হজ্জের মিকাত সমূহের বর্ণনা

হজ্জের মিকাত সমূহের বর্ণনা

হজ্জের মিকাত সমূহের বর্ণনা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২. অধ্যায়ঃ হজ্জের মিকাত সমূহের বর্ণনা

২৬৯৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মাদীনাবাসীদের জন্য যুল হুলায়ফাহ্, সিরিয়ার অধিবাসীদের জন্য আল জুহফাহ্, নাজদবাসীদের জন্য ক্বারনুল মানাযিল, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলামকে মিকাত হিসেবে নির্ধারণ করিয়াছেন। তিনি আরো বলেন, এগুলো ঐসব এলাকার লোকদের মিকাত এবং এর বাইরের যে সব লোক হজ্জ ও উমরার উদ্দেশে ঐসব এলাকা হয়ে আসবে, তাদের মিকাত। আর যেসব লোক উল্লিখিত মিকাতসমূহের অভ্যন্তরে বসবাস করে, তারা স্বস্থান থেকে ইহরাম বাঁধবে, এভাবে যারা আরো ভিতরে, তারা সে স্থান হইতে। এমনকি মাক্কাবাসীগণ মাক্কাহ্ থেকে তালবিয়াহ্ পাঠ করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭০, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৬৯]

২৬৯৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মাদীনার অধিবাসীদের জন্য যুল হুলায়ফাহ্, সিরিয়ার অধিবাসীদের জন্য আল-জুহফাহ্, নাজদবাসীদের জন্য ক্বারনুল মানাযিল এবং ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলামকে মিকাত নির্ধারত করিয়াছেন। তিনি আরও বলেছেন, এগুলো উল্লেখিত এলাকার লোকদের মিকাত এবং বাইরের যেসব লোক হজ্জ ও উমরার উদ্দেশে ঐ সব এলাকা হয়ে আসবে, তাদের মিকাত। আর যেসব লোক মীকাতের অভ্যন্তরে বসবাস করে, তারা যে স্থান থেকে ইহরাম বাঁধতে ইচ্ছা করে, সে স্থান হইতে। এমনকি মাক্কাবাসীগণ মাক্কাহ্ থেকে ইহরাম বাঁধবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭১, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭০]

২৬৯৫. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন: মাদীনাবাসীগণ যুল হুলায়ফাহ্ থেকে, সিরিয়াবাসীগণ আল জুহফাহ্ থেকে এবং নাজদবাসীগণ ক্বারনুল থেকে ইহরাম বাঁধবে।

আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, আমার কাছে খবর পৌছেছে যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন: ইয়ামানবাসীগণ ইয়ালামলাম থেকে ইহরাম বাঁধবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭২, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭১]

২৬৯৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে বলিতে শুনেছি, মাদীনাবাসীদের মুহাল [মিকাত] যুল হুলায়ফাহ্, সিরিয়াবাসীদের মুহাল মাহ্ইয়াআহ্ [মুহাইআহ্] অর্থাৎ আল জুহফাহ্ এবং নাজদবাসীদের মুহাল ক্বারন।

আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] বলেন, লোকেরা বলেন: রসুলূল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, ইয়ামানবাসীদের মুহাল ইয়ালামলাম, কিন্তু আমি তা তাহাঁর নিকট থেকে শুনিনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭৩]

২৬৯৭. ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি ইবনি উমর [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মাদীনাবাসীদের যুল হুলায়ফাহ্ থেকে, সিরিয়ার অধিবাসীদেরকে আল জুহফাহ্ থেকে এবং নাজদবাসীদেরকে ক্বারন থেকে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] বলেন, আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, তিনি আরও বলেছেন, ইয়ামানবাসীগণ ইয়ালামলাম্ থেকে ইহরাম বাঁধবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭২]

২৬৯৮. সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন, মাদীনাবাসীগণ যুল হুলায়ফাহ্ থেকে এবং সিরিয়াবাসীগণ আল-জুহফাহ থেকে, নাজদবাসীগণ ক্বারন থেকে ইহরাম বাঁধবে।

ইবনি উমর [রাদি.] বলেন, আমার নিকট উল্লেখ করা হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আরও বলেছেন, “ইয়ামানবাসীগণ ইয়ালামলাম্ থেকে ইহরাম বাঁধবে” কিন্তু এ কথা আমি  তাহাঁর নিকট থেকে শুনিনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭৪]

২৬৯৯. আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর নিকট মুহাল স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিতে শুনেছেন। এরপর তিনি হাদীসটি শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন। আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি মনে করি যে, জাবির [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর নিকট থেকে  এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭৫]

২৭০০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে মুহাল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তার জওয়াবে আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাঁকে বলিতে শুনেছেন, আমি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে বলিতে শুনেছি [রাবীর ধারণায় তিনি এ হাদীস তাহাঁর সাথে সংযুক্ত করিয়াছেন] : মাদীনাবাসীদের মুহাল যুল হুলায়ফাহ্, অপর একটি পথ হচ্ছে আল জুহফাহ্, ইরাকবাসীদের মুহাল হচ্ছে যাতু ইরাক্ব, নাজদবাসীদের মুহাল হচ্ছে ক্বারন এবং ইয়ামানবাসীদের মুহাল হচ্ছে ইয়ালামলাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭৬]


Posted

in

by

Comments

One response to “হজ্জের মিকাত সমূহের বর্ণনা”

Leave a Reply