সুরা যিলযাল এর তাফসীর

সুরা যিলযাল এর তাফসীর

সুরা যিলযাল এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

৬৫/৯৯/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ অতএব, কেউ অণূ পরিমাণ নেক কাজ করে থাকলে, সে তা দেখিতে পাবে। (সুরা যিলযাল ৯৯/৭)

(99) سُوْرَةُ إِذَا زُلْزِلَتْ الْأَرْضُ {زِلْزَالَهَا}

সুরা (৯৯) : ইযা যুলযিলাতিল আরযু ( সুরা যিলযাল এর তাফসীর )

يُقَالُ {أَوْحٰى لَهَا} أَوْحَى إِلَيْهَا وَوَحَى لَهَا وَوَحَى إِلَيْهَا وَاحِدٌ.

বলা হয়, وَوَحَى لَهَا ও وَوَحَى إِلَيْهَا শব্দ দুটির অর্থ একই।

৪৯৬২

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, তিন শ্রেণীর মানুষের ঘোড়া থাকে। এক শ্রেণীর মানুষের জন্য তা সওয়াব ও পুরস্কারের কারণ হয়, এক শ্রেণীর মানুষের জন্য তা (গুনাহ থেকে) আবরণস্বরূপ এবং এক শ্রেণীর মানুষের প্রতি তা হয় গুনাহর কারণ। যার জন্য তা সওয়াবের কারণ হয়, তারা সেসব লোক, যারা আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য তা প্রস্তুত করে রাখে এবং কোন চারণ ক্ষেত্রে বা বাগানে লম্বা দড়ি দিয়ে তাকে বেঁধে রাখে। দড়ির আওতায় চারণ ক্ষেত্রে বা বাগানে সে যা কিছু খায় তা ঐ ব্যক্তির জন্য নেকী হিসাবে গণ্য হয়। যদি ঘোড়াটি দড়ি ছিঁড়ে ফেলে এবং নিজ স্থান পার হয়ে এক/দু উঁচু স্থানে চলে যায়, তাহলে তার পদচিহ্ন ও গোবরের বিনিময়েও ঐ ব্যক্তি সওয়াব লাভ করিবে। আর ঘোড়াটি যদি কোন নহরের কিনারায় গিয়ে নিজে নিজেই পানি পান করে নেয়-মালিকের সেখান থেকে পানি পান করানোর ইচ্ছা না থাকলেও সে ব্যক্তি এর বিনিময়ে সওয়াবের অধিকারী হইবে। এ ঘোড়া এ ব্যক্তির জন্য হল সওয়াবের কারণ; আরেক শ্রেণীর লোক যাদের জন্য এ ঘোড়া (গুনাহ হইতে) আড়াল, তারা ঐ ব্যক্তি যারা মানুষের থেকে মুখাপেক্ষী না থাকার জন্য এবং মানুষের কাছে হাত পাতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য তা পালন করে থাকে। কিন্তু তাতে আল্লাহর যে হক রয়েছেতা দিয়ে ভুলে যায় না। এ শ্রেণীর মানুষের জন্য এ ঘোড়া হচ্ছে পর্দা। আরেক শ্রেণীর ঘোড়ার মালিক যারা গর্ব দেখানোর মনোভাব ও দুশমনির উদ্দেশে ঘোড়া রাখে। এ ঘোড়া হচ্ছে গুনাহর কারণ। এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে গাধা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলিলেন, একক ও ব্যাপক অর্থবোধক এ একটি মাত্র আয়াত ব্যতীত এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা আমার প্রতি আর কোন আয়াত অবতীর্ণ করেননি। আয়াতটি এই ঃ “কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে সে তা দেখবে এবং অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে সে তাও দেখবে” (সুরা যিলযাল ৯৯/৭-৮)। [২৩৭১] (আ.প্র. ৪৫৯৩, ই.ফা. ৪৫৯৮)

৬৫/৯৯/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আর কেউ অণু পরিমাণ বদ কাজ করে থাকলে, সে তাও দেখিতে পাবে। (সুরা যিলযাল ৯৯/৮)

৪৯৬৩

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-কে গাধা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলিলেন, এ বিষয়ে একক ও ব্যাপক অর্থবোধক এই আয়াতটি ছাড়া আমার প্রতি আর কোন আয়াতই অবতীর্ণ করা হয়নি। আয়াতটি হচ্ছে এই ঃ “কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে সে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে সে তাও দেখবে” (সুরা যিলযাল ৯৯/৭-৮)। [২৩৭১] (আ.প্র. ৪৫৯৪, ই.ফা. ৪৫৯৯)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply