সূরা হাশরের তাফসীর । তাফসিরুল কুরান
সূরা হাশরের তাফসীর । তাফসিরুল কুরান >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা হাশর আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৬০ঃ সূরা হাশরের তাফসীর
৩৩০২. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বানূ নাযীরের আল-বুওয়াইরা নামক খেজুর বাগানটি অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ফেলেন এবং কেটে ফেলেন। অতঃপর আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেনঃ “যে খেজুর গাছগুলো তোমরা কেটেছ এবং যেগুলো তাহাদের কাণ্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছ তা তো আল্লাহ তাআলার আদেশানুসারেই এবং এ কারণে যে, তিনি পাপাচারী ও অন্যায়কারীদেরকে লাঞ্ছিত করবেন”-[সূরা হাশ্র ৫]।
সহীহঃ ইবনি মাজাহ [হাঃ ২৮৪৪], বোখারি ও মুসলিম।আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সূরা হাশরের তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৩০৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ “যে খেজুর গাছগুলো তোমরা কেটেছ এবং তার কাণ্ডের উপর যেগুলো স্থির রেখে দিয়েছ” এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আল-লীনাহ অর্থঃ খেজুর গাছ। “এবং এ কারণে যে, তিনি পাপাচারী ও অন্যায়কারীদেরকে লাঞ্ছিত করবেন” আয়াতটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থাৎ মুসলমানরা তাহাদেরকে তাহাদের দুর্গগুলো হইতে বহিষ্কার করে দেয়। ইবনি আব্বাস [রাদি.] আরো বলেন, যখন তাহাদেরকে খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলার আদেশ দেয়া হয় সে সময় তাহাদের মনে ধারণা [সন্দেহ] হয়। মুসলমানরা বলেন, আমরা কিছু বৃক্ষ কেটে ফেলেছি এবং কিছু বৃক্ষ বহাল রেখেছি। এ বিষয়ে অবশ্যই রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে আমরা প্রশ্ন করবো যে, যে গাছগুলো আমরা কেটেছি তার কারণে আমাদেরকে সাওয়াব প্রদান করা হইবে কি এবং যে বৃক্ষগুলো বহাল রেখেছি তার জন্য আমাদের কোন গুনাহ হইবে কি? তখন আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেনঃ “যে খেজুর গাছগুলো তোমরা কেটেছ এবং তাহাদের কাণ্ডের উপর যেগুলো স্থির রেখে দিয়েছ তা তো আল্লাহ তাআলার অনুমতিক্রমেই”- [সূরা হাশ্র ৫]।
হাদীসটির সানাদ সহীহ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটির হাসান গারীব। এ হাদীসটি কিছু বর্ণনাকারী হাফ্স ইবনি গিয়াস হইতে, তিনি হাবীব ইবনি আবী আমরাহ্ হইতে, তিনি সাঈদ ইবনি জুবাইর [রঃ]হইতে এই সূত্রে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করিয়াছেন এবং তার মধ্যে ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর উল্লেখ করেননি। আবদুল্লাহ ইবনি আবদুর রহমান-হারূন ইবনি মুআবিয়াহ্ হইতে, তিনি হাফ্স ইবনি গিয়াস হইতে, তিনি হাবীব ইবনি আবী আমরাহ্ হইতে, তিনি সাঈদ ইবনি জুবাইর [রঃ]হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সূত্রে মুরসালরূপে উক্ত হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনি ইসমাঈল আমার কাছে শুনেছেন। সূরা হাশরের তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৩০৪. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক রাতে আনসার লোকের এখানে একজন মেহমান আসে। তার কাছে তার ও তার সন্তানদের খাবার ছাড়া অতিরিক্ত খাবার ছিল না। তার সহধর্মিণীকে তিনি বলেন, বাচ্চাদের ঘুম পারিয়ে দাও, আলো নিভিয়ে ফেল এবং তোমার কাছে যে খাবার রয়েছে তা মেহমানের সম্মুখে পরিবেশন কর। এই পরিপ্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়ঃ “আর নিজেদের উপর অন্যকে তারা অগ্রাধিকার দেয়, নিজেরা অভাবপীড়িত হয়েও”- [সূরা হাশ্র ৯]।
সহীহঃ সহীহ হাদীস সিরিজ [হাঃ ৩২৭২], বোখারি ও মুসলিম আরও পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। সূরা হাশরের তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply