হজ্জের মিকাত সমূহ ইয়ামেনবাসী, ইরাকবাসী ও অন্যান্য দেশের জন্য
হজ্জের মিকাত সমূহ ইয়ামেনবাসী, ইরাকবাসী ও অন্যান্য দেশের জন্য >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ২৫, হজ্জ, অধ্যায়ঃ (১২-১৬)=৫টি
২৫/১২. অধ্যায়ঃ ইয়ামেনবাসীদের মীকাত
২৫/১৩. অধ্যায়ঃ যাতু ইরক হল ইরাকবাসীদের মীকাত
২৫/১৪. অধ্যায়ঃ যুল-হুলাইফায় সালাত
২৫/১৫ অধ্যায়ঃ ( হজ্জের সফরে) শাজারা- এর রাস্তা দিয়ে নাবী (সাঃআঃ) এর মদীনা হইতে গমন
২৫/১৬. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) এর বানীঃ আকীক বরকতপুর্ণ উপত্যকা।
২৫/১২. অধ্যায়ঃ ইয়ামেনবাসীদের মীকাত
১৫৩০. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুযায়ফাহ, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নাজদবাসীদের জন্য ক্বারনুল-মানাযিল ও ইয়ামেনবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম মীকাত নির্ধারন করিয়াছেন। [৫১] উক্ত মীকাতসমূহ হজ্জ ও উমরাহর উদ্দেশ্যে আগমনকারী সে স্থানের অধীবাসীদের জন্য এবং অন্য কোন এলাকার লোক ঐ সীমা দিয়ে অতিক্রম করিবে তাদের জন্যও। এছাড়াও যারা মীকাতের ভিতরের অধিবাসী তারা যেখান হইতে সফর আরম্ভ করিবে সেখান হইতেই (ইহরাম আরম্ভ করিবে) এমন কি মক্কাবাসীগন মক্কা হইতেই। (১৫২৪)
(আঃপ্রঃ ১৪৩০, ইঃফাঃ ১৪৩৬) [৫১] ১। (আরবি) ইয়ালামলাম। এটি ইয়েমানবাসী এবং ওই পথ যারা অতিক্রম করিবে তাদের মীকাত। (এটিই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান হইতে আগত হজ্জযাত্রীদের মিকাত। ইয়ালামলাম একটি পর্বতের নাম- সমুদ্র হইতে দেখা যায় না। জাহাজ তার বরাবর আসার প্রাক্বালে জাহাজের কাপ্তান বা হজ্জযাত্রীদের আমীরগণ তা জানিয়ে দেন) ২। “যাতু ইরক্ব” মূলত নাবী (সাঃআঃ) ইরাকবাসীদের জন্য নির্ধারিত করেছিলেন। যেমনটি আবু দাউদ হাদীস ১৭৩৯, নাসায়ী হজ্জ অধ্যায় প্রভৃতি গ্রন্থে বিশুদ্ধ হাদীস এসেছে [এটা সহীহ মুসলিমের হাদীস ১১৮৩- এসেছে তবে রাবীর সন্দেহ আছে এটা হাদীস হওয়ার ব্যাপারে] কিন্তু উমর (রাদি.) এর এটা নাবী (সাঃআঃ) এর জানা ছিল না বিধায় তিনি ইজতিহাদ করে তা নির্ধারণ করেন যা নাবী (সাঃআঃ) এর হাদীস ভিত্তিক হয়ে যায়। আর এ কথা সর্বজনবিদিত যে, তাহাঁর অনেক ইজতিহাদী বিধান কুরআন ও হাদীসের অনুকূল হত। অতএব উভয় প্রকার হাদীসে কোন দ্বন্দ নেই।
২৫/১৩. অধ্যায়ঃ যাতু ইরক হল ইরাকবাসীদের মীকাত
১৫৩১. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন এ শহর দুটি (কূফা ও বস্রা) বিজিত হলো, তখন সে স্থানের লোকগণ উমর (রাদি.) এর নিকট এসে নিবেদন করলো, হে আমীরুল মুমিনীন ! আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) নাজদবাসীগণের জন্য (মীকাত হিসেবে) সীমা নির্ধারন করে দিয়েছেন ক্বারণ, কিন্তু তা আমাদের পথ হইতে দূরে। কাজেই আমরা ক্বারণ-সীমা অতিক্রম করিতে চাইলে তা হইবে আমদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। উমর (রাদি.) বলিলেন, তা হলে তোমরা লক্ষ্য কর তোমাদের পথে ক্বারণ-এর সম-দূরত্বরেখা কোন স্থানটি? অতঃপর “যাতু ইরক্ব” মীকাতরূপে নির্ধারন করিয়াছেন।
(আঃপ্রঃ ১৪৩১, ইঃফাঃ ১৪৩৭)
২৫/১৪. অধ্যায়ঃ যুল-হুলাইফায় সালাত
১৫৩২. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) যুল-হূলায়ফাহর বাতহা নামক উপত্যকায় উট বসিয়ে সালাত আদায় করেন। (রাবী নাফি বলেন) ইবনু উমর (রাদি.) তাই করিতেন। (৪৮৪, মুসলিম ১৫/৩৭, হাদীস ১২৫৭, আহমাদ ৪৮৪৩)
(আঃপ্রঃ ১৪৩২, ইঃফাঃ ১৪৩৮)
২৫/১৫ অধ্যায়ঃ ( হজ্জের সফরে) শাজারা- এর রাস্তা দিয়ে নাবী (সাঃআঃ) এর মদীনা হইতে গমন
১৫৩৩. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) (হজ্জের সফরে) শাজারা নামক পথ দিয়ে গমন করিতেন এবং মুআররাস নামক পথ দিয়ে (মদীনায়) প্রবেশ করিতেন। ফিরার পথে যুল-হুলায়ফাহর বাতনুল-ওয়াদিতে সালাত আদায় করিতেন এবং সেখানে সকাল পর্যন্ত রাত যাপন করিতেন। (৪৮৪)
(আঃপ্রঃ ১৪৩৩, ইঃফাঃ ১৪৩৯)
২৫/১৬. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) এর বানীঃ আকীক বরকতপুর্ণ উপত্যকা।
১৫৩৪.উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আকীক উপত্যকায় অবস্থানকালে আমি নাবী (সাঃআঃ) কে বলিতে শুনেছিঃ আজ রাতে আমার প্রতিপালকের পক্ষ হইতে একজন আগন্তুক আমার নিকট এসে বলিলেন, আপনি এই বরকতময় উপত্যকায় সালাত আদায় করুন এবং বলুন, (আমার এ ইহরাম) হজ্জের সাথে উমরাহরও। (২৩৩৭, ৭৩৪৩)
(আঃপ্রঃ ১৪৩৪, ইঃফাঃ ১৪৪০)
১৫৩৫. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) সূত্রে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
যুল-হুলায়ফাহ (আকীক) উপত্যকায় রাত যাপনকালে তাঁকে স্বপ্নযোগে বলা হয়, আপনি বরকতময় উপত্যকায় অবস্থান করছেন। [রাবি মূসা ইবনু উকবা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন] সালিম (রহ।) আমাদেরকে সাথে নিয়ে উট বসিয়ে ঐ উট বসবার স্থানটির খোঁজ করেন, যেখানে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) উট বসিয়ে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) এর রাত যাপনের স্থানটি খোঁজ করিতেন। সে স্থানটি উপত্যকায় মাসজিদের নীচু জায়গায় অবতরণকারীদের ও রাস্তার একেবারে মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।
(১৭৮৯, ১৮৪৭, ৪৩২৯, ৪৯৮৫, মুসলিম ১৫/৭৭, হাদীস ১৩৪৬) (আঃপ্রঃ ১৪৩৫, ইঃফাঃ ১৪৪১)
Leave a Reply