সুরা হিজর এর তাফসীর

সুরা হিজর এর তাফসীর

সুরা হিজর এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন  >> সুরা হিজর আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

সুরা হিজর এর তাফসীর

৬৫/১৫/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর কেউ চুপিচুপি সংবাদ শুনতে চাইলে তার পিছনে ছুটে জ্বলন্ত শিখা।* (সুরা হিজর ১৫/১৮) সুরা (১৫) : হিজর
৬৫/১৫/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় হিজরের অধিবাসীও রাসূলের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। (সুরা হিজর ১৫/৮০)
৬৫/১৫/৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর আমি তো আপনাকে দিয়েছি সাতটি আয়াত যা বারবার পাঠ করা হয় এবং দিয়েছি মহা কুরআন। (সুরা হিজর ১৫/৮৭)
৬৫/১৫/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যারা নানাভাবে কুরআনকে বিভক্ত করেছে। (সুরা হিজর ১৫/৯১)
৬৫/১৫/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর আপনার রবের ইবাদাত করিতে থাকুন যে পর্যন্ত না আপনার কাছে মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়। (সুরা হিজর ১৫/৯৯)

৬৫/১৫/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর কেউ চুপিচুপি সংবাদ শুনতে চাইলে তার পিছনে ছুটে জ্বলন্ত শিখা।* (সুরা হিজর ১৫/১৮) সুরা (১৫) : হিজর

মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, صِرَاطٌ عَلَيَّ مُسْتَقِيْمٌ সঠিক পথ যা আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এবং তাহাঁর দিকে রয়েছে এ রাস্তা। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, لَعَمْرُكَ তোমার জীবনের কসম। قَوْمٌ مُنْكَرُوْنَ এমন সম্প্রদায়, যাদের লূত (আঃ) চিনেননি। অন্যেরা বলেন, كِتَابٌ مَعْلُوْمٌ নির্দিষ্ট সময়। لَوْ مَا تَأْتِيْنَا কেন আমার কাছে আসে না। شِيَعٌ বহু সম্প্রদায়। বন্ধুবর্গকেও شِيَعٌ বলা হয়। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, يُهْرَعُوْنَ তারা দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। لِلْمُتَوَسِّمِيْنَ প্রত্যক্ষকারীদেরকে জন্য سُكِّرَتْ ঢেকে দেয়া হয়েছে। চন্দ্র-সূর্যের মনযিল। بُرُوْجًا অর্থাৎ (ভার-গর্ভ মেঘমালা), এটার একবচন مُلْقَحَةً حَمَإٍ جَمَاعَةُ এর বহুবচন পচা কাদামাটি। وَالْمَسْنُوْنُ ঢেলে দেয়া হয়েছে। تَوْجَلْ ভীত হও। دَابِرَ অর্থ-শেষাংশ। الْإِمَامُ যার তুমি অনুসরণ করেছ, এবং যার দ্বারা সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছ। الصَّيْحَةُ ধ্বংস।

৪৭০১

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন আল্লাহ তাআলা আকাশে কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন মালায়িকাহ তাহাঁর কথা শোনার জন্য অতি বিনয়ের সঙ্গে নিজ নিজ পালক ঝাড়তে থাকে মসৃণ পাথরের উপর জিঞ্জিরের শব্দের মত। আলী (রাদি.) বলেন, صَفْوَانِ এর মধ্যে فَا সাকিন যুক্ত এবং অন্যরা বলেন, فَا ফাতাহ যুক্ত। এভাবে আল্লাহ তাআলা তাহাঁর বাণী মালায়িকাকে পৌঁছান। “যখন মালায়িকার অন্তর থেকে ভয় দূর হয়, তখন তারা একে অপররে জিজ্ঞেস করে, তোমাদের প্রভু কী বলেছেন? তখন তারা বলে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন, এবং তিনি অতি উচ্চ মহান।” চুরি করে কান লাগিয়ে (শায়ত্বনরা) তা শুনে নেয়। শোনার জন্য শায়ত্বনগুলো একের ওপর এক এভাবে থাকে। সুফ্ইয়ান ডান হাতের আঙ্গুলের ওপর অন্য আঙ্গুল রেখে হাতের ইশারায় ব্যাপারটি প্রকাশ করিলেন। তারপর কখনও অগ্নি স্ফুলিঙ্গ শ্রবণকারীকে তার সাথীর কাছে এ কথাটি পৌঁছানোর আগেই আঘাত করে এবং তাকে জ্বালিয়ে দেয়। আবার কখনও সে ফুলকি প্রথম শ্রবণকারী শয়তান পর্যন্ত পৌঁছার পূর্বেই সে তার নিচের সাথীকে খবরটি জানিয়ে দেয়। এমনি করে এ কথা পৃথিবী পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়। কখনও সুফ্ইয়ান বলেছেন, এমনি করে পৃথিবী পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তারপর তা জাদুকরের মুখে ঢেলে দেয়া হয় এবং সে তার সঙ্গে শত মিথ্যা মিশিয়ে প্রচার করে। তাই তার কথা সত্য হয়ে যায়। তখন লোকেরা বলিতে থাকে, এ জাদুকর আমাদের কাছে অমুক অমুক দিন অমুক অমুক কথা বলেছিল;। বস্তুত আসমান থেকে শুনে নেয়ার কারণেই আমরা তা সত্যরূপে পেয়েছি। (আ.প্র. ৪৩৪০, ই.ফা. ৪৩৪০)

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিত। যখন আল্লাহর তাআলা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন….এ বর্ণনায় كَاهِنِ (জ্যোতির্বিদ কথাটি) অতিরিক্ত। ….. আবু হুরাইরাহ (রাদি.) বলেছেন, যখন আল্লাহ তাআলা কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ বর্ণনায় عَلَى فَمِ السَّاحِرِ (জাদুকরের মুখের ওপর) উল্লেখ করিয়াছেন। আলী ইবনু আবদুল্লাহ বলেন, আমি সুফ্ইয়ানকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি আমর থেকে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইকরামাহ থেকে শুনে এবং তিনি (ইকরামাহ) বলেন, আমি আবু হুরাইরাহ (রাদি.) থেকে শুনিয়াছি। সুফ্ইয়ান বলেন, হ্যাঁ। আলী বলেন, আমি সুফ্ইয়ানকে জিজ্ঞেস করলাম, এক ব্যক্তি আপনার থেকে এভাবে বর্ণনা করিয়াছেন, আমর ইকরামাহ থেকে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাদি.) থেকে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) পাঠ করিয়াছেন। সুফ্ইয়ান বলিলেন, আমি আম্রকে এভাবে পড়তে শুনিয়াছি। তবে আমি জানি না, তিনি এভাবেই শুনেছেন কিনা; তবে এ-ই আমাদের পাঠ। [৪৮০০, ৭৪৮১] (আ.প্র. ৪৩৪১, ই.ফা. ৪৩৪১)

৬৫/১৫/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় হিজরের অধিবাসীও রাসূলের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। (সুরা হিজর ১৫/৮০)

৪৭০২

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) হিজরবাসীগণ সম্পর্কে সহাবায়ে কিরামদের বলিলেন, তোমরা ক্রন্দনরত অবস্থা ব্যতিরেকে এ জাতির এলাকায় প্রবেশ করিবে না। যদি তোমাদের ক্রন্দন না আসে, তবে তোমরা তাদের এলাকায় প্রবেশই করিবে না। হয়ত, তাদের ওপর যা ঘটেছিল তা তোমাদের ওপরও ঘটতে পারে। [৪৩৩] (আ.প্র. ৪৩৪২, ই.ফা. ৪৩৪২)

[১] হিজর একটি উপত্যকা যেখানে সামুদ সম্প্রদায় বাস করত।

৬৫/১৫/৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর আমি তো আপনাকে দিয়েছি সাতটি আয়াত যা বারবার পাঠ করা হয় এবং দিয়েছি মহা কুরআন। (সুরা হিজর ১৫/৮৭)

৪৭০৩

আবু সাঈদ ইবনু মুয়াল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমার পার্শ্ব দিয়ে গেলেন, তখন আমি সলাত আদায় করছিলাম। তিনি আমাকে ডাক দিলেন। আমি সলাত শেষ না করে আসিনি। তারপর আমি বললাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে বলিলেন, আমার কাছে আসতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিল। আমি আসলাম, আমি সলাত আদায় করছিলাম। তিনি বলিলেন, আল্লাহ তাআলা কি এ কথা বলেননি, “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ এবং রাসূলের ডাকে সাড়া দাও?” তারপর তিনি বলিলেন, আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগেই কি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সুরাটি শিখিয়ে দেব না। তারপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) যখন মসজিদ থেকে বের হইতে উদ্যত হলেন, আমি তাকে কথাটি মনে করিয়ে দিলাম। তিনি বলিলেন, সে সুরাটি হল, “আল্ হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।” এটি হল, বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহা কুরআন যা আমাকে দেয়া হয়েছে। [৪৪৭৪] (আ.প্র. ৪৩৪৩, ই.ফা. ৪৩৪৩)

[১] সুরায়ে ফাতিহাকে মহা কুরআন বলা হয়েছে। কারণ, কুরআনের সকল বিষয়বস্তুর মূল কথা এর মধ্যে রয়েছে।

৪৭০৪

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, উম্মুল কুরআন (সুরা ফাতিহা) হচ্ছে বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহা কুরআন। (আ.প্র. ৪৩৪৪, ই.ফা. ৪৩৪৪)

[১] উম্মুল কুরআন বলা হয় সুরা ফাতিহাকে। কুরআন মাজীদের সকল বিষয়বস্তু এর মধ্যে সংক্ষেপে রয়েছে বলে উম্মুল কুরআন অর্থাৎ কুরআনের মা বলা হয়।

[2] পূর্বে হাদীসের টীকা দ্র.।

৬৫/১৫/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যারা নানাভাবে কুরআনকে বিভক্ত করেছে। (সুরা হিজর ১৫/৯১)

{الْمُقْتَسِمِيْنَ} الَّذِيْنَ حَلَفُوْا وَمِنْهُ {لَا أُقْسِمُ} أَيْ أُقْسِمُ وَتُقْرَأُ لَأُقْسِمُ. {قَاسَمَهُمَا} حَلَفَ لَهُمَا وَلَمْ يَحْلِفَا لَهُ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {تَقَاسَمُوْا} تَحَالَفُوْا.

الْمُقْتَسِمِيْنَ যারা শপথ করেছিল [১] এবং এ অর্থে لَاأُقْسِمُ অর্থাৎ أُقْسِمُ আমি শপথ করছি এবং لَاأُقْسِمُ ও পড়া হয় قَاسَمَهُمَا (ইবলিস) শপথ করেছিল, দুজনার কাছে। তারা দুজন (আদম ও হাওয়া) তার জন্য শপথ করেনি। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, تَقَسَمُوْا তারা শপথ করেছিল।

৪৭০৫

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

“যারা কুরআনকে ভাগ করে ফেলেছে।”এরা হল আহ্লে কিতাব (ইয়াহূদী-নাসারা)। তারা কুরআনকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে ফেলেছে। তারা কোন অংশের ওপর বিশ্বাস এনেছে এবং কোন অংশকে অস্বীকার করেছে। [৩৯৪৫] (আ.প্র. ৪৩৪৫, ই.ফা. ৪৩৪৫)

৪৭০৬

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

كَمَا أَنْزَلْنَا عَلَى الْمُقْتَسِمِينَ-এর ব্যাখ্যায় বলেন, তারা কিছু অংশের উপর ঈমান আনে আর কিছু অংশ অস্বীকার করে। এরা হল ইয়াহুদী ও নাসারা। [৩৯৪৫] (আ.প্র. ৪৩৪৬, ই.ফা. ৪৩৪৬)

৬৫/১৫/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর আপনার রবের ইবাদাত করিতে থাকুন যে পর্যন্ত না আপনার কাছে মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়। (সুরা হিজর ১৫/৯৯)

قَالَ سَالِمٌ {الْيَقِيْنُ} الْمَوْتُ.

সালিম বলেন, (এখানে) يَقِيْنُ মৃত্যু।

সুরা (১৬) : নাহল

{رُوْحُ الْقُدُسِ} جِبْرِيْلُ نَزَلَ بِهِ الرُّوْحُ الْأَمِيْنُ {فِيْ ضَيْقٍ} يُقَالُ أَمْرٌ ضَيْقٌ وَضَيِّقٌ مِثْلُ هَيْنٍ وَهَيِّنٍ وَلَيْنٍ وَلَيِّنٍ وَمَيْتٍ وَمَيِّتٍ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تَتَفَيَّأُ ظِلَالُهُ تَتَهَيَّأُ سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا لَا يَتَوَعَّرُ عَلَيْهَا مَكَانٌ سَلَكَتْهُ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {فِيْ تَقَلُّبِهِمْ} اخْتِلَافِهِمْ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {تَمِيْدُ} تَكَفَّأُ {مُفْرَطُوْنَ} مَنْسِيُّوْنَ وَقَالَ غَيْرُهُ {فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْاٰنَ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ} مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ هَذَا مُقَدَّمٌ وَمُؤَخَّرٌ وَذَلِكَ أَنَّ الِاسْتِعَاذَةَ قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَمَعْنَاهَا الِاعْتِصَامُ بِاللهِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تُسِيْمُوْنَ تَرْعَوْنَ شَاكِلَتِهِ نَاحِيَتِهِ {قَصْدُ السَّبِيْلِ} الْبَيَانُ {الدِّفْءُ} مَا اسْتَدْفَأْتَ {تُرِيْحُوْنَ} بِالْعَشِيِّ {وَ تَسْرَحُوْنَ} بِالْغَدَاةِ {بِشِقِّ} يَعْنِي الْمَشَقَّةَ {عَلَى تَخَوُّفٍ} تَنَقُّصٍ {الأَنْعَامِلَعِبْرَةً} وَهِيَ تُؤَنَّثُ وَتُذَكَّرُ وَكَذَلِكَ النَّعَمُ الْأَنْعَامُ جَمَاعَةُ النَّعَمِ أَكْنَانٌ وَاحِدُهَا كِنٌّ مِثْلُ حِمْلٍ وَأَحْمَالٍ {سَرَابِيْلَ} قُمُصٌ {تَقِيْكُمْالْحَرَّ} وَأَمَّا {سَرَابِيْلَ تَقِيْكُمْ بَأْسَكُمْ} فَإِنَّهَا الدُّرُوْعُ {دَخَلًابَيْنَكُمْ} كُلُّ شَيْءٍ لَمْ يَصِحَّ فَهُوَ دَخَلٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {حَفَدَةً} مَنْ وَلَدَ الرَّجُلُ {السَّكَرُ} مَا حُرِّمَ مِنْ ثَمَرَتِهَا وَالرِّزْقُ الْحَسَنُ مَا أَحَلَّ اللهُ وَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ صَدَقَةَ {أَنْكَاثًا} هِيَ خَرْقَاءُ كَانَتْ إِذَا أَبْرَمَتْ {غَزْلَهَا} نَقَضَتْهُ وَقَالَ ابْنُ مَسْعُوْدٍ {الْأُمَّةُ} مُعَلِّمُ الْخَيْرِ {وَالْقَانِتُ} الْمُطِيْعُ. {أكْنانًا} واحِدُها كِنٌّ مِثْلُ حِمْلِ وأحْمَالٍ.

رُوْحُ الْقُدُسِঅর্থাৎ জিবরীল (আঃ)।[১] অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, نَزَلَ بِهِ الرُّوْحُ الْأَمِيْنُঅর্থাৎ রূহুল আমীন (জিবরীল) ওয়াহী নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। فِيْ ضَيْقٍ সংকটে কিংবা সংকুচিত হৃদয়। বলা হয়, أَمْرٌ ضَيْقٌ وَضَيِّقٌ (يا মুশাদ্দাদ অথবা সাকিন) যেমন- هَيْنٌ-و-هَيِّنٌ-وَ-لَيْنٌ-لَيِّنٌ-وَ-مَيْتٌ-مَيِّتٌ এবং ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, فِيْ تَقَلُّبِهِمْ তাদের সর্বত্র গমনাগমনে। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, تَمِيْدُ আন্দোলিত হয়। مُفْرَطُوْنَ বিস্মৃত অবস্থায় রাখা হইবে। অন্যের মতে, فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْاٰنَ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ এ বাক্যটি আগ-পিছু রয়েছে। কেননা কুরআন পাঠের আগে আশ্রয় প্রার্থনা করিতে হয়। অর্থাৎ আল্লাহ্কে অাঁকড়িয়ে ধরা شَاكِلَتِهِ নিজ প্রকৃতি অনুযায়ী। قَصْدُالسَّبِيْلِ (আল্লাহর যিম্মায়) সরল পথ প্রদর্শন الدِّفْءُ যা দ্বারা তুমি শীত নিবারণ কর। تُرِيْحُوْنَ বিকেল বেলা (পশুগুলিকে চারণ ভূমি থেকে গৃহে) নিয়ে আস। تَسْرَحُوْنَ সকাল বেলায় নিয়ে যাও। بِشِقِّ কষ্টের সঙ্গে। عَلٰى تَخَوُّفٍ কম করার মাধ্যমে الْأَنْعَامِلَعِبْرَةً (আনআমের মধ্যে অবশ্যই শিক্ষা রয়েছে) أَنْعَامِ শব্দটি পুং বাচক ও স্ত্রীবাচক দুইই ব্যবহার হয়। এরূপ أَنْعَام- শব্দটি نَعَامِ এর বহুবচন।২ سَرَابِيْلَজামাগুলো। تَقِيْكُمْ الْحَرَّ (তাপ থেকে তোমাদের রক্ষা করে) এবং سَرَابِيْلَ تَقِيْكُمْ بَأْسَكُمْ এ سَرَابِيْلَ মানে বর্ম (যা তোমাদের যুদ্ধ-আঘাত থেকে রক্ষা করে) دَخَلًا بَيْنَكُمْ যে কোন কাজ অযথার্থ হয় তাকে দাখাল বলে। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, حَفَدَةً পৌত্র অর্থাৎ এরাও নিজ সন্তান বলে গণ্য। السَّكَرُ মাদক, যা ফল থেকে তৈরি করা হয়, তা হারাম করা হয়েছে। الرِّزْقُالْحَسَنُ (উত্তম খাদ্য) যা আল্লাহ হালাল করিয়াছেন।

ইবনু উয়াইনাহ সদাকাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন, أَنْكَاثًا (টুকরো টুকরো করা) মক্কা্য় এক নির্বোধ মহিলা যে মজবুত করে সূতা পাকানোর পর তা টুকরো টুকরো করে ফেলত। ইবনু মাসউদ (রাদি.) বলেন, الْأُمَّةُ কল্যাণের শিক্ষাদানকারী। الْقَانِتُ অনুগত।

৪৭০৭

আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এ দুআ করিতেন (হে আল্লাহ!) আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে, অলসতা থেকে, চলৎশক্তিহীন বয়স থেকে, কবরের আযাব থেকে, দাজ্জালের ফিত্না থেকে এবং জীবন ও মৃত্যুর ফিত্না থেকে। [২৮২৩] (আ.প্র. ৪৩৪৭, ই.ফা. ৪৩৪৭)

أَنْعَام (আনআম) দ্বারা উট, গরু, মেষ, ছাগল ইত্যাদি অহিংস্র জন্তুকে বোঝায়।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply