সুরা আল ক্বলাম এর তাফসীর
সুরা আল ক্বলাম এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা কালাম আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
সুরা আল ক্বলাম এর তাফসীর
৬৫/৬৮/১.অধ্যায়ঃ যে রুক্ষ স্বভাব, এতদ্ব্যতীত জারজ। (সুরা আল-ক্বলাম ৬৮/১৩)
(67) سُوْرَةُ الْمُلْكِ تَبَارَكَ الَّذِيْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ
সুরা (৬৭) : আল-মুলক
{التَّفَاوُتُ} الِاخْتِلَافُ وَالتَّفَاوُتُ وَالتَّفَوُّتُ وَاحِدٌ {تَمَيَّزُ} تَقَطَّعُ {مَنَاكِبِهَا} جَوَانِبِهَا {تَدَّعُوْنَ} وَتَدْعُوْنَ وَاحِدٌ مِثْلُ تَذَّكَّرُوْنَ وَتَذْكُرُوْنَ {وَيَقْبِضْنَ} يَضْرِبْنَ بِأَجْنِحَتِهِنَّ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {صَافَّاتٍ} بَسْطُ أَجْنِحَتِهِنَّ {وَنُفُوْرٌ} الْكُفُوْرُ.
التَّفَاوُتُ বিভিন্নতা। التَّفَاوُتُএবং التَّفَوُّتُ শব্দ দুটো একই অর্থবোধক। تَمَيَّزُ টুকরো হয়ে যাবে বা ফেটে পড়বে। مَنَاكِبِهَا তার দিগদিগন্ত। تَدَّعُوْنَ এবং تَدْعُوْنَবাক্যদ্বয় تَذَّكَّرُوْنَ ও تَذْكُرُوْنَ এর মতই। يَقْبِضْنَ তারা তাদের পাখা মেলে উড়ে বেড়ায়। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, صَافَّاتٍ তারা তাদের পাখা বিস্তার করে। نُفُوْرٌ কুফর ও সত্যবিমুখতা।
(68) سُوْرَةُ ن وَالْقَلَمِ
সুরা (৬৮) : আল-ক্বলাম
ক্বাতাদাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, حَرْدٍ অর্থ جِدٍّ فِيْٓ أَنْفُسِهِمْ ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, اِنَّالَضَآلُّوْنَ অর্থ আমরা আমাদের জান্নাতের স্থানের কথা ভুলে গিয়েছি। ইবনু আববাস (রাদি.) ব্যতীত অন্যান্য ভাষ্যকার বলেছেন, كَالصَّرِيْمِ অর্থ রাত থেকে বিচ্ছিন্ন প্রভাতের মত বা দিন থেকে বিচ্ছিন্ন রাতের মত। صَّرِيْمُ ঐ বালুকণাকেও বলা হয় যা বালুস্তূপ হইতে বিচ্ছিন্ন। مَصْرُوْمُ- صَرِيْمُ শব্দ قَتِيْلٍ এবং مَقْتُوْلٍ এর মত।
৪৯১৭
ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি عُتُلٍّ بَعْدَ ذَلِكَ زَنِيمٍ (রূঢ় স্বভাব এবং তদুপরি কুখ্যাত) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, এ লোকটি হলো কুরাইশ গোত্রের এমন এক লোক, যার স্কন্ধে ছাগলের চিহ্নের মত একটি বিশেষ চিহ্ন ছিল। (আ.প্র. ৪৫৪৮, ই.ফা. ৪৫৫২)
৪৯১৮
হারিস ইবনু ওয়াহাব খুযাঈ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমি কি তোমাদেরকে জান্নাতী লোকদের পরিচয় বলব না? তারা দুর্বল এবং অসহায়; কিন্তু তাঁরা যদি কোন ব্যাপারে আল্লাহর নামে কসম করে বসেন, তাহলে তা পূরণ করে দেন। আমি কি তোমাদেরকে জাহান্নামী লোকদের পরিচয় বলব না? তারা রূঢ় স্বভাব, অধিক মোটা এবং অহংকারী তারাই জাহান্নামী। [৬০৭১, ৬৬৫৭; মুসলিম ৫১/১৩, হাদীস ২৮৫৩, আহমাদ ১৮৭৫৩] (আ.প্র. ৪৫৪৯, ই.ফা. ৪৫৫৩)
৬৫/৬৮/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ পায়ের গোছা পর্যন্ত উন্মুক্ত করার দিনের কথা স্মরণ কর। (সুরা আল-ক্বলাম ৬৮/৪২)
৪৯১৯
আবু সাঈদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমাদের প্রতিপালক যখন তাহাঁর পায়ের গোড়ালির জ্যোতি বিকীর্ণ করবেন, তখন ঈমানদার নারী ও পুরুষ সবাই তাকে সাজ্দাহ করিবে। কিন্তু যারা দুনিয়াতে লোক দেখানো ও প্রচারের জন্য সাজ্দাহ করত, তারা কেবল বাকী থাকবে। তারা সাজদাহ করিতে ইচ্ছে করলে তাদের পিঠ একখণ্ড কাঠের ন্যায় শক্ত হয়ে যাবে। [২২] (আ.প্র. ৪৫৫০, ই.ফা. ৪৫৫৪)
Leave a Reply