স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত – রিয়াদুস সালেহীন
স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত – রিয়াদুস সালেহীন >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ৩৪ : স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ ﴾ [النساء: ١٩]
অর্থাৎ “তোমরা তাহাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন কর।” [সূরা নিসা ১৯ আয়াত]
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَلَن تَسۡتَطِيعُوٓاْ أَن تَعۡدِلُواْ بَيۡنَ ٱلنِّسَآءِ وَلَوۡ حَرَصۡتُمۡۖ فَلَا تَمِيلُواْ كُلَّ ٱلۡمَيۡلِ فَتَذَرُوهَا كَٱلۡمُعَلَّقَةِۚ وَإِن تُصۡلِحُواْ وَتَتَّقُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١٢٩ ﴾ [النساء: ١٢٩]
অর্থাৎ “তোমরা যতই সাগ্রহে চেষ্টা কর না কেন, স্ত্রীদের প্রতি সমান ভালোবাসা তোমরা কখনই রাখতে পারবে না। তবে তোমরা কোন এক জনের দিকে সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকে পড়ো না এবং অপরকে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেড়ে দিও না। আর যদি তোমরা নিজেদের সংশোধন কর ও সংযমী হও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা নিসা ১২৯ আয়াত]
1/278. وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: «اسْتَوْصُوا بالنِّسَاءِ خَيْراً ؛ فَإِنَّ المَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلعٍ، وَإنَّ أعْوَجَ مَا في الضِّلَعِ أعْلاهُ، فَإنْ ذَهَبتَ تُقيمُهُ كَسَرْتَهُ، وَإنْ تَرَكْتَهُ، لَمْ يَزَلْ أعْوجَ، فَاسْتَوصُوا بالنِّساءِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وفي رواية في الصحيحين: «المَرأةُ كالضِّلَعِ إنْ أقَمْتَهَا كَسَرْتَهَا، وَإن اسْتَمتَعْتَ بِهَا، اسْتَمتَعْتَ وفِيهَا عوَجٌ».
وفي رواية لمسلم: «إنَّ المَرأةَ خُلِقَت مِنْ ضِلَع، لَنْ تَسْتَقِيمَ لَكَ عَلَى طَريقة، فإن اسْتَمْتَعْتَ بِهَا اسْتَمْتَعْتَ بِهَا وَفيهَا عوَجٌ، وإنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهَا كَسَرْتَها، وَكَسْرُهَا طَلاَقُهَا».
১/২৭৮। আবু হুরায়রা রাঃআঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের [বাঁকা] হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করিতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।’’ [বুখারী ও মুসলিম] [1]
বুখারী ও মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘মহিলা পাঁজরের হাড়ের মত। যদি তুমি তাকে সোজা করিতে চাও, তবে তুমি তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তুমি তার দ্বারা উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে।’’
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ‘‘মহিলাকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে কখনই একভাবে তোমার জন্য সোজা থাকবে না। এতএব তুমি যদি তার থেকে উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে। আর যদি তুমি তা সোজা করিতে চাও, তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর তাকে ভেঙ্গে ফেলা হল তালাক দেওয়া।’’ [বুখারী ও মুসলিম]
2/279. وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ زَمْعَةَ رضي الله عنه : أنَّهُ سَمِعَ النَّبيَّ ﷺ يَخْطُبُ، وَذَكَرَ النَّاقَةَ وَالَّذِي عَقَرَهَا، فَقَالَ رَسُول اللهِ ﷺ: «﴿ إِذِ ٱنۢبَعَثَ أَشۡقَىٰهَا ١٢ ﴾ [الشمس: ١٢] انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَزيزٌ، عَارِمٌ مَنيعٌ في رَهْطِهِ»، ثُمَّ ذَكَرَ النِّسَاءَ، فَوعَظَ فِيهنَّ، فَقَالَ: «يَعْمِدُ أحَدُكُمْ فَيَجْلِدُ امْرَأتَهُ جَلْدَ العَبْدِ فَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا مِنْ آخِرِ يَومِهِ».ثُمَّ وَعَظَهُمْ في ضَحِكِهمْ مِنَ الضَّرْطَةِ، وَقالَ: «لِمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ ؟!». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
২/২৭৯। আব্দুল্লাহ ইবনি যামআহ রাঃআঃ নবী সাঃআঃ-কে খুৎবাহ দিতে শুনলেন। তিনি [খুৎবার মাধ্যমে] [সালেহ নবীর] উটনী এবং ঐ ব্যক্তির কথা আলোচনা করিলেন, যে ঐ উঁটনীটিকে কেটে ফেলেছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘যখন তাহাদের মধ্যকার সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠল। [সূরা শাম্স ১২ আয়াত] [অর্থাৎ] উঁটনীটিকে মেরে ফেলার জন্য নিজ বংশের মধ্যে এক দুরন্ত চরিত্রহীন প্রভাবশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল।’’ অতঃপর নবী সাঃআঃ মহিলাদের কথা আলোচনা করিলেন এবং তাহাদের ব্যাপারে উপদেশ প্রদান করিলেন। তিনি বলিলেন, ‘‘তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। অতঃপর সম্ভবত দিনের শেষে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। [এরূপ উচিত নয়।]’’ পুনরায় তিনি তাহাদেরকে বাতকর্মের ব্যাপারে হাসতে নিষেধ করিলেন এবং বলিলেন, ‘‘তোমাদের কেউ এমন কাজে কেন হাসে, যে কাজ সে নিজেও করে?’’ [বুখারী ও মুসলিম] [2]
3/280. وعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُول الله ﷺ: «لاَ يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً إنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقاً رَضِيَ مِنْهَا آخَرَ»، أَوْ قَالَ: «غَيْرَهُ»رواه مسلم
৩/২৮০। আবু হুরায়রা রাঃআঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘কোন ঈমানদার পুরুষ যেন কোন ঈমানদার নারী [স্ত্রীকে] ঘৃণা না করে। যদি সে তার একটি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়, তবে অন্য আচরণে সন্তুষ্ট হবে।’’ [মুসলিম] [3]
4/281. وَعَن عَمرِو بنِ الأحوَصِ الجُشَمِي رضي الله عنه : أنَّهُ سَمِعَ النَّبيّ ﷺ في حَجَّةِ الوَدَاعِ يَقُولُ بَعْدَ أنْ حَمِدَ الله تَعَالَى، وَأثْنَى عَلَيهِ وَذَكَّرَ وَوَعظَ، ثُمَّ قَالَ: «ألا وَاسْتَوصُوا بالنِّساءِ خَيْراً، فَإِنَّمَا هُنَّ عَوَانٍ عِنْدَكُمْ لَيْسَ تَمْلِكُونَ مِنْهُنَّ شَيْئاً غَيْرَ ذلِكَ إلاَّ أنْ يَأتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ، فَإنْ فَعَلْنَ فَاهْجُرُوهُنَّ في المَضَاجِع، وَاضْرِبُوهُنَّ ضَرباً غَيْرَ مُبَرِّحٍ، فإنْ أطَعْنَكُمْ فَلا تَبْغُوا عَلَيهنَّ سَبيلاً ؛ ألاَ إنَّ لَكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ حَقّاً، وَلِنِسَائِكُمْ عَلَيْكُمْ حَقّاً ؛ فَحَقُّكُمْ عَلَيهِنَّ أنْ لا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ، وَلا يَأْذَنَّ في بُيُوتِكُمْ لِمَنْ تَكْرَهُونَ ؛ ألاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ في كِسْوَتِهنَّ وَطَعَامِهنَّ»رواه الترمذي، وَقالَ: «حديث حسن صحيح»
৪/২৮১। ‘আমর ইবনি আহ্ওয়াস জুশামী রাঃআঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বিদায় হজ্জে নবী সাঃআঃ-কে বলিতে শুনেছেন, তিনি সর্বপ্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা করিলেন এবং উপদেশ দান ও নসীহত করিলেন। অতঃপর তিনি বলিলেন, ‘‘শোনো! তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার কর। কেননা, তারা তোমাদের নিকট কয়েদী। তোমরা তাহাদের নিকটে এ [শয্যা-সঙ্গিনী হওয়া, নিজের পবিত্রতা রক্ষা করা এবং তোমাদের মালের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি] ছাড়া অন্য কোনও জিনিসের অধিকার রাখ না। হ্যাঁ, সে যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতার কাজ করে [তাহলে তোমরা তাহাদেরকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার রাখ]। সুতরাং তারা যদি এমন কাজ করে, তবে তাহাদেরকে বিছানায় আলাদা ছেড়ে দাও এবং তাহাদেরকে মার। কিন্তু সে মার যেন যন্ত্রণাদায়ক না হয়। অতঃপর তারা যদি তোমাদের অনুগত হয়ে যায়, তবে তাহাদের জন্য অন্য কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। মনে রেখ, তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার রয়েছে, অনুরূপ তোমাদের উপর তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। তোমাদের অধিকার হল, তারা যেন তোমাদের বিছানায় ঐ সব লোককে আসতে না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন ঐ সব লোককে তোমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করার অনুমতি না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর। আর শোনো! তোমাদের উপর তাহাদের অধিকার এই যে, তাহাদেরকে ভালোরূপে খেতে-পরতে দেবে।’’ [তিরমিযী, হাসান সূত্রে] [4]
* কয়েদী অর্থাৎ বন্দিনী। স্বামীর হুকুম পালনের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ স্ত্রীকে বন্দিনীর সাথে তুলনা করিয়াছেন।
* যন্ত্রণাদায়ক না হয়ঃ অর্থাৎ তাতে কেটে-ফুটে না যায় এবং কঠিন ব্যথা না হয়।
* অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো নাঃ অর্থাৎ এমন পথ অনুসন্ধান করো না, যাতে তাহাদেরকে নাজেহাল করে কষ্ট দাও। [অথবা তালাক ইত্যাদি দেওয়ার কথা ভেবো না।]
5/282. وَعَن مُعَاوِيَةَ بنِ حَيدَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ الله، مَا حَقُّ زَوجَةِ أَحَدِنَا عَلَيهِ ؟ قَالَ: «أنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طعِمْتَ، وَتَكْسُوهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ، وَلاَ تَضْرِبِ الوَجْهَ، وَلا تُقَبِّحْ، وَلا تَهْجُرْ إلاَّ في البَيْتِ».حديثٌ حسنٌ رواه أَبُو داود وَقالَ : معنى «لا تُقَبِّحْ»أي : لا تقل : قبحكِ الله .
৫/২৮২। মুআবিয়াহ ইবনি হাইদাহ রাঃআঃ বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো স্ত্রীর অধিকার স্বামীর উপর কতটুকু?’ তিনি বলিলেন, ‘‘তুমি খেলে তাকে খাওয়াবে এবং তুমি পরলে তাকে পরাবে। [তার] চেহারায় মারবে না, তাকে ‘কুৎসিত হ’ বলবে না এবং তার থেকে পৃথক থাকলে বাড়ীর ভিতরেই থাকবে।’’ [অর্থাৎ অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার জন্য বিছানা পৃথক করিতে পারা যাবে, কিন্তু রুম পৃথক করা যাবে না।] [আবূ দাউদ, হাসান সূত্রে] [5]
* ‘কুৎসিত হ’ বলবে নাঃ অর্থাৎ ‘আল্লাহ তোমাকে কুৎসিত করুক’ বলে অভিশাপ দেবে না।
6/283. وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: «أكْمَلُ المُؤمِنِينَ إيمَاناً أحْسَنُهُمْ خُلُقاً، وخِيَارُكُمْ خِيَارُكُم لِنِسَائِهِمْ». رواه الترمذي، وَقالَ: «حديث حسن صحيح».
৬/২৮৩। আবু হুরায়রা রাঃআঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘মু’মিনদের মধ্যে সবার চেয়ে পূর্ণ মু’মিন ঐ ব্যক্তি যে চরিত্রে সবার চেয়ে সুন্দর, আর তাহাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি, যে নিজের স্ত্রীর জন্য সর্বোত্তম।’’ [তিরমিযী] [6]
7/284. وَعَن إِيَاسِ بنِ عَبدِ اللهِ بنِ أَبي ذِبَابٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: «لاَ تَضْرِبُوا إمَاء الله» فجاء عُمَرُ رضي الله عنه إِلَى رسولِ الله ﷺ، فَقَالَ : ذَئِرْنَ النِّسَاءُ عَلَى أزْوَاجِهِنَّ، فَرَخَّصَ في ضَرْبِهِنَّ، فَأطَافَ بآلِ رَسُولِ اللهِ ﷺ نِسَاءٌ كَثيرٌ يَشْكُونَ أزْواجَهُنَّ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: «لَقَدْ أطَافَ بِآلِ بَيتِ مُحَمَّدٍ نِسَاءٌ كثيرٌ يَشْكُونَ أزْوَاجَهُنَّ لَيْسَ أولَئكَ بخيَارِكُمْ». رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
৭/২৮৪। ইয়াস ইবনি আব্দুল্লাহ রাঃআঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে প্রহার করিবে না।’’ পরবর্তীতে উমার রাঃআঃ রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর নিকট এসে বলিলেন, ‘মহিলারা তাহাদের স্বামীদের উপর বড় দুঃসাহসিনী হয়ে গেছে।’ সুতরাং নবী সাঃআঃ প্রহার করার অনুমতি দিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর পরিবারের নিকট বহু মহিলা এসে নিজ নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আরম্ভ করল। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘মুহাম্মাদের পরিবারের নিকট প্রচুর মহিলাদের সমাগম, যারা তাহাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। [জেনে রাখ, মারকুটে] ঐ [স্বামী]রা তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ নয়।’’ [আবূ দাউদ, বিশুদ্ধ সূত্রে] [7]
8/285. وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ، قَالَ: «الدُّنْيَا مَتَاعٌ، وَخَيرُ مَتَاعِهَا المَرْأَةُ الصَّالِحَةُ». رواه مسلم
৮/২৮৫। আব্দুল্লাহ ইবনি ‘আমর রাঃআঃ কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেন, ‘‘পৃথিবী এক উপভোগ্য সামগ্রী এবং তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সামগ্রী হচ্ছে পুণ্যময়ী নারী।’’ [মুসলিম] [8]
[1] সহীহুল বুখারী ৩৩৩১, ৫১৮৪, ৫১৮৬, ৬০১৮, ৬১৩৬, ৬১৩৮, ৬৪৭৫, মুসলিম ৪৭, ১৪৬৮, তিরমিযী ১১৮৮
[2] সহীহুল বুখারী ৩৩৭৭, ৪৯৪২,৫২০৪, ৬০৪২, মুসলিম ২৮৫৫, তিরমিযী ৩৩৪৩, ইবনু মাজাহ ১৯৮৩, আহমাদ ১৫৭৮৮, দারেমী ২২২০
[3] মুসলিম ১৪৬৯, আহমাদ ৮১৬৩
[4] তিরমিযী ১১৬৩, ইবনু মাজাহ ১৮৫১
[5] আবূ দাউদ ২১৪২, ২১৪৩, ২১৪৪, ইবনু মাজাহ ১৮৫০
[6] তিরমিযী ১১৬২, আহমাদ ৭৩৫৪, ৯৭৫৬, ১০৪৩৬, দারেমী ২৭৯২
[7] আবূ দাউদ ২১৪৬, ইবনু মাজাহ ১৯৮৫, দারেমী ২২১৯
[8] মুসলিম ১৪৬৭, নাসায়ী ৩২৩২, ইবনু মাজাহ ১৮৫৫, আহমাদ ৬৫৩১
Leave a Reply