবদুল্লাহ ইবনু উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদের প্রতি রহম করুন। সহাবীগণ বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা মাথার চুল ছোট করেছে তাদের প্রতিও। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তৃতীয় বার বললেনঃ যারা চুল ছোট করেছে তাদের প্রতিও। {৮১৩}
{৮১৩} বুখারী ১৭২৬, ১৭২৭, ১৭২৯, ৪৪১০, মুসলিম ১৩০১, ১৩০৪, তিরমিজি ৯১৩, নাসায়ী ২৮৫৯, আবূ দাউদ ১৯৭৯, ইবনু মাজাহ ৩০৪৪, আহমাদ ৪৬৪০, মুওয়াত্তা মালেক ৯০১, দারেমী ১৮৯৩, ১৯০৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২২. ঈদের দিন হজ্জের কাজসমূহের মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিধান
৭৬৫ – আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] বিদায় হজ্জের দিবসে মিনায় লোকেদের সম্মুখে [বাহনের উপর] দাঁড়ালেন। লোকেরা তাকে বিভিন্ন মাসআলা জিজ্ঞেস করছিল। জনৈক ব্যক্তি তাহাঁর নিকট এসে বলিল, আমি ভুলক্রমে কুরবানীর পূর্বেই মাথা কমিয়ে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ যবেহ কর, কোন ক্ষতি নেই। আর এক ব্যক্তি এসে বলিল, আমি ভুলক্রমে কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বেই কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ কঙ্কর ছুঁড়ো, কোন অসুবিধে নেই। আবদুল্লাহ ইবনু আমর [রাঃআঃ] বলেন, নাবী [সাঃআঃ] সেদিন পূর্বে বা পরে করা যে কোন কাজ সম্পর্কেই জিজ্ঞাসিত হচ্ছিলেন, তিনি এ কথাই বলেছিলেনঃ কর, কোন ক্ষতি নেই। {৮১৪}
{৮১৪} বুখারী ৮৩, ১৩২৪, ১৭৩৬, ১৭৩৮, মুসলিম ১৩০৬, তিরমিজি ৯১৬, আবূ দাউদ ২০১৪, ইবনু মাজাহ ৩০৫১, আহমাদ ৬৩৪, মুওয়াত্তা মালেক ৯৫৯, দারেমী ১৯০৭, ১৯০৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৩. মাথা মুন্ডন করার পূর্বে কুরবানী করার বৈধতা
৭৬৬ – মিসওয়ার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] মাথা কামানোর আগেই কুরবানী করেন এবং সাহাবাদের অনুরূপ করার নির্দেশ দেন। {৮১৫}
{৮১৫} বুখারী ১৬৯৫, ১৮১১, ২৭১৩, ২৭৩৪, নাসায়ী ২৭৭১. আবূ দাউদ ১৭৫০, ২৭৬৫, ২৭৬৬, ইবনু মাজাহ ২৮৭৫, আহমাদ ১৮৪৩০, ১৮৪৪১। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৪. প্রথম হালাল হওয়া কিভাবে অর্জিত হয়
৭৬৭ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন-তোমাদের কঙ্কর নিক্ষেপ ও মাথা মুণ্ডন শেষ হলে নারী [যৌন সম্ভোগ] ব্যতীত সুগন্ধি ও অন্যসব [নিষিদ্ধ] বস্তু তোমাদের জন্য বৈধ। আহমাদ ও আবূ দাউদ; এর সানাদ দুর্বল। {৮১৬}
{৮১৬} আবূ দাউদ ১৯৭১, ১৯৭৮, আহমাদ ২৪৫৭৯। ইমাম সনআনী সুবুলুস সালাম ২/৩৪০ গ্রন্থে বলেন, এর সনদে হাজ্জাজ বিন আরত্বআ রহিয়াছে। এছাড়াও তার থেকে আরো সনদ রহিয়াছে যেগুলোর মূল ভিত্তিমূলে তিনিই রহিয়াছেন। বিন বায মাজমু ফাতাওয়া ২৫/২৩৮ গ্রন্থে এর সনদের উপর সমালোচনা রহিয়াছে বলে সতর্ক করিয়াছেন। ইমাম নববী আল মাজমু ৮/২২৫ গ্রন্থে এর সনদকে অত্যন্ত দুর্বল বলেছেন। শাইখ আলবানী ইরওয়াউল গালীল ১০৪৬, যঈফুল জামে ৫২৭ গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। আর তিনি হুজ্জাতুন নবী ৮১ বলেন এর সনদ দুর্বল ও মতনে গরমিল রহিয়াছে। ইমাম শওকানী নাইলুল আওত্বর ৫/১৫০ গ্রন্থে হাজ্জাজ বিন আরত্বআকে দুর্বল বলেছেন। হজ্জ হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৫. মহিলাদের বেলায় মাথা মুন্ডন না করে চুল [ সামান্য ] ছোট করাই শরীয়তসম্মত
৭৬৮ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, মেয়েরা মাথা মুণ্ডন করিবে না তারা [চুলের অগ্রভাগ] সামান্য পরিমাণ ছাঁটবে। -আবূ দাউদ উত্তম সানাদে। {৮১৭}
হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৬. মিনায় রাত্রি যাপন পরিত্যাগ করার বিধান
৭৬৯ – ইবনু উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,`আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব [রাঃআঃ] আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] এর নিকট হাজীদের পানি পান করানোর উদ্দেশে মিনায় অবস্থানের রাতগুলো মক্কায় কাটানোর অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দেন। {৮১৮}
{৮১৮} বুখারী ১৬৩৪, ১৭৬৬, মুসলিম ১৩১২, তিরমিজি ৯২২, দারেমী ১৮৭০। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৭৭০ – আসিম বিন আদী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উটের চালকদের হাজীদের মিনার বাইরে রাত কাটানোর জন্য অনুমতি দান করেছিলেন। তারা কুরবানীর দিন কঙ্কর মারবে। অতঃপর তার পরের পরের দিন [১৩ তারিখে] দুইদিনের [১২ ও ১৩ তারিখের] একত্রে কঙ্কর মারবে। তারপর ইয়াউমুন নাফরের দিন [১৪ই তারিখে দিনে যদি মিনায় অবস্থান করে তবে তিনটি জামরাকে ৭টি করে] কঙ্কর মারবে
। -তিরমিজি ও ইবনু হিব্বান একে সহিহ বলেছেন। {৮১৯}, {৮১৯} আবূ দাউদ ১৯৭৫, ১৯৭৬, তিরমিজি ৯৫৪, ৯৫৫, নাসায়ী ২০৬৮, ইবনু মাজাহ ৩০৩৬, মালিক ৯৩৫। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৭. মিনায় খুতবা দেয়ার বৈধতা
৭৭১ – আবূ বাক্রাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরবানীর দিন আমাদের খুত্ববাহ প্রদান করিয়াছেন। [দীর্ঘ হাদিসের খণ্ডাংশ] {৮২০}
{৮২০} বুখারী ৬৭, ১০৫, ১৭৪১, ৩১৯৭, মুসলিম ১৬৭৯, ইবনু মাজহ ২৩৩, আহমাদ ১৯৮৭৩, ১৯৯৩৬, ১৯৯৮৫, দারেমী ১৯১৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৭৭২ – সাররায়া বিনতু নাব্হা-ন [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইয়াউমি রু’উসের দিন আমাদেরকে খুতবাহতে বলিলেন, এটা কি আইয়ামু তাশরীকের দিবসগুলোর মধ্যে মধ্যবর্তী সময় নয়? অর্থাৎ ১১ তারিখও তাশরীকের দিন। [দীর্ঘ হাদিসের খণ্ডাংশ]। আবূ দাউদ উত্তম সানাদে। {৮২১}
{৮২১} আবূ দাউদ ১৯৫৩। শাইখ আলবানী সহিহ ইবনু খুযাইমাহ ২৯৭৩, জঈফ আবূ দাউদ ১৯৫৩ গ্রন্থে এর সনদকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম শওকানী নাইলুল আওত্বার ৫/১৬৩ গ্রছে বলেন, দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য। । ইমাম নববী আল মাজমু ৮/৯১ গ্রন্থে এর সনদকে হাসান বলেছেন। ইমাম ইবনু কাসীর ইরশাদুল ফাকীহ ১৩৪৪ গ্রন্থে এর শাহেদ থাকার কথা বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৮. কিরান হজ্বকারীদের জন্য এক তাওয়াফ এবং এক সায়ীই যথেষ্ট
৭৭৩ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাঁকে বলেছেন- বাইতুল্লাহর তওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা’ঈ তোমার হজ্জ ও উমরাহ সম্পাদন করার জন্য যথেষ্ট । {৮২২}
{৮২২} মুসলিম ২৭৯৮, বুখারী ১০০৭, ৪৬৯৩, ৪৭৭৪, ৪৮০৯, তিরমিজি ৩২৫৪, আহমাদ ৪০৯৩, ৪১৯৪, দারেমী ১৭৩। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৯. তাওয়াফের ইফাযায় রমল না করা শরীয়তসম্মত
৭৭৪ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর সাত চক্করের একটি চক্করেও তাওয়াফে ইফাযায় রামল করেননি -তিরমিজি ব্যতীত পাঁচজনে [আহমদ, আবূ দাউদ, নাসায়ী, হাকিম, ইবনু মাজাহ]। হাকিম একে সহিহ সাব্যস্ত করিয়াছেন। [রামল হচ্ছে দুবাহু দুলিয়ে দুলিয়ে বীরত্বের সাথে চলা]। {৮২৩}
{৮২৩} আবূ দাউদ ২০০১, ইবনু মাজাহ ৩০৬০। শাইখ আলবানী সহিহ আৰু দাঊদ ২০০১, সীহ ইবনু মাজহ ২৫০১ গ্রন্থ একে সহিহ বলেছেন। আর তাখরিজ মিশকাতুল মাসাবীহ ২৬০৬ গ্রন্থে বলেন, এর সনদ বুখারী মুসলিমের শর্তে সহিহ। হজ্জ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৩০. আবতাহ নামক স্থানে অবতরণের বিধান
৭৭৫ – আনাস ইবনু মালিক [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] যুহর,`আসর, মাগরিব ও`ইশার নামাজ আদায়ের পর মুহাস্সাবে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকেন, পরে সওয়ার হয়ে বাইতুল্লাহর দিকে গেলেন এবং বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করিলেন। {৮২৪}
{৮২৪} বুখারী ১৭৫৬, দারেমী ১৮৭৩।হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৭৭৬ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবতহ নামক স্থানে অবতরণ করিলেন না। তিনি বলিতেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এখানে এ জন্যই অবতরণ করেছিলেন যে, এটা এমন এটা সহজতর বিরতির স্থান ছিল যেখান থেকে সহজে [মাদীনার দিকে] বের হওয়া যেত। {৮২৫}
{৮২৫} মুসলিম ১৩১১, বুখারী ১৭৬৫, তিরমিজি ৯২৩, আবূ দাউদ ২০০৮, ইবনু মাজাহ ৩০৬৭, আহমাদ ২৩৬২৩, ২৫০৪৭, ২৫৩৯৫। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৩১. বিদায়ী তাওয়াফের বিধান
৭৭৭ -ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেদের আদেশ দেয়া হয় যে, তাদের শেষ কাজ যেন হয় বাইতুল্লাহর তাওয়াফ। তবে এ হুকুম ঋতুবতী মহিলাদের জন্য শিথিল করা হয়েছে। {৮২৬}
{৮২৬} বুখারী ৩৩০, ১৬৩৩, ১৭৫৯, ১৭৬১, মুসলিম ১৩২৮, আহমাদ ৫৭৩১, ২৬৮৮১দ ১৯৩৩, ১৯৩৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৩২. মক্কা এবং মাদীনার মাসজিদে নামাজ আদায়ে অধিক সাওয়াব
৭৭৮ – ইবনু যুবাইর [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন-আমার এ [মদীনার] মসজিদে আদায়কৃত নামাজ মসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য যে কোন মসজিদে আদায়কৃত নামাজের চেয়ে এক হাজার নামাজ অপেক্ষা উত্তম। আর মসজিদুল হারামে আদায়কৃত নামাজ আমার মসজিদে আদায়কৃত নামাজ হতে শতগুণ শ্রেয়তর। -ইবনুহিব্বান একে সহিহ সাব্যস্ত করিয়াছেন। {৮২৭}
{৮২৭} আহমাদ ৪/৫, ইবনু হিব্বান ১৬২০। হজ্জ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply