সূরা মুহাম্মদ তাফসীর তাফসিরুল কোরআন
সূরা মুহাম্মদ তাফসীর তাফসিরুল কোরআন >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা মুহাম্মাদ আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৪৮ঃ সূরা মুহাম্মদ তাফসীর
৩২৫৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
“তোমার দোষের জন্য এবং ঈমানদার নারী-পুরুষদের জন্য তুমি ক্ষমা চাও” – [সূরা মুহাম্মাদ ১৯]। উক্ত আয়াত প্রসঙ্গে নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি আল্লাহ্ তাআলার নিকট প্রতিদিন সত্তরবার ক্ষমা প্রার্থনা করি।
সহীহঃ বোখারি [৬৩০৭], তাতে আছে সত্তর বারেরও বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করি। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু হুরাইরাহ [রাদি.]-এর সূত্রে নাবী [সাঃআঃ]-এর অপর একটি হাদীসে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ ……….. আমি আল্লাহ্ তাআলার নিকট দৈনিক এক শতবার ক্ষমা প্রার্থনা করি”। একাধিক সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত আছেঃ “নিশ্চয় আমি দৈনিক এক শতবার আল্লাহ্ তাআলার কাছে ক্ষমা চাই”। এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনি আম্র-আবু সালামাহ হইতে, তিনি আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে এই সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। সূরা মুহাম্মদ তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৬০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন [অনুবাদ] “যদি তোমরা বিমুখ হও, তাহলে তিনি অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলবর্তী করবেন। তারপর তারা তোমাদের মত হইবে না” – [সূরা মুহাম্মাদ ৩৮]। উপস্থিত সাহাবীগণ প্রশ্ন করেন, কোন লোকদেরকে আমাদের স্থলবর্তী করা হইবে? বর্ণনাকারী বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সালমান [রাদি.] –এর কাঁধে ঝাঁকুনি দিয়ে বলেনঃ এ লোক ও তার জাতি, এ লোক ও তার জাতি।
সহীহঃ সহীহাহ ২য় সংস্করণ [১০১৭]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এর সনদসূত্র প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনি জাফারও হাদীস আলা ইবনি আব্দুর রহমান হইতে বর্ণনা করিয়াছেন । সূরা মুহাম্মদ তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৬১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কয়েকজন সাহাবী প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ তাআলা যে বলেছেন, যদি আমরা বিমুখ হই তবে আমাদের বাদে অন্যদেরকে প্রতিষ্ঠিত করা হইবে, তারপর তারা আমাদের ন্যায় হইবে না, সেসব ব্যক্তি কারা? বর্ণনাকারী বলেন, সালমান ফারসী [রাদি.] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকটেই ছিলেন। সালমান [রাদি.] এর উরুতে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মৃদু আঘাত করে বলেন, ইনি ও তার সাথীরা। সেই সত্তার ক্বসম, যার হাতে আমার প্রাণ! ঈমান যদি সুরাইয়াহ নক্ষত্রের সাথেও ঝুলন্ত থাকত, তবুও পারস্যের কিছু ব্যক্তি তা নিয়ে আসত।
সহীহঃ প্রাগুপ্ত, বোখারি ও মুসলিমে হাদীসের শেষ অংশ বর্ণিত হয়েছে। আবু ঈসা বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি জাফার ইবনি নাজীহ হলেন আলী ইবনি মাদীনীর পিতা। আলী ইবনি হুজর [রঃ]আবদুল্লাহ ইবনি জাফারের সূত্রে অনেক কিছু বর্ণনা করিয়াছেন। আমার নিকট এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন আলী [রহঃ]-ইসমাঈল ইবনি জাফার ইবনি নাজীহ সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনি জ্জাফার হইতে। বিশর ইবনি মিআয আবদুল্লাহ ইবনি জাফার হইতে, তিনি আলা-আলা হইতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন তবে তাতে মানুতান শব্দের পরিবর্তে মুআল্লাকান শব্দ আছে। সূরা মুহাম্মদ তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply