সূরা হিজর এর তাফসীর । তাফসীর উল কুরান

সূরা হিজর এর তাফসীর । তাফসীর উল কুরান

সূরা হিজর এর তাফসীর । তাফসীর উল কুরান >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা হিজর আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-১৬ঃ সূরা হিজর এর তাফসীর

৩১২২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক পরমা সুন্দরী মহিলা রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর পেছনে [মহিলাদের কাতারে] নামায আদায় করত। কিছু লোক প্রথম কাতারে এগিয়ে আসতো, যাতে উক্ত মহিলা দৃষ্টিগোচর না হয়। আবার কিছু লোক পেছনে সরে গিয়ে [মহিলাদের নিকটবর্তী] পেছনের কাতারে দাঁড়াত এবং রুকুতে গিয়ে বগলের নীচ দিয়ে [উক্ত মহিলার প্রতি] তাকাতো। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন : “ তোমাদের মধ্যকার সামনে অগ্রসর হয়ে যাওয়া লোকদেরও আমি জানি এবং পেছনে পিছিয়ে যাওয়া লোকদেরও আমি জানি “ [সূরা আল-হিজর ২৪]।

সহীহ : সহীহাহ [২৪৭২], আস সামার আল-মুস্তাত্বা-ব। আবু ঈসা বলেন : জাফার ইবনি সুলাইমানও এ হাদীস আমর ইবনি মালিক হইতে, তিনি আবুল জাওয়ার সুত্রে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন এবং তাতে বনু আব্বাস [রাদি.] এর উল্লেখ করেননি। আর এটি নূহ –এর রিওয়াত অপেক্ষা সহীহ হওয়ার অনেক বেশী সামঞ্জস্য।  সূরা হিজর এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১২৩. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জাহান্নামের সাতটি দরজা আছে [১৫:৪৪ আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত]। তার মধ্যে একটি দরজা সেইসব লোকদের জন্য যারা আমার উম্মতের বিরুদ্ধে অথবা বলেছেনঃ মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর উম্মতের বিপক্ষে তলোয়ার চালিয়েছে।

জঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী [৩৫৩০]আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র মালিক ইবনি মিগওয়ালের সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। সূরা হিজর এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩১২৪. আবু হুরাইরাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ “আলহামদু লিল্লাহ অর্থাৎ সূরা ফাতিহা হচ্ছে উম্মুল কুরআন [কুরআনের মূল], উম্মুল কিতাব [কিতাবের মূল] ও সাবউল মাসানী [বারবার পাঠিত সপ্তক]।

সহীহ : সহীহ আবু দাউদ [১৩১] ,বোখারি। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।-এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১২৫. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তাওরাত ও ইনজীলে আল্লাহ তাআলা উম্মুল কুরআনের সমতুল্য কিছু অবতীর্ণ করেননি। আর তা হচ্ছে সাবউল মাসানী [বারবার পঠিত সপ্তক : সূরা আ-ইজর ৮৭ আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত]। [আল্লাহ তাআলা বলেন] তা আমার ও আমার বান্দার মধ্যে বন্টিত। আমার বান্দার জন্য তা-ই রয়েছে যা সে চেয়েছে।

সহীহ : তালীকুর রাগীব [২/২১৬] , সিফাতুস সালাত। কুতাইবাহ –“আবদুল আযীয ইবনি মুহাম্মাদ হইতে, তিনি আলা ইবনি আবদুর রাহমান হইতে, তিনি তার পিতা হইতে, তিনি আবু হুরাইরাহ্‌ [রাদি.] হইতে এই সুত্রে বর্ণিত, নাবী [সাঃআঃ] উবাই [রাদি.] এর নিকট বের হয়ে এলেন। তখন তিনি নামাযরত ছিলেন…… পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরুপ। আবু ঈসা বলেন : আব্দুল আযীয ইবনি মুহাম্মাদের হাদীস অনেক বেশী দীর্ঘ ও পুর্ণাঙ্গ এনং এটি আবদুল আবদুল হামীদ ইবনি জাফারের হাদীস অপেক্ষা অনেক বেশি সহীহ। একাধিক বর্ণনাকারী আলা ইবনি আবদুর রাহমান [রঃ]হইতে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। সূরা হিজর এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১২৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আল্লাহ্ তাআলার বাণী “আমি অবশ্যই তাহাদের সবাইকে প্রশ্ন করব তারা যা করে সে বিষয়ে” [সূরাঃ হিজ্র- ৯২-৯৩] প্রসঙ্গে বলেনঃ অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা প্রসঙ্গে।

সনদ দুর্বল। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র লাইস ইবনি আবু সুলাইমের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। আবদুল্লাহ ইবনি ইদরীসও এ হাদীস লাইস ইবনি আবু সুলাইম হইতে তিনি বিশ্র হইতে তিনি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] সূত্রে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন তবে মারফূরূপে বর্ণনা করেননি। সূরা হিজর এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩১২৭. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা মুমিনের দূরদৃষ্টি সম্পর্কে সজাগ থাক। কারণ সে আল্লাহ্ তাআলার নূরের সাহায্যে দেখে। তারপর তিনি পাঠ করেনঃ “নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন লোকদের জন্য” [সূরাঃ আল-হিজর- ৭৫]

জঈফ, যঈফা [১৮২১]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। কোন কোন তাফসীরকার আয়াতে উদ্ধৃত “মুতাওয়াসসিমীন” শব্দের অর্থ করিয়াছেন “মুতাফাররিসীন” [দূরদৃষ্টি বা অন্তরদৃষ্টি সম্পন্ন লোক]। সূরা হিজর এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply