সুর কামার তাফসীর । তাফসীর উল কুড়ান
সুর কামার তাফসীর । তাফসীর উল কুড়ান >> তিরমিজি শরিফের তাফসিরুল কোরআন অধ্যায়ের অন্যান্য সুরার তাফসীর পড়ুন >> সুরা ক্বামার আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৫৫ঃ সুর কামার তাফসীর
৩২৮৫. ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমরা নাবী [সাঃআঃ] এর সঙ্গে মিনায় অবস্থানরত ছিলাম। সে সময় হঠাৎ চাঁদ বিদীর্ণ হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। এর একটি অংশ পাহাড়ের পিছন দিকে এবং অন্য অংশ পাহাড়ের সম্মুখে পড়ে গেল। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের বললেনঃ তোমরা প্রত্যক্ষ কর এবং সাক্ষী থাকঃ “ক্বিয়ামাত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছে ”-[সূরা ক্বামার ১]
সহিহঃ বোখারি ও মুসলিম।আবু ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস। সুর কামার তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৮৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন মাক্কাবাসীরা নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট একটি নিদর্শন পেশ করার দাবি করিল, সে সময় মক্কাতে চাঁদটি দুইবার বিদীর্ণ হয়। এ সম্পর্কে আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ]ঃ “ক্বিয়ামাত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছে। তারা কোন মুজিযা [নিদর্শন] প্রত্যক্ষ করলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাচরিত যাদু”-[সূরা ক্বামার ১-২] যা এ মুহূর্তে শেষ হয়ে যাবে।
সহীহঃ বোখারি [হাঃ ৩৬৩৭, ৪৮৬৭, ৪৮৬৮], মুসলিম[হাঃ ৮/১৩৩]; তবে এতে “নাযালাত” [অতঃপর নাযিল হল] শব্দের উল্লেখ নেই। বোখারির বর্ণনায় “মাররাতাইন” [দুইবার] –এর স্থলে “ফিরক্বাতাইন” [দুই টুকরা] শব্দের উল্লেখ আছে। “মাররাতাইন” [দুইবার] শব্দ মুসলিমের বর্ণনায় আছে। আবু ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস। সুর কামার তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৮৭. ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর যুগে চাঁদ বিদীর্ণ হয়। সে সময় রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের বলেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম।আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুর কামার তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৮৮. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর যুগে চাঁদ বিদীর্ণ হল। সে সময় রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক।
সহীহঃ মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুর কামার তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৮৯. জুবাইর ইবনি মুতইম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর যুগে চাঁদ বিদীর্ণ হল এবং দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেলে, এক অংশ এই পাহাড়ের উপর এবং অপর অংশ ঐ পাহাড়ের উপর পড়ে গেল। তারা [মাক্কাবাসী কাফিররা] বলল, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে যাদু করিয়াছেন। কেউ কেউ বলল, তিনি আমাদের যাদু করে থাকলে সব মানুষকে যাদু করিতে পারবেন না।
হাদীসটি সনদ সহীহ। আবু ঈসা বলেন, কোন কোন বর্ণনাকারী এ হাদীস হুসাইন হইতে, তিনি জুবাইর ইবনি মুহাম্মাদ ইবনি জুবাইর ইবনি মুতইম হইতে। তিনি তার পিতা হইতে, তিনি তার দাদা জুবাইর ইবনি মুতইম [রাদি.] হইতে, এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২৯০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন কুরাইশ মুশরিকরা নাবী [সাঃআঃ] এ নিকট আসে। তারা ভাগ্য প্রসঙ্গে বাদানুবাদ করছিল। সে সময় এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ]ঃ “যেদিন তাহাদেরকে উপুড় করে জাহান্নামের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হইবে [আর বলা হইবে], জাহান্নামের যন্ত্রণার স্বাদ গ্রহন কর। প্রতিটি জিনিস আমরা নির্ধারিত পরিমানে সৃষ্টি করেছি”- [সূরা ক্বামার ৪৮-৪৯]।
সহীহঃ ইবনি মাজাহ [হাঃ ৮৩], মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply