ছোটদের প্রতি দয়া প্রদর্শন ও নির্বাক প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন

ছোটদের প্রতি দয়া প্রদর্শন ও নির্বাক প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন

ছোটদের প্রতি দয়া প্রদর্শন ও নির্বাক প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন << আদাবুল মুফরাদ হাদীস কিতাবের মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়ঃ৬, দান্যতা, কৃপণতা ও দোষ

১৬৮. অনুচ্ছেদঃ উপস্থিত শিশুদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠকে ফল খেতে দেয়া।
১৬৯. অনুচ্ছেদঃ ছোটদের প্রতি দয়া প্রদর্শন।
১৭০. অনুচ্ছেদঃ শিশুদের সাথে কোলাকুলি করা।
১৭১. অনুচ্ছেদঃ ছোট বালিকাকে কোন ব্যক্তির চুমা দেয়া।
১৭২. অনুচ্ছেদঃ শিশুদের মাথায় হাত বুলানো।
১৭৩. অনুচ্ছেদঃ ছোট শিশুকে কোন ব্যক্তির “হে আমার পুত্র” বলে সম্বোধন।
১৭৫. অনুচ্ছেদঃ পরিবার-পরিজনের প্রতি মমতা।
১৭৬. অনুচ্ছেদঃ নির্বাক প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন।
১৭৭. অনুচ্ছেদঃ বাসা থেকে পাখির ডিম আনা।
১৭৮. অনুচ্ছেদঃ খাঁচার পাখি
১৭৯. অনুচ্ছেদঃ লোকের মধ্যে সদ্ভাব সৃষ্টি করা।

১৬৮. অনুচ্ছেদঃ উপস্থিত শিশুদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠকে ফল খেতে দেয়া।

৩৬৩

আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট মৌসুমের প্রথম ফল আনা হলে তিনি বলিতেনঃ “হে আল্লাহ! আমাদের শহরে এবং আমাদের ওজনে ও মাপে বরকতের সাথে আরো বরকত দিন”। অতঃপর তিনি তার নিকট উপস্থিত শিশুদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠকে তা খেতে দিতেন [মুসলিম, তিরমিজী, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৬৯. অনুচ্ছেদঃ ছোটদের প্রতি দয়া প্রদর্শন।

৩৬৪

আমর ইবনি শুআইব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের অধিকারের পরোয়া করে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় [আবু দাউদ]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৭০. অনুচ্ছেদঃ শিশুদের সাথে কোলাকুলি করা।

৩৬৫

ইয়ালা ইবনি মুররা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে আহারের এক দাওয়াতে রওয়ানা হলাম। তখন হুসাইন [রাঃআঃ] রাস্তায় খেলছিলেন। নাবী [সাঃআঃ] দ্রুত গতিতে সকলের অগ্রগামী হয়ে তাহাঁর দুই হাত বাড়িয়ে দিলেন। তখন বালকটি এদিক ওদিক ছুটাছুটি করিতে লাগলো এবং নাবী [সাঃআঃ] তাকে হাসাতে লাগলেন। শেষে তিনি তাকে ধরে ফেললেন। তিনি তাহাঁর এক হাত তার চোয়ালের নিচে রাখলেন এবং অপর হাত তার মাথায় রাখলেন, তারপর তাকে আলিঙ্গন করিলেন। অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ হুসাইন আমার থেকে এবং আমি হুসাইনের থেকে। যে ব্যক্তি হুসাইনকে ভালোবাসে আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন। হুসাইন আমার নাতিদের একজন [তিরমিজী, ইবনি মাজাহ, আহমাদ]।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৭১. অনুচ্ছেদঃ ছোট বালিকাকে কোন ব্যক্তির চুমা দেয়া।

৩৬৬

বুকাইর [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি আবদুল্লাহ ইবনি জাফর [রাহিমাহুল্লাহ]-কে উমার ইবনি আবু সালামার দুই বছর বয়সের কন্যা যয়নবকে চুমা দিতে দেখেন।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬৭

হাসান [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

সম্ভব হলে তুমি তোমার পরিবারের কারো চুলের দিকে দৃষ্টিপাত করিবে

না। তবে তোমার স্ত্রী বা ছোট্ট বালিকা হলে ভিন্ন কথা।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৭২. অনুচ্ছেদঃ শিশুদের মাথায় হাত বুলানো।

৩৬৮

ইউসুফ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি সালাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার নাম রাখেন ইউসুফ। তিনি আমাকে তার কোলে বসান এবং আমার মাথায় হাত বুলান [আহমাদ, শামাইল তিরমিজী]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬৯

আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর সামনে পুতুল নিয়ে খেলা করতাম এবং আমার সখীরাও আমার সাথে খেলা করতো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঘরে আসলে তারা লুকিয়ে যেতো। তিনি তাহাদেরকে বের করে এনে আমার নিকট পাঠাতেন। তখন তারা আমার সাথে খেলা করতো [বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনি মাজাহ]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৭৩. অনুচ্ছেদঃ ছোট শিশুকে কোন ব্যক্তির “হে আমার পুত্র” বলে সম্বোধন।

৩৭০

আবুল আজলান আল-মুহারিবী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি ইবনুয যুবাইরের সামরিক বাহিনীতে ছিলাম। আমার এক চাচাতো ভাই মারা যান। তিনি তার একটি উট আল্লাহর রাস্তায় দান করার জন্য ওসিয়াত করে যান। আমি তার ছেলেকে বললাম, উটটি আমাকে দাও। কারণ আমি ইবনুয যুবাইর [রাঃআঃ]-র সামরিক বাহিনীতে ছিলাম। সে বললো, চলো আমরা ইবনি উমারের কাছে যাই এবং এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করে নেই। অতএব আমরা ইবনি উমার [রাঃআঃ]-র নিকট গেলাম। সে বললো, হে আবদুর রহমানের পিতা! আমার পিতা মারা গেছেন এবং তিনি তার একটি উট আল্লাহর রাস্তায় দান করার ওসিয়াত করিয়াছেন। আর ইনি আমার চাচাতো ভাই। তিনি ইবনুয যুবাইর [রাঃআঃ]-এর সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। আমি কি তাকে এই উট দিতে পারি? ইবনি উমার [রাঃআঃ] বলেন, হে আমার পুত্র। আল্লাহর রাস্তায় প্রতিটি কাজই উত্তম। তোমার পিতা যদি তার উট মহামহিম আল্লাহর রাস্তায় দান করার ওসিয়াত করে থাকেন, তবে মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের জিহাদে তুমি তা দান করো। আর এই ব্যক্তি ও তার সাথীরা তো সমাজের যুব শ্রেণীর রাস্তায় লড়ছে। শাসন ক্ষমতার অধিকারী হয়ে কে সীলমোহর অংকিত করিবে তা নিয়েই তাহাদের যুদ্ধ।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৭১

জারীর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, মহামহিম আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না [বোখারী, মুসলিম]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭২

উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

যে ব্যক্তি দয়া করে না, সে দয়া পায় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে না, সে ক্ষমা পায় না। যে ব্যক্তি উদারতা প্রদর্শন করে না, সে উদারতা পায় না। যে ব্যক্তি অন্যকে রক্ষার জন্য সচেষ্ট হয় না সে রক্ষা পায় না।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৭৪. অনুচ্ছেদঃ জগতবাসীর প্রতি দয়া করো।

৩৭৩

উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

যে ব্যক্তি দয়া করে নাসায়ী, সে দয়া পায় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে না তাকেও ক্ষমা করা হয় না। যে ব্যক্তি ওযর কবুল করে নাসায়ী, তার ওযরও কবুল করা হয় না। যে ব্যক্তি অন্যকে রক্ষার জন্য সচেষ্ট হয় নাসায়ী, সেও রক্ষা পায় না [ইবনি খুজাইমাহ]।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৭৪

মুয়াবিয়া ইবনি কুররা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি ছাগল যবেহ করি এবং দয়াপরবশ হই অথবা সে বললো, ছাগল যবেহ করিতে আমার অন্তরে দয়ার উদ্রেক হয়। তিনি দুইবার বলেনঃ তুমি যদি ছাগলের প্রতি দয়াপরবশ হও, তবে আল্লাহও তোমার প্রতি দয়াপরবশ হইবেন [মুজামুস সগীর]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭৫

আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি সত্যবাদী এবং সত্যবাদী বলে সমর্থিত নাবী আবুল কাসিম [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ হতভাগা ছাড়া আর কারো অন্তর থেকে দয়ামায়া তুলে নেয়া হয় না [তিরমিজী, আবু দাউদ, আহমাদ, হাকিম]।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৭৬

জারীর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন না [বোখারী, মুসলিম]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৭৫. অনুচ্ছেদঃ পরিবার-পরিজনের প্রতি মমতা।

৩৭৭

আনাস ইবনি মালেক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

মানুষের মধ্যে নাবী [সাঃআঃ] ছিলেন পরিবার-পরিজনের প্রতি সর্বাধিক দয়ালু। তাহাঁর এক পুত্র ছিল মদীনার উপকণ্ঠে এক মহিলার দুগ্ধপোষ্য। তার স্বামী ছিল লোহাড়। আমরা সেখানে যেতাম। ঘরটি ইযখির ঘাসের ধোঁয়ায় ভরে যেতো। তিনি তাকে চুমা দিতেন এবং নাক লাগিয়ে ঘ্ৰাণ নিতেন [বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, আহমাদ]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭৮

আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

এক ব্যক্তি একটি শিশুসহ নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এলো। সে তাকে নিজ দেহের সাথে লাগাচ্ছিল। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তুমি কি তার প্রতি মায়া করো? সে বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তার প্রতি তোমার চেয়ে অধিক দয়াপরবশ এবং তিনি দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু [নাসায়ী]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৭৬. অনুচ্ছেদঃ নির্বাক প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন।

৩৭৯

আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি পথ চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগলো। সে একটি কূপ দেখিতে পেয়ে তাতে নামলো এবং পানি পান করে উঠে আসলো। তখন সে দেখলো যে, একটি কুকুর পিপাসার্ত হয়ে হাপাচ্ছে এবং ভিজা মাটি চাটছে। লোকটি মনে মনে বললো, আমি যেমন পিপাসার্ত হয়েছিলাম, কুকুরটিরও তদ্রুপ পিপাসা লেগেছে। সে পুনরায় কূপে নামলো এবং তার মোজা ভর্তি করে পানি তুলে তা নিজের দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে উপরে আসলো এবং কুকুরটিকে তা পান করালো। আল্লাহ তার এই কাজ কবুল করিলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! পশুর জন্যও কি আমাদেরকে সওয়াব দেয়া হইবে? তিনি বলেনঃ প্রতিটি প্রাণধারী সৃষ্টির সেবার জন্য সওয়াব রহিয়াছে [বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনি মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক, আহমাদ, ইবনি হিব্বান]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৮০

ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ এক নারী একটি বিড়ালের কারণে দোযখের শাস্তি প্রাপ্ত হয়। সে সেটিকে বেঁধে রেখেছিল, ফলে অনাহারে তার মৃত্যু হয় এবং সেই কারণে উক্ত নারী দোযখে যায়। তাকে বলা হইবে, আল্লাহ অধিক অবগত, তুই একে আটকে রাখা অবস্থায় না একে খাদ্য ও পানীয় দিলি আর না একে ছেড়ে দিলি যে, পোকা-মাকড় খেয়ে তার জীবন রক্ষা করিতে পারতো [বোখারী, মুসলিম]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৮১

আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনুল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা দয়া করো তোমাদেরকেও দয়া করা হইবে। তোমরা ক্ষমা করো, তোমাদেরকেও আল্লাহ ক্ষমা করবেন। সর্বনাশ তাহাদের যারা কথা ভুলে যায় এবং ধ্বংস তাহাদের জন্য যারা জ্ঞাতসারে বারবার অন্যায় কাজ করিতে থাকে [আবু দাউদ]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৮২

আবু উমামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দয়াপরবশ হয়, তা যবেহ করার প্রাণীর প্রতি হলেও, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে দয়া করবেন।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৭৭. অনুচ্ছেদঃ বাসা থেকে পাখির ডিম আনা।

৩৮৩

আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] এক মনযিলে অবতরণ করিলেন। এক ব্যক্তি হুম্মারা পাখির ডিম তুলে আনলো। পাখিটি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মাথার উপর এসে উড়তে লাগলো। তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কে তার ডিম তুলে এনে একে শংকিত করেছে? এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি তার ডিম পেড়ে এনেছি। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তার প্রতি দয়াপরবশ হয়ে ডিম রেখে আসো [আবু দাউদ, আহমাদ]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৭৮. অনুচ্ছেদঃ খাঁচার পাখি

৩৮৪

হিশাম ইবনি উরওয়া [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

ইবনুয যুবাইব [রাঃআঃ] মক্কায় [শাসনকর্তা] ছিলেন। আর নাবী [সাঃআঃ]-এর সাহাবীগণ খাঁচায় পাখি পোষতেন বা খাঁচায় করে [অন্যত্র] নিয়ে যেতেন।

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৮৫

আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] [আবু তালহার ঘরে] প্রবেশ করিলেন। তিনি আবু তালহার বালক পুত্র আবু উমাইরকে দেখিতে পেলেন। তার একটি বুলবুলি ছিল এবং সে তা নিয়ে খেলা করতো। তিনি তাকে বলেনঃ ওহে আবু উমাইর! কি করলো তোমার নুগায়ের [বোখারী, মুসলিম]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৭৯. অনুচ্ছেদঃ লোকের মধ্যে সদ্ভাব সৃষ্টি করা।

৩৮৬

উম্মু কুলসুম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

উম্মু কুলসুম [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি লোকজনের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা করে দেয় এবং কল্যাণকর কথা বলে বা কল্যাণকর ব্যবস্থার উন্নয়ন করে, সে মিথ্যুক নয়। উম্মু কুলসুম [রাঃআঃ] আরো বলেন, আমি তিনটি ক্ষেত্র ছাড়া আর কোন ব্যাপারে নাবী করীম [সাঃআঃ]-কে কাউকে মিথ্যা বলার অনুমতি দিতে শুনিনিঃ [১] লোকজনের মধ্যে আপোষ-রফা করিতে, [২] স্ত্রীর নিকট স্বামীর কথায় এবং [৩] স্বামীর নিকট স্ত্রীর কথায় [বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী]।

সৃষ্টির প্রতি দয়া -হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

Comments

Leave a Reply