সূরা আম্বিয়া তাফসীর

সূরা আম্বিয়া তাফসীর

সূরা আম্বিয়া তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা আম্বিয়া আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

সূরা আম্বিয়া তাফসীর

৬৫/২১/১.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।
৬৫/২১/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম। (সুরা আম্বিয়া ২১/১০৪)

৬৫/২১/১.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।

৪৭৩৯

আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সুরা বনি ইসরাইল, কাহ্ফ, মারইয়াম, ত্বহা এবং আম্বিয়া প্রথমে অবতীর্ণ অতি উত্তম সুরা। এগুলো আমার পুরনো রক্ষিত সম্পদ। [৪৭০৮]

ক্বাতাদাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, جُذَاذًا টুক্রা টুক্রা করা। হাসান বলেন, فِي فَلَكٍ (কক্ষ পথ) সূতা কাটার চরকির মত। يَسْبَحُونَ ঘুরছে। ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, نَفَشَتْ মানে চরে খেয়েছিল। يُصْحَبُونَ বাধা দেয়া হইবে। أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً অর্থাৎ তোমাদের দ্বীন একই দীন। ইক্বরামাহ বলেন, حَصَبُ অর্থ, হাবশী ভাষায় জ্বালানি কাষ্ঠ। অন্যরা বলেন, أَحَسُّوا তারা অনুভব করেছিল। আর এ শব্দটি أَحْسَسْتُ থেকে উদ্ভূত। خَامِدِينَ নির্বাপিত। حَصِيدُ কর্তিত শস্য। শব্দটি একবচন, দ্বিচন, বহুবচনেও ব্যবহৃত হয়। لاَ يَسْتَحْسِرُونَ ক্লান্তি হয় না। এর থেকে উদ্ভূত حَسَرْتُ بَعِيرِي-حَسِيْرٌ আমি আমার উটকে পরিশ্রান্ত করে দিয়েছি। عَمِيقٌ দূরত্ব। نُكِّسُوا উল্টিয়ে দেয়া হয়েছে। صَنْعَة لَبُوسٍ অর্থাৎ বর্মাদি। تَقَطَّعُوا أَمْرَهُمْ তারা মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। الْجَرْسُ، الْحِسُّ، الْحَسِيسُ، الْهَمْسُ এগুলোর একই অর্থ-মৃদু আওয়াজ। آذَنَّاكَ আমি তোমাকে জানিয়েছি। آذَنْتُكُمْ যখন তুমি তাকে জানিয়ে দিলে তখন তুমি আর সে একই পর্যায়ের। তুমি চুক্তি ভঙ্গ কররে না। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, لَعَلَّكُمْ تُسْأَلُونَ অর্থাৎ তোমাদের বুঝিয়ে দেয়া হইবে। ارْتَضَى সে রাজী হল। التَّمَاثِيلُ মূর্তিসমূহ। السِّجِلُّ লিপিবদ্ধ কাগজ। (আ.প্র. ৪৩৭৮, ই.ফা. ৪৩৮০)

৬৫/২১/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম। (সুরা আম্বিয়া ২১/১০৪)

৪৭৪০

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এক ভাষণে বলেন, ক্বিয়ামাতের দিন তোমরা আল্লাহ তাআলার সম্মুখে বস্ত্রহীন এবং খাতনাহীন অবস্থায় জমায়েত হইবে। (এরপর তিনি এ আয়াত পাঠ করিলেন) كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ “যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব; আমার উপর এ ওয়াদা রইল; অবশ্যই আমি তা কার্যকর করব।” এরপর ক্বিয়ামাতের দিন সর্বপ্রথম পোশাক পরিধান করানো হইবে ইব্রাহীম (আ.)-কে। জেনে রাখ, আমার উম্মাতের মধ্য হইতে বহু লোককে হাজির করা হইবে। এরপর তাদের ধরে বাম দিকে নিয়ে যাওয়া হইবে। আমি বলব, হে রব! এরা তো আমার সঙ্গী-সাথী। এরপর বলা হইবে, আপনি জানেন না, আপনার পরে ওরা (ইসলামে) নতুন কাজে লিপ্ত হয়েছে। তখন আমি সে কথা বলব, যেমন আল্লাহর নেক বান্দা [ঈসা (আ.)] বলেছিলেন ঃ وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ ….. شَهِيدٌ “যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম, ততদিন আমি ছিলাম তাদের কার্যাবলীর প্রত্যক্ষদর্শী; কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে, তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষকারী এবং তুমিই সর্ববিষয়ে সাক্ষী।” এরপর বলা হইবে, তুমি এদের নিকট হইতে চলে আসার পর এরা ধারাবাহিকভাবে উল্টো পথে চলেছে। [৩৩৪৯] (আ.প্র. ৪৩৭৯, ই.ফা. ৪৩৮১)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply