সুরা হাশর সর্বশেষ তিন আয়াত এর ফযিলত ও অনুবাদ

সুরা হাশরের সর্বশেষ তিন আয়াত

সুরা হাশর সর্বশেষ তিন আয়াত এর ফযিলত ও অনুবাদ << ১১৪ টি সূরার সূচীপত্র ও লিস্ট >> ২০ টির অধিক তাফসীর কিতাব পড়ুন

هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ عَٰلِمُ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَٰدَةِۖ هُوَ ٱلرَّحۡمَٰنُ ٱلرَّحِيمُ ٢٢

হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা হুয়া আলিমুল গয়বি ওয়াস সাহাদাতি হুয়ার রহমানুর রাহিম। ((তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞাতা; পরম করুণাময়, দয়ালু।)

ٱلَّذِي ٱللَّهُ هُوَ
যিনি আল্লাহতিনিই
إِلَّا إِلَٰهَ لَآ
ছাড়া কোন ইলাহ নেই
ٱلۡغَيۡبِ عَٰلِمُ هُوَۖ
অদৃশ্যেজ্ঞাতাপরম
ٱلرَّحۡمَٰنُ هُوَ وَٱلشَّهَٰدَةِۖ
পরম করুণাময়তিনিই দৃশ্য
ٱلرَّحِيمُ
দয়ালু

هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡمَلِكُ ٱلۡقُدُّوسُ ٱلسَّلَٰمُ ٱلۡمُؤۡمِنُ ٱلۡمُهَيۡمِنُ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡجَبَّارُ ٱلۡمُتَكَبِّرُۚ سُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ٢٣

হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা হু। আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল ম্যু মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুব হানাল্লাহী আম্মা ইউশরিকুন। (তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, শান্তিদাতা, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান।)

ٱلسَّلَٰمُ ٱلۡقُدُّوسُ ٱلۡمَلِكُ
শান্তিদাতা,মহাপবিত্রবাদশাহ
ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡمُهَيۡمِنُ ٱلۡمُؤۡمِنُ
মহাপরাক্রমশালীরক্ষকনিরাপত্তাদানকারী
سُبۡحَٰنَ ٱلۡمُتَكَبِّرُۚٱلۡجَبَّارُ
পবিত্র অতীব মহিমান্বিতমহাপ্রতাপশালী
يُشۡرِكُونَ عَمَّا ٱللَّهِ
তারা যা শরীক করেতা হতেআল্লাহ

هُوَ ٱللَّهُ ٱلۡخَٰلِقُ ٱلۡبَارِئُ ٱلۡمُصَوِّرُۖ لَهُ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ يُسَبِّحُ لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ وَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ٢٤

হু আল্লাহুল খালেকুল বারিয়্যুল মুছাওরেলাহুল আছমা(আ)উল হুছনা। ইউ ছাব্বিহু লাহু মা ফিছ ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম। (তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।)

ٱلۡمُصَوِّرُۖ ٱلۡبَارِئُ ٱلۡخَٰلِقُ
আকৃতিদানকারীউদ্ভাবনকর্তাস্রষ্টা
ٱلۡحُسۡنَىٰۚ ٱلۡأَسۡمَآءُ لَهُ
সুন্দরনামসমূহতাঁর রয়েছে
مَا لَهُۥ يُسَبِّحُ
যা আছেতার মহিমা ঘোষণা করে
وَٱلۡأَرۡضِۖ ٱلسَّمَٰوَٰتِ فِي
ও যমীনেআসমান আছে
ٱلۡحَكِيمُ ٱلۡعَزِيزُ وَهُوَ
প্রজ্ঞাময়মহাপরাক্রমশারীতিনি

হযরত মাকাল বিন ইয়াসার রাঃ রাসূল সাঃ থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার পড়বে “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম”। তারপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত [ হুয়াল্লাহুল্লাজী লা-ইলাহা শেষ পর্যন্ত] তিলাওয়াত করবে। তাহলে আল্লাহ তাআলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন। যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাতের দ্আু করতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে। [তথা মাগরিব থেকে সকাল পর্যন্তের জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা গুনাহ মাফীর জন্য দুআ করে, আর সে সময়ে মারা গেলে শহীদের সওয়াব পাবে]।

সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩০৯০। কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩৫৯৭। আত তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-৩৭৯, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৩৪২৫। শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-২৫০২। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৩০৬। মুসনাদুশ সাহাবাহ, হাদীস নং-২৯৭৯৫। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-২১৫৭। এ হাদীসটি হাসান পর্যায়ের হাদীস।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply