সুরা ইউনুসের তাফসীর

সুরা ইউনুসের তাফসীর

সুরা ইউনুসের তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> >> প্রায় ৫০ টি তাফসীর কিতাব ও সুচিপত্র পড়ুন

সুরা ইউনুসের তাফসীর

৬৫/১০/১.অধ্যায়ঃ
৬৫/১০/২.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।

৬৫/১০/১.অধ্যায়ঃ

.

ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, فَاخْتَلَطَ অর্থাৎ বৃষ্টির দ্বারা ভূ-পৃষ্ঠে বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ উদ্গত হয়। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ وَقَالُوا اتَّخَذَ اللهُ وَلَدًا سُبْحَانَهচ هُوَ الْغَنِيُّ -তারা বলেঃ আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করিয়াছেন। তিনি মহান, পবিত্র। তিনি অমুখাপেক্ষী। (সুরা ইউনুস ১০/৬৮)

যায়দ ইবনু আসলাম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, قَدَمَ صِدْقٍদ্বারা মুহাম্মাদ সাঃআঃ-কে বুঝানো হয়েছে। মুজাহিদ বলেন, এর অর্থ কল্যাণ। تِلْكَ آيَاتُএগুলো কুরআনের নিদর্শন ও অনুরূপ, حَتَّى إِذَا كُنْتُمْ فِي الْفُلْكِ وَجَرَيْنَ بِهِمْএখানে بِهِمْ দ্বারা بِكُمْ (তোমাদের নিয়ে) অর্থে دَعْوَاهُمْ তাদের দুআ। أُحِيْطَبِهِمْ-তারা ধ্বংসোন্মুখ হল। أَحَاطَتْ بِهٰ خَطِيئَتُهগুনাহ তাদের ঘিরে ফেলছে। فَاتَّبَعَهُمْ وَأَتْبَعَهُمْ সমপর্যায়ের (তাদের পশ্চাদ্ধাবন করিল।) عَدْوًا এখানে সীমা অতিক্রম অর্থে, মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, لِلنَّاسِ الشَّرَّ اسْتِعْجَالَهُمْ بِالْخَيْرِ -এর দ্বারা মানুষের সেই কথা বুঝাচ্ছে, যখন সে রাগান্বিত হয়ে নিজ নিজ সন্তান-সন্ততি ও ধন-সম্পদ সম্পর্কে বলে, হে আল্লাহ! এতে বারাকাত দিও না, এর ওপর লানাত কর। لَقُضِيَ إِلَيْهِمْ أَجَلُهُمْ-যার প্রতি বদদুআ করা হয়েছে, তাকে ধ্বংস করে দিতেন এবং তাকে মেরে ফেলতেন। أَحْسَنُواالْحُسْنَى-কল্যাণকর কাজের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং আরো অধিক। وَزِيَادَةٌ এবং অতিরিক্ত অর্থাৎ ক্ষমা। অন্যরা বলেন, আল্লাহর সাক্ষাৎ, الْكِبْرِيَاءُ-সার্বভৌমত্ব।

৬৫/১০/২.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।

আর আমি বানী ইসরাঈলকে নদী পার করিয়ে দিলাম। তারপর তাদের পশ্চাদানুসরণ করিল ফিরআউন ও তার সৈন্যবাহিনী নিপীড়ন ও নির্যাতনের উদ্দেশে। এমনকি যখন সে নিমজ্জিত হইতে লাগল তখন বললঃ আমি ঈমান আনলাম যে, কোন সত্য মাবুদ নেই তিনি ব্যতীত যার প্রতি ঈমান এনেছে বানী ইসরাঈল এবং আমি একজন মুসলিম। (সুরা ইউনুস ১০/৯০)

{نُنَجِّيْكَ} نُلْقِيْكَ عَلَى نَجْوَةٍ مِنْ الْأَرْضِ وَهُوَ النَّشَزُ الْمَكَانُ الْمُرْتَفِعُ

نُنَجِّيْكَ-আমি তোমাকে যমীনের উঁচু স্থানে ফেলে রাখব। نَجْوَةٍ উচ্চ স্থান। [১]

[১] ফিরআউনের মরদেহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, আজ আমি তোমার দেহটি রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক- (সুরা হূদ ১১/৯২)। কয়েক বছর পূর্বে ফিরআউনের দেহ সুউচ্চ পিরামিড থেকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তা কায়রোর যাদুঘরে রক্ষিত আছে।

৪৬৮০

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) মাদীনাহ্তে এলেন, তখন ইয়াহূদীগণ আশুরার দিন সওম পালন করত। তারা জানাল, এ দিন মূসা (আ.) ফিরাউন-এর উপর বিজয় লাভ করেছিলেন। তখন নাবী (সাঃআঃ) তাহাঁর সহাবীদের বলিলেন, মূসা (আ.)-এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার ব্যাপারে তাদের চেয়ে তোমরাই অধিক হাকদার। কাজেই তোমরা সওম পালন কর। [২০০৪] (আ.প্র. ৪৩১৯, ই.ফা. ৪৩২০)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply