সুরা ফাতিহা ইখলাস নাস ও ফালাক এর ঝাড়ফুঁক সকল রোগের ঔষধ
সুরা ফাতিহা ইখলাস নাস ও ফালাক এর ঝাড়ফুঁক সকল রোগের ঔষধ
সুরা নাস << সুরা ফালাক << সুরা ফাতিহা
সুরা ফাতিহা ইখলাস নাস ও ফালাক এর ঝাড়ফুঁক সকল রোগের ঔষধ
পরিচ্ছেদ ১ঃ উম্মুল কুরআন পরে ঝাড়ফুঁক
পরিচ্ছেদঃ ২ সুরা ফাতিহা সকল রোগের ঔষধ
পরিচ্ছেদঃ ৩ পারিশ্রমিক গ্রহণ করার সবচেয়ে বেশি হক রয়েছে আল্লাহর কিতাবের
পরিচ্ছেদঃ ৪ মুআব্বিযাত (সূরা নাস ও সূরা ফালাক) পরে ঝাড়ফুঁক
পরিচ্ছেদঃ ৫ সূরা ইখলাস এবং মুআব্বিযাত (সূরা নাস ও সূরা ফালাক) পরে ঝাড়ফুঁক
পরিচ্ছেদ ১ঃ উম্মুল কুরআন পরে ঝাড়ফুঁক
১. বর্ণনাকারীঃ ইমাম বুখারী — মুহাম্মদ ইবনু বাসসার — গুন্দার — সু,বাহ — আবি বাসার — আবি মুতাওয়াক্কিল … আবু সাঈদ খুদরী (রাদি.)
হাদীসঃ নবী কারিম (সঃ) এর সাহাবিদের কতক আরবের এক গোত্রের কাছে আসলেন ।গোত্রের লোকেরা তাহাদের কোন আতিথেয়তা করিল না ।তাঁরা সেখানে থাকতেই হথাৎ সেই গোত্রের নেতাকে সাপে কামর দিল ।তখন তাঁরা আসে বলিল আপনাদের নিকট কি কোন অসুধ আছে ?আথবা আপনাদের নিকট ঝার-ফুককারি লোক আছে কি ? তাঁরা উত্তর দিল হাঁ তবে তোমরা আমাদের কোন আতিথেওতা করোনি ।কাজেই আমাদের জন্য কোন পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত আমরা তা করব না।ফলে তাঁরা তাহাদের জন্য এক পাল বকরি দিতে রাজী হল।তখন আকজন সাহাবী উম্মুল কুরআন পড়তে লাগলেন এবং মুখে থুথু জমা করে সে ব্যক্তির গায়ে ছিটিয়ে দিতে লাগলেন ।ফলে সে রোগ মুক্ত হল।এর পর তাঁরা বকরীগুলো নিয়ে আসে বলিল , আমরা নবী করিম (সঃ) কে জিজ্ঞাস করার পুর্বে এটি স্পর্শ করব না ।এরপর তাঁরা এ বিষয়ে নবী সঃ কে জিজ্ঞাস করিলেন ।নবী করিম সঃ শুনেই হেসে দিলেন এবং বলিলেন তোমরা কিভাবে জানলে যে , এটি রোগ সারায় ?ঠিক আছে বকরিগুলো নিয়ে জাও এবং তাতে আমার জন্য একভাগ রেখে দিও।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সহিহুল বুখারি ৫৭৩৬, আধুনিক প্রঃ-৫৩১৬,ইঃ ফাঃ-৫২১২
২. বর্ণনাকারীঃ ইমাম মুসলিম — ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া — তামীমী — হুসাইম — আবি বাসার — আবি মুতাওয়াক্কিল — আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.]
হাদীসঃ ১ নং হাদীসের অনুরুপ
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ [সহিহ মুসলিম- ৫৬২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭০]
৩. বর্ণনাকারীঃ ইমাম তিরমিজি — আবু মুসা –মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না — আব্দুস সামাদ ইবনু আব্দিল বারিস — সু,বাহ — আবি বাসার — আবি মুতাওয়াক্কিল … আবু সাঈদ খুদরী (রাদি.)
হাদীসঃ ১ নং হাদীসের অনুরুপ
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সুনান আত তিরমিজি – ২০৬৪ঃ সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদিস। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি সহীহ্ । এটা পূর্ববর্তী জা’ফর ইবনু ইয়াস হইতে আ’মাশের রিওয়ায়াতের তুলনায় অনেক বেশি সহীহ্ । একাধিক বর্ণনাকারী আবূ বিশর হইতে, তিনি আবূল মুতাওয়াক্কিল হইতে, তিনি আবূ সাঈদ (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতে এই সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করিয়াছেন । জাফর ইবনু ইয়াস বলেন জাফর ইবনু আবূ ওয়াহ্শিইয়্যা । হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
৪. বর্ণনাকারীঃ মুহাম্মাদ ইবনু উবাইদ ইবনু উতবাহ ইবনু আব্দিল রহমান আল কিনদি — ইবনু সাবিত — সা,আদু ইবনু সুলায়মান — আবি ইসহাক — আল হারিস — আলী (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উত্তম আরোগ্যকারী হল কুরআন মজীদ।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সুনানু ইবনু মাজাহ -৩৫০১ঃ তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল। (৩৫০১) হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। দঈফ আল-জামি’ ২৮৮৫, আহালু আলাদ দঈফাহ ৩০৯৩। ( কুরআনিক চিকিৎসা ) হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস
৫. বর্ণনাকারীঃ মুহাম্মাদ ইবনু উবাইদ ইবনু উতবাহ ইবনু আব্দিল রহমান আল কিনদি — আলি ইবনু সাবিত — মুয়াজ ইবনু সুলায়মান — আবি ইসহাক — আল হারিস — আলী (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ উপরোক্ত হাদীসের অনুরুপ
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ ইবনু মাজাহ ৩৫৩৩ঃ তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল। (৩৫৩৩) হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। ( কুরআনিক চিকিৎসা ) হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ ২ সুরা ফাতিহা সকল রোগের ঔষধ
৬. বর্ণনাকারীঃ মুসা ইবনু ইসমাইল — আবু আওয়ানাতা — আবি বাসার — আবি মুতাওয়াক্কিল — আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর একদল সাহাবী একবার এক সফরে যান। অবশেষে তারা আরবের গোত্রগুলোর মধ্যে এক গোত্রের নিকট এসে মেহমান হইতে চান। কিন্তু সে গোত্র তাঁদের মেহমানদারী করিতে প্রত্যাখ্যান করে। ঘটনাচক্রে সে গোত্রের সর্দারকে সাপে দংশন করে। তারা তাকে সুস্থ করার জন্য সবরকম চেষ্টা করে, কিন্তু কোন ফল হয় না। তখন তাহাদের কেউ বলিলঃ তোমরা যদি ঐ দলের কাছে যেতে যারা তোমাদের মাঝে এসেছিল। হয়ত তাহাদের কারও কাছে কোন ঔষধ থাকতে পারে। তখন তারা সে দলের কাছে এসে বলিলঃ হে দলের লোকেরা। আমাদের সর্দারকে সাপে দংশন করেছে। আমরা সব রকম চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোন ফল হয়নি। তোমাদের কারও নিকট কি কোন তদবীর আছে? একজন বললেনঃ হাঁ। আল্লাহ্র কসম, আমি ঝাড়-ফুঁক করি। তবে আল্লাহ্র কসম! আমরা তোমাদের নিকট মেহমান হইতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের মেহমানদারী করনি। তাই আমি ততক্ষণ পর্যন্ত ঝাড়-ফুঁক করব না, যতক্ষণ না তোমরা আমাদের জন্য মজুরী নির্ধারণ করিবে। তখন তারা তাহাদের একপাল ছাগল দিতে রাজী হল। তারপর সে সাহাবী সেখানে গেলেন এবং আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন (সূরা ফাতিহা) পড়ে ফুঁক দিতে থাকলেন। অবশেষে সে ব্যক্তি এমন সুস্থ হল, যেন বন্ধন থেকে মুক্তি পেল। সে চলাফেরা করিতে লাগল, যেন তাহাঁর কোন রোগই নাই। রাবী বলেনঃ তখন তারা যে মজুরী চুক্তি করেছিল, তা আদায় করিল। এরপর সাহাবীদের মধ্যে একজন বললেনঃ এগুলো বণ্টন করে দাও। এতে যিনি ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন তিনি বললেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর নিকট গিয়ে যতক্ষণ না এসব ঘটনা জানাব এবং তিনি আমাদের কী আদেশ দেন তা না জানব, ততক্ষণ তোমরা তা ভাগ করো না। তারপর তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর নিকট এসে ঘটনা জানাল। তিনি বললেনঃ তুমি কী করে জানলে যে, এর দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা যায়? তোমরা ঠিকই করেছ। তোমরা এগুলো বণ্টন করে নাও এবং আমার জন্যে একটা ভাগ রাখ।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ (সহিহুল বুখারি – ৫৭৪৯, আধুনিক প্রঃ- ৫৩২৯, ইঃ ফাঃ- ৫২২৫)
৭. বর্ণনাকারীঃ মুসাদ্দাদ — আবু আওয়ানাতা — আবি বিসর — আবি মুতাওয়াক্কিল — আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ উপরোক্ত হাদীসের অনুরুপ
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ আবু দাউদ ৩৯০০ঃ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
৮. বর্ণনাকারীঃ আবু বকর ইবনু আবি শায়বাহ — ইয়াজিদ ইবনু হারুন — হিশাম ইবনু হাসান — মুহাম্মদ ইবনি সিরিন — মা,বাদ ইবনি সিরিন — আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা একটি স্থানে নামলাম। অতঃপর আমাদের নিকট একটি মহিলা এসে বলিল, এলাকার সর্দারকে সাপে কেটেছে, তোমাদের মাঝে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী আছে? সে সময় আমাদের এক লোক উঠে তার সাথে গেল- সে যে সুন্দর ঝাড়ফুঁক করিতে পারে তা আমাদের জানা ছিল না। সে সূরা আল-ফাতিহা দ্বারা তাকে ঝাড়ফুঁক করিল। এতে সে সুস্থ হয়ে গেল। তখন তারা তাকে একপাল বকরী দিল এবং আমাদের দুধ পান করাল। আমরা বললাম, তুমি কি ভাল ঝাড়ফুঁক করিতে জানতে? সে বলিল, আমি তো সূরা আল-ফাতিহাহ্ ব্যতীত আর কিছু দিয়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করিনি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি বললাম, তোমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট গমন না করা পর্যন্ত ঐ বকরীগুলোকে এখান হইতে নিয়ে যেওনা। তারপরে আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে তাহাঁর নিকট তা পেশ করলাম। তিনি বলিলেন, সে-কি করে বুঝল যে, এ সূরাটি দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা যায়? তোমরা বকরীগুলো বন্টন করে নাও এবং আমার জন্যে তোমাদের সাথে একটি অংশ রেখ।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সহিহ মুসলিম- ৫৬২৮। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭২]
৯. বর্ণনাকারীঃ হান্নাদ — আবু মুয়াবিয়াহ — আ,মাসি — জাফর ইবনু ইসা — আবি নাসরাহ — আবি সাইদ আল খুদরি হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সামরিক অভিযানে প্রেরণ করেন। আমরা একটি জনপদে আসার পর তাদের কাছে মেহমানদারী প্রার্থনা করলাম। কিন্তু তারা আমাদেরকে আপ্যায়ন করাল না। এরকম পরিস্থিতিতে তাদের বংশের প্রধানকে বিচ্ছু দংশন করে। তারা আমাদের নিকট এসে বলে, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে বিচ্ছু দংশনকারীকে ঝাড়ফুঁক করতে পারে? আমি বললাম, হ্যাঁ আমি নিজেই। কিন্তু তোমরা যদি আমাদেরকে এক পাল বকরী প্রদান না কর, তাহলে আমি ঝাড়ফুঁক করতে সম্মত নই। তারা বলল, আমরা তোমাদেরকে ত্রিশটি বকরী প্রদান করব। আমরা এ প্রস্তাবে রাজি হলাম। আমি সাতবার সূরা ফাতিহা পাঠ করে তাকে ঝাড়ফুঁক করলাম। ফলে সে রোগমুক্ত হলো এবং আমরা বকরীগুলো হস্তগত করলাম। বর্ণনাকারী বলেন, এই বিষয়ে আমাদের মনে সন্দেহের উদ্রেক হলো। আমরা বললাম, তোমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে হাজির হওয়ার আগ পর্যন্ত (সিদ্ধান্তে পৌছতে) তাড়াহুড়া করবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তাঁর নিকট উপস্থিত হওয়ার পর আমি যা করেছি তা তাকে অবহিত করলাম। তিনি বললেনঃ কিভাবে তুমি জানতে পারলে, এটা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা যায়? বকরীগুলো হস্তগত কর এবং তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটি অংশ রেখ।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সুনান আত তিরমিজি – ২০৬৩: সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২১৫৬), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান । আবূ নাযরার নাম আল-মুনযির ইবনু মালিক ইবনু কুতাআ । ইমাম শাফিঈ (রহঃ) এ হাদীসের ভিত্তিতে বলেন, কুরআন শিক্ষা দানের ফলে বিনিময় গ্রহণ বৈধ । উস্তাদ এই বিষয়ে চুক্তিও করতে পারবেন । জা’ফর ইবনু ইয়াস হলেন জা’ফর ইবনু আলী আবী ওয়াহসিইয়্যা আর তিনি আবূ বিশর । এ হাদীসটি শুবা, আবূ আওয়ানা, হিশাম, আরও অনেকে আবূ বিশর হতে, তিনি আবুল মুতা্ওয়াক্কিল হতে, তিনি আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১০. বর্ণনাকারীঃ উবায়দুল্লাহ ইবনু মুয়াজ — আবিহ ও ইবনু বাসার — ইবনু জা,ফর — সু,বাহ — আব্দিল্লাহ ইবনে আবি সাফার — সাবিয়্যি — খারিজাহ ইবনুস সালত আত-তামীমাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতে তার চাচার সূত্র হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ তিনি বলেন, অতঃপর তিনি তিনদিন পর্যন্ত সকাল-সন্ধ্যা সূরাহ ফাতিহা পাঠ করে ফুঁক দিলেন। যখনি তা শেষ করেন তার মুখের থুথু একত্র করে তার উপর ছিটিয়ে দেন। দেখা গেলো, বন্দী যেন শিকল হইতে মুক্তি পেলো। অতঃপর তারা তাকে এর কিছু বিনিময় দিলেন। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ সংবাদ পেলাম। অতঃপর মুসাদ্দাস বর্ণিত হাদিসের অর্থ উল্লেখ করেন।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সুনান আবু দাউদ -৩৮৯৭, হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
১১. বর্ণনাকারীঃ মুহাম্মদ ইবনি সিরিন ও আবু বকর ইবনে নাফি — গুন্দার, মুহাম্মদ ইবনি জাফর — সু,বাহ — আবু বিশর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হাদীসঃ তিনি বলেন, যে [ওঝা] উম্মুল কুরআন-সূরা আল-ফাতিহাহ্ পাঠ করিতে লাগল এবং তার থু-থু একত্রে করে থুক দিতে লাগল। ফলে ব্যক্তিটি সুস্থ হয়ে গেল।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ [সহিহ মুসলিম- ৫৬২৭।, ই.ফা ৫৫৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭১]
পরিচ্ছেদঃ ৩ পারিশ্রমিক গ্রহণ করার সবচেয়ে বেশি হক রয়েছে আল্লাহর কিতাবের
১২. বর্ণনাকারীঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর সাহাবীগণের একটি দল একটি কুয়ার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। কূপের পাশে অবস্থানকারীদের মধ্যে ছিল সাপে কাটা এক ব্যক্তি কিংবা তিনি বলেছেন, দংশিত এক ব্যক্তি। তখন কূপের কাছে বসবাসকারীদের একজন এসে তাহাদের বলিলঃ আপনাদের মধ্যে কি কোন ঝাড়-ফুঁককারী আছেন? কূপ এলাকায় একজন সাপ বা বিচ্ছু দংশিত লোক আছে। তখন সাহাবীদের মধ্যে একজন সেখানে গেলেন। এরপর কিছু বকরী দানের বিনিময়ে তিনি সূরা ফাতিহা পড়লেন। ফলে লোকটির রোগ সেরে গেল। এরপর তিনি ছাগলগুলো নিয়ে সাথীদের নিকট আসলেন, কিন্তু তাঁরা কাজটি পছন্দ করিলেন না। তাঁরা বললেনঃ আপনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক নিয়েছেন। অবশেষে তাঁরা মদীনায় পৌঁছে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! তিনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক গ্রহণ করিয়াছেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ যে সকল জিনিসের উপর তোমরা বিনিময় গ্রহণ করে থাক, তন্মধ্যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার সবচেয়ে বেশি হক রয়েছে আল্লাহর কিতাবের।
১৩. বর্ণনাকারীঃ খারিজাহ ইবনুস সালত আত-তামীমা (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতে তাহাঁর চাচার সূত্র হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ উপরোক্ত হাদীসের অনুরুপ
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সুনানু আবু দাউদ -৩৯০১ঃ ( কুরআনিক চিকিৎসা ) হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
১৪. বর্ণনাকারীঃ মুসাদ্দাদ — ইয়াহইয়া — জাকারিয়্যা — আমির — খারিজাহ ইবনুস সালত আত-তামীমাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতে তার চাচার সূত্র হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করিলেন। অতঃপর তাহাঁর কাছ হইতে ফেরার পথে তিনি এক গোত্রের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সেই গোত্রের এক পাগল লোহার শিকলে বাঁধা ছিল। গোত্রের লোকেরা তাকে বললো, আমরা জানতে পারলাম যে, তোমাদের এক সাথী (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাকি কল্যাণ নিয়ে এসেছেন? তোমাদের এমন কিছু জানা আছে কি যাতে তোমরা এর চিকিৎসা করিতে পারো? অতএব আমি সূরাহ ফাতিহা পড়ে তাকে ফুঁক দিলাম। সে সুস্থ হয়ে গেলো। তারা আমাকে একশটি বকরী দিলো। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে ঘটনাটি জানালে তিনি বললেনঃ এ সূরাহ ছাড়া অন্য কিছু পড়ে ফুঁক দিয়েছো কি? মুসাদ্দাদ অন্যত্র বলেন, এ সূরাহ ছাড়া অন্য কিছু বলেছ কি? আমি বললাম, না। তিনি বলেনঃ তবে এ উপহার নিতে পারো। আমার জীবনের কসম! লোকেরা বাতিল মন্ত্র পড়ে রোজগার করে! আর তুমি তো সত্য ঝাড়ফুঁক দ্বারা রোজগার করেছো।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সুনান আবু দাউদ -৩৮৯৬ঃ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ ইমাম বুখারি — সিদান ইবনু মুদারিম আবু মুহামাদ্দিল বাহিলি — আবু মা,সারিল বাসার — ইউসুফ ইবনু ইয়াজিদ আল বাররায়ু — উবায়দুল্লাহ ইবনু আল আখনাস আবু মালিক আন ইবনি আবি মুলায়কাতা — ইবনু আব্বাস (রাঃ) ( সহিহুল বুখারি – ৫৭৩৭, কুরআনিক চিকিৎসা ) (আধুনিক প্রঃ- ৫৩১৭, ইঃ ফাঃ- ৫২১৩)
পরিচ্ছেদঃ ৪ মুআব্বিযাত (সূরা নাস ও সূরা ফালাক) পরে ঝাড়ফুঁক
১৫. বর্ণনাকারীঃ ওমর ইবনু আলি — ইয়াহইয়া — সুফইয়ান — সুলায়মান — মুসা — মাসরুক — আয়িশাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ নবী (সাঃআঃ) তাহাঁর কোন কোন স্ত্রীকে সূরা নাস ও সূরা ফালাক পড়ে ডান হাত দিয়ে বুলিয়ে দিতেন এবং পড়তেনঃ
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ، اشْفِهِ وَأَنْتَ الشَّافِي، لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রব্বান্নাসি আজহিবিল বাসি, আসফিহি ওয়া আন্তা আস সাফি, লা সিফায়া ইল্লা সিফাউকা, সিফায়ান লা ইইয়ু গাদিরু সাকামা অর্থঃ (হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর, তুমিই আরোগ্য দানকারী, তোমার আরোগ্য ছাড়া অন্য কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য দাও, যা কোন রোগ অবশিষ্ট থাকে না)
সুফইয়ান (রহঃ) বলেছেন, আমি এ সম্বন্ধে মানসূরকে বলেছি। তারপর ইবরাহীম সূত্রে মাসরূকের বরাতে আয়িশাহ (রাঃ) থেকে এ রকমই বর্ণিত আছে।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ ইমাম বুখারি , ৭৬/৩৮. অধ্যায়ের নাম করন করেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক ঝাড়-ফুঁক । (সহিহুল বুখারি – ৫৭৪৩, আধুনিক প্রঃ- ৫৩২৩, ইঃ ফাঃ- ৫২১৯)
১৬. বর্ণনাকারীঃ ইবরাহীম ইবনু মূসা — হিসাম — মা,মার — জুহরি — উরবাহ — আয়িশাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ নবী (সাঃআঃ) যে রোগে ওফাত পান সেই রোগের সময়ে তিনি নিজ দেহে মুআব্বিযাত’ পড়ে ফুঁক দিতেন। অতঃপর যখন রোগের তীব্রতা বেড়ে গেল, তখন আমি সেগুলো পড়ে ফুঁক দিতাম। আর আমি তাহাঁর নিজের হাত তাহাঁর দেহের উপর বুলিয়ে দিতাম। কেননা, তাহাঁর হাতে বারাকাত ছিল। রাবী বলেনঃ আমি যুহরীকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কীভাবে ফুঁক দিতেন? তিনি বললেনঃ তিনি তাহাঁর দু’হাতের উপর ফুঁক দিতেন, অতঃপর সেই দু’হাত দিয়ে আপন মুখমণ্ডল বুলিয়ে নিতেন।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ (সহিহুল বুখারি – ৫৭৩৫, আধুনিক প্রঃ- ৫৩১৫, ইঃ ফাঃ- ৫২১১) ( কুরআনিক চিকিৎসা )
১৭. বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ আল জুওফি — হিসাম — মা,মার — জুহরি — উরবাহ — আয়িশাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ নবী (সাঃআঃ) যে রোগে মারা যান, সে রোগে তিনি সূরা নাস ও সূরা ফালাক্ব পড়ে নিজের উপর ফুঁক দিতেন। যখন রোগ বেড়ে গেল, তখন আমি সেগুলো পড়ে ফুঁক দিতাম এবং তাহাঁর হাত বুলিয়ে দিতাম বারাকাতের আশায়। বর্ণনাকারী (মামার (রহঃ)) বলেন, আমি ইবনু শিহাবকে জিজ্ঞেস করলামঃ নবী (সাঃআঃ) কীভাবে ফুঁক দিতেন? তিনি বললেনঃ নিজের দু’হাতে ফুঁক দিতেন, তারপর তা দিয়ে চেহারা মুছে নিতেন।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ (সহিহুল বুখারি – ৫৭৫১, আধুনিক প্রঃ- ৫৩৩১, ইঃ ফাঃ- ৫২২৭)
১৮. বর্ণনাকারীঃ সুরজ ইবনু ইওনুস ও ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব –আব্বাদ ইবনু আব্বাদ — হিসাম ইবনু উরবাহ — আবিহ — আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হাদীসঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর পরিবারবর্গের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি মুআব্বিযাত সূরাগুলো পড়ে তাকে ফুঁক দিতেন। পরবর্তীতে তিনি যখন মৃত্যুরোগে আক্রান্ত হলেন তখন আমি তাকে ফুঁক দিতে লাগলাম এবং তাহাঁর-ই হাত দিয়ে তাহাঁর দেহটি মুছে দিতে লাগলাম। কেননা আমার হাতের তুলনায় তাহাঁর হাতটি ছিল অনেক বারাকাতপূর্ণ। আর ইয়াহ্ইয়া ইবনি আইয়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মুআব্বিযাত দ্বারা ঝাড়ফুঁক করিতেন।
[সহিহ মুসলিম- ৫৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫১] {২৭} সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস কে মুআববি্যাত বলা হয়
১৯. বর্ণনাকারীঃ ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া — মালিক — ইবনে শিহাব — উরবাহ — আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হাদীসঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি মুআব্বিযাত পাঠ করে স্বশরীরে দম করিতেন। তাহাঁর ব্যাধি কঠিন রূপ ধারণ করলে আমি তা পড়ে তাহাঁর হাত দ্বারা তাহাঁর দেহটি মুছে দিতাম ঐ হাতের বারাকাতের আশায়।
[সহিহ মুসলিম- ৫৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫২]
২০. বর্ণনাকারীঃ নাবী (সাঃআঃ)-এর স্ত্রী আয়েশাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কোন ব্যথা অনুভব করলে তিনি নিজেই মুআব্বিজাত’ সূরাহগুলো (অর্থাৎ সূরাহ নাস ও ফালাক) পড়ে ফুঁ দিতেন। ব্যথা বৃদ্ধি পেলে আমি তা পড়ে তাহাঁর হাতে ফুঁ দিয়ে তা তাহাঁর ব্যথায় স্থানে বুলিয়ে দিতাম বরকত লাভের আশায়।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সুনান আত তিরমিজি -৩৮৯০ঃহাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
২১. বর্ণনাকারীঃ আল কা,নাবিয়্যু — মালিক — ইবনি শিহাব — উরবাহ — নাবী (সাঃআঃ)-এর স্ত্রী আয়েশাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কোন ব্যথা অনুভব করলে তিনি নিজেই মুআব্বিজাত’ সূরাহগুলো (অর্থাৎ সূরাহ নাস ও ফালাক) পড়ে ফুঁ দিতেন। ব্যথা বৃদ্ধি পেলে আমি তা পড়ে তাহাঁর হাতে ফুঁ দিয়ে তা তাহাঁর ব্যথায় স্থানে বুলিয়ে দিতাম বরকত লাভের আশায়।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ আবু দাঊদ – ৩৯০২ঃ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
২১. বর্ণনাকারীঃ সাহল ইবনু আবি সাহল – মা,নু ইবনু ইসা — মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া – বিসর ইবনু উমর – মালিক – ইবনি সিহাব – উরবাহ –আয়িশাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও অসুস্থ বোধ করলে আরোগ্য লাভের জন্য সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে নিজ দেহে ফুঁ দিতেন। তাহাঁর অসুস্থতা বেড়ে গেলে আমি তা তাহাঁর উপর পাঠ করতাম এবং তাহাঁর হাত তাহাঁর দেহে বরকতের আশায় মলে দিতাম।
সুনানু ইবনু মাজাহ ৩৫২৯ তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। ( কুরআনিক চিকিৎসা ) হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
২২. বর্ণনাকারীঃ আবু তাহির ও হারমালা — ইবনু ওহাব — ইওনুস –আব্দুবনু হুমায়দ — আব্দুর রাজ্জাক –মা,মার — মুহাম্মদ ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনু নুমান –রহু- উকবাহ ইবনু মুক্রিম ও আহমদ ইবনু ওসমান — আবু আসিম — ইবনু জুরাইজ — ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হাদীসঃ ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে মালিকের সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু মালিকের হাদীস ছাড়া তাদের কারো হাদীসে তাহাঁর হাতের বারাকাতের আশায় কথাটি নেই। ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও যিয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে আছে-নবী [সাঃআঃ] অসুস্থ হয়ে গেলে নিজেকে মুআব্বিযাত দ্বারা দম করিতেন এবং নিজ হস্তে স্বশরীরে মুছতেন।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ [সহিহ মুসলিম- ৫৬০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫৩]
হাদিসঃ হিসাম ইবনু ইওনুস আল কুফি — কাসিম ইবনু আলিক আল মুজানি — আবি নাসরাহ — আবূ সাঈদ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
২৩. বর্ণনাকারীঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জ্বিন ও মানুষের কু-দৃষ্টি হইতে আশ্রয় চাইতেন। তারপর সূরা ফালাক ও সূরা নাস নাযিল হলে তিনি এ সূরা দুটি গ্রহণ করেন এবং বাকীগুলো পরিত্যাগ করেন।
সুনান আত তিরমিজি – ২০৫৮ ।
২৪. বর্ণনাকারীঃ আবু বকর ইবনু আবি সায়বাহ — সায়িদ ইবনু সুলাইমান — আব্বাদ — আল জুরাইর — আবি নাদরাহ — আবূ সাঈদ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিন ও মানুষের বদনজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করিতেন। অতঃপর সূরা ফালাক ও সূরা নাস নাযিল হলে তিনি এ সূরা দু’টি গ্রহণ করেন এবং অন্যগুলো ত্যাগ করেন (তি,না)।
ইবনে মাজাহ -৩৫১১ঃ তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৫১১)। আবূ ঈসা বলেন, আনাস (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদিস বর্ণিত আছে । এ হাদিসটি হাসান গারীব । হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ ৫ সূরা ইখলাস এবং মুআব্বিযাত (সূরা নাস ও সূরা ফালাক) পরে ঝাড়ফুঁক
৬। আব্দুল আজিজ ইবনি আব্দুল্লাহ আল উবাইস — সুলায়মান — ইওনুস — ইবনে সিহাব — উমর –ইবনি জুবায়র — আয়িশাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) যখন বিছানায় আসতেন, তখন তিনি তাহাঁর দু’হাতের তালুতে সূরা ইখ্লাস এবং মুআওব্বিযাতায়ন পড়ে ফুঁক দিতেন। তারপর উভয় তালু দ্বারা আপন চেহারা ও দু’হাত শরীর যতদুর পৌছায় মাসাহ্ করিতেন। আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) যখন অসুস্থ হন, তখন তিনি আমাকে ঐ রকম করার নির্দেশ দিতেন।
ইউনুস (রহঃ) বলেন, আমি ইবনু শিহাব (রহঃ) -কে, যখন তিনি তাহাঁর বিছানায় শুতে যেতেন, তখন ঐ রকম করিতে দেখেছি।
ব্যাক্ষা ও তাহকীকঃ (সহিহুল বুখারি – ৫৭৪৮, আধুনিক প্রঃ- ৫৩২৮, ইঃ ফাঃ- ৫২২৪)
হাদিসঃ হারুন ইবনি হাইয়ান — ইব্রাহিম ইবনু মুসা — আবদাহু ইবনু সুলায়মান — আবু জানাব — আব্দুর রহমান ইবনি আবূ লায়লা — আবূ লায়লা (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
হাদীসঃ তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসে থাকা অবস্থায় এক বেদুইন তাহাঁর নিকটে এসে বললো, আমার এক অসুস্থ ভাই আছে। তিনি বলেনঃ তোমার ভাই কী রোগে আক্রান্ত? সে বললো, (কোন কিছুর) কুপ্রভাব (আছর)। তিনি বলেনঃ তুমি যাও এবং তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো। আবূ লায়লা (রাদিআল্লাহু আঃ) বলেন, সে গিয়ে তার ভাইকে নিয়ে আসলে তিনি তাকে নিজের সামনে বসান। আমি শুনতে পেলাম, তিনি
সলাতের মধ্যে রোগমুক্তি
হাদিসঃ ইবনু মাজাহ -৩৪৫৮ঃ আবূ হুরায়রাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরত করিলেন, আমিও হিজরত করলাম। আমি নামায পড়ার পর তাহাঁর পাশে বসলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেনঃ তুমি উঠে দাঁড়িয়ে নামায পড়ো। কেননা সলাতের মধ্যে রোগমুক্তি আছে।
(উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ)
২/৩৪৫৮. দাউদ বিন উলবাহ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। তাতে আরো আছেঃ তিনি ফারসী শব্দযোগে (দরদ) বলেনঃ “তোমার পেটে কি ব্যথা অনুভব করছ”? আবূ আবদুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) বলেন, এক ব্যক্তি এ হাদিসের বরাতে তার পরিবারবর্গে বললো, “সলাতের দ্বারা সাহায্য নিয়ে সাফল্য অর্জন করো”।
৩৪৫৮) আহমাদ ৮৮২৩, ৮৯৮৭। দঈফাহ ৪০৬৬। উক্ত হাদিসের রাবী কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হাজার আল-আসকালীন বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৫৫, ৫/১০৮ নং পৃষ্ঠা) ২. যাওওয়াদ বিন উলবাহ সম্পর্কে আবূ বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবূ হাতিম আর রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহণ করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবরাহীম বিন ইয়া’কূব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিস গ্রহণের ব্যাপারে শিথিল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৮১৭, ৮/৫১৯ নং পৃষ্ঠা) ( কুরআনিক চিকিৎসা ) হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply