সূরা নাহল এর তাফসীর । তাফসীরুল কুরআন
সূরা নাহল এর তাফসীর । তাফসীরুল কুরআন >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা সুরা নাহল আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-১৭ঃ সূরা নাহল এর তাফসীর
৩১২৮. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছিঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যুহরের [ফরযের] পূর্বে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর যে চার রাকআত নামায [আদায় করা হয়, সাওয়াবের দিক হইতে] তা শেষ রাতের চার রাকআত নামাযের মত। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ এমন কোন জিনিষ নেই যা ঐ সময় আল্লাহ্ তাআলার গুণগান করে না। তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেনঃ “এর ছায়া ডানে ও বাঁয়ে ঢলে পড়ে আল্লাহ্ তাআলার প্রতি বিনীতভাবে সিজদাবনত হয়….” [সূরাঃ আন-নাহল- ৪৮-৫০] …. আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
জঈফ, সহীহা [১৪৩১] নং হাদীসের অধীনে। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আলী ইবনি আসিমের সূত্র ব্যতীত এটি প্রসঙ্গে আমরা কিছু জানি না। সূরা নাহল এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩১২৯. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উহুদের যুদ্ধে চৌষট্টিজন আনসার ও ছয়জন মুহাজির শাহাদাত বরণ করেন। তাহাদের মধ্যে হামযাহ্ [রাদি.]-ও ছিলেন। কাফিররা তাহাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তন করে লাশ বিকৃত করেছিল। আনসারগণ বলেন, আমরা যদি এসব কাফিরকে কোনদিন কাবু করিতে পারি তাহলে তাহাদের উপর এর দ্বিগুণ বদলা নেব। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর যখন মক্কা বিজয়ের দিন আসলো তখন আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ] : “যদি তোমরা শাস্তি দাওই তবে ঠিক ততখানি শাস্তি দিবে যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর তবে ধৈর্যশীলদের জন্য তাইতো উত্তম”- [সূরা আন্-নাহ্ল ১২৬]। তখন এক ব্যক্তি বলল, আজকের পর হইতে কুরাইশদের নাম থাকিবে না। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ চার ব্যক্তি ব্যতীত অন্য লোকদের হত্যা করা হইতে তোমরা বিরত থাক।
সনদ: হাসান সহীহ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উবাই ইবনি কাব [রাদি.]-এর রিওয়ায়াত হিসেবে গারীব। সূরা নাহল এর তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান সহীহ
Leave a Reply