সুরা দুখান তেলাওয়াত ও বাংলা অনুবাদ আরবি 44

৪৪ – সুরা দুখান – আয়াত : ৫৯, মাক্কী, রুকু ৩

তাফসীরঃ বুখারী >> তিরমিজি

ArabicWords
১১৪ টি সুরা
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামেبِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
(1) হা-মীম।حمٓ ١
(2) সুস্পষ্ট কিতাবের কসম!وَٱلۡكِتَٰبِ ٱلۡمُبِينِ ٢
(3) নিশ্চয় আমি এটি নাযিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।إِنَّآ أَنزَلۡنَٰهُ فِي لَيۡلَةٖ مُّبَٰرَكَةٍۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ ٣
(4) সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়,فِيهَا يُفۡرَقُ كُلُّ أَمۡرٍ حَكِيمٍ ٤
(5) আমার নির্দেশে। নিশ্চয় আমি রাসূল প্রেরণকারী।أَمۡرٗا مِّنۡ عِندِنَآۚ إِنَّا كُنَّا مُرۡسِلِينَ ٥
(6) তোমার রবের কাছ থেকে রহমত হিসেবে; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।رَحۡمَةٗ مِّن رَّبِّكَۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٦
(7) যিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু‘য়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব; যদি তোমরা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণকারী হও।رَبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ ٧
(8) তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদের রব।لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ يُحۡيِۦ وَيُمِيتُۖ رَبُّكُمۡ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٨
(9) তারা বরং সন্দেহের বশবর্তী হয়ে খেলতামাশা করছে।بَلۡ هُمۡ فِي شَكّٖ يَلۡعَبُونَ ٩
(10) অতএব অপেক্ষা কর সেদিনের যেদিন স্পষ্ট ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে আকাশ।فَٱرۡتَقِبۡ يَوۡمَ تَأۡتِي ٱلسَّمَآءُ بِدُخَانٖ مُّبِينٖ ١٠
(11) যা মানুষদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে: এটি যন্ত্রণাদায়ক আযাব।يَغۡشَى ٱلنَّاسَۖ هَٰذَا عَذَابٌ أَلِيمٞ ١١
(12) তখন তারা বলবে) ‘হে আমাদের রব, আমাদের থেকে আযাব দূর করুন; নিশ্চয় আমরা মুমিন হব।’رَّبَّنَا ٱكۡشِفۡ عَنَّا ٱلۡعَذَابَ إِنَّا مُؤۡمِنُونَ١٢
(13) এখন কীভাবে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে, অথচ ইতঃপূর্বে তাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনাকারী রাসূল এসেছিল?        أَنَّىٰ لَهُمُ ٱلذِّكۡرَىٰ وَقَدۡ جَآءَهُمۡ رَسُولٞ مُّبِينٞ ١٣
(14) তারপর তারা তাঁর দিক থেকে বিমুখ হয়েছিল এবং বলেছিল ‘এ শিক্ষাপ্রাপ্ত পাগল’।ثُمَّ تَوَلَّوۡاْ عَنۡهُ وَقَالُواْ مُعَلَّمٞ مَّجۡنُونٌ ١٤
(15) নিশ্চয় আমি ক্ষণকালের জন্য আযাব দূর করব; নিশ্চয় তোমরা পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে।إِنَّا كَاشِفُواْ ٱلۡعَذَابِ قَلِيلًاۚ إِنَّكُمۡ عَآئِدُونَ ١٥
(16) সেদিন আমি প্রবলভাবে পাকড়াও করব; নিশ্চয় আমি হব প্রতিশোধ গ্রহণকারী।يَوۡمَ نَبۡطِشُ ٱلۡبَطۡشَةَ ٱلۡكُبۡرَىٰٓ إِنَّا مُنتَقِمُونَ١٦
(17) আর অবশ্যই এদের পূর্বে আমি ফির‘আউনের কওমকে পরীক্ষা করেছিলাম এবং তাদের কাছে এসেছিল এক সম্মানিত রাসূল,۞وَلَقَدۡ فَتَنَّا قَبۡلَهُمۡ قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَ وَجَآءَهُمۡ رَسُولٞ كَرِيمٌ١٧
(18) সে বলেছিল) ‘আল্লাহর বান্দাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও; নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।’أَنۡ أَدُّوٓاْ إِلَيَّ عِبَادَ ٱللَّهِۖ إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ ١٨
(19) ‘আর আল্লাহর বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করো না। নিশ্চয় আমি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসব।’وَأَن لَّا تَعۡلُواْ عَلَى ٱللَّهِۖ إِنِّيٓ ءَاتِيكُم بِسُلۡطَٰنٖ مُّبِينٖ ١٩
(20) আর তোমাদের প্রস্তরাঘাত থেকে আমি আমার রব ও তোমাদের রবের কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।وَإِنِّي عُذۡتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُمۡ أَن تَرۡجُمُونِ ٢٠
‘(21) আর তোমরা যদি আমার উপর বিশ্বাস না রাখ, তবে আমাকে ছেড়ে যাও।’وَإِن لَّمۡ تُؤۡمِنُواْ لِي فَٱعۡتَزِلُونِ ٢١
(22) অতঃপর সে তার রবকে ডেকে বলল, ‘নিশ্চয় এরা এক অপরাধী সম্প্রদায়।’فَدَعَا رَبَّهُۥٓ أَنَّ هَٰٓؤُلَآءِ قَوۡمٞ مُّجۡرِمُونَ ٢٢
(23) আল্লাহ বললেন) ‘তাহলে আমার বান্দাদের নিয়ে রাতে বেরিয়ে পড়; নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে’।فَأَسۡرِ بِعِبَادِي لَيۡلًا إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ ٢٣
(24) আর সমুদ্রকে রেখে দাও শান্ত, নিশ্চয় তারা হবে এক ডুবন্ত বাহিনী’।وَٱتۡرُكِ ٱلۡبَحۡرَ رَهۡوًاۖ إِنَّهُمۡ جُندٞ مُّغۡرَقُونَ ٢٤
(25) তারা অনেক বাগান ও ঝর্না রেখেছিল।كَمۡ تَرَكُواْ مِن جَنَّٰتٖ وَعُيُونٖ ٢٥
(26) শ্যামল শস্যক্ষেত ও সুরম্য বাসস্থান,وَزُرُوعٖ وَمَقَامٖ كَرِيمٖ ٢٦
(27) আর নানা বিলাস-সামগ্রী, যাতে তারা আনন্দ উপভোগ করত।وَنَعۡمَةٖ كَانُواْ فِيهَا فَٰكِهِينَ ٢٧
(28) এমনটিই হয়েছিল এবং আমি এগুলোর উত্তরাধিকারী করেছিলাম অন্য কওমকে।كَذَٰلِكَۖ وَأَوۡرَثۡنَٰهَا قَوۡمًا ءَاخَرِينَ ٢٨
(29) অতঃপর আসমান ও যমীন তাদের জন্য কাঁদেনি এবং তারা অবকাশপ্রাপ্ত ছিল না।فَمَا بَكَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلسَّمَآءُ وَٱلۡأَرۡضُ وَمَا كَانُواْ مُنظَرِينَ ٢٩
সুরা দুখানع রুকু
(30) আর অবশ্যই আমি বনী ইসরাঈলকে লাঞ্ছনাদায়ক আযাব থেকে উদ্ধার করেছিলাম,وَلَقَدۡ نَجَّيۡنَا بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ مِنَ ٱلۡعَذَابِ ٱلۡمُهِينِ ٣٠
(31) ফির‘আউন থেকে, নিশ্চয় সে ছিল সীমালঙ্ঘনকারীদের শীর্ষস্থানীয়।مِن فِرۡعَوۡنَۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَالِيٗا مِّنَ ٱلۡمُسۡرِفِينَ ٣١
(32) আর আমি জ্ঞাতসারেই তাদেরকে সকল সৃষ্টির উপর নির্বাচিত করেছিলাম।وَلَقَدِ ٱخۡتَرۡنَٰهُمۡ عَلَىٰ عِلۡمٍ عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ ٣٢
(33) আর আমি তাদেরকে এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে ছিল সুস্পষ্ট পরীক্ষা।وَءَاتَيۡنَٰهُم مِّنَ ٱلۡأٓيَٰتِ مَا فِيهِ بَلَٰٓؤٞاْ مُّبِينٌ ٣٣
(34) নিশ্চয় তারা বলেই থাকে,إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ لَيَقُولُونَ ٣٤
(35) ‘আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই নেই এবং আমরা পুনরুত্থিত হবার নই’।إِنۡ هِيَ إِلَّا مَوۡتَتُنَا ٱلۡأُولَىٰ وَمَا نَحۡنُ بِمُنشَرِينَ ٣٥
‘(36) যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে নিয়ে এসো’।فَأۡتُواْ بِ‍َٔابَآئِنَآ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ٣٦
(37) তারা কি শ্রেষ্ঠ না তুব্বা সম্প্রদায় এবং তাদের পূর্বে যারা ছিল তারা? আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছিলাম। নিশ্চয় তারা ছিল অপরাধী।أَهُمۡ خَيۡرٌ أَمۡ قَوۡمُ تُبَّعٖ وَٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ أَهۡلَكۡنَٰهُمۡۚ إِنَّهُمۡ كَانُواْ مُجۡرِمِينَ ٣٧
(38) আর আমি আসমানসমূহ, যমীন এবং এতদোভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।وَمَا خَلَقۡنَا ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ وَمَا بَيۡنَهُمَا لَٰعِبِينَ٣٨
(39) আমি এ দু’টোকে যথাযথভাবেই সৃষ্টি করেছি, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।مَا خَلَقۡنَٰهُمَآ إِلَّا بِٱلۡحَقِّ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٣٩
(40) নিশ্চয় ফয়সালার দিনটি তাদের সকলের জন্যই নির্ধারিত সময়।إِنَّ يَوۡمَ ٱلۡفَصۡلِ مِيقَٰتُهُمۡ أَجۡمَعِينَ ٤٠
(41) সেদিন এক বন্ধু অপর বন্ধুর কোন কাজে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।يَوۡمَ لَا يُغۡنِي مَوۡلًى عَن مَّوۡلٗى شَيۡ‍ٔٗا وَلَا هُمۡ يُنصَرُونَ ٤١
(42) সে ছাড়া, যার প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় তিনিই মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।إِلَّا مَن رَّحِمَ ٱللَّهُۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ٤٢
(43) নিশ্চয় যাক্কূম বৃক্ষإِنَّ شَجَرَتَ ٱلزَّقُّومِ ٤٣
(44) পাপীর খাদ্য;طَعَامُ ٱلۡأَثِيمِ ٤٤
(45) গলিত তামার মত, উদরসমূহে ফুটতে থাকবে।كَٱلۡمُهۡلِ يَغۡلِي فِي ٱلۡبُطُونِ ٤٥
(46) ফুটন্ত পানির মতكَغَلۡيِ ٱلۡحَمِيمِ ٤٦
সুরা দুখানع রুকু
(47) বলা হবে) ‘ওকে ধর, অতঃপর তাকে জাহান্নামের মধ্যস্থলে টেনে নিয়ে যাও’।خُذُوهُ فَٱعۡتِلُوهُ إِلَىٰ سَوَآءِ ٱلۡجَحِيمِ ٤٧
(48) তারপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানির আযাব ঢেলে দাও।ثُمَّ صُبُّواْ فَوۡقَ رَأۡسِهِۦ مِنۡ عَذَابِ ٱلۡحَمِيمِ ٤٨
(49) বলা হবে) ‘তুমি আস্বাদন কর, নিশ্চয় তুমিই সম্মানিত, অভিজাত’।ذُقۡ إِنَّكَ أَنتَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡكَرِيمُ ٤٩
(50) নিশ্চয় এটা তা-ই যে বিষয়ে তোমরা সন্দেহ করতে।إِنَّ هَٰذَا مَا كُنتُم بِهِۦ تَمۡتَرُونَ٥٠
(51) নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে,إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي مَقَامٍ أَمِينٖ ٥١
(52) বাগ-বাগিচা ও ঝর্নাধারার মধ্যে,فِي جَنَّٰتٖ وَعُيُونٖ ٥٢
(53) তারা পরিধান করবে পাতলা ও পুরু রেশমী বস্ত্র এবং বসবে মুখোমুখী হয়ে।يَلۡبَسُونَ مِن سُندُسٖ وَإِسۡتَبۡرَقٖ مُّتَقَٰبِلِينَ ٥٣
(54) এরূপই ঘটবে, আর আমি তাদেরকে বিয়ে দেব ডাগর নয়না হূরদের সাথে।كَذَٰلِكَ وَزَوَّجۡنَٰهُم بِحُورٍ عِينٖ ٥٤
(55) সেখানে তারা প্রশান্তচিত্তে সকল প্রকারের ফলমূল আনতে বলবে।يَدۡعُونَ فِيهَا بِكُلِّ فَٰكِهَةٍ ءَامِنِينَ ٥٥
(56) প্রথম মৃত্যুর পর সেখানে তারা আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না। আর তিনি তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।لَا يَذُوقُونَ فِيهَا ٱلۡمَوۡتَ إِلَّا ٱلۡمَوۡتَةَ ٱلۡأُولَىٰۖ وَوَقَىٰهُمۡ عَذَابَ ٱلۡجَحِيمِ ٥٦
(57) তোমার রবের অনুগ্রহস্বরূপ, এটাই তো মহা সাফল্য।فَضۡلٗا مِّن رَّبِّكَۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ٥٧
(58) অতঃপর আমি তো তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।فَإِنَّمَا يَسَّرۡنَٰهُ بِلِسَانِكَ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ ٥٨
(59) অতএব তুমি অপেক্ষা কর, তারাও অপেক্ষাকারী।فَٱرۡتَقِبۡ إِنَّهُم مُّرۡتَقِبُونَ ٥٩  
সুরা দুখানع রুকু

৪৩ সুরা যূখরুফ<< সুরা দুখান >> ৪৫ সুরা যাসিয়া


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply