সুরা আহযাব এর তাফসীর
সুরা আহযাব এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা আহযাব আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
সুরা আহযাব এর তাফসীর
৬৫/৩৩/১.অধ্যায়ঃ নাবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা ঘনিষ্ঠতর এবং তার পত্নীগণ তাদের মাতা। (সুরা আহযাব ৩৩/৬)
সুরা (৩৩) : আহযাব
وَقَالَ مُجَاهِدٌ {صَيَاصِيْهِمْ} قُصُوْرِهِمْ.
মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, صَيَاصِيْهِمْ তাদের মহল।
৪৭৮১
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, দুনিয়া ও আখিরাতে সকল মানুষের চেয়ে মুমিনের জন্য আমিই ঘনিষ্ঠতম। তোমরা ইচ্ছা করলে এ আয়াত পাঠ করিতে পার “নাবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়ে অধিক ঘনিষ্ঠ।” সুতরাং কোন মুমিন কোন ধন-সম্পদ রেখে গেলে তার নিকটআত্মীয় সে যে-ই হোক, তার উত্তরাধিকারী হইবে, আর যদি ঋণ অথবা অসহায় সন্তানাদি রেখে যায় সে যেন আমার কাছে আসে, আমি তার অভিভাবক। [২২৯৮] (আ.প্র. ৪৪১৭, ই.ফা. ৪৪১৯)
৬৫/৩৩/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা তাদেরকে ডাক তাদের প্রকৃত পিতৃ পরিচয়ে। (সুরা আহযাব ৩৩/৫)
৪৭৮২
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম যায়দ ইবনু হারিসাহ্কে আমরা “যায়দ ইবনু মুহাম্মদ-ই” ডাকতাম, যে পর্যন্ত না এ আয়াত নাযিল হয়। তোমরা তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক, আল্লাহর দৃষ্টিতে এটিই অধিক ন্যায়সঙ্গত। [মুসলিম ৪৪/১০, হাদীস ২৪২৫, আহমাদ ৫৪৮০] (আ.প্র. ৪৪১৮, ই.ফা. ৪৪২০)
৬৫/৩৩/৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষা করছে। তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তন করেনি। (সুরা আহযাব ৩৩/২৩)
{نَحْبَه”} عَهْدَهُ {أَقْطَارِهَا} جَوَانِبُهَا الْفِتْنَةَ لآَتَوْهَا لَأَعْطَوْهَا.
نَحْبَه তার অঙ্গীকার। أَقْطَارِهَا তার পার্শ্বসমূহ। الْفِتْنَةَ لَاٰتَوْهَا তারা তা গ্রহণ করত।
৪৭৮৩
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এ আয়াত আনাস ইবনু নায্র সম্পর্কে নাযিল হয়েছে ঃ “মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সঙ্গে তাদের কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে।” [২৮০৫] (আ.প্র. ৪৪১৯, ই.ফা. ৪৪২১)
৪৭৮৪
যায়দ ইবনু সাবিত (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা যখন সহীফা থেকে কুরআন লিপিবদ্ধ করছিলাম তখন সুরা আহযাবের একটি আয়াত পেলাম না, যা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে তিলাওয়াত করিতে শুনিয়াছি। শেষে সেটি খুযায়মা আনসারী ছাড়া অন্য কারও কাছে পেলাম না; যার সাক্ষ্য রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) দুজন পুরুষ সাক্ষীর সমান গণ্য করিয়াছেন। (আয়াতটি হল) مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللهَ عَلَيْهِ [২৮০৭] (আ.প্র. ৪৪২০, ই.ফা. ৪৪২২)
৬৫/৩৩/৪.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।
{يٰٓأَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِّأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيٰوةَ الدُّنْيَا وَزِيْنَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيْلًا}
হে নাবী! আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে এসো, আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদেরকে বিদায় দেই। (সুরা আহযাব ৩৩/২৮)
وَقَالَ مَعْمَرٌ {التَّبَرُّجُ} أَنْ تُخْرِجَ مَحَاسِنَهَا {سُنَّةَاللهِ} اسْتَنَّهَا جَعَلَهَا.
التَّبَرُّجُ আপন সৌন্দর্য প্রকাশ করা। سُنَّةَ اللهِ যে নীতি আল্লাহ নির্ধারণ করিয়াছেন।
৪৭৮৫
দুঃখিত! আরবী অংশ এখনো সংযুক্ত করা হয়নি।
নাবী (সাঃআঃ)-এর সহধর্মিণী আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর কাছে এলেন, যখন আল্লাহ তাআলা তাহাঁর সহধর্মিণীগণকে দুটি পন্থার মধ্যে একটি পন্থা বেছে নেয়ার নির্দেশ দিলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) সর্বপ্রথম আমা হইতে শুরু করিলেন এবং বলিলেন, আমি তোমার কাছে একটি কথা উল্লেখ করছি। তাড়াহুড়ো না করে তোমার পিতা-মাতার সঙ্গে পরামর্শ করে উত্তর দেবে। তিনি এ কথা ভালভাবেই জানতেন যে, আমার আব্বা-আম্মা তাহাঁর (সাঃআঃ) থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরামর্শ কখনও দিবেন না। আয়েশাহ (রাদি.) বলেন, তিনি [রসূলূল্লাহ (সাঃআঃ)] বলিলেন, আল্লাহ বলছেন, “হে নাবী! আপনি আপনার স্ত্রীদের বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর…..। তখন আমি তাঁকে বললাম, এ ব্যাপারে আমার আব্বা-আম্মা থেকে পরামর্শ নেবার কী আছে? আমি তো আল্লাহ তাহাঁর রাসুল এবং আখিরাতের জীবনই কামনা করি। [৪৭৮৬; মুসলিম ১৮/৪, হাদীস ১৪৭৫] (আ.প্র. ৪৪২১, ই.ফা. ৪৪২৩)
[১] খায়বারের যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর স্ত্রীগণ তাদের ভরণ-পোষণে অর্থ বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। এ বিষয়ের প্রতি এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
৬৫/৩৩/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
{وَإِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ اللهَ وَرَسُوْلَه” وَالدَّارَ الْاٰخِرَةَ فَإِنَّ اللهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنٰتِ مِنْكُنَّ أَجْرًا عَظِيْمًا}
পক্ষান্তরে যদি তোমরা আল্লাহ, তাহাঁর রাসুল ও পরকাল কামনা কর, তবে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের জন্য আল্লাহ মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন। (সুরা আহযাব ৩৩/২৯)
وَقَالَ قَتَادَةُ {وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلٰى فِيْ بُيُوْتِكُنَّ مِنْ اٰيٰتِ اللهِ وَالْحِكْمَةِ} الْقُرْآنِ وَالْحِكْمَةُ السُّنَّةُ.
ক্বাতাদাহ (রাদি.) বলেন, وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلٰى فِيْ بُيُوْتِكُنَّ مِنْاٰيٰتِ اللهِ وَالْحِكْمَةِ এর মধ্যে اٰيٰتِ দ্বারা কুরআন, সুন্নাত এবং হিকমত বোঝানো হয়েছে।
৪৭৮৬
লায়স (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ)-এর সহধর্মিণী আয়েশাহ (রাদি.) বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে তাহাঁর সহধর্মিণীদের ব্যাপারে দুটি পন্থার একটি পন্থা বেছে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হল, তখন তিনি প্রথমে আমাকে বলিলেন, তোমাকে একটি বিষয় সম্পর্কে বলব। তাড়াহুড়ো না করে তুমি তোমার আব্বা ও আম্মার সঙ্গে পরামর্শ করে নিবে। আয়েশাহ (রাদি.) বলেন, তিনি অবশ্যই জানতেন, আমার আব্বা-আম্মা তাহাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা বলবেন না। আয়েশাহ (রাদি.) বলেন, এরপর তিনি বলিলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا إِلَى أَجْرًا عَظِيمًا “হে নাবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর…..মহা প্রতিদান পর্যন্ত। আয়েশাহ (রাদি.) বলেন, এ ব্যাপারে আমার আব্বা-আম্মার সঙ্গে পরামর্শের কী আছে? আমি তো আল্লাহ, তাহাঁর রাসুল এবং আখিরাতের জীবন কামনা করি। আয়েশাহ (রাদি.) বলেন ঃ নাবী (সাঃআঃ)-এর অন্যান্য সহধর্মিণী আমার মতই জবাব দিলেন। [৪৭৮৫] (আ.প্র. অনুচ্ছেদ. ই.ফা. অনুচ্ছেদ)
৬৫/৩৩/৬.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
{وَتُخْفِيْ فِيْ نَفْسِكَ مَا اللهُ مُبْدِيْهِ وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَاهُ}
আপনি আপনার অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ তাআলা প্রকাশ করে দিবেন। আর আপনি লোক নিন্দার ভয় করছিলেন, অথচ আল্লাহ্কেই ভয় করা আপনার পক্ষে অধিকতর উচিত ছিল…..। (সুরা আহযাব ৩৩/৩৭)
৪৭৮৭
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এ আয়াতটি, “(তুমি তোমার অন্তরে যা গোপন করছ, আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিচ্ছেন।)” যায়নাব বিনতে জাহ্শ এবং যায়দ ইবনু হারিসাহ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। [৭৪২০] (আ.প্র. ৪৪২২, ই.ফা. ৪৪২৪)
৬৫/৩৩/৭.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
৪৭৮৯
আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) স্ত্রীদের সঙ্গে অবস্থানের পালার ব্যাপারে আমাদের থেকে অনুমতি চাইতেন এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরও, আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট হইতে দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট স্থান দিতে পারেন এবং আপনি যাকে দূরে রেখেছেন তাকে কামনা করলে আপনার কোন অপরাধ নেই। এ আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর মুআয বলেন, আমি আয়েশাহ (রাদি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এর উত্তরে কী বলিতেন? তিনি বলিলেন, আমি তাঁকে বলতাম, এ বিষয়ের অধিকার যদি আমার থেকে থাকে তাহলে হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার ব্যাপারে অন্য কাউকে অগ্রাধিকার দিতে চাই না। আব্বাদ বিন আব্বাদ আসেম থেকে এরূপ শুনেছেন। [মুসলিম ১৮/৪, হাদীস ১৪৭৬] (আ.প্র. ৪৪২৪, ই.ফা. ৪৪২৬)
৬৫/৩৩/৮.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
হে মুমিনগণ! তোমরা খাওয়ার জন্য খাবার প্রস্তুতির অপেক্ষা না করে নাবীর ঘরে তোমাদেরকে অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত প্রবেশ করিবে না; তবে তোমাদেরকে ডাকা হলে তোমরা প্রবেশ করিবে এবং খাওয়া শেষ হলে নিজেরাই চলে যাবে, কথাবার্তায় মাশগুল হয়ে পড়বে না। তোমাদের এ আচরণ অবশ্যই নাবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু আল্লাহ সত্য বলিতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা যখন তাহাঁর পত্নীদের নিকট হইতে কোন কিছু চাইবে, তখন পর্দার অন্তরাল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র উপায়। আল্লাহর রাসুলকে কষ্ট দেয়া এবং তাহাঁর মৃত্যুর পর তাহাঁর পত্নীদেরকে বিবাহ করা তোমাদের কারও পক্ষে কখনও বৈধ নয়। এটা আল্লাহর কাছে সাংঘাতিক অপরাধ। (সুরা আহযাব ৩৩/৫৩)
يُقَالُ {إِنَاهُ} إِدْرَاكُهُ أَنَى يَأْنِيْ أَنَاةً فَهُوَ آنٍ {لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُوْنُ قَرِيْبًا} إِذَا وَصَفْتَ صِفَةَ الْمُؤَنَّثِ قُلْتَ قَرِيْبَةً وَإِذَا جَعَلْتَهُ ظَرْفًا وَبَدَلًا وَلَمْ تُرِدْ الصِّفَةَ نَزَعْتَ الْهَاءَ مِنَ الْمُؤَنَّثِ وَكَذَلِكَ لَفْظُهَا فِي الْوَاحِدِ وَالِاثْنَيْنِ وَالْجَمِيْعِ لِلذَّكَرِ وَالْأُنْثَى.
বলা হয় إِنَاهُ খাদ্য পরিপাক হওয়া। এটা أَنَى يَأْنِيْ أَنَاةًথেকে গঠিত। لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُوْنُ قَرِيْبًا সম্ভবত ক্বিয়ামাত অতি নিকটবর্তী। যদি তুমি স্ত্রী লিঙ্গ হিসেবে ব্যবহার কর, তবে قَرِيْبَةً বলবে। আর যদি الصِّفَةَ না ধর ظَرْفًا বা بَدَلًا হিসেবে ব্যবহার কর তবে তা নিয়ে যুক্ত করিবে না। তেমনি এ শব্দটি একবচন, দ্বি-বচন, বহুবচন এবং নারী-পুরুষ সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।
৪৭৯০
উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, আপনার কাছে ভাল ও মন্দ লোক আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীদের ব্যাপারে পর্দার নির্দেশ দিতেন। তারপর আল্লাহ তাআলা পর্দার আয়াত অবতীর্ণ করিলেন। [৪০২] (আ.প্র. ৪৪২৫, ই.ফা. ৪৪২৭)
৪৭৯১
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, যয়নাব বিন্ত জাহশ্কে যখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বিয়ে করেন, তখন তিনি লোকদের দাওয়াত করিলেন। লোকেরা আহারের পর বসে কথাবার্তা বলিতে লাগল। তিনি উঠে যেতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু লোকেরা উঠছিল না। এ অবস্থা দেখে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। তিনি উঠে যাওয়ার পর যারা উঠবার তারা উঠল। কিন্তু তিন ব্যক্তি বসেই থাকল। নাবী (সাঃআঃ) ঘরে প্রবেশের জন্য ফিরে এসে দেখেন, তারা তখনও বসে রয়েছে। অতঃপর তারাও উঠে গেল। আমি গিয়ে নাবী (সাঃআঃ)-কে তাদের চলে যাওয়ার সংবাদ দিলাম। তারপর তিনি এসে প্রবেশ করিলেন। এরপরও আমি প্রবেশ করিতে চাইলে তিনি আমার ও তার মাঝে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। তখন আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন ঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ “হে মুমিনগণ! তোমরা নাবীর গৃহে প্রবেশ করো না…..শেষ পর্যন্ত। [৪৭৯২, ৪৭৯৩, ৪৭৯৪, ৫১৫৪, ৫১৬৩, ৫১৬৬, ৫১৬৮, ৫১৭০, ৫১৭১, ৫৪৬৬, ৬২৩৮, ৬২৩৯, ৬২৭১, ৭৪২১; মুসলিম ১৬/১৪, হাদীস ১৪২৮, আহমাদ ১৩৪৭৮] (আ.প্র. ৪৪২৬, ই.ফা. ৪৪২৮)
৪৭৯২
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি পর্দার আয়াত সম্বন্ধে লোকদের চেয়ে অধিক জানি। যখন নাবী (সাঃআঃ)-এর নিকট যাইনাবকে বাসর যাপনের জন্য পাঠানো হয় এবং তিনি তাহাঁর ঘরে তাহাঁর সঙ্গে অবস্থান করেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) খাবার তৈরি করে লোকদের দাওয়াত করিলেন। তারা (খাওযার পর) বসে কথাবার্তা বলিতে লাগল। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বাইরে গিয়ে আবার ঘরে ফিরে এলেন, তখনও তারা বসে কথাবার্তা বলছিল। তখন আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন, “হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নাবী (সাঃআঃ) গৃহে প্রবেশ করিবে না।”…..পর্দার আড়াল থেকে পর্যন্ত। এরপর পর্দার বিধান কার্যকর হল এবং লোকেরা নিস্ক্রান্ত হল। [৪৭৯১] (আ.প্র. ৪৪২৭, ই.ফা. ৪৪২৯)
৪৭৯৩
আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যায়নাব বিনতে জাহশের সাথে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর বাসর যাপন উপলক্ষে কিছু গোশত ও রুটির ব্যবস্থা করা হল। তারপর খানা খাওয়ানোর জন্য আমাকে লোকদের ডেকে আনতে পাঠালেন। একদল লোক এসে খেয়ে চলে গেল। তারপর আর একদল এসে খেয়ে চলে গেল। এরপর আবার আমি ডাকতে গেলাম, কিন্তু কাউকে আর ডেকে পেলাম না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আর কাউকে ডেকে পাচ্ছি না। তিনি বলিলেন, খানা উঠিয়ে নাও। তখন তিন ব্যক্তি ঘরে রয়ে গেল, তারা কথাবার্তা বলছিল। তখন নাবী (সাঃআঃ) বের হয়ে আয়েশাহ (রাদি.)-এর ঘরের দিকে গেলেন এবং বলিলেন, আস্সালামু আলায়কুম ইয়া আহলাল বায়ত ওয়া রহমাতুল্লাহ! আয়েশাহ (রাদি.) বলিলেন, ওয়া আলায়কাস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে বারাকাত দিন, আপনার স্ত্রীকে কেমন পেলেন? এভাবে তিনি পর্যায়ক্রমে সব স্ত্রীর ঘরে গেলেন এবং আয়েশাহ্কে যেমন বলেছিলেন তাদেরও তেমনি বলিলেন। আর তাঁরা তাঁকে সে জবাবই দিয়েছিলেন, যেমন আয়েশাহ (রাদি.) দিয়েছিলেন। তারপর নাবী (সাঃআঃ) ফিরে এসে সে তিন ব্যক্তিকেই ঘরে কথাবার্তা বলিতে দেখিতে পেলেন। নাবী (সাঃআঃ) খুব লাজুক ছিলেন। (লজ্জা পেয়ে) আবার আয়েশাহ (রাদি.)-এর ঘরের দিকে গেলেন। তখন, আমি স্মরণ করিতে পারছি না, অন্য কেউ না আমি তঁ াকে লোকদের বের হয়ে যাওয়ার খবর দিলাম। তিনি ফিরে এসে দরজার চৌকাঠের ভিতরে এক পা ও বাইরে এক পা রেখে আমার ও তাহাঁর মধ্যে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহ তাআলা পর্দার আয়াত অবতীর্ণ করিলেন। [৪৭৯১] (আ.প্র. ৪৪২৮, ই.ফা. ৪৪৩০)
৪৭৯৪
আনাস্ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যয়নাব বিন্ত জাহশের সঙ্গে বাসর উদ্যাপনের সময় রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) ওয়ালীমা করিলেন। লোকদের তিনি গোশ্ত-রুটি তৃপ্তি সহকারে খাওয়ালেন। তারপর তিনি উম্মুল মুমিনীনদের কক্ষে যাওয়ার জন্য বের হলেন। যেমন বাসর রাত্রির ভোরে তার অভ্যাস ছিল যে, তিনি তাঁদের সালাম দিতেন ও তাঁদের জন্য দুআ করিতেন এবং তাঁরাও তাঁকে সালাম করিতেন, তাহাঁর জন্য দুআ করিতেন। তারপর ঘরে ফিরে এসে দুব্যক্তিকে কথাবার্তায় রত দেখিতে পেলেন। তাদের দেখে তিনি ঘর থেকে ফিরে চলে গেলেন। সে দুজন নাবী (সাঃআঃ)-কে ঘর থেকে ফিরে যেতে দেখে জলদি বের হয়ে গেল। এরপরে, আমার মনে নেই যে আমি তাঁকে তাদের বের হয়ে যাওয়ার খবর দিলাম, না অন্য কেউ দিল। তখন তিনি ফিরে এসে ঘরে প্রবেশ করিলেন এবং আমার ও তাহাঁর মধ্যে পর্দা লটকিয়ে দিলেন এবং পর্দার আয়াত নাযিল হল। [৪৭৯১] (আ.প্র. ৪৪২৯, ই.ফা. ৪৪৩১)
৪৭৯৫
আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার পর সাওদাহ প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে গেলেন। সাওদাহ এমন স্থূল শরীরের অধিকারিণী ছিলেন যে, পরিচিত লোকদের থেকে তিনি নিজেকে গোপন রাখতে পারতেন না। উমার ইবনু খাত্তাব (রাদি.) তাঁকে দেখে বলিলেন, হে সাওদাহ! জেনে রাখ, আল্লাহর কসম! আমাদের নযর থেকে গোপন থাকতে পারবে না। এখন দেখ তো, কীভাবে বাইরে যাবে? আয়েশাহ (রাদি.) বলেন, সাওদাহ (রাদি.) ফিরে আসলেন। আর এ সময় রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমার ঘরে রাতের খানা খাচ্ছিলেন। তাহাঁর হাতে ছিল টুকরা হাড়। সাওদাহ (রাদি.) ঘরে প্রবেশ করে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে গিয়েছিলাম। তখন উমার (রাদি.) আমাকে এমন এমন কথা বলেছে। আয়েশাহ (রাদি.) বলেন, এ সময় আল্লাহ তাআলা তাহাঁর নিকট ওয়াহী অবতীর্ণ করেন। ওয়াহী অবতীর্ণ হওয়া শেষ হল, হাড় টুকরা তখনও তাহাঁর হাতেই ছিল, তিনি তা রেখে দেননি। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, অবশ্য দরকার হলে তোমাদেরকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। [১৪৬; মুসলিম ৩৯/৭, হাদীস ২১৭০, আহমাদ ২৪৩৪৪] (আ.প্র. ৪৪৩০, ই.ফা. ৪৪৩২)
৬৫/৩৩/৯.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
যদি তোমরা কোন বিষয় প্রকাশ কর কিংবা তা গোপন রাখ, তবে তো আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ে সবিশেষ অবগত আছেন। নাবী-পত্নীদের জন্য কোন গুনাহ নেই তাদের নিজ নিজ পিতা, পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগিনীপুত্র, স্বধর্মাবলম্বিনী নারী এবং স্বীয় অধিকারভুক্ত দাসদাসীদের সামনে পর্দা পালন না করায়। হে নাবী-পত্নীগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয় প্রত্যক্ষ করেন।
৪৭৯৬
আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর, আবুল কুআয়স এর ভাই-আফ্লাহ আমার কাছে প্রবেশ করার অনুমতি চায়। আমি বললাম, এ ব্যাপারে যতক্ষণ রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) অনুমতি না দিবেন, ততক্ষণ আমি অনুমতি দিতে পারি না। কেননা তার ভাই আবু কুআয়স নিজে আমাকে দুধ পান করাননি। কিন্তু আবুল কুআয়সের স্ত্রী আমাকে দুধ পান করিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাদের কাছে আসলেন। আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আবুল কুআয়সের ভাই-আফরাহ আমার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাইছিল। আমি এ বলে অস্বীকার করেছি যে, যতক্ষণ আপনি এ ব্যাপারে অনুমতি না দিবেন, ততক্ষণ আমি অনুমতি দিব না। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, তোমার চাচাকে (দেখা করার) অনুমতি দিতে কিসে বাধা দিয়েছে? আমি বললাম, সে ব্যক্তি তো আমাকে দুধ পান করাননি; কিন্তু আবুল কুআয়াসের স্ত্রী আমাকে দুধ পান করিয়েছে। এরপর তিনি [রাসুল (সাঃআঃ)] বলিলেন, তোমার হাত ধুলায় ধূসরিত হোক, তাকে অনুমতি দাও, কেননা, সে তোমার চাচা। উরওয়াহ বলেন, এ কারণে আয়েশাহ (রাদি.) বলিতেন বংশ সম্বন্ধের কারণে যাকে তোমরা হারাম জান, দুগ্ধ-পানের কারণেও তাকে হারাম জানবে। [২৬৪৪; মুসলিম ১৭/২, হাদীস ১৪৪৫, আহমাদ ২৪১০৯] (আ.প্র. ৪৪৩১, ই.ফা. ৪৪৩৩)
৬৫/৩৩/১০.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
{إِنَّ اللهَ وَمَلٰٓئِكَتَه” يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ ط يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا}
নিশ্চয় আল্লাহ এবং তাহাঁর মালাইকা নাবীর জন্য রহমাত প্রার্থনা করে। হে মুমিনগণ! তোমরাও নাবীর জন্য রাহমাত প্রার্থনা কর এবং তার প্রতি প্রচুর পরিমাণে সালাম পাঠাতে থাক। (সুরা আহযাব ৩৩/৫৬)
قَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ صَلَاةُ اللهِ ثَنَاؤُهُ عَلَيْهِ عِنْدَ الْمَلَائِكَةِ وَصَلَاةُ الْمَلَائِكَةِ الدُّعَاءُ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {يُصَلُّوْنَ} يُبَرِّكُوْنَ {لَنُغْرِيَنَّكَ} لَنُسَلِّطَنَّكَ.
আবুল আলীয়া (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আল্লাহর সালাতের অর্থ মালায়িকার সম্মুখে নাবীর প্রতি আল্লাহর প্রশংসা। মালাইকা সালাতের অর্থ- দুআ। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, يُصَلُّوْنَ -এর অর্থ-বারকাতের দুআ করছেন। لَنُغْرِيَنَّكَ আমি তোমাকে বিজয়ী করব।
৪৭৯৭
কাব ইবনু উজরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
বলা হল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার উপর সালাম (সম্পর্কে) আমরা অবগত হয়েছি; কিন্তু সলাত কীভাবে? তিনি বলিলেন, তোমরা বলবে, “হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ এবং মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের উপর রহমাত নাযিল কর, যেমনিভাবে ইব্রাহীম-এর পরিবারবর্গের উপর তুমি রহমাত নাযিল করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত, মর্যাদাবান। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ-এর উপর এবং মুহাম্মাদ-এর পরিবারবর্গের প্রতি বারাকাত নাযিল কর। যেমনিভাবে তুমি বারাকাত নাযিল করেছ ইব্রাহীমের পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত, মর্যাদাবান। [৩৩৭০] (আ.প্র. ৪৪৩২, ই.ফা. ৪৪৩৪)
৪৭৯৮
আবু সাঈদ খুদরী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা বললাম, এ তো হল সালাম পাঠ; কিন্তু কেমন করে আমরা আপনার প্রতি দরূদ পড়ব? তিনি বলিলেন, তোমরা বলবে, “হে আল্লাহ! আপনার বান্দা ও আপনার রাসুল মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-এর প্রতি রাহমাত নাযিল করুন, যেভাবে রহমাত নাযিল করিয়াছেন ইব্রাহীমের পরিবারবর্গের প্রতি এবং মুহাম্মদ (সাঃআঃ) এর প্রতি ও মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের প্রতি বারকাত নাযিল করুন, যেভাবে বারকাত অবতীর্ণ করিয়াছেন ইব্রাহীম (আ.)-এর প্রতি। তবে বর্ণনাকারী আবু সালিহ লায়স থেকে বর্ণনা করিয়াছেন মুহাম্মাদ ও তার পরিবারবর্গের প্রতি বারাকাত নাযিল করুন যেমন আপনি বারকাত নাযিল করিয়াছেন ইব্রাহীমের পরিবারবর্গের প্রতি। (আ.প্র. ৪৪৩৩, ই.ফা. ৪৪৩৫)
ইয়াযীদ হইতে বর্ণিত। তিনি (এমনিভাবে) বলেন, যেমনভাবে ইব্রাহীম (আ.)-এর উপর রহমাত অবতীর্ণ করিয়াছেন। আর বারাকাত অবতীর্ণ করুন মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-এর প্রতি এবং মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের প্রতি, যেভাবে বারাকাত নাযিল করিয়াছেন ইব্রাহীম (আ.)-এর প্রতি এবং ইব্রাহীমের পরিবারের প্রতি। [৬৩৫৮] (আ.প্র. ৪৪৩৪)
৬৫/৩৩/১১.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা মূসা (আঃ)-কে কষ্ট দিয়েছে। (সুরা আহযাব ৩৩/৬৯)
৪৭৯৯
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, “মূসা (আ.) ছিলেন খুব লজ্জাশীল”। আর এ প্রেক্ষিতে আল্লাহর এ বাণী, হে মুমিনগণ! তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা মূসা (আ.)-কে কষ্ট দিয়েছে। তারপর আল্লাহ তাআলা তাঁকে ওদের অভিযোগ থেকে পবিত্র করিয়াছেন। আর তিনি ছিলেন আল্লাহর কাছে অতি সম্মানিত। [২৭৮[ (আ.প্র. ৪৪৩৫, ই.ফা. ৪৪৩৬)
Leave a Reply