সুরা নাজিয়াত Sura Najiat বাংলা তরজমা ও তেলাওয়াত আরবি 79

৭৯ – সুরা নাজিয়াত – আয়াত : ৪৬, মাক্কী, রুকু ২

সুরা নাজিয়াত >> বুখারী

PDFArabicWords
১১৪ টি সূরা
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামেبِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
(1) কসম নির্মমভাবে (কাফিরদের রূহ) উৎপাটনকারীদের।[1]وَٱلنَّٰزِعَٰتِ غَرۡقٗا ١
(2) আর কসম সহজভাবে বন্ধনমুক্তকারীদের।وَٱلنَّٰشِطَٰتِ نَشۡطٗا ٢
(3) আর কসম দ্রুতগতিতে সন্তরণকারীদের।وَٱلسَّٰبِحَٰتِ سَبۡحٗا ٣
(4) আর দ্রুতবেগে অগ্রসরমানদের।فَٱلسَّٰبِقَٰتِ سَبۡقٗا ٤
(5) অতঃপর কসম সকল কার্যনির্বাহকারীদের।فَٱلۡمُدَبِّرَٰتِ أَمۡرٗا ٥
(6) সেদিন কম্পনকারী[2] প্রকম্পিত করবে।يَوۡمَ تَرۡجُفُ ٱلرَّاجِفَةُ ٦
(7) তাকে অনুসরণ করবে পরবর্তী কম্পনকারী।[3]تَتۡبَعُهَا ٱلرَّادِفَةُ ٧
(8) সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-সন্ত্রস্ত হবে।قُلُوبٞ يَوۡمَئِذٖ وَاجِفَةٌ ٨
(9) তাদের দৃষ্টিসমূহ নত হবে।أَبۡصَٰرُهَا خَٰشِعَةٞ ٩
(10) তারা বলে, ‘আমরা কি পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তিত হবই,يَقُولُونَ أَءِنَّا لَمَرۡدُودُونَ فِي ٱلۡحَافِرَةِ ١٠
(11) যখন আমরা চূর্ণ-বিচূর্ণ হাড় হয়ে যাব’?أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمٗا نَّخِرَةٗ ١١
(12) তারা বলে, ‘তাহলে তা তো এক ক্ষতিকর প্রত্যাবর্তন’।قَالُواْ تِلۡكَ إِذٗا كَرَّةٌ خَاسِرَةٞ ١٢
(13) আর ওটা তো কেবল এক বিকট আওয়াজ।فَإِنَّمَا هِيَ زَجۡرَةٞ وَٰحِدَةٞ ١٣
(14) তৎক্ষনাৎ তারা ভূ-পৃষ্ঠে উপস্থিত হবে।فَإِذَا هُم بِٱلسَّاهِرَةِ١٤
(15) মূসার বৃত্তান্ত তোমার কাছে পৌঁছেছে কি?هَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ مُوسَىٰٓ ١٥
(16) যখন তার রব তাকে পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় ডেকেছিলেন,إِذۡ نَادَىٰهُ رَبُّهُۥ بِٱلۡوَادِ ٱلۡمُقَدَّسِ طُوًى ١٦
(17) ফির‘আউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে’।ٱذۡهَبۡ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ ١٧
(18) অতঃপর বল ‘তোমার কি ইচ্ছা আছে যে, তুমি পবিত্র হবে’?فَقُلۡ هَل لَّكَ إِلَىٰٓ أَن تَزَكَّىٰ ١٨
(19) আর আমি তোমাকে তোমার রবের দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাঁকে ভয় কর?’وَأَهۡدِيَكَ إِلَىٰ رَبِّكَ فَتَخۡشَىٰ ١٩
(20) অতঃপর মূসা তাকে বিরাট নিদর্শন দেখাল।فَأَرَىٰهُ ٱلۡأٓيَةَ ٱلۡكُبۡرَىٰ ٢٠
(21) কিন্তু সে অস্বীকার করল এবং অমান্য করল।فَكَذَّبَ وَعَصَىٰ ٢١
(22) তারপর সে ফাসাদ করার চেষ্টায় প্রস্থান করল।ثُمَّ أَدۡبَرَ يَسۡعَىٰ ٢٢
(23) অতঃপর সে লোকদেরকে একত্র করে ঘোষণা দিল।فَحَشَرَ فَنَادَىٰ ٢٣
(24) আর বলল, ‘আমিই তোমাদের সর্বোচ্চ রব’।فَقَالَ أَنَا۠ رَبُّكُمُ ٱلۡأَعۡلَىٰ ٢٤
(25) অবশেষে আল্লাহ তাকে আখিরাত ও দুনিয়ার আযাবে পাকড়াও করলেন।فَأَخَذَهُ ٱللَّهُ نَكَالَ ٱلۡأٓخِرَةِ وَٱلۡأُولَىٰٓ ٢٥
(26) নিশ্চয় যে ভয় করে তার জন্য এতে শিক্ষা রয়েছে।إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَعِبۡرَةٗ لِّمَن يَخۡشَىٰٓ ٢٦
সুরা নাজিয়াতع রুকু
(27) তোমাদেরকে সৃষ্টি করা অধিক কঠিন, না আসমান সৃষ্টি? তিনি তা বানিয়েছেন।ءَأَنتُمۡ أَشَدُّ خَلۡقًا أَمِ ٱلسَّمَآءُۚ بَنَىٰهَا ٢٧
(28) তিনি এর ছাদকে উচ্চ করেছেন এবং তাকে সুসম্পন্ন করেছেন।رَفَعَ سَمۡكَهَا فَسَوَّىٰهَا ٢٨
(29) আর তিনি এর রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং এর দিবালোক প্রকাশ করেছেন।وَأَغۡطَشَ لَيۡلَهَا وَأَخۡرَجَ ضُحَىٰهَا ٢٩
(30) এরপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন।وَٱلۡأَرۡضَ بَعۡدَ ذَٰلِكَ دَحَىٰهَآ ٣٠
(31) তিনি তার ভিতর থেকে বের করেছেন তার পানি ও তার তৃণভূমি।أَخۡرَجَ مِنۡهَا مَآءَهَا وَمَرۡعَىٰهَا ٣١
(32) আর পর্বতগুলোকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।وَٱلۡجِبَالَ أَرۡسَىٰهَا ٣٢
(33) তোমাদের ও তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোর জীবনোপকরণস্বরূপ।مَتَٰعٗا لَّكُمۡ وَ لِأَنۡعَٰمِكُمۡ ٣٣
(34) অতঃপর যখন মহাপ্রলয় আসবে।فَإِذَا جَآءَتِ ٱلطَّآمَّةُ ٱلۡكُبۡرَىٰ ٣٤
(35) সেদিন মানুষ স্মরণ করবে তা, যা সে চেষ্টা করেছে।يَوۡمَ يَتَذَكَّرُ ٱلۡإِنسَٰنُ مَا سَعَىٰ ٣٥
(36) আর জাহান্নামকে প্রকাশ করা হবে তার জন্য যে দেখতে পায়।وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ ٣٦
(37) সুতরাং যে সীমালঙ্ঘন করেفَأَمَّا مَن طَغَىٰ ٣٧
(38) আর দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেয়,وَءَاثَرَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا ٣٨
(39) নিশ্চয় জাহান্নাম হবে তার আবাসস্থল।فَإِنَّ ٱلۡجَحِيمَ هِيَ ٱلۡمَأۡوَىٰ ٣٩
(40) আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজকে বিরত রাখে,وَأَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ وَنَهَى ٱلنَّفۡسَ عَنِ ٱلۡهَوَىٰ ٤٠
(41) নিশ্চয় জান্নাত হবে তার আবাসস্থল।فَإِنَّ ٱلۡجَنَّةَ هِيَ ٱلۡمَأۡوَىٰ ٤١
(42) তারা তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, ‘তা কখন ঘটবে’?يَسۡ‍َٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرۡسَىٰهَا ٤٢
(43) তা উল্লেখ করার কি জ্ঞান তোমার আছে?فِيمَ أَنتَ مِن ذِكۡرَىٰهَآ ٤٣
(44) এর প্রকৃত জ্ঞান তোমার রবের কাছেই।إِلَىٰ رَبِّكَ مُنتَهَىٰهَآ ٤٤
(45) তুমিতো কেবল তাকেই সতর্ককারী, যে একে ভয় করে ।إِنَّمَآ أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخۡشَىٰهَا٤٥
(46) যেদিন তারা তা দেখবে, সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা (দুনিয়ায়) এক সন্ধ্যা বা এক সকালের বেশী অবস্থান করেনি।كَأَنَّهُمۡ يَوۡمَ يَرَوۡنَهَا لَمۡ يَلۡبَثُوٓاْ إِلَّا عَشِيَّةً أَوۡ ضُحَىٰهَا ٤٦
সুরা নাজিয়াতع রুকু

PDF/Arabic

Sura Najiat

Sura Najiat 2

Sura Najiat 2

[1] ১-৫ নং আয়াতে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ফেরেশতাদের কসম করা হয়েছে।

[2] অর্থাৎ প্রথম শিংগাধ্বনি।

[3]  দ্বিতীয় শিংগাধ্বনি।

৭৮ সুরা নাবা<< সুরা নাজিয়াত >>৮০ সুরা আ’বাসা


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply