সুরা ইখলাস এর তাফসীর

সুরা ইখলাস এর তাফসীর

সুরা ইখলাস এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা ইখলাস আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

সুরা ইখলাস এর তাফসীর

৬৫/১১২/১.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।

সুরা (১১২) : সুরা ইখলাস এর তাফসীর

يُقَالُ لَا يُنَوَّنُ أَحَدٌ أَيْ وَاحِدٌ

বলা হয়, أَحَدٌ শব্দটি (যখন তৎপরবর্তী শব্দের সঙ্গে মিলিয়ে পড়া হইবে তখন) تنوين পড়া হয় না। أَحَدٌ ও وَاحِدٌ এর অর্থ একই।

৪৯৭৪

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “বানী আদম আমার প্রতি মিথ্যারোপ করেছে; অথচ এরূপ করা তার জন্য সঠিক হয়নি। বানী আদম আমাকে গালি দিয়েছে; অথচ এমন করা তার জন্য উচিত হয়নি। আমার প্রতি মিথ্যারোপ করার অর্থ হচ্ছে এই যে, সে বলে, আল্লাহ আমাকে যে রকম প্রথমবার সৃষ্টি করিয়াছেন, তেমনি তিনি আমাকে দ্বিতীয়বার জীবিত করবেন না। অথচ তাকে আবার জীবিত করা অপেক্ষা প্রথমবার সৃষ্টি করা আমার জন্য সহজ ছিল না। আমাকে তার গালি দেয়ার অর্থ হল, সে বলে, আল্লাহ তাআলা সন্তান গ্রহণ করিয়াছেন; অথচ আমি একক, কারো মুখাপেক্ষী নই। আমি কাউকে জন্ম দেইনি, আমাকেও জন্ম দেয়া হয়নি এবং কেউ আমার সমকক্ষ নয়।” [৩১৯৩] (আ.প্র. ৪৬০৫, ই.ফা. ৪৬১০)

৬৫/১১২/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন। (সুরা ইখলাস ১১২/২)

وَالْعَرَبُ تُسَمِّيْ أَشْرَافَهَا الصَّمَدَ قَالَ أَبُوْ وَائِلٍ هُوَ السَّيِّدُ الَّذِي انْتَهَى سُوْدَدُهُ.

আরবীয় লোকেরা তাদের নেতাদেরকে الصَّمَدَ বলে থাকেন। আবু ওয়াইল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, এমন নেতাকে বলা হয় যার নেতৃত্ব চূড়ান্ত বা যার উপর নেতৃত্বের সমাপ্তি ঘটে।

৬৫/১১২/৩.অধ্যায়ঃ তিনি কাউকেও জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। এবং তাহাঁর সমতুল্য কেউই নাই। (সুরা ইখলাস ১১২/৩-৪)

৪৯৭৫

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, আদাম সন্তান আমার প্রতি মিথ্যারোপ করেছে; অথচ এরূপ করা তার জন্য সঠিক হয়নি। সে আমাকে গালি দিয়েছে; অথচ এমন করা তার পক্ষে উচিত হয়নি। আমার প্রতি তার মিথ্যারোপ করার অর্থ হচ্ছে, সে বলে, আমি আবার জীবিত করিতে সক্ষম নই যেমনিভাবে আমি তাকে প্রথমে সৃষ্টি করেছি। আমাকে তার গালি দেয়া হচ্ছে এই যে, সে বলে, আল্লাহ তাআলা সন্তান গ্রহণ করিয়াছেন; অথচ আমি কারো মুখাপেক্ষী নই। আমি এমন এক সত্তা যে, আমি কাউকে জন্ম দেইনি, আমাকেও কেউ জন্ম দেয়নি এবং আমার সমতুল্য কেউ নেই। ইমাম বুখারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, كَفِيئًاএবং كِفَاءًএকই অর্থবোধক শব্দ। [৩১৯৩] (আ.প্র. ৪৬০৬, ই.ফা. ৪৬১১)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply