সুরা শুআরা এর তাফসীর
সুরা শুআরা এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা শু’য়ারা আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
সুরা শুআরা এর তাফসীর
৬৫/২৬/১.অধ্যায়ঃ আমাকে লাঞ্ছিত করো না পুনরুত্থান দিবসে। (সুরা শুআরা ২৬/৮৭)
সুরা (২৬) : শুআরা
মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন-تَعْبَثُوْنَতোমরা নির্মাণ করে থাক। هَضِيْمٌ স্পর্শ করা মাত্রই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। مُسَحَّرِيْنَ জাদুগ্রস্ত। اللَّيْكَةُ ওالأَيْكَةُأَيْكَةٍএর বহুবচন যার অর্থ বৃক্ষে পরিপূর্ণ। يَوْمِالظُّلَّةِ যেদিনে শাস্তি তাদের ছেয়ে ফেলবে। مَوْزُوْنٍ জ্ঞাত। كَالطَّوْدِ পর্বতের ন্যায়। অন্যরা বলেন, الَشِرْذِمَةٌ ছোট দল। فِيالسَّاجِدِيْنَ সালাত আদায়কারী। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন لَعَلَّكُمْتَخْلُدُوْنَ যেন তোমরা স্থায়ী থাকবে। الرِّيعُযমীনের উঁচু অংশ। এর বহুবচন رِيَعَةٌএবং أَرْيَاعٌতার একবচনرِيْعَةٌ।مَصَانِعَপ্রত্যেক ইমারতকে مَصْنَعَةٌবলা হয়। فَرِهِيْنَঅহংকারীরা। مَرِحِيْنَفَارِهِيْنَএকই অর্থের। فَارِهِيْنَবলা হয় দক্ষদের। تَعْثَوْا ভয়ঙ্কর ফ্যাসাদ। এটি يَا দ্বারাও ব্যবহৃত হয়। যথা-عَاثَيَعِيْثُعَيْثًا।الْجِبِلَّةَ সৃষ্টি جُبِلَ এর অর্থ-সৃষ্টি করা হয়েছে। جُبُلًا وَجِبِلًا وَجُبْلًا সবগুলোর অর্থ সৃষ্টি।
৪৭৬৮
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, ক্বিয়ামাত দিবসে ইব্রাহীম (আ.) তাহাঁর পিতাকে ধূলি-মলিন অবস্থায় দেখিতে পাবেন।الْغَبَرَةُ ধূলি-ময়লা। [৩৩৫০] (আ.প্র. অনুচ্ছেদ, ই.ফা. অনুচ্ছেদ)
৪৭৬৯
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেন, (হাশরের ময়দানে ইব্রাহীম (আ.) তাহাঁর পিতার সাক্ষাৎ পেয়ে বলবেন, ইয়া রব! আপনি আমার সঙ্গে ওয়াদা করিয়াছেন যে, ক্বিয়ামাতের দিন আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না। আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমি কাফিরদের উপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছি। [৩৩৫০] (আ.প্র. ৪৪০৫, ই.ফা. ৪৪০৭)
৬৫/২৬/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দাও এবং (মুমিনদের প্রতি) বিনয়ী হও। (সুরা শুআরা ২৬/২১৪-২১৫)
اخْفِضْ جَنَاحَكَ তোমার পার্শ্ব নম্র রাখ।
৪৭৭০
ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ এ আয়াত অবতীর্ণ হল, তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) সাফা (পর্বতে) আরোহণ করিলেন এবং আহ্বান জানালেন, হে বানী ফিহর! হে বানী আদী! কুরাইশদের বিভিন্ন গোত্রকে। অবশেষে তারা জমায়েত হল। যে নিজে আসতে পারল না, সে তার প্রতিনিধি পাঠাল, যাতে দেখিতে পায়, ব্যাপার কী? সেখানে আবু লাহাব ও কুরাইশগণও আসল। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, বল তো, আমি যদি তোমাদের বলি যে, শত্রুসৈন্য উপত্যকায় চলে এসেছে, তারা তোমাদের উপর হঠাৎ আক্রমণ করিতে প্রস্তুত, তোমরা কি আমাকে বিশ্বাস করিবে? তারা বলিল, হাঁ আমরা আপনাকে সর্বদা সত্য পেয়েছি। তখন তিনি বলিলেন, “আমি তোমাদেরকে কঠিন শাস্তির ভয় প্রদর্শন করছি।” আবু লাহাব [রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে] বলিল, সারাদিন তোমার উপর ধ্বংস নামুক! এজন্যই কি তুমি আমাদের জমায়েত করেছ? তখন অবতীর্ণ হল, “ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্ত দুটি এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ ও তার অর্জন তার কোন উপকারে লাগেনি।” [১৩৯৪] (আ.প্র. , ই.ফা. ৪৪০৮)
৪৭৭১
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ (তোমার নিকটাত্মীয়দের সতর্ক কর) এ আয়াত অবতীর্ণ হল, তখন রসূলূল্লাহ (সাঃআঃ) দাঁড়ালেন এবং বলিলেন, হে কুরাইশ সম্প্রদায়! অথবা অনুরূপ বাক্য, নিজেদের কিনে নাও। আমি আল্লাহর নিকট তোমাদের কোন উপকারে আসব না। হে বানী আব্দে মানাফ! আল্লাহর নিকট আমি তোমাদের কোন উপকারে আসব না। হে আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব! আমি আল্লাহর নিকট তোমার কোনই উপকারে আসব না। হে আল্লাহর রসূলের ফুফু সফীয়্যাহ! আমি তোমার কোনই উপকার করিতে পারব না। হে মুহাম্মদ (সাঃআঃ)-এর কন্যা ফাতিমা! আমার ধন-সম্পদ থেকে যা ইচ্ছে চাও, কিন্তু আল্লাহর নিকট আমি তোমার কোনই উপকারে আসব না।
আস্বাগ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)…..ইবনু শিহাব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। [২৭৫৩] (আ.প্র. ৪৪০৬, ই.ফা. ৪৪০৯)
Leave a Reply