সূরা সেজদাহ তাফসীর – তাফসীরুল কোরআন
সূরা সেজদাহ তাফসীর – তাফসীরুল কোরআন >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা সাজদা আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৩৩ঃ সূরা সেজদাহ তাফসীর
৩১৯৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
“তাহাদের দেহপাশ বিছানা হইতে আলগা হয়ে যায়…”— [সূরা সাজদাহ ১৬] আয়াতটি আতামার [ইশার] নামাযের জন্য অপেক্ষা করার ফাযীলাত প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে।
সহীহ তালীকুর রাগীব [১/১৬০] আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। আমরা শুধু উল্লেখিত সনদেই এ হাদীস জেনেছি। সূরা সেজদাহ তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩১৯৭. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন কিছু তৈরি করে রেখেছি, যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান [এর বর্ণনা] কখনো শুনেনি এবং মানুষের অন্তর তা কল্পনাও করিতে পারবে না। এর সত্যতা আল্লাহ তাআলার কিতাবেই বিদ্যমানঃ “তাহাদের ভাল কাজের ফল স্বরূপ তাহাদের চক্ষু শীতলকারী কী লুকায়িত রাখা হয়েছে তা কেউই জানে না”- [সূরা সাজদাহ্ ১৭]।
সহীহঃ রাওযুন নাযীর [১১০৬], বোখারি [৪৭৭৯], মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সূরা সেজদাহ তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩১৯৮. মুগীরাহ ইবনি শুবাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মিম্বারে দাড়িয়ে বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মূসা [আঃ] নিজ সৃষ্টিকর্তার নিকট আরজ করলেনঃ হে প্রভু! সর্বাপেক্ষা নিম্ন শ্রেণীর জান্নাতী কে? তিনি [আল্লাহ] বললেনঃ জান্নাতবাসীরা জান্নাতে চলে যাওয়ার পর এক লোক উপস্থিত হইবে। তাকে বলা হইবে, প্রবেশ কর। সে বলবে, আমি কি করে জান্নাতে প্রবেশ করব, লোকেরা তো নিজ নিজ স্থানে পৌছে তা দখল করে নিয়েছে! তখন তাকে বলা হইবে, দুনিয়ার বাদশাদের মধ্যে একজন বাদশার যত বড় রাজত্ব হইতে পারে, তোমাকে যদি ততটুকু দেয়া হয় তবে তুমি কি খুশি হইবে? সে বলবে, হে প্ৰভু! হ্যাঁ আমি তাতে খুশি হব। তাকে বলা হইবে, তোমাকে এ পরিমাণ এবং এর অতিরিক্ত তিন গুণ স্থান দেয়া হল। সে বলবে, হে প্ৰভু! আমি এতে খুশি আছি। তাকে বলা হইবে, তোমাকে এই পরিমাণ দেয়া হল এবং তার দশ গুণ দেয়া হল। সে বলবে, হে প্ৰভু! আমি সন্তুষ্ট হলাম। তাকে বলা হইবে, এ ব্যতীতও তোমার আত্মা যা কামনা করিবে এবং তোমার চোখ যা পেয়ে শীতল হইবে তাও তোমাকে দেয়া হইবে।
সহীহঃ মুসলিম [৬/৪৫-৪৬] আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। কিছু বর্ণনাকারী শাবী হইতে, তিনি মুগীরাহ [রাদি.] হইতে, এই সনদে এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু মারফুরূপে নয়। তবে মারফুরূপে বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ। সূরা সেজদাহ তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply