সূরা হাদীদ তাফসির । তাফসিরুল কুরান

সূরা হাদীদ তাফসির । তাফসিরুল কুরান

সূরা হাদীদ তাফসির । তাফসিরুল কুরান >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অনুচ্ছেদ-৫৮ঃ সূরা হাদীদ তাফসির

৩২৯৮ আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেনঃ কোন এক সময় রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও তাহাঁর সাহাবীগণ এক সাথে বসা ছিলেন। হঠাৎ তাহাদের উপর মেঘরাশি প্রকাশিত হল। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁদের প্রশ্ন করেন : তোমরা জান এটা কি? তারা বললেনঃ আল্লাহ তাআলা ও তাহাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এটা হল যমিনের পানিবাহী উট। আল্লাহ তাআলা একে এমন জাতির দিকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন যারা তাহাঁর কৃতজ্ঞতাও আদায় করে না এবং তাহাঁর কাছে মুনাজাতও করে না। তিনি আবার প্রশ্ন করিলেন : তোমাদের উপরে কি আছে তা জান? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ তাআলা ও তাহাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বলেনঃ এটা হল সুউচ্চ আকাশ , সুরক্ষিত ছাদ এবং আটকানো তরঙ্গ। তিনি আবার প্রশ্ন করিলেন : তোমাদের এবং এর মাঝে কতটুকু ব্যবধান তা তোমাদের জানা আছে কি? তারা বলিলেন, আল্লাহ তাআলা ও তাহাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের ও এর মাঝে পাঁচ শত বছরের পথের ব্যবধান। তিনি আবার প্রশ্ন করিলেন : এর উপরে কি আছে তা তোমরা জান কি? তাঁরা বলিলেন , আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এর উপরে দুইটি আকাশ আছে যার মাঝে পাঁচ শত বছরের দূরত্ব, এমনকি তিনি সাতটি আকাশ গণনা করেন এবং বলেনঃ প্রতি দুটি আকাশের মাঝে পার্থক্য আকাশ ও যমিনের ব্যবধানের সমপরিমাণ। তিনি আবার প্রশ্ন করিলেন : এর উপরে কি আছে তা কি তোমরা জান? তাঁরা বলিলেন আল্লাহ তাআলা ও তাহাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এগুলোর উপরে আছে [ আল্লাহর ] আরশ। আরশ ও আকাশের মাঝের পার্থক্য দুই আকাশের মধ্যকার দূরত্বের সমান। তিনি আবার বললেনঃ তোমরা কি জান তোমাদের নিচে কি আছে? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ উহা হল যমিন , তারপর আবার বলিলেন, তোমরা কি জান এর নিচে কি আছে? তাঁরা বলিলেন আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এর নিচে আরো এক ধাপ যমিন আছে এবং এতদুভয়ের মধ্যে পাঁচ শত বছরের দূরত্ব। তারপর সাত স্তর যমিন গুণে বলেনঃ প্রতি দুই স্তরের মাঝে পাঁচ শত বছরের দূরত্ব বর্তমান। তিনি আবার বললেনঃ সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন! তোমরা যদি একটি রশি নিম্নতম যমিনের দিকে ছেড়ে দাও তাহলে তা আল্লাহ তাআলা পর্যন্ত গিয়ে পৌছবে। তারপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন : “ তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ তিনিই প্রকাশ্য এবং তিনিই গুপ্ত। তিনিই সর্ববিষয়ে সর্বশেষ পরিজ্ঞাত “ [ সূরাঃ আল-হাদীদ-৩]।

যইফ , যিলালুল জুন্নাহ্‌, [৫৭৮] আবু ঈসা বলেন : উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আইউব, ইউনুস ইবনি উবাইদ ও আলী ইবনি যাইদ হইতে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা বলেছেন, আল-হাসান আল-বাসরী [রঃ]আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে  কিছু শুনেননি। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম উক্ত হাদীসের [ আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে ] ব্যাখ্যায় বলেন : উক্ত রশি আল্লাহ তাআলার জ্ঞান, তাহাঁর নিদর্শনাবলী ও তাহাঁর সার্বভৌম ক্ষমতা সর্বত্র বিস্তৃত। তিনি তাহাঁর আরশে উপবিষ্ট , যেমন তিনি তাহাঁর পাক কালামে বলেছেন।  সূরা হাদীদ তাফসির -এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply