হজ্জ করার পদ্ধতি -ইহরাম সুগন্ধি তালবিয়া ইফরাদ ও কিরান

হজ্জ করার পদ্ধতি -ইহরাম সুগন্ধি তালবিয়া ইফরাদ ও কিরান

হজ্জ করার পদ্ধতি -ইহরাম সুগন্ধি তালবিয়া ইফরাদ ও কিরান

হজ্জ করার পদ্ধতি । মুয়াত্তা ইমাম মালিক

হজ্জ করার পদ্ধতি -ইহরাম সুগন্ধি তালবিয়া ইফরাদ ও কিরান , এই অধ্যায়ে হাদীস=২৫৮ টি ( ৬৯৬-৯৫৩ পর্যন্ত ) >> মুয়াত্তা ইমাম মালিক এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায় – ২০ঃ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ ১- ইহরামকালীন গোসল
পরিচ্ছেদঃ ২ – মুহরিমের গোসল
পরিচ্ছেদঃ ৩ – ইহরাম অবস্থায় কাপড় পরা নিষিদ্ধ হওয়া
পরিচ্ছেদঃ ৪ -ইহরাম অবস্থায় রঙিন কাপড় পরিধান করা
পরিচ্ছেদঃ ৫ – ইহরামকালে কোমরবন্ধ বাঁধা
পরিচ্ছেদঃ ৬ – ইহরাম অবস্থায় মুখমণ্ডল ঢাকা
পরিচ্ছেদঃ ৭ – হজ্জের সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৮ – ইহরামের মীকাত বা স্থানসমূহ
পরিচ্ছেদঃ ৯ -ইহরাম বাঁধার ও সেই সময় তালবিয়া পাঠ করার পদ্ধতি
পরিচ্ছেদঃ ১০ – উচ্চস্বরে লাব্বায়কা বলা
পরিচ্ছেদঃ ১১ – হজ্জে ইফরাদ
পরিচ্ছেদঃ ১২ – হজ্জে কিরান
পরিচ্ছেদঃ ১৩ – তালবীয়া [লাব্বায়কা] মওকুফ করার সময়
পরিচ্ছেদঃ ১৪ -মক্কাবাসী এবং মক্কায় অবস্থানকারী বহিরাগত লোকদের ইহরাম
পরিচ্ছেদঃ ১৫ – হাদ্‌য়ী-র গলায় কিছু লটকালেই কেউ মুহরিম হয়ে যায় না
পরিচ্ছেদঃ ১৬ -হজ্জ পালনরত অবস্থায় কোন মহিলা যদি ঋতুমতী হয় তবে সে কি করিবে

পরিচ্ছেদঃ ১- ইহরামকালীন গোসল

৬৯৩ আসমা বিনত উমাইস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

বায়দা নামক স্থানে মুহাম্মদ ইবনি আবু বক্‌র [রাদি.]-এর জন্ম হয়। আবু বক্‌র সিদ্দীক [রাদি.] রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, আসমাকে বলে দিন সে যেন গোসল করে ইহরাম বেঁধে নেয়।

[সহীহ, মুসলিম ১২০৯] হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৬৯৪ সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

জুল-হুলায়ফা নামক স্থানে আসমা বিনত উমাইসের গর্ভে আবু বক্‌র [রাদি.]-এর পুত্র মুহাম্মদের জন্ম হয়। আবু বক্‌র [রাদি.] তখন আসমাকে গোসল করে ইহরাম বেঁধে নিতে নির্দেশ দেন। {১} [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} আসমা বিনত উমাইস [রাদি.] আবু বাকর [রাদি.]-এর স্ত্রী ছিলেন। তাঁর গর্ভে আবু বাকর [রাদি.]-এর পুত্র মুহাম্মদের জন্ম হয়। তখন তাঁরা হজ্জের উদ্দেশ্যে মক্কার দিকে রওয়ানা হয়েছিলেন। অন্য এক বর্ণনায় দেখা যায় জুল-হুলায়ফা নামক স্থানে উক্ত ঘটনাটি ঘটেছিল। উভয় স্থানই মদীনার নিকটবর্তী। এই হাদীসটি দ্বারা বোঝা যায় ঋতুমতী ও নিফাসওয়ালী মহিলাগণ ইহরাম বাঁধতে পারেন।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৬৯৫

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] ইহরাম বাঁধার উদ্দেশ্যে গোসল করিতেন। মক্কায় প্রবেশের পূর্বে এবং যিলহজ্জ মাসের নবম তারিখে আরাফাতে অবস্থানের জন্যও গোসল করিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ২ – মুহরিমের গোসল

৬৯৬

ইবরাহীম ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি হুনায়ন [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

ইবরাহীম ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি হুনায়ন [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] এবং মিসওয়ার ইবনি মাখরামার মধ্যে আবওয়া নামক স্থানে বিতর্ক হয়। ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর অভিমত ছিল মুহরিম অর্থাৎ ইহরামরত ব্যক্তি মাথা ধুতে পারে আর মিসওয়ারের অভিমত ছিল যে, মুহ্‌রিম মাথা ধুতে পারে না।

আবদুল্লাহ্ ইবনি হুনায়ন বলেন, শেষে আবদুল্লাহ্ ইবনি আব্বাস [রাদি.] আমাকে এই বিষয়ের মীমাংসার জন্য আবু আইয়ূব আনসারী [রাদি.]-এর কাছে প্রেরণ করেন। তখন তিনি একটি কুয়ার ধারে পর্দা টাঙ্গিয়ে গোসল করিতেছিলেন। আমি পর্দার বাহির হইতে তাহাকে সালাম করলাম। তিনি বলিলেন, কে ? আমি বললাম আবদুল্লাহ্ ইবনি হুনায়ন। আমাকে আবদুল্লাহ্ ইবনি আব্বাস [রাদি.] পাঠিয়েছেন, ইহরাম অবস্থায় রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কিভাবে মাথা ধুতেন তা জানবার জন্য। আবু আইয়ূব [রাদি.] মাথায় হাত রেখে মাথার কাপড় সরিয়ে দিলেন, আমি তাঁর মাথাটি তখন স্পষ্ট দেখিতে পাচ্ছিলাম। যে ব্যক্তি তাঁর গায়ে পানি ঢালতেছিল তাকে বলিলেন, পানি ঢাল। ঐ ব্যক্তি তাঁর মাথায় পানি ঢালতে লাগল আর তিনি তাঁর দুই হাত মাথার সামনে এবং পিছনে মর্দন করে বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে এইরূপ করিতে দেখেছি। [বুখারি ১৮৪০, মুসলিম ১২০৫]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৬৯৭

আতা ইবনি আবি রাবাহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

নিশ্চয় উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] গোসল করিতেছিলেন এবং ইয়ালা ইবনি মুনইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। উমার [রাদি.] ইয়ালাকে বলিলেন, আমার মাথায় পানি ঢেলে দাও। তখন তিনি বলিলেন, আপনি কি আমার দ্বারা এ কাজ করাতে চান ? [অর্থাৎ পানি মাথায় ঢালা সম্পর্কে ইয়ালার ভিন্নমত ছিল।] যদি হুকুম করেন তবে পানি ঢালতে পারি। উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] বলিলেন, পানি ঢাল, কারণ পানি চুলের রুক্ষতাই বাড়াবে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৬৯৮

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] যখন মক্কার নিকটবর্তী হইতেন তখন দুই গিরিপথের মধ্যবর্তী যি-তুওয়া নামক স্থানে রাত্রিযাপন করিতেন। পরে ফজরেই নামাযের পর উপরের গিরিপথ বেয়ে মক্কায় প্রবেশ করিতেন। আর হজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে আসলে যি-তুওয়ায় গোসল না করে সেখানে প্রবেশ করিতেন না। সঙ্গীগণকে মক্কা প্রবেশের পূর্বে গোসল করিতে তিনি নির্দেশ দিতেন। [সহীহ, বুখারি ১৫৭৩]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৬৯৯

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] ইহরামের অবস্থায় মাথা ধুতেন না। তবে স্বপ্নদোষ হলে বাধ্যতামূলক ধুতে হত। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, বিজ্ঞ আলিমদের কাছে শুনিয়াছি যে, জমরা-এ-আকাবার রমি করার পর মাথা কামাবার পূর্বেই সাবান ইত্যাদি দ্বারা মাথা ধৌত করা যায়। কেননা জমরা-এ-আকবার প্রস্তর নিক্ষেপের পর উকুন মারা, মাথা কামানো, ময়লা বিদূরিত করা, কাপড় পরা ইত্যাদি কাজ মুহরিমের জন্য হালাল হয়ে যায়।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ৩ – ইহরাম অবস্থায় কাপড় পরা নিষিদ্ধ হওয়া

৭০০

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে জিজ্ঞেস করিল, ইহরাম অবস্থায় মুহরিম ব্যক্তি কি ধরনের কাপড় পরিধান করিতে পারে ? রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] উত্তরে বলিলেন, কোর্তা পরবে না, পাগড়ি বাঁধবে না, টুপি পাজামা এবং মোজা পরবে না। তবে কারো চপ্পল না থাকলে সে মোজা পরতে পারে বটে কিন্তু তা এমনভাবে কেটে পরবে যাতে পায়ের টাখনা বের হয়ে থাকে। জাফরান বা ওয়ারস [এক প্রকার সুগন্ধযুক্ত রঙিন ঘাস] রঞ্জিত কাপড়ও পরতে পারবে না। [বুখারি ১৫৪২, মুসলিম ১১৭৭]

ইয়াহ্ইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-এর নিকট একবার জিজ্ঞেস করা হল, একটি হাদীস হইতে জানা যায় যে, লুঙ্গি না পেলে সে পায়জামা পরতে পারবে। মুহরিমের জন্য পায়জামা পরা কি জায়েয হইবে ? মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] উত্তরে বলিলেন, এই ধরনের কোন হাদীস আমি শুনি নাই। আমার মতে মুহরিমের জন্য পায়জামা পরিধান করা উচিত হইবে না। কারণ রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মুহরিমকে পায়জামা পরতে নিষেধ করিয়াছেন এবং মোজার ব্যাপারে যেমন অনুমতি প্রদান করা হয়েছে পায়জামার ব্যাপারে তদ্রূপ অনুমতি প্রদান করা হয়নি।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদঃ ৪ -ইহরাম অবস্থায় রঙিন কাপড় পরিধান করা

৭০১

আবদুল্লাহ্ ইবনি দীনার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ইহরাম অবস্থায় জাফরান এবং ওয়ারস রঞ্জিত কাপড় পরিধান করিতে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বলেছেন, যার জুতা নাই সে মোজা [চামড়ার] পরতে পারবে, কিন্তু টাখনার নিচ পর্যন্ত তা কেটে নিবে। [সহীহ, বুখারি ৫৮৫২, মুসলিম ১১৭৭]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭০২

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] তাল্‌হা ইবনি উবায়দুল্লাহ্ [রাদি.]-কে ইহরাম অবস্থায় রঙিন কাপড় পরতে দেখে তাহাকে বলিলেন, তাল্‌হা, এ রঙিন কাপড় কেন ? তিনি বলিলেন, আমীরুল মুমিনীন, এটা তো মাটির রঙ। এতে দোষ কি ? উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] বলিলেন, দেখ, তোমরা হলে নেতা। অন্যরা তোমাদের অনুসরণ করে চলে। স্বল্প বুদ্ধির কেউ তোমাকে দেখলে মনে করিবে, তালহা ইবনি উবায়দুল্লাহও ইহরাম অবস্থায় রঙিন কাপড় পরেন। সুতরাং তোমাদের কোন প্রকারের রঙিন কাপড় পরা উচিত নয়। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭০৩

বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ

আসমা বিনত আবু বক্‌র [রাদি.] ইহরাম অবস্থায় গাঢ় কুসুম রঙের কাপড় পরতেন। তবে এতে জাফরান মিশ্রিত হত না। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

ইয়াহ্ইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, সুগন্ধি বিদূরিত হয়ে গেলে ঐ ধরনের কাপড় ইহরাম অবস্থায় পরিধান করা জায়েয কিনা এই সম্পর্কে মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, পরতে পারে। তবে শর্ত হল জাফরান এবং ওয়ার্‌স-এর রঙ যেন তাতে না থাকে।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ৫ – ইহরামকালে কোমরবন্ধ বাঁধা

৭০৪

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] ইহরাম অবস্থায় কোমরবন্ধ বাঁধা মাকরূহ বলে মনে করিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭০৫

ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

সাঈদ ইবনিল মুসায়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, উভয় পার্শ্বে ফিতাযুক্ত কোমরবন্ধ কাপড়ের নিচে ইহরাম অবস্থায় পরলে কোন অসুবিধা নাই। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, এ বিষয়ে উল্লিখিত বর্ণনাটি সর্বোত্তম, যাহ আমি শুনিয়াছি।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ৬ – ইহরাম অবস্থায় মুখমণ্ডল ঢাকা

৭০৬

বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ

ফারাফিসা ইবনি উমায়র আল-হানাফী [রাহিমাহুল্লাহ] আরজ্ নামক স্থানে উসমান ইবনি আফফান [রাদি.]-কে ইহরাম অবস্থায় মুখমণ্ডল আচ্ছাদিত করিতে দেখেছেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭০৭

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, থুতনির উপরিভাগ মাথার হুকুমের শামিল। ইহরাম অবস্থায় উহা ঢাকা দুরস্ত নহে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭০৮

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.]-এর পুত্র ওয়াকিদ ইবনি আবদুল্লাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] জুহফা নামক স্থানে ইহরাম অবস্থায় ইন্তিকাল করেন। উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] নিজে তাহাকে কাফন পরান। তিনি তখন বলেছিলেন আমরা ইহরাম অবস্থায় না হলে তাহাকে সুগন্ধি লাগাতাম। তিনি তাঁর মাথা এবং মুখমণ্ডল ঢেকে দিয়েছিলেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, জীবিত থাকাকালীন মানুষ শরীয়তের উপর আমল করিতে পারে। মৃত্যুর পরে মানুষের আমল বন্ধ হয়ে যায়।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭০৯

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] বলিতেন, ইহরাম অবস্থায় মহিলাগণ চেহারায় নেকাব ফেলবে না বা হাতে হাতমোজা পরবে না। {১} [সহীহ মারফু, ঈমাম বুখারি মারফু সনদে ইবনি উমার [রাদি.] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন, বুখারি ১৮৩৮]

{১} নেকাবের কাপড় যদি মুখমণ্ডলের সঙ্গে আঁটিয়া না থেকে পৃথক থাকে তবে নেকাব ব্যবহার করা দুরস্ত আছে।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭১০

ফাতিমা বিনতে মুনযির [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আমরা আসমা বিনতে আবু বক্‌র [রাদি.]-এর সঙ্গী ছিলাম। আমরা ইহরাম অবস্থায় মুখ ঢেকে ফেলতাম, কিন্তু তিনি আমাদের কিছুই বলিতেন না। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ৭ – হজ্জের সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা

৭১১

নাবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিনী আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

ইহরাম বাঁধার পূর্বে এবং ইহরাম খোলার সময় তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]কে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম। [বুখারি ১৫৩৯, মুসলিম ১১৮৯]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭১২

আতা ইবনি আবি রাবাহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন হুনাইনে আবস্থান করিতেছিলেন তখন হলুদ চিহ্ন আছে এমন জামা পরিহিত এক বেদুঈন ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বলল, ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমি উমরার নিয়ত করেছি। এখন আপনি আমাকে কি করিতে নির্দেশ করেন? রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলিলেন, জামাটি খুলে হলুদ দাগগুলো ধুয়ে ফেল এবং হজ্জের বেলায় যা করিতে এখন তাই কর। [বুখারি ১৭৮৯, মুসলিম ১১৮০, তবে ঈমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭১৩

আসলাম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] শাজারায় [মদীনা হইতে ছয় মাইল দূরবর্তী একটি স্থান] ছিলেন। তখন তাঁর নাকে সুগন্ধি অনুভূত হল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এই সুগন্ধি কোথা হইতে আসছে ? মুআবিয়া ইবনি আবু সুফইয়ান [রাদি.] বলিলেন, আমার নিকট হে আমীরুল মুমিনীন। {১} উমার [রাদি.] বলিলেন, আল্লাহর কসম, এই সুগন্ধি তোমার হইতে! অতঃপর মুআবিয়া বলিলেন, উম্মে হাবীবা [রাদি.] আমাকে এই সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছিলেন। উমার [রাদি.] বলিলেন, তোমাকে বলিতেছি, তুমি ফিরে যাও [উম্মে হাবীবার নিকট], তিনি নিশ্চয় এটা ধুয়ে দিবেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} উমার [রাদি.] মুআবিয়া ইবনি আবু সুফিয়ান [রাদি.]-কে আরবের কিসরা [সম্রাট] বলে ডাকতেন। -আওয়াযুল মাসালিক, ৩য় খণ্ড।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭১৪

সালত ইবনি যুয়াইদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

সালত ইবনি যুয়াইদ [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পরিবারের একাধিক ব্যক্তি হইতে বর্ণনা করেন যে, উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] শাজারায় সুগন্ধ দ্রব্যের ঘ্রাণ পেলেন, তাঁর পার্শ্বে ছিলেন কসীর ইবনি সালত। উমার [রাদি.] বলিলেন, এই সুগন্ধি কার নিকট হইতে ? কাসীর বলিলেন, আমার নিকট হইতে। আমার মাথায় তলবীদ করেছি এবং আমি মাথায় চুল মুণ্ডাবার ইরাদা করেছি। উমার [রাদি.] বলিলেন, তুমি শারাবাতের দিকে গমন কর এবং তোমার মাথা মালিশ কর উহাকে পরিষ্কার করা পর্যন্ত। কসীর ইবনি সালত [রাহিমাহুল্লাহ] উহা করলেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, শারাবাত খেজুর গাছের গোড়ার গর্ত যাতে পানি জমে থাকে।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭১৫

ইয়াহ্ইয়া ইব্‌নু সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ], আবদুল্লাহ্ ইবনি আবু বক্‌র [রাহিমাহুল্লাহ] এবং রবীআ ইবনি আবু আবদুর রহমান [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

অলিদ ইবনি আবদুল মালিক সালিম ইবনি আবদুল্লাহ্ ও খারিজা ইবনি যায়দ [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করলেন, রমীয়ে জামরা [প্রস্তর নিক্ষেপ] এবং মাথা কামাবার পর তওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা কেমন ? সালিম [রাহিমাহুল্লাহ] ইহাকে নিষিদ্ধ বলে মত দিলেন, আর খারিজা ইবনি যায়দ ইবনি সাবিত [রাহিমাহুল্লাহ] বলিলেন, ইহা জায়েয। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, ইহরামের পূর্বে বা তাওয়াফের যিয়ারতের পূর্বে রমীয়ে জামরার পর মিনা হইতে প্রত্যাবর্তনকালে গন্ধবিহীন সাধারণ তৈল ব্যবহার করায় কোন অসুবিধা নেই।

ইয়াহ্ইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করা হল, জাফরান মিশ্রিত খাদ্য মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কি? তখন তিনি বলিলেন, আগুনে পরিপাক করা হয়ে থাকলে খেতে পারবে। আর তা না হলে খেতে পারবে না।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ৮ – ইহরামের মীকাত বা স্থানসমূহ

৭১৬

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, মদীনাবাসিগণ যুল-হুলায়ফা হইতে, সিরিয়াবাসিগণ জুহফা আর নজ্‌দবাসিগণ কর্‌ন হইতে ইহরাম বাঁধবে।

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার বলেন, আমার নিকট আরও রেওয়ায়ত পৌঁছেছে, রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, ইয়ামানবাসিগণ ইয়ালাম্‌লাম্‌ হইতে ইহরাম বাঁধবে। {১} [বুখারি ১৫২৫, মুসলিম ১১৮২]

{১} হজ্জযাত্রীদের জন্য ইহরাম না বেঁধে উল্লিখিত স্থানসমূহ অতিক্রম করা জায়েয নয়।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭১৭

আবদুল্লাহ্ ইবনি দিনার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মদীনাবাসীদের যুল-হুলায়ফা এবং সিরিয়াবাসীদের জুহ্‌ফা ন্‌জদবাসিদের করণ হইতে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিয়াছেন। [বুখারি ৭৩৪৪, মুসলিম ১১৮২]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭১৮

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত তিনটি কথা আমি রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হইতে শুনিয়াছি। আর আমাকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, ইয়ামনবাসী ইয়ালামলাম হইতে ইহ্‌রাম বাঁধবে। [বুখারি ৭৩৪৪, মুসলিম ১১৮২]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭১৯

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] ফুরু নামক স্থান হইতে ইহরাম বেঁধেছিলেন। {১} [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} যুল-হুলায়ফার পর মক্কার দিকে রাবাজার অন্তর্গত একটি স্থানের নাম ফুরু। সম্ভবত আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] প্রথমে ইহরামের নিয়ত করেননি, পরে নিয়ত করে এখান হইতে ইহরাম বেঁধে নেন।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭২০

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] জনৈক নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির কাছে শুনেছেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] এলিয়া [বায়তুল মুকাদ্দাস] হইতে ইহরাম বেঁধেছিলেন। {১} [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} মীকাতের পূর্বে ইহরাম বাঁধা ঈমাম আবু হানীফা [রাহিমাহুল্লাহ] ও ঈমাম শাফিঈ [রাহিমাহুল্লাহ]-এর নিকট উত্তম।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭২১

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] জিইরানা নামক স্থান হইতে ওমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন। [সহীহ, আবু দাঊদ ১৯৯৬, তিরমিজি ৯৩৫, নাসাঈ ২৮৬৩, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন {সহীহ ও যয়ীফ সুনানে আবু দাঊদ}]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদঃ ৯ -ইহরাম বাঁধার ও সেই সময় তালবিয়া পাঠ করার পদ্ধতি

৭২২

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর তালবিয়া এইরূপ

لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ {১}

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] তৎসঙ্গে এটাও বৃদ্ধি করিতেন

لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ {২}

[বুখারি ১৫৪৯, মুসলিম ১১৮৪]

{১} বারবার হাযির হই হে পরওয়ারদিগার! বারবার আমি তোমার দ্বারে হাযির হই, বারবার তোমার দরবারে হাযির হই, কোন শরীক নেই তোমার, বারবার আমি তোমার দ্বারে হাযির হই, নিঃসন্দেহে সকল প্রশংসা ও নিয়ামত এবং রাজত্ব তোমারই। কোন শরীক নেই তোমার।

{২} আমি তোমার দরবারে হাযির, আমি হাযির, সৌভাগ্য তোমার নিকট হইতে, মঙ্গল তোমার হাতেই, আমি তোমার দরবারে হাযির, আমার সকল প্রেরণা আর আমার সকল কর্মে একমাত্র উদ্দেশ্য তুমিই।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭২৩

হিশাম ইবনি উরওয়াহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

হিশাম ইবনি উরওয়াহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে অবস্থিত মসজিদে দুই রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। অতঃপর যখন উষ্ট্রে আরোহণ করিতেন তখন উচ্চঃস্বরে তালবিয়া বা লাব্বায়কা পাঠ করিতেন। [বুখারি ১৫১৪, ঈমাম মুসলিম ইবনি উমার থেকে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন মুসলিম ১১৮৭, তবে ঈমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

৭২৪

সালিম ইবনি আবদুল্লাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

সালিম ইবনি আবদুল্লাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পিতা আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.]-এর নিকট শুনেছেন, তিনি বলেন, এই স্থানটিতে রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ইহরাম বেঁধেছিলেন বলে তোমরা ভুল ধারণা করে থাক। অথচ রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যুল-হুলাইফাস্থ মসজিদের নিকট হইতে লাব্বায়কা বলেছেন। [বুখারি ১৫৪১, মুসলিম ১১৮৬]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭২৫

বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ

উবায়দ ইবনি জুরায়জ [রাহিমাহুল্লাহ] আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.]-কে বলিলেন, হে আবু আবদুর রহমান! এমন একটি বিষয় আপনার মধ্যে দেখিতে পাই যা আপনার অন্যান্য সাথীর মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] বলিলেন, সেগুলো কি ? বলত শুনি। ইবনি জুরায়জ বলিলেন, তাওয়াফের সময় আপনাকে রুকনে ইয়্যামানী এবং হাজরে আসওয়াদই কেবল ছুঁতে দেখা যায়, লোমশূন্য চামড়ার জুতা আপনি পরিধান করে থাকেন, আপনি হলুদ রঙের খেজাব ব্যবহার করেন, মক্কায় অবস্থান করলে আপনি যিলহজ্জ মাসের আট তারিখে ইহরাম বেঁধে থাকেন অথচ অন্যরা চাঁদ দেখামাত্র ইহরাম বেঁধে নেন। আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] জবাবে বলিলেন, রুকনে ইয়্যামানী ও হাজরে আসওয়াদ ব্যতীত অন্য কোন রুকন স্পর্শ করিতে আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে দেখিনি। লোমশূন্য জুতা পরতেও রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে দেখেছি এবং সে জুতা পরিধান করা অবস্থায় তিনি ওযূও করিতেন। তাই উহা পরতে আমার ভাল লাগে। হলুদ রঙের খেজাবও রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে ব্যবহার করিতে দেখেছি তাই আমার তা ভাল লাগে। আর ইহরাম সম্বন্ধে আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]কে দেখেছি যতক্ষণ তাহাকে নিয়ে যাত্রার জন্য উট্ না দাঁড়াত ততক্ষণ তিনি তালবিয়া পড়তেন না। [সহীহ, বুখারি ১৬৬, মুসলিম ১১৮৭]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭২৬

নাফি [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] যুল-হুলায়ফাস্থ মসজিদে নামাজ পড়ে বের হইতেন, পরে উটে আরোহণ করে ইহরাম বাঁধতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭২৭

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আবদুল মালিক ইবনি মারওয়ান {১} [রাহিমাহুল্লাহ] যুল-হুলায়ফার মসজিদ হইতে উট যখন সোজা হয়ে দাঁড়াত তখন তালবিয়া পড়েছিলেন। আবান ইবনি উসমান [রাহিমাহুল্লাহ] তাহাকে তদ্রূপ করিতে বলেছেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} আবদুল মালিক ইবনি মারওয়ান [জন্ম ২৬ হিজরী, মৃত্যু ৮৬ হিজরী] ঃ মুআবিয়ার শাসনকালে তিনি মদীনার শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ১০ – উচ্চস্বরে লাব্বায়কা বলা

৭২৮

খাল্লাদ ইবনি সায়িব আনসারী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

খাল্লাদ ইবনি সায়িব আনসারী [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, জিবরাঈল [আ] এসে আমাকে নির্দেশ দিয়ে গেলেন আমার সঙ্গীদের যেন উচ্চৈঃস্বরে লাব্বায়কা বলার নির্দেশ দেই। [সহীহ, আবু দাঊদ ১৮১৪, তিরমিজি ৮২৯, নাসাঈ ২৭৫৩, ইবনি মাজাহ ২৯২২, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন {সহীহ আল-জামে ৬২}]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭২৯

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

বিজ্ঞ আলিমগণের নিকট শুনিয়াছি, তাঁরা বলিতেন, উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা মহিলাদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। মহিলাগণ আস্তে পড়িবেন যেন কেবল নিজেরাই আওয়ায শুনতে পান।

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মসজিদের ভিতরে তালবিয়ার আওয়ায খুব বেশি উঁচু করিবে না। বরং এতটুকু শব্দে পড়িবে যেন নিজে এবং পাশের লোকটি কেবল শুনতে পায়। তবে মিনা মসজিদ এবং মসজিদুল হারামে উচ্চৈঃস্বরে লাব্বায়কা পাঠ করিবে।

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, কতিপয় আলিমের নিকট শুনিয়াছি, প্রত্যেক নামাযের পর এবং চড়াই উতরাই-এর সময় লাব্বায়কা পাঠ করা মুস্তাহাব।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ১১ – হজ্জে ইফরাদ

৭৩০

নাবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিনী আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

[হাজ্জাতুল বিদা] বিদায় হজ্জের সময় আমরা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সাথে রওয়ানা হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ শুধু উমরার, আর কেউ কেউ উমরা ও হজ্জ উভয়ের, আর কেউ শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন। রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] নিজে বেঁধেছিলেন শুধু হজ্জের ইহরাম। সুতরাং যারা শুধু উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা উমরা করেই ইহরাম খুলে ফেলেছেন। আর যাঁরা হজ্জ ও উমরা উভয়ের বা শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা দশ তারিখ পর্যন্ত আর ইহরাম খুলেননি। [বুখারি ১৫৬২, মুসলিম ১২১১]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭৩১

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হজ্জে ইফরাদ আদায় করেছিলেন। {১} [সহীহ, মুসিলম ১২১১]

{১} ইহরামের সময় শুধু হজ্জের নিয়ত করলে একে হজ্জে ইফরাদ বলা হয়। একই সফরে মীকাত হইতে কেবল উমরার নিয়ত করে উমরা করার পর মক্কা হইতে পুনরায় হজ্জের ইহরাম বাঁধাকে হজ্জে তামাত্ত বলা হয়। মীকাত হইতে উমরা ও হজ্জ উভয়ের নিয়ত করলে তাকে হজ্জে কিরান বলা হয়।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭৩২

উরওয়াহ্ ইবনি যুবায়র উম্মুল মুমিনীর আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হজ্জে-ইফরাদ আদায় করিয়াছেন। [সহীহ, হাদীসটি মূলত মুত্তাফাক আলাইহি, ইতি পূর্বে এরূপ বর্ণনা অতিবাহিত হয়েছে]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

৭৩৩

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

বিজ্ঞ আলিমগণের নিকট শুনিয়াছি, তাঁরা বলিতেন কেউ হজ্জের ইফরাদের ইহরাম করলে তার জন্য উমরার ইহরাম বাঁধা জায়েয নয়।

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আমি এই শহরের [মদীনা শরীফ] আলিমগণকে উক্তরূপ অভিমত পোষণ করিতে দেখেছি।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ১২ – হজ্জে কিরান

৭৩৪

জাফর ইবনি মুহাম্মদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

জাফর ইবনি মুহাম্মদ [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন মিকদাদ ইব্‌নু আসওয়াদ [রাদি.] সুক্ইয়াতে {১} আলী ইবনি আবু তালিব [রাদি.]-এর নিকট আসলেন। আলী [রাদি.] তখন উটের বাচ্চাগুলোকে পানিতে গোলা আটা এবং ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। মিকদাদ [রাদি.] বলিলেন, উসমান ইবনি আফফান [রাদি.] হজ্জে কিরান করিতে নিষেধ করিতেছেন। এটা শুনে আলী [রাদি.] ঐ অবস্থায়ই উসমান ইবনি আফফান [রাদি.]-এর সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেন। তখনও তাঁর হাতে আটা লেগেছিল। আজ পর্যন্ত আমি তাঁর হাতের আটার দাগ ভুলতে পারিনি। তিনি উসমান [রাদি.]-এর নিকট গিয়ে বলিলেন, আপনি হজ্জে কিরান নিষেধ করেন ? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, এটা আমার মত। আলী [রাদি.] ক্রোধান্বিত হয়ে বের হয়ে গেলেন এবং বলিলেন,

لَبَّيْكَ اللهُمَّ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا.

হে আল্লাহ্, আমি হজ্জ ও উমরা উভয়ের এক সঙ্গে তালবিয়া পাঠ করলাম। {২} [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, হজ্জে কিরানের ইহরামকারী ব্যক্তি দশ তারিখে কুরবানীর পশু যবেহ না করা [তার সঙ্গে পশু هَدْيً থাকলে] এবং মিনায় গিয়ে ইহরাম না খোলা পর্যন্ত নিজের চুল কাটবে না। এবং ইহরাম অবস্থায় যা নিষিদ্ধ তা করিবে না। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} এটা মক্কার পথে অবস্থিত একটি জনবসতি।

{২} নাসাঈ শরীফের এক বর্ণনায় জানা যায়, উসমান [রাদি.] পরে তাঁর এ মত প্রত্যাহার করে হজ্জে কিরানকে জায়েয বলে মত প্রকাশ করেছিলেন। অতঃপর সঙ্গিগণের দিকে লক্ষ করে বলেছিলেন, হজ্জ ও উমরার হুকুম একই। তোমাদেরকে আমি সাক্ষ্য রাখছি যে, উমরার সঙ্গে সঙ্গে আমি এখন হজ্জেরও নিয়ত করলাম।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭৩৫

সুলায়মান ইবনি ইয়াসার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের সময় রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হজ্জের উদ্দেশ্যে যখন রওয়ানা হন তখন সাহাবীদের মধ্যে কেউ কেউ কেবল হজ্জের, আর কেউ কেউ হজ্জ ও উমরা উভয়ের, আর কেউ কেউ কেবল উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন। যাঁরা হজ্জ ও উমরা উভয়ের বা কেবল হজ্জের নিয়ত করেছিলেন, তাঁরা ইহরাম খোলেননি, আর যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা উমরা আদায় করে ইহরাম খুলে ফেলেছিলেন। [হাদীসটি পূর্বে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করা হয়েছে। ইবনি উমার [রাদি.] থেকে ঈমাম বুখারি বর্ণনা করেন ১৮০৬, মুসলিম ১২৩০, আর রসূল এর বাণী ==== অত্র অংশ ঈমাম বুখারি ১৫৫৬ নং হাদীসে ঈমাম মুসলিম ১২১১, নং হাদীস বর্ণনা করেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

৭৩৬

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] কতিপয় বিজ্ঞ আলিমের কাছে শুনেছেন, তাঁরা বলেন, কেউ প্রথমে কেবল উমরার ইহরাম বাঁধল, পরে সে যদি উমরার সাথে হজ্জেরও ইহরাম বাঁধতে চায় তবে তাওয়াফ ও সায়ী বায়নাস্-সাফা ওয়াল মারওয়ার [সাফা ও মারওয়ার পর্বতদ্বয়ের মধ্যবর্তী নির্দিষ্ট দৌড়ান] পূর্ব পর্যন্ত তা পারে। আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাহিমাহুল্লাহ] তাই করেছিলেন। তিনি একবার বলেছিলেন যদি বায়তুল্লাহ্ পৌঁছাতে বাধাপ্রাপ্ত হই তবে রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ইহরাম অবস্থায় যা করেছিলেন আমিও তাই করব।

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, বিদায় হজ্জের সময় রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সাহাবীগণ উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন। পরে রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাঁদেরকে বলিলেন, যাদের সাথে কুরবানীর পশু রয়েছে তারা এই সাথে হজ্জের ইহরামও বেঁধে নেবে। অতঃপর একত্রে ইহরাম খুলবে। [মাওসুল, ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীস রয়েছে বুখারিতে ১৮০৬, মুসলিম ১২৩০]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

পরিচ্ছেদঃ ১৩ – তালবীয়া [লাব্বায়কা] মওকুফ করার সময়

৭৩৭

বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ

মুহাম্মদ ইবনি আবু বক্‌র সাকাফী [রাহিমাহুল্লাহ] আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-এর সাথে মিনা হইতে আরাফাত ময়দানের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি আনাস [রাদি.]-কে বলিলেন, আজকের দিনে আপনারা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সাথে কি ধরনের আমল করিতেন ? আনাস [রাদি.] বলিলেন, কেউ কেউ উচ্চৈঃস্বরে লাব্বায়কা বলিতেন, কেউ বা আল্লাহু আকবার বলিতে থাকতেন। অথচ কেউ কাউকেও নিষেধ করিতেন না। [বুখারি ১৬৫৯, মুসলিম ১২৮৫]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭৩৮

জাফর ইবনি মুহাম্মদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

জাফর ইবনি মুহাম্মদ [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন আলী ইবনি আবি তালিব [রাদি.] হজ্জের সময় উচ্চৈঃস্বরে লাব্বায়কা বলিতে থাকতেন। তবে আরাফাতের দিন সূর্য যখন হেলে পড়ত তখন লাব্বায়কা বলা মওকুফ করে দিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭৩৯

বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ]-এর স্ত্রী আয়েশা [রাদি.] যখন আরাফাতের দিকে যাত্রা করিতেন, তখন লাব্বায়কা বলা বন্ধ করে দিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭৪০

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হারাম শরীফে তাওয়াফ ও সায়ী করে লাব্বায়কা মওকুফ করে দিতেন। পরে আবার লাব্বায়কা বলা শুরু করিতেন এবং মিনা হইতে সকালে আরাফাত যাত্রার সময় পর্যন্ত তা পাঠ করিতেন। আরাফাতের যাত্রার সময় তিনি তা পুনরায় বন্ধ করিতেন। উমরার বেলায় হারাম শরীফে প্রবেশ করেই লাব্বায়কা বলা বন্ধ করে দিতেন। [বুখারি ১৫৭৩, মুসলিম ১২৫৯]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭৪১

ইবনি শিহাব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

তাওয়াফ করার সময় আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাহিমাহুল্লাহ] লাব্বায়কা বলিতেন না। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭৪২

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আরাফাত ময়দানে প্রথমে নামিরা নামক স্থানে অবস্থান করিতেন, পরে আরাক নামক স্থানে অবস্থান করা শুরু করেন। আয়েশা [রাদি.] যতক্ষণ মনযিলে অবস্থান করিতেন ততক্ষণ তিনি ও তাঁর সঙ্গীগণ লাব্বায়কা পাঠ করিতে থাকতেন। যখন আরাফাতের দিকে যাত্রার জন্য সওয়ার হইতেন তখন উহা বন্ধ করে দিতেন। আয়েশা [রাদি.] প্রথমে হজ্জের পর যিলহজ্জ মাসেই মক্কা হইতে ইহরাম বেঁধে উমরা করিতেন, পরে উহা ত্যাগ করে মুহাররম মাসের চাঁদ দেখার পূর্বে জুহফা এসে অবস্থান করিতেন এবং মুহাররম মাসের চাঁদ উঠলে উমরার ইহরাম বাঁধতেন। {২} [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} হজ্জের মাসসমূহে উমরা না করে অন্য মাসে উমরা করা আফজল, তাই তিনি পরে এরূপ করিতে শুরু করেন।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭৪৩

ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

উমার ইবনি আবদুল আযীয [রাহিমাহুল্লাহ] যিলহজ্জ মাসের নবম তারিখ মিনা হইতে সকালে আরাফাত ময়দানের দিকে যাত্রা করার সময় আল্লাহু আকবার বলার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তখন তিনি কতিপয় সিপাহীকে এ কথা ঘোষণা করিতে নির্দেশ দিলেন যে, এখনই লাব্বায়কা পাঠ করার সময়। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ১৪ -মক্কাবাসী এবং মক্কায় অবস্থানকারী বহিরাগত লোকদের ইহরাম

৭৪৪

আবদুর রহমান ইবনি কাসিম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুর রহমান ইবনি কাসিম [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] মক্কাবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে মক্কাবাসী! অন্যান্য মানুষ এই সময় উষ্কখুষ্ক চুল ও অপরিপাটি অবস্থায় এখানে আগমন করে, আর তোমরা চুলের তেল মর্দন করে পরিপাটি হয়ে থাক। যিলহজ্জের চাঁদ উঠলে তোমরাও ইহরাম বেঁধে নিও। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭৪৫

হিশাম ইবনি উরওয়াহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

হিশাম ইবনি উরওয়াহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ্ ইবনি যুবায়র [রাদি.] নয় বৎসর মক্কায় ছিলেন। যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা গেলেই তিনি ইহরাম বেঁধে নিতেন। উরওয়াহ্ও তদ্রূপ করিতেন।

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মক্কাবাসী এবং মক্কায় অবস্থানরত অন্যান্য স্থানের বাসিন্দাগণ হারাম শরীফ হইতেই ইহরাম বাঁধবে।

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মক্কা হইতে যারা ইহরাম বাঁধবে তারা মিনা হইতে ঘুরে না আসা পর্যন্ত তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিবে না। আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.]-ও তদ্রূপ করেছিলেন।

ইয়াহ্ইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করা হল মদীনাবাসী এবং মক্কার বাহিরের কোন লোক যদি মক্কায় অবস্থান কালে মক্কা হইতে যিলহজ্জ মাসে ইহরাম বাঁধে তবে তাওয়াফে যিয়ারত সম্পর্কে কি করিবে? তিনি বলিলেন, তাওয়াফে ইফাযা বা তাওয়াফে যিয়ারত তখন করিবে না। নফল তাওয়াফ যত ইচ্ছা তত করিতে পারে। তবে প্রতি তাওয়াফের পর দুই রাকআত নামাজ পড়ে নিবে। যে সকল সাহাবী মক্কা হইতে ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরাও তদ্রূপ করেছিলেন। তাঁরা মিনা হইতে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাওয়াফ ও সায়ী করেননি। আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.]-ও তাই করিতেন। যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর তিনি মক্কা হইতে ইহরাম বাঁধতেন এবং মিনা হইতে ঘুরে না আসা পর্যন্ত তিনি তাওয়াফ ও সায়ী করিতেন না।

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে মক্কাবাসী কোন ব্যক্তি উমরার জন্য ইহরাম কোথা হইতে বাঁধবে তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হারাম শরীফ হইতে উমরার ইহরাম বাঁধা মক্কাবাসীদের জন্য জায়েয নয়। তারা হারামের বাহির হইতে ইহরাম বেঁধে আসবে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ১৫ – হাদ্‌য়ী-র গলায় কিছু লটকালেই কেউ মুহরিম হয়ে যায় না

৭৪৬

আমরা বিনত আবদুর রহমান [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

যিয়াদ ইবনি আবু সুফইয়ান নাবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিনী আয়েশা [রাদি.]-এর নিকট চিঠি লিখলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন, যবেহ না হওয়া পর্যন্ত কুরবানীর উদ্দেশ্যে মক্কায় পশু প্রেরণকারীর উপর ইহরাম পালনরত ব্যক্তির মত সকল জিনিস হারাম হয়ে যায়। আমি আপনার নিকট পশু {১} [হাদ্‌য়ী] প্রেরণ করলাম। আশা করি, উক্ত পশুর সাথে প্রেরিত ব্যক্তির নিকট অথবা পত্রযোগে আমাকে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ফতওয়া জানাবেন। আমরা বলেন, আয়েশা [রাদি.] বলিলেন, ইবনি আব্বাস [রাদি.] যা বলেছেন তা ঠিক নয়। আমি নিজের হাতে রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কর্তৃক প্রেরিত পশুর রশি পাকিয়েছিলাম। রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] নিজে তা উহার গলায় পরিয়ে আমার পিতার সাথে উহা মক্কায় প্রেরণ করেছিলেন। অথচ উক্ত পশুটি যবেহ হওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যেও কোন হালাল জিনিস রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর জন্য হারাম হয়নি। [বুখারি ১৭০০, মুসলিম ১৩২১]

{১} কুরবানীর উদ্দেশ্যে মক্কায় যে সমস্ত পশু প্রেরণ করা হয় উহাকে হাদয়ী বলে। নিদর্শন হিসেবে হাদয়ী গলায় হাড়, চামড়া ইত্যাদি লটকানকে তাকলীদ বলা হয়।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭৪৭

ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আমরা বিনত আবদুর রহমান [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করলাম যদি কেউ মক্কায় হাদয়ী বা কুরবানীর উদ্দেশ্যে পশু প্রেরণ করে কিন্তু নিজে সঙ্গে না যায় তবে তার উপরও কি কোন বিষয় হারাম হইবে ?

তিনি বলিলেন, আমি আয়েশা [রাদি.]-এর কাছে শুনিয়াছি, তিনি বলিতেন, যে ব্যক্তি ইহরাম বেঁধেছে এবং লাব্বায়কা পাঠ করেছে কেবল তাকেই মুহরিম বলা যায়। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৭৪৮

বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ

রবীআ ইবনি আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু হুদায়র [রাহিমাহুল্লাহ] একবার ইরাকে এক ব্যক্তিকে সেলাইবিহীন কাপড় পরিহিত দেখে জানতে পারলেন যে, এই ব্যক্তি কুরবানীর উদ্দেশ্যে মক্কায় প্রেরিত পশুর গলায় হাড় লটকিয়ে দিয়েছে। তাই সে সেলাইযুক্ত কাপড় খুলে ফেলেছে। রবীআ বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনি যুবায়র [রাদি.]-এর সাথে সাক্ষাৎ করে এই ঘটনা তাহাকে জানালে তিনি বলিলেন, কাবার মালিকের কসম, উহা বিদআত [উহা ঠিক নয়]।

ইয়হইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করা হল এক ব্যক্তি নিজে কুরবানীর পশু নিয়ে ঘর হইতে বের হল, নিজে তা ইশ্আর {১} করে যুল-হুলায়ফায় উহার গলায় হাড় লটকাল; কিন্তু জুহফায় গিয়ে সে ইহরাম বাঁধল। ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কি বলেন, তিনি বলিলেন, তার জন্য এটা ঠিক হয়নি। নিজে ইহরাম বেঁধে ইশ্আর ও তাকলীদ করা তার উচিত ছিল। যে ব্যক্তি পশুর সাথে নিজে যেতে না চায় বরং বাড়িতে থাকতে চায়, সে ইহরাম না বেঁধেই তা পাঠিয়ে দেবে।

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করা হল ইহরাম না বেঁধে কেউ হাদয়ী বা মক্কায় প্রেরিতব্য কুরবানী পশু নিয়ে বের হইতে পারবে কি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, এতে দোষের কিছু নেই।

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করা হল কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বা হাড় পরিয়ে মক্কায় পাঠিয়ে দিলে ঐ পশুর মালিক কি মুহরিম গণ্য হইবে এই বিষয়ে আলিমগণের মতপার্থক্য রয়েছে। আপনার কি মত ? তিনি বলিলেন, এই বিষয়ে আমি উম্মুল মুমিনীন আয়েশা [রাদি.] বর্ণিত হাদীসটি গ্রহণ করে থাকি।

আয়েশা [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মক্কায় কুরবানীর পশু প্রেরণ করেছিলেন, কিন্তু নিজে যাননি অথচ কোন জিনিস তাঁর জন্য হারাম হয়নি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জন্য হালাল করিয়াছেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} উটের কোহানের চামড়া কেটে উহা রক্তাক্ত করার নাম ইশ্আর। ইহা নিদর্শন হিসেবে করা হত।

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদঃ ১৬ -হজ্জ পালনরত অবস্থায় কোন মহিলা যদি ঋতুমতী হয় তবে সে কি করিবে

৭৪৯

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, হজ্জ বা উমরার ইহরাম বাঁধার পর কোন মহিলার যদি হায়েয হয় তবে [এতে তার ইহরাম, বিনষ্ট হইবে না] সে যতদিন ইচ্ছা লাব্বায়কা বলিতে পারবে। তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী সে করিবে না। বাকি আমলসমূহ অন্যদের মতই করে যাবে। পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাওয়াফ, সায়ী এবং মসজিদে যাওয়া তার জন্য নিষিদ্ধ। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

হজ্জ করার পদ্ধতি -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়


by

Comments

Leave a Reply