সূরা আল ফাতহ এর তাফসির । তাফসিরুল কুড়ান
সূরা আল ফাতহ এর তাফসির । তাফসিরুল কুড়ান >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা ফাতাহ আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৪৯ঃ সূরা আল ফাতহ এর তাফসির
৩২৬২. উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক সফরে আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট কিছু বললে তিনি নির্বাক থাকেন। আমি আমার কথার পুনরাবৃত্তি করলে তিনি এবারও নীরব রইলেন। আমি আমার কথা পুনর্ব্যক্ত করলে তিনি এবারও নীরব থাকেন। অতএব আমি আমার জন্তুজান হাঁকিয়ে একপাশে চলে গেলাম এবং মনে মনে বললেম, হে খাত্তাবের পুত্র! তোমার মা তোমাকে হারাক। তুমি তিন তিনবার রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করে বিরক্ত করলে, অথচ একবারও তিনি কথা বলেননি। এখন তোমার প্রসঙ্গে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি বলেন, মুহূর্তকাল অতিবাহিত না হইতেই আমি শুনতে পেলাম, কে যেন চিৎকার করে আমাকে ডাকছে। অতএব আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এলাম। তিনি বললেনঃ হে ইবনিল খাত্তাব! আজ রাতে আমার উপর এমন একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, যার পরিবর্তে সারা জগতের সকল কিছু আমাকে দেয়া হলেও আমি তা পছন্দ করব না। সেই সূরাটি হল [অনুবাদ] “নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়” – [সূরা ফাতহ ১]
সনদ সহীহ, বোখারি [৪৮৩৭] আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। কোন কোন বর্ণনাকারী হাদিসটি মালিক হইতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন। – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৬৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, হুদাইবিয়া হইতে প্রত্যাবর্তনের সময় রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] –এর উপর আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যেন আল্লাহ্ তাআলা তোমার অতীত ও ভবিষ্যৎ ভুলসমূহ মাফ করেন” – [সূরা আল ফাতহ, ২], তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমার উপর এমন একটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে যা আমার নিকটে দুনিয়ার সবকিছু হইতে প্রিয়। তারপর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাহাবীগণের সামনে আয়াতটি তিলাওয়াত করিলেন। তারা বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুবারাকবাদ! এটি আপনার জন্য অভিনন্দন। আপনার সাথে কেমন আচরণ করা হইবে, তাতো আল্লাহ্ তাআলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সাথে কেমন ব্যবহার করা হইবে? তখন তার উপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “তা এজন্য যে, তিনি ঈমানদার পুরুষ ও মহিলাদের জান্নাতে দাখিল করাবেন, যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয় নহরসমূহ। সেখানে তারা অনন্তকাল থাকিবে এবং তিনি তাহাদের পাপসমূহ মার্জনা করবেন। এটাই আল্লাহ্ তাআলার সমীপে মহা সাফল্য।” [সূরা আল-ফাতহ ২]
সনদ সহীহ, বোখারি [৪৭১২] আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]-কে মুবারাকবাদ …. এই অংশটুকু মুরসাল, মুসলিম [৫/১৭৬] আনাস হইতে ঐ অতিরিক্ত অংশ ব্যতীত, তা শাজ। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদের মুজাম্মি ইবনি জারিয়াহ [রাযিঃ] হইতেও হাদিস বর্ণিত আছে। সূরা আল ফাতহ এর তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৩২৬৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা আশিজন কাফির ফাজরের সময় তানঈম পাহাড় হইতে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও তাহাঁর সাহাবীগণকে হত্যা করার উদ্দেশে নেমে আসে। তারা সকলেই গ্রেপ্তার হয়। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদেরকে ছেড়ে দিলেন। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ] “তিনি সেই সত্তা যিনি [মক্কা উপত্যকায় তাহাদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর] তাহাদের হাত তোমাদের হইতে এবং তোমাদের হাত তাহাদের হইতে নিবারিত করিয়াছেন। তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ্ তাআলা তা দেখেন” –[সূরা ফাতহ ২৪]
সহীহঃ সহীহ আবু দাঊদ [২৪০৮], মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । সূরা আল ফাতহ এর তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৬৫. উবাই ইবনি ক্বাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] আল্লাহ্ তাআলার বাণী [অনুবাদ] “তিনি তাহাদেরকে তাক্বওয়ার বাক্যে সুদৃঢ় করিলেন” – [সূরা ফাতহ ২৬] প্রসঙ্গে বলেনঃ এ বাক্যের অর্থ হল, কালিমা “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ”।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু হাসান ইবনি কাযাআর সনদে এ হাদীস মারফুরূপে জেনেছি। এ হাদীস প্রসঙ্গে আমি আবু যুরআকে প্রশ্ন করলে তিনি উপর্যুক্ত সুত্র ব্যতীত এটিকে মারফুরূপে রিওয়ায়াত হওয়া প্রসঙ্গে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সূরা আল ফাতহ এর তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply