সুরা আল ক্বিয়ামাহ এর তাফসীর

সুরা আল ক্বিয়ামাহ এর তাফসীর

সুরা আল ক্বিয়ামাহ এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা কিয়ামা’ত আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

সুরা আল ক্বিয়ামাহ এর তাফসীর

৬৫/৭৫/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ ওয়াহী দ্রুত আয়ত্ত করার জন্য আপনি ওয়াহী অবতীর্ণ হওয়ার সময় আপনার জিহবা নাড়বে না। (সুরা আল-ক্বিয়ামাহ ৭৫/১৬)

(75) سُوْرَةُ الْقِيَامَةِ

সুরা (৭৫) : আল-ক্বিয়ামাহ

ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, , لِيَفْجُرَ أَمَامَهُ শীঘ্রই তওবাহ করব, শীঘ্রই আমাল করব। لَاوَزَرَ কোন আশ্রয়স্থল নেই, سُدًى নিরর্থক ও উদ্দেশ্যহীন ।

৪৯২৭

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-এর প্রতি যখন ওয়াহী অবতীর্ণ করা হত, তখন তিনি দ্রুত তাহাঁর জিহ্বা নাড়তেন। রাবী সুফ্ইয়ান বলেন, এভাবে করার পেছনে তাহাঁর উদ্দেশ্য ছিল ওয়াহী মুখস্থ করা। তারপর আল্লাহ অবতীর্ণ করিলেন ঃ তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার জন্য তুমি তোমার জিহ্বা সঞ্চালন করিবে না। [৫] (আ.প্র. ৪৫৫৮, ই.ফা. ৪৫৬২)

৬৫/৭৫/২.অধ্যায়ঃ

নিশ্চয় এর একত্রীকরণ ও পাঠ করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমার। (সূর আল-ক্বিয়ামাহ ৭৫/১৭)

৪৯২৮

মূসা ইবনু আবু আয়েশাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ আল্লাহর এই বাণী সম্পর্কে সাঈদ ইবনু যুবায়র (রাদি.)-কে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বলিলেন, ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেছেন, নাবী (সাঃআঃ)-এর প্রতি যখন ওয়াহী অবতীর্ণ করা হত, তখন তিনি তাহাঁর ঠোঁট দুটো দ্রুত নাড়তেন। তখন তাঁকে বলা হল, তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার জন্য তুমি তোমার জিহ্বা নাড়বে না। নাবী (সাঃআঃ) ওয়াহী ভুলে যাবার আশংকায় এমন করিতেন। নিশ্চয়ই এ কুরআন সংরক্ষণ ও পাঠ করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমারই। অর্থাৎ আমি নিজেই তাকে তোমার স্মৃতিতে সংরক্ষণ করব। তাই আমি যখন তা পাঠ করব অর্থাৎ যখন তোমার প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ হইতে থাকবে, তখন তুমি তার অনুসরণ করিবে। এরপর তা বর্ণনা করার দাযিত্ব আমারই অর্থাৎ এ কুরআনকে তোমার মুখ দিয়ে বর্ণনা করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমার। [৫] (আ.প্র. ৪৫৫৯, ই.ফা. ৪৫৬৩)

৬৫/৭৫/৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ সুতরাং আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন। (সুরা আল-ক্বিয়ামাহ ৭৫/১৮)

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {قَرَأْنَاهُ} بَيَّنَّاهُ {قَرَأْنَاهُ}اعْمَلْ بِهِ.

ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, قَرَأْنَاهُ আমি যখন তা বর্ণনা করি قَرَأْنَاهُ তদনুযায়ী আমাল কর।

৪৯২৯

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আল্লাহর বাণী ঃ لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন যে, জিবরীল (আ.) যখন ওয়াহী নিয়ে আসতেন তখন রাসুল তাহাঁর জিহ্বা ও ঠোঁট দুটো দ্রুত নাড়তেন। এটা তাহাঁর জন্য কষ্টসাধ্য হত এবং তাহাঁর চেহারা দেখেই বোঝা যেত। তাই আল্লাহ তাআলা ঃ “তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিহ্বা সঞ্চালন করিবে না; এ কুরআন সংরক্ষণ ও পাঠ করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমারই” অবতীর্ণ করিলেন। এতে আল্লাহ ইরশাদ করিয়াছেন ঃ এ কুরআনকে আপনার বক্ষে সংরক্ষিত করা ও পড়িয়ে দেয়ার ভার আমার উপর। সুতরাং আমি যখন তা পাঠ করি, তুমি সে পাঠের অনুসরণ কর, অর্থাৎ আমি যখন ওয়াহী অবতীর্ণ করি তখন তুমি মনোযোগ দিয়ে শুন। তারপর এর বিস্তারিত ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই। অর্থাৎ তোমার মুখে তা বর্ণনা করার দায়িত্ব আমারই। রাবী বলেন, এরপর জিব্রীল (আ.) চলে গেলে আল্লাহর ওয়াদা ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ মুতাবিক তিনি তা পাঠ করিতেন। أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى দুর্ভোগ তোমার জন্য, দুর্ভোগ! تَوَعُّدٌ এ আয়াতে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। [৫; মুসলিম ৪/৩২, হাদীস ৪৪৮, আহমাদ ৩১৯১] (আ.প্র. ৪৫৬০, ই.ফা. ৪৫৬৪)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply