সুরা কিয়ামাত বাংলা Sura Qiyama in Words & Audio 75

সুরা কিয়ামাত বাংলা Sura Qiyama in Words & Audio

তাফসীরঃ বুখারী >> তিরমিজি

ArabicWords
১১৪ টি সুরা

৭৫ – সুরা কিয়ামাত – আয়াত : ৪০, মাক্কী, রুকু ২

পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামেبِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
(1) আমি কসম করছি কিয়ামতের দিনের!لَآ أُقۡسِمُ بِيَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ ١
(2) আমি আরো কসম করছি আত্ম-ভৎর্সনাকারী আত্মার!وَلَآ أُقۡسِمُ بِٱلنَّفۡسِ ٱللَّوَّامَةِ ٢
(3) মানুষ কি মনে করে যে, আমি কখনই তার অস্থিসমূহ একত্র করব না?أَيَحۡسَبُ ٱلۡإِنسَٰنُ أَلَّن نَّجۡمَعَ عِظَامَهُۥ ٣
(4) হ্যাঁ, আমি তার আংগুলের অগ্রভাগসমূহও পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।بَلَىٰ قَٰدِرِينَ عَلَىٰٓ أَن نُّسَوِّيَ بَنَانَهُۥ ٤
(5) বরং মানুষ চায় ভবিষ্যতেও পাপাচার করতে।بَلۡ يُرِيدُ ٱلۡإِنسَٰنُ لِيَفۡجُرَ أَمَامَهُۥ ٥
(6) সে প্রশ্ন করে, ‘কবে কিয়ামতের দিন’?يَسۡ‍َٔلُ أَيَّانَ يَوۡمُ ٱلۡقِيَٰمَةِ ٦
(7) যখন চক্ষু হতচকিত হবে।فَإِذَا بَرِقَ ٱلۡبَصَرُ ٧
(8) আর চাঁদ কিরণহীন হবে,وَخَسَفَ ٱلۡقَمَرُ ٨
(9) আর চাঁদ ও সূর্যকে একত্র করা হবে।وَجُمِعَ ٱلشَّمۡسُ وَٱلۡقَمَرُ ٩
(10) সেদিন মানুষ বলবে, ‘পালাবার স্থান কোথায়’?يَقُولُ ٱلۡإِنسَٰنُ يَوۡمَئِذٍ أَيۡنَ ٱلۡمَفَرُّ ١٠
(11) না, কোন আশ্রয়স্থল নেই।كَلَّا لَا وَزَرَ ١١
(12) ঠাঁই শুধু সেদিন তোমার রবের নিকট।إِلَىٰ رَبِّكَ يَوۡمَئِذٍ ٱلۡمُسۡتَقَرُّ ١٢
(13) সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে কী সে অগ্রে পাঠিয়েছিল এবং পশ্চাতে পাঠিয়েছিল।يُنَبَّؤُاْ ٱلۡإِنسَٰنُ يَوۡمَئِذِۢ بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ ١٣
(14) বরং মানুষ তার নিজের উপর দৃষ্টিমান।بَلِ ٱلۡإِنسَٰنُ عَلَىٰ نَفۡسِهِۦ بَصِيرَةٞ ١٤
(15) যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করে থাকে।وَلَوۡ أَلۡقَىٰ مَعَاذِيرَهُۥ ١٥
(16) কুরআন তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করার উদ্দেশ্যে তুমি তোমার জিহবাকে দ্রুত আন্দোলিত করো না।لَا تُحَرِّكۡ بِهِۦ لِسَانَكَ لِتَعۡجَلَ بِهِۦٓ ١٦
(17) নিশ্চয়ই এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমার দায়িত্বে।إِنَّ عَلَيۡنَا جَمۡعَهُۥ وَقُرۡءَانَهُۥ ١٧
(18) অতঃপর যখন আমি তা পাঠ করি তখন তুমি তার পাঠের অনুসরণ কর।فَإِذَا قَرَأۡنَٰهُ فَٱتَّبِعۡ قُرۡءَانَهُۥ ١٨
(19) তারপর তার বর্ণনার দায়িত্ব আমারই।ثُمَّ إِنَّ عَلَيۡنَا بَيَانَهُۥ ١٩
(20) কখনো না, বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে ভালবাস।كَلَّا بَلۡ تُحِبُّونَ ٱلۡعَاجِلَةَ ٢٠
(21) আর তোমরা ছেড়ে দিচ্ছ আখিরাতকে।وَتَذَرُونَ ٱلۡأٓخِرَةَ ٢١
(22) সেদিন কতক মুখমন্ডল হবে হাস্যোজ্জ্বল।وُجُوهٞ يَوۡمَئِذٖ نَّاضِرَةٌ٢٢
(23) তাদের রবের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপকারী।إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٞ ٢٣
(24) আর সেদিন অনেক মুখমন্ডল হবে বিবর্ণ-বিষন্ন।وَوُجُوهٞ يَوۡمَئِذِۢ بَاسِرَةٞ ٢٤
(24) তারা ধারণা করবে যে, এক বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত করা হবে।تَظُنُّ أَن يُفۡعَلَ بِهَا فَاقِرَةٞ ٢٥
(26) কখনই না, যখন প্রাণ কণ্ঠাগত হবে।كَلَّآ إِذَا بَلَغَتِ ٱلتَّرَاقِيَ ٢٦
(27) আর বলা হবে, ‘কে তাকে বাঁচাবে’?وَقِيلَ مَنۡۜ رَاقٖ ٢٧
(28) আর সে মনে করবে, এটিই বিদায়ক্ষণ।وَظَنَّ أَنَّهُ ٱلۡفِرَاقُ ٢٨
(29) আর পায়ের গোছার সংগে পায়ের গোছা জড়িয়ে যাবে।وَٱلۡتَفَّتِ ٱلسَّاقُ بِٱلسَّاقِ ٢٩
(30) সেদিন তোমার রবের কাছেই সকলকে হাঁকিয়ে নেয়া হবে।إِلَىٰ رَبِّكَ يَوۡمَئِذٍ ٱلۡمَسَاقُ ٣٠
সুরা কিয়ামাতع রুকু
(31) সুতরাং সে বিশ্বাসও করেনি এবং সালাতও আদায় করেনি।فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّىٰ ٣١
(32) বরং সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং ফিরে গিয়েছিল।وَلَٰكِن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ ٣٢
(33) তারপর সে দম্ভভরে পরিবার-পরিজনের কাছে চলে গিয়েছিল।ثُمَّ ذَهَبَ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ يَتَمَطَّىٰٓ ٣٣
(34) দুর্ভোগ তোমার জন্য এবং দুর্ভোগ!أَوۡلَىٰ لَكَ فَأَوۡلَىٰ ٣٤
(35) তারপরও দুর্ভোগ তোমার জন্য এবং দুর্ভোগ!ثُمَّ أَوۡلَىٰ لَكَ فَأَوۡلَىٰٓ ٣٥
(36) মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে?أَيَحۡسَبُ ٱلۡإِنسَٰنُ أَن يُتۡرَكَ سُدًى ٣٦
(37) সে কি বীর্যের শুক্রবিন্দু ছিল না যা স্খলিত হয়?أَلَمۡ يَكُ نُطۡفَةٗ مِّن مَّنِيّٖ يُمۡنَىٰ ٣٧
(38) অতঃপর সে ‘আলাকায় পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তাকে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন।ثُمَّ كَانَ عَلَقَةٗ فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ ٣٨
(39) অতঃপর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেন জোড়ায় জোড়ায় পুরুষ ও নারী।فَجَعَلَ مِنۡهُ ٱلزَّوۡجَيۡنِ ٱلذَّكَرَ وَٱلۡأُنثَىٰٓ ٣٩
(40) তিনি কি মৃতদের জীবিত করতে সক্ষম নন?أَلَيۡسَ ذَٰلِكَ بِقَٰدِرٍ عَلَىٰٓ أَن يُحۡـِۧيَ ٱلۡمَوۡتَىٰ ٤٠
সুরা কিয়ামাতع রুকু

৭৪ সুরা মুদ্দাসসির<< সুরা কিয়ামাত >>৭৬ সুরা দা’হর


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply