সূরা হামিম সাজদা তাফসীর উল কুরআন

সূরা হামিম সাজদা তাফসীর উল কুরআন

সূরা হামিম সাজদা তাফসীর উল কুরআন >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা হা-মীম আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৪৩ঃ ৪৩ সূরা হামিম সাজদা তাফসীর

৩২৪৮. ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তিন লোক ক্বাবা ঘরের নিকট বিবাদ করে। তাহাদের দুজন ছিল কুরাইশ বংশীয় এবং একজন সাক্বীফ বংশীয় অথবা দুজন সাক্বীফ বংশীয় এবং একজন কুরাইশ বংশীয়। তাহাদের অন্তরে বুদ্ধি ছিল খুব অল্পই কিন্তু তাহাদের পেট ছিল মেদবহুল। তাহাদের একজন বলল, তোমাদের কি মনে হয়, আমরা যা বলি তা আল্লাহ্‌ তাআলা শুনেন? দ্বিতীয় লোক বলল, আমরা জোরে বললে শুনেন, আস্তে বললে শোনে না, তৃতীয়জন বলল, আমরা জোরে কিছু বললে যদি তিনি তা শুনেন তাহলে আস্তে বা গোপনে বললেও তা শুনেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ্‌ তাআলা অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ] “তোমাদের কান, চোখও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না এই বিশ্বাসে তোমরা কিছুই গোপন করিতে না। উপরন্তু তোমরা মনে করিতে যে, তোমরা যা করিতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ্‌ তাআলা জানেন না” – [সূরা হা-মীম আস-সাজদাহঃ ২২]।

সহীহঃ বোখারি [৪৮১৬, ৪৮১৭, ৭৫২১], মুসলিম [৮/১২০-১২১] আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । সূরা হামিম সাজদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৪৯. আবদূর রহমান ইবনি ইয়াযীদ [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ [রাদি.] বলেছেনঃ আমি ক্বাবার পর্দার আড়ালে লুকিয়েছিলাম। তখন তিনজন লোক সেখানে আসে। তাহাদের পেট ছিল মেদবহুল এবং অন্তর ছিল কম বুদ্ধিসম্পন্ন। তাহাদের একজন ছিল কুরাইশ বংশীয় এবং অপর দুজন ছিল তার জামাতা, সাক্বীফ বংশীয় কিংবা একজন ছিল সাক্বীফ বংশীয় এবং অপর দুজন ছিল তার জামাতা, কুরাইশ বংশীয়। তারা এমন কথাবার্তা বলিতে লাগলো যা আমি বুঝিনি। তারপর তাহাদের একজন বলল, তোমরা কি মনে কর, আমাদের এসব আলাপ আল্লাহ্‌ তাআলা শুনেন? দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, আমরা প্রকাশ্যে [জোরে] কিছু বললে তিনি তা শুনেন এবং উচ্চৈঃস্বরে না বললে শুনেন না। তৃতীয়জন বলল, তিনি যদি কোন কথা শুনেন তাহলে সব কথাই শুনেন। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলাম। তখন আল্লাহ্‌ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ]ঃ “তোমাদের কান, চোখ ও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না এই বিশ্বাসে তোমরা কিছুই গোপন করিতে না। উপরন্তু তোমরা মনে কর যে, তোমরা যা করিতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ্‌ তাআলা জানেন না। তোমাদের রবের ব্যাপারে তোমাদের এ ধারণাই তোমাদের ধংস এনেছে। ফলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ” – [সূরা হা-মিম আস-সাজদাহ ২২-২৩]।

সহীহঃ মুসলিম [৮/১২১] আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মাহমুদ ইবনি গাইলান-ওয়াকী হইতে, তিনি সুফইয়ান হইতে, তিনি আমাশ হইতে, তিনি উমারাহ ইবনি উমাইর হইতে, তিনি ওয়াহব-ইবনি রাবীআহ হইতে, তিনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে উপরোক্ত হাদীসের একই রকম হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। সূরা হামিম সাজদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৫০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ আয়াত তিলাওয়াত করিলেন : “যারা বলে, আমাদের রব আল্লাহ, তারপর তাতেই অবিচল থাকে” [সূরা :হা-মীম আস-সাজদাহ – ৩০]। তিনি বলেনঃ অনেক লোক এ কথা বলার পর কাফির হয়ে যায়। অতএব যে ব্যক্তি উল্লেখিত কথার উপর মারা যায় সে-ই অবিচলদের অন্তর্ভূক্ত।

সনদ দুর্বল। আবু ঈসা বলেন : এ হাদীসিট হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। আমি আবু যুরআকে বলিতে শুনিয়াছি যে, আফফান [রঃ]আমর ইবনি আলীর সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। এ আয়াত প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ], আবু বাকর ও উমার [রাদি.] হইতে “ইসতাকামূ” [অবিচল থাকে]-এর তাত্পর্য বর্ণিত আছে। সূরা হামিম সাজদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

One response to “সূরা হামিম সাজদা তাফসীর উল কুরআন”

Leave a Reply