সূরা আল ফুরকান তাফসীর – তাফসিরুল কোরআন
সূরা আল ফুরকান তাফসীর – তাফসিরুল কোরআন >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা ফুরকান আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-২৬ঃ সূরা আল ফুরকান তাফসীর
৩১৮২. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! সবচেয়ে মারাত্মক গুনাহ কি? তিনি বলেনঃ তুমি কাউকে আল্লাহ তালার শারিক বা সমকক্ষ বানালে, অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তিনি বলেন, আমি বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বলেনঃ তোমার সন্তানরা তোমার খাদ্যে ভাগ বসাবে এই ভয়ে তাহাদের কে হত্যা করা। তিনি বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বলেনঃ তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তোমার জিনায় লিপ্ত হওয়া।
সহীহঃ ইরওয়াহ [২৩৩৭], সহীহ আবু দাউদ [২০০০], বোখারি [৪৭৬১], মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এই হাদিস টি হাসান গারীব। বুনদার আব্দুর রহমান ইবনি মাহদী হইতে, তিনি সুফিয়ান হইতে, তিনি আমাশ হইতে, তিনি আবু ওয়ায়িল হইতে, তিনি আবু ইবনি শুরাহবীল হইতে, তিনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সনদেও উপরের হাদিসের একই রকম বর্ণনা পেয়েছেন। আবু ঈসা বলেন, এই সনদে বর্ণিত হাদিসটি হাসান সহীহ। সূরা আল ফুরকান তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩১৮৩. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে প্রশ্ন করলাম, সবচেয়ে মারাত্মক গুনাহ কোনটি? তিনি বলেনঃ [১] আল্লাহ তাআলার সাথে কাউকে তোমার শরীক বানানো অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন; [২] তোমার সন্তানেরা তোমার সাথে আহার করিবে বা তোমার খাদ্যে ভাগ বসাবে এই ভয়ে তাহাদের কে হত্যা করা; [৩] তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তোমার যিনা করা। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি এই আয়াত পাঠ করিলেন [অনুবাদ]ঃ “যারা আল্লাহ তাআলার সাথে কোন মাবূদকে ডাকেনা, আল্লাহ তাআলা যাকে হত্যা নিষিদ্ধ করিয়াছেন তাকে হত্যা করেনা এবং ব্যাভিচারেও জড়িত হয়না। যে এগুলো করে সে শাস্তি ভোগ করিবে। কিয়ামাতের দিন তার আযাব দ্বিগুণ করা হইবে এবং সেখানে সে অনন্তকাল লাঞ্ছিত অবস্থায় থাকিবে।”- [সুরা আল-ফুরকান ৬৮-৬৯]।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম, প্রাগুপ্ত। আবু ঈসা বলেন, মানসুর ও আমাশ এর সনদে বর্ণিত সুফইয়ানের হাদীসটি ওয়াসিলের সনদে বর্ণিত হাদীসের তুলনায় অনেক বেশী সহীহ। কেননা তিনি [ওয়াসিল] টার সনদে আরো একজন বর্ণনাকারীর উল্লেখ করিয়াছেন। মুহাম্মাদ ইবনি মুসান্না-মুহাম্মাদ ইবনি জাফার হইতে,তিনি শুবাহ হইতে, তিনি ওয়াসিল হইতে, তিনি আবু ওয়াইয়িল হইতে,তিনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী[সাঃআঃ] হইতে, এ সুত্রে উপরের হাদিসের মত বর্ণনা করিয়াছেন। এই সনদে আম্র ইবনি শুরাহবীলের উল্লেখ নেই। সূরা আল ফুরকান তাফসীর = এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply