সূরা রাদ এর তাফসীর – তাফসিরুল কুরান

সূরা রাদ এর তাফসীর – তাফসিরুল কুরান

সূরা রাদ এর তাফসীর – তাফসিরুল কুরান >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা রা’দ আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-১৪ঃ সূরা আর রাদ এর তাফসীর

৩১১৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলল, হে আবুল কাসিম! আমাদেরকে রাদ [মেঘের গর্জন] প্রসঙ্গে বলুন, এটা কি? তিনি বললেনঃ মেঘমালাকে হাঁকিয়ে নেয়ার জন্য ফেরেশতাহাদের একজন নিয়োজিত আছে। তার সাথে রয়েছে আগুনের চাবুক। এর সাহায্যে সে মেঘমালাকে সেদিকে পরিচালনা করেন, যেদিকে আল্লাহ তাআলা চান। তারা বলল, আমরা যে আওয়াজ শুনতে পাই তার তাৎপর্য কি? রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ এটা হচ্ছে ফেরেশতার হাঁকডাক। এভাবে হাঁকডাক দিয়ে সে মেঘমালাকে তার নির্দেশিত স্হানে নিয়ে যায়। তারা বলল, আপনি সত্য বলেছেন। তারা আবার বলল, আপনি আমাদের বলুন, ইসরাঈল {ইয়াকুব [আঃ]} কোন জিনিষ নিজের জন্য হারাম করেছিলেন? রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তিনি ইরকুন নিসা [স্যায়াটিকা] রোগে আক্রান্ত ছিলেন কিন্তু উটের গোশত ও এর দুধ ছাড়া তার উপযোগী খাদ্য ছিল না। তাই তিনি তা হারাম করে নিয়েছিলেন। তারা বলল, আপনি সত্য বলেছেন।

সহীহ : সহীহাহ [১৮৭২]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১১৮. আবু হুরাইরাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আল্লাহ তাআলার বানী “এদের কতককে কতকের উপর আমি শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে থাকি [সূরা রাদ ৪] প্রসঙ্গে বলেনঃ যেমন নিকৃস্ট খেজুর ও উত্তম খেজুরে এবং মিস্তি ও টকের মধ্যে পার্থক্য।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। যাইদ ইবনি আবী উনাইসাহ [রঃ]আল-আমাশের সুত্রে উপরোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। সাইফ ইবনি মুহাম্মাদ [রঃ]আম্মার ইবনি মুহাম্মাদের ভাই। তার তুলনায় আম্মার অধিক শক্তিশালী বর্ণনাকারী। ইনি সুফইয়ান সাওরীর বোনপুত্র।  সূরা রাদ এর তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান হাদিস


Posted

in

by

Comments

One response to “সূরা রাদ এর তাফসীর – তাফসিরুল কুরান”

Leave a Reply