সূরা ত্বহা তাফসীর । তাফসিরুল কুরআন
সূরা ত্বহা তাফসীর । তাফসিরুল কুরআন >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা ত্বা-হা আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-২১ঃ সূরা ত্বহা তাফসীর
৩১৬৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন খাইবার যুদ্ধ হইতে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফিরে আসছিলেন এবং রাতে চলতে চলতে তাহাঁর খুব ঘুম পেল, তখন তিনি তার উট বসিয়ে তা হইতে নেমে পড়লেন, তারপর বললেনঃ হে বিলাল! আজ রাতে তুমি আমাদের পাহারা দাও। বর্ণনাকারী বলেন, বিলাল [রাদি.] নামায আদায় করিলেন, তারপর সূর্যোদয়ের দিকে মুখ ফিরিয়ে হাওদার সাথে হেলান দিয়ে বসে রইলেন। তার চোখ ঘুমের তীব্রতায় বন্ধ হয়ে গেল। কেউই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে পারলেন না। সর্বপ্রথম নাবী [সাঃআঃ] জাগ্রত হলেন। তিনি ডাকলেনঃ হে বিলাল! বিলাল [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার বাবা আপনার জন্য কুরবান হোক। আপনার জীবন যিনি নিয়েছিলেন, আমার জীবনও তিনিই নিয়েছিলেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ উটের পিঠে হাওদা বাঁধো এবং দ্রুত সফর কর। তারপর তিনি আরেক স্থানে পৌছে উট বসালেন এবং উযূ করিলেন। নামাযের উদ্দেশ্যে ইক্বামাত বলা হল। তিনি যেভাবে ওয়াক্তিয়া নামাযগুলো পড়েন, ঠিক সেভাবে ধীরে সুস্থে এই [কাযা] নামায পড়লেন। তারপর তিনি আয়াত পাঠ করলেনঃ “আমার স্মরণে নামায ক্বায়িম কর”- [সূরা ত্ব-হা- ১৪]
সহীহঃ সহীহ আবু দাঊদ [৪৬১, ৪৬৩], ইরওয়া [২৬৩], মুসলিম অনুরূপ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসের সনদ সুরক্ষিত নয়। একাধিক হাফিয যুহরীর সূত্রে এবং তিনি সাঈদ ইবনিল মুসাইয়্যাবের সূত্রে নাবী [সাঃআঃ]-এর নাম উল্লেখ করে এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তারা নিজ নিজ সনদে আবু হুরাইরাহর উল্লেখ করেননি। তাছাড়া হাদীস শাস্ত্রে সালিহ ইবনি আবী আখযার দুর্বল। ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ আল-কাত্তান প্রমুখ তাকে স্মরণ শক্তির দিক হইতে দুর্বল বলেছেন। সূরা ত্বহা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩১৬৪. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ ওয়াইল হচ্ছে জাহান্নামের একটি ময়দানের নাম। এটা এতই গভীর যে, এর তলদেশে পৌঁছা পর্যন্ত কাফির ব্যক্তি চল্লিশ বছর ধরে নীচের দিকে পড়তে থাকিবে।
জঈফ, তালীকুর রাগীব [৪/২২৯] আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু ইবনি লাহীআর সূত্রেই এটি মারফূ হিসেবে জেনেছি। সূরা ত্বহা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply