সূরা আল কাসাস তাফসীর

সূরা আল কাসাস তাফসীর

সূরা আল কাসাস তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা কাসাস আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

সূরা আল কাসাস তাফসীর

৬৫/২৮/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আপনি যাকে ভালোবাসেন, ইচ্ছা করলেই তাকে হিদায়াত করিতে পারবেন না; তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হিদায়াত করে থাকেন। (সুরা ক্বাসাস ২৮/৫৬)
৬৫/২৮/২.অধ্যায়ঃ যে আল্লাহ আপনার প্রতি কুরআনকে ফরয করিয়াছেন। (সুরা ক্বাসাস ২৮/৮৫)

৬৫/২৮/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আপনি যাকে ভালোবাসেন, ইচ্ছা করলেই তাকে হিদায়াত করিতে পারবেন না; তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হিদায়াত করে থাকেন। (সূরা আল কাসাস ২৮/৫৬)

সুরা (২৭) : নামল

وَالْخَبْءُযা তুমি গোপন কর। لَا قِبَلَ لَهُمْতাদের কোন শক্তি নেই।[১]الصَّرْحُকাঁচ মিশ্রিত গারা এবং الصَّرْحُ প্রাসাদকেও বলা হয়। এর বহুবচন صُرُوْحٌ। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, وَلَهَا عَرْشٌতার সিংহাসন অতি সম্মানিত, শিল্প কর্মে উত্তম এবং বহু মূল্যবান। يَأْتُوْنِيْ مُسْلِمِيْنَঅনুগত হয়ে আমার নিকট আসবে। رَدِفَনিকটবর্তী হয়েছে। جَامِدَةًস্থির। أَوْزِعْنِيْআমাকে বানিয়ে দাও। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, نَكِّرُوْاপরিবর্তন করে দাও। وَأُوْتِيْنَا (আমাদের জ্ঞান দেয়া হয়েছে) এ কথা সুলাইমান (আঃ) বলেন, الصَّرْحُপানির একটি হাউয। সুলাইমান (আঃ) সেটি কাঁচ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন।

সুরা (২৮) : ক্বাসাস

يُقَالَ {كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَه”} إِلَّا مُلْكَهُ وَيُقَالُ إِلَّا مَا أُرِيْدَ بِهِ وَجْهُ اللهِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ فَعَمِيَتْ عَلَيْهِمْ {الأَنْبَآءُ} الْحُجَجُ.

আল্লাহর চেহারা ব্যতীত সব কিছু ধ্বংস হইবে। ইমাম বুখারী বলেছেন, এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, তাহাঁর রাজত্ব [2] ব্যতীত এবং এও বলা হয়েছে যে, যে আমাল দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন উদ্দেশ্য তা ব্যতীত সবই ধ্বংস হইবে। অতঃপর তাদের কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যাবে। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) الْأَنْبَاءُ শব্দের অর্থ বলেছেন প্রমাণাদি।

৪৭৭২

মুসাইয়্যাব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন আবু ত্বলিবের মৃত্যু নিকটবর্তী হল, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর কাছে আসলেন। তিনি সেখানে আবু জাহ্ল এবং আবদুল্লাহ ইবনু আবু উমাইয়াহ ইবনু মুগীরাকে পেলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, হে চাচা! আপনি বলুন “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ।” এ কালেমা দ্বারা আমি আপনার জন্য (ক্বিয়ামাতে) আল্লাহর কাছে ওযর পেশ করিতে পারব। আবু জাহ্ল এবং আবদুল্লাহ ইবনু আবু উমাইয়াহ বলিল, তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম ত্যাগ করিবে? রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বারবার তার কাছে এ কালিমা পেশ করিতেই থাকলেন। আর তারা তাদের কথা বারবার বলেই চলল। অবশেষে আবু ত্বলিব তাঁদের সঙ্গে সর্বশেষ এ কথা বলিলেন, আমি আবদুল মুত্তালিবের মিল্লাতের উপর আছি, এবং কালিমা “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” পাঠ করিতে অস্বীকৃতি জানালেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, আল্লাহর কসম! আমাকে নিষেধ না করা অবধি আপনার জন্য ক্ষমা চাইতেই থাকব। তারপর আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করিলেন, নাবী ও মুমিনদের জন্য এটা শোভনীয় নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিবে। আর আল্লাহ তাআলা আবু ত্বলিব সম্পর্কে অবতীর্ণ করেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে সম্বোধন করে আল্লাহ তাআলা বলিলেন, “তুমি যাকে ভালবাস তাকেই সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন।”

ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন أُولِي الْقُوَّة লোকের একটি দল সে চাবিগুলো বহন করিতে সক্ষম ছিল না। لَتَنُوءُ বহন করা কষ্টসাধ্য ছিল। فَارِغًا মূসা (আ.)-এর স্মরণ ব্যতীত সব কিছু থেকে খালি ছিল। الْفَرِحِينَ দম্ভকারীরা! قُصِّيهِ তার চিহ্ন অনুসরণ কর। কথার বর্ণনা অর্থেও প্রয়োগ হয়। نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ عَنْ جُنُبٍ এখানে جُنُبٍ অর্থ দূর থেকে। عَنْ جَنَابَةٍ، عَنْ اجْتِنَابٍ এর একই অর্থবোধক।يَبْطِشُ ـ يَبْطُشُ উভয়ই পড়া হয়। يَأْتَمِرُونَ পরস্পর পরামর্শ করছে। الْعُدْوَانُ ـ وَالْعَدَاءُ وَالتَّعَدِّي (শব্দ তিনটির) অর্থ একই ; সীমা অতিক্রম করা। آنَسَ দেখা الْجِذْوَةُ কাঠের মোটা টুকরা যাতে শিখা নেই। الشِّهَابُ যাতে শিখা আছে। الْحَيَّاتُ বহু প্রকার সাপ; যেমন, চিকন জাতি, অজগর, কালনাগ (ইত্যাদি) رِدْءًا সাহায্যকারী। ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, يُصَدِّقُنِي (তিনি قاف-কে পেশ দিয়ে পড়েন। অন্য হইতে বর্ণিত سَنَشُدُّ আমরা শীঘ্র তোমাকে সাহায্য করব। যখন তুমি কোন জিনিসকে শক্তিশালী করলে, তখন তুমি যেন তার জন্য বাহুবল প্রদান করলে। যখন আরবগণ কাউকে সাহায্য করেন তখন বলে থাকেন جَعَلْتَ لَهُ عَضُدًا (বাহুবল প্রদান করলে) مَقْبُوحِينَ ধ্বংসপ্রাপ্ত। وَصَّلْنَا আমি বর্ণনা করেছি; আমি তা পূর্ণ করেছি। يُجْبَى আমদানি করা হয়। بَطِرَتْ দম্ভ করিল। فِي أُمِّهَا رَسُولاً মক্কা এবং তার চতুষ্পার্শকে বলা হয়। تُكِنُّ গোপন করছ। আরবগণ বলে থাকেন أَكْنَنْتُ الشَّيْءَ আমি তা গোপন করেছি। كَنَنْتُهُআমি তা লুকিয়েছি; আমি প্রকাশ করেছি। وَيْكَأَنَّ اللهَ আর أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّ اللهَ সমার্থক (তারা কি দেখেনি?) يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَقْدِر আল্লাহ যার জন্য চান খাদ্য প্রসারিত করে দেন, আর যার থেকে চান সংকুচিত করে দেন। [১৩৬০] (আ.প্র. ৪৪০৮, ই.ফা. ৪৪১০)

[১] অট্টালিকার ইট-পাথরের গাঁথুনি ও প্রয়োজনীয় উপাদান।

[১] ইমাম বুখারী যে তাফসীর করিয়াছেন সেটি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকীদাহ অনুপাতে হয়নি। প্রকৃতপক্ষে এখানে وجهه থেকে আহলুসসুন্নাহ ওয়াল জামাআত وجهه শব্দের ব্যাখায় তার সত্ত্বা কথাটিই গ্রহণ করিয়াছেন। যেমন সুরা আর রহমানে বলা হয়েছে। كُلُّمَنْعَلَيْهَافَانٍ – وَيَبْقَىوَجْهُرَبِّكَذُوالْجَلَالِوَالْإِكْرَامِ (২৭-২৬) سورةالرحمن ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হইবে। শুধুমাত্র মহিমাময় মহানুভব প্রতিপালকের চেহারা (সত্ত্বা) অবশিষ্ট থাকবে। (সুরা আর-রহমানঃ ২৬-২৭)

৬৫/২৮/২.অধ্যায়ঃ যে আল্লাহ আপনার প্রতি কুরআনকে ফরয করিয়াছেন। (সূরা আল কাসাস ২৮/৮৫)

৪৭৭৩

مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الْعُصْفُرِيُّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ {لَرَآدُّكَ إِلٰى مَعَادٍ} قَالَ إِلَى مَكَّةَ.

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, لَرَادُّكَ إِلَى مَعَادٍ এর অর্থ মাক্কাহর পানে। (আ.প্র. ৪৪০৯, ই.ফা. ৪৪১১)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply