সুরা আল আরাফ তাফসির – আল্লাহর বাণীঃ মান্না এবং সালওয়া

সুরা আল আরাফ তাফসির – আল্লাহর বাণীঃ মান্না এবং সালওয়া

সুরা আল আরাফ তাফসির – আল্লাহর বাণীঃ মান্না এবং সালওয়া >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন  >> সুরা আরাফ আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ >> ২০ টির অধিক তাফসীর কিতাব পড়ুন

সুরা আল আরাফ তাফসির

৬৫/৭/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ বলুনঃ আমার রব হারাম করিয়াছেন যাবতীয় প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা। (সুরা আল-আরাফ ৭/৩৩)
৬৫/৭/২.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।
৬৫/৭/৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ মান্না এবং সালওয়া। (সুরা আল-আরাফ ৪/১৬০)
৬৫/৭/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সবার প্রতি সেই আল্লাহর রাসুল, যিনি সমগ্র আসমান ও যমীনের মালিক, যিনি ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সুতরাং তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি এবং তাহাঁর নিরক্ষর নাবীর প্রতি এবং তাহাঁর বাণীতে। তোমরা তাহাঁর অনুসরণ কর যাতে হিদায়াত প্রাপ্ত হও। (সুরা আল-আরাফ ৭/১৫৮)
৬৫/৭/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তোমরা বল ক্ষমা চাই। (সুরা আল-আরাফ ৭/১৬১)

৬৫/৭/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ বলুনঃ আমার রব হারাম করিয়াছেন যাবতীয় প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা। (সূরা আল আরাফ ৭/৩৩)

সুরা (৭) : আল-আরাফ

ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন; وَرِيَاشًا- সম্পদ, إِنَّهচ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ- তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালবাসতেন না, দুআ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে, عَفَوْا- তারা সংখ্যাধিক্য হয় এবং তাদের সম্পত্তি প্রাচুর্য লাভ করে, الْفَتَّاحُ-বিচারক, افْتَحْ بَيْنَنَا-আমাদের মাঝে ফয়সালা করে দিন। نَتَقْنَا الْجَبَلَ-উপরে তুলেছি পর্বত, انْبَجَسَتْ- প্রবাহিত হয়েছে,مُتَبَّرٌ-ক্ষতিগ্রস্ত, آسَى-আমি আক্ষেপ করি, تَأْسَ- আক্ষেপ করিবে, অন্যজন বলেছেন أَنْ لَّا تَسْجُدَ- সাজদাহ করিতে, يَخْصِفَانِ-তাঁরা উভয়ে সেলাই করে জোড়া লাগাচ্ছিলেন, مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ-বেহেশতের পাতা, উভয়ে সংগ্রহ করেছিলেন এবং পাতা একটা অন্যটার সঙ্গে সেলাই করে জোড়া লাগাচ্ছিলেন, سَوْآتِهِمْ-তাঁদের যৌনাঙ্গ, وَمَتَاعٌ إِلٰى حِيْنٍ-এখন থেকে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত, আরবদের ভাষায় حِيْنُবলা হয় একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত, الرِّيَاشُوَالرِّيْشُ-একই অর্থাৎ পোশাকের বহিরাংশ, قَبِيْلُهُ- তার দল সে যে দলের অন্তর্ভুক্ত। ادَّارَكُوْاএকত্রিত হল। মানুষ এবং অন্যান্য জন্তুর ছিদ্রসমূহকে سُمُوْمٌবলা হয়, এর একবচন سُمُمٌّসেগুলো চক্ষুদ্বয়, নাসারন্ধ্র, মুখ, দুটি কান, বাহ্য পথ স্রাবনালী, غَوَاشٌ-আচ্ছাদন, نُشُرًا-বিক্ষিপ্ত, نَكِدًا-স্বল্প পরিমাণ, يَغْنَوْا-জীবন যাপন করেন, حَقِيْقٌহক ও উপযুক্ত, যোগ্য, اسْتَرْهَبُوْهُمْ-তাদেরকে আতংকিত করিল, رَهْبَةٌ-থেকে উৎপন্ন, تَلَقَّفُ-গো গ্রাসে গিলে ফেলা, طَآئِرُهُمْ-তাদের ভাগ্য, বন্যা, طُوْفَانٌ-বন্যা অধিক হারে মৃত্যুকে ও طُوْفَانٌবলা হয়, الْقُمَّلُউকুন, عُرُوْشٌ-عَرِيْشٌ- অট্টালিকা, سُقِطَযারা অপমানিত হয় তাদেরকে বলা হয় سُقِطَ فِيْيَدِهِ। أَلَاسْبَاطُ-নাবী ইসরাঈলের গোত্রসমূহ, يَعْدُوْنَও يَتَعَدَّوْنَ-সীমালঙ্ঘন করে; تَعَدَّوْ-সীমালঙ্ঘন করেছে, شُرَّعًا- প্রকাশ্যভাবে, بَئِيْسٍ- কঠোর, أَخْلَدَ-বসে থাকল এবং পেছনে পড়ল, سَنَسْتَدْرِجُهُمْ- তাদের নিরাপদ স্থান থেকে তাদেরকে এসে ক্রমে বের করে আনবে, যেমন فَأَتَاهُمُاللهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوْا-তাদেরকে আল্লাহ এমন শাস্তি দিলেন যা তারা ধারণা করেনি। مِنْجِنَّةٍ-উন্মাদনা, কখন তাদেরকে পুনরায় বের করা হইবে? فَمَرَّتْ بِهِ- তাহাঁর গর্ভ অটুটু থাকল এরপর সেটাকে পূর্ণতা দান করলে, يَنْزَغَنَّكَ يَسْتَخِفَّنَّكَ-তোমাকে কু-মন্ত্রণা দেয়া, طَيْفٌ-আগত সংযোগযোগ্য, طَيْفٌ এবং طَائِفٌ এক রকম, يَمُدُّوْنَهُمْ-অলংকৃত করে, خِيْفَةٌ- ভয়, خُفْيَةٌ শব্দটি إِخْفَاءٌ থেকে নির্গত অর্থ গোপন করা, وَالْآصَالُ একবচনে أَصِيْلٌ-আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়, যেমন আল্লাহর বাণী بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا সকাল-সন্ধ্যা।

৪৬৩৭

আমর ইবনু মুররাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু ওয়ায়িলকে জিজ্ঞেস করিলেন, আপনি কি এটা আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাদি.) থেকে শুনেছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ এবং তিনি এটাকে মারফু হাদীস হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন। রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, অন্যায়কে ঘৃণাকারী আল্লাহর তুলনায় অন্য কেউ নেই, এজন্যেই তিনি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় অশ্লীলতা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন, আবার আল্লাহর চেয়ে প্রশংসা-প্রীতি অন্য কারো নেই, তাই তিনি নিজে নিজের প্রশংসা করিয়াছেন। [৪৬৩৪] (আ.প্র. ৪২৭৬, ই.ফা. ৪২৭৯)

৬৫/৭/২.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।

{وَلَمَّا جَآءَ مُوْسٰى لِمِيْقَاتِنَا وَكَلَّمَه” رَبُّه” لا قَالَ رَبِّ أَرِنِيْٓ أَنْظُرْ إِلَيْكَ ط قَالَ لَنْ تَرٰﯨـنِىْ وَلٰكِنِ انْظُرْ إِلَى الْجَبَلِ فَإِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَه” فَسَوْفَ تَرٰﯨـنِىْ ج فَلَمَّا تَجَلّٰى رَبُّه” لِلْجَبَلِ جَعَلَه” دَكًّا وَّخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًا ج فَلَمَّآ أَفَاقَ قَالَ سُبْحٰنَكَ تُبْتُ إِلَيْكَ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُؤْمِنِيْنَ}

তারপর মূসা যখন আমার নির্ধারিত সময়ে এসে হাজির হল এবং তার সঙ্গে তার রব কথা বলিলেন, তখন সে বলিল-হে আমার রব! আমাকে আপনার দর্শন দিন, যেন আমি আপনাকে দেখিতে পাই। তিনি বলিলেন-তুমি আমাকে কিছুতেই দেখিতে পাবে না। তবে তুমি এ পর্বতের দিকে দৃষ্টিপাত কর, যদি তা স্বস্থানে স্থির থাকে তাহলে তুমি আমাকে দেখিতে পাবে। তারপর যখন তার রব পর্বতের উপর জ্যোতির বিকাশ ঘটালেন তখন তা পর্বতটিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলল এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। যখন সে জ্ঞান ফিরে পেল তখন বললঃ আপনি পবিত্র মহান, আমি আপনার কাছে তাওবাহ করছি এবং মুমিনদের মধ্যে আমিই প্রথম। (সূরা আল আরাফ ৭/১৪৩)

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {أَرِنِيْ} أَعْطِنِي.

ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, أَرِنِيْ-আমাকে দেখা দাও।

৪৬৩৮

আবু সাঈদ খুদরী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

এক ইয়াহূদী নাবী (সাঃআঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হল। তার মুখমণ্ডলে চপেটাঘাত খেয়ে সে বলিল, হে মুহাম্মাদ! আপনার এক আনসারী সহাবী আমার মুখমণ্ডলে চপেটাঘাত করেছে। তিনি বলিলেন, তাকে ডেকে আন। তারা ওকে ডেকে আনল, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, “একে চপেটাঘাত করেছ কেন?” সে বলিল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি এই ইয়াহূদীর পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রম করছিলাম। তখন শুনলাম সে বলছে তাহাঁরই শপথ যিনি মূসা (আ.)-কে মানবজাতির উপর মনোনীত করিয়াছেন, আমি বললাম মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-এর উপরও মনোনীত করিয়াছেন কি? এরপর আমার রাগ চেপে গিয়েছিল, তাই তাকে চপেটাঘাত করেছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, তোমরা আমাকে অন্যান্য নাবীর থেকে উত্তম বলো না। কারণ ক্বিয়ামাত দিবসে সব মানুষই জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়বে, সর্বপ্রথম আমিই জ্ঞান ফিরে পাব। তিনি বলেন, তখন আমি দেখব যে, মূসা (আ.) আকাশের খুঁটি ধরে আছেন, আমি বুঝতে পারব না যে, তিনি কি আমার পূর্বে জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন নাকি তূর পর্বতের জ্ঞানশূন্যতার পুরস্কার হিসেবে তাঁকে পুনরায় জ্ঞানশূন্য করা হয়নি। [২৪১২] (আ.প্র. ৪২৭৭, ই.ফা. ৪২৮০)

৬৫/৭/৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ মান্না এবং সালওয়া। (সূরা আল আরাফ ৪/১৬০)

৪৬৩৯

সাঈদ ইবনু যায়দ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, الْكَمْأَةُ জাতীয় উদ্ভিদ মান্না-এর মতো এবং এর পানি চক্ষুরোগ আরোগ্যকারী। [৪৪৭৮] (আ.প্র. ৪২৭৮, ই.ফা. ৪২৮১)

৬৫/৭/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সবার প্রতি সেই আল্লাহর রাসুল, যিনি সমগ্র আসমান ও যমীনের মালিক, যিনি ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সুতরাং তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি এবং তাহাঁর নিরক্ষর নাবীর প্রতি এবং তাহাঁর বাণীতে। তোমরা তাহাঁর অনুসরণ কর যাতে হিদায়াত প্রাপ্ত হও। (সূরা আল আরাফ ৭/১৫৮)

৪৬৪০

আবু দারদা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আবু বাক্র (রাদি.) ও উমার (রাদি.)-এর মধ্যে বিতর্ক হল, আবু বাক্র (রাদি.) উমার (রাদি.)-কে রাগিয়ে দিয়েছিলেন, এরপর রাগানি¦ত অবস্থায় উমার (রাদি.) সেখান থেকে চলে গেলেন, আবু বাক্র (রাদি.) তাহাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে করিতে তাহাঁর পিছু নিলেন কিন্তু উমার (রাদি.) ক্ষমা করিলেন না, বরং তাহাঁর সম্মুখের দরজা বন্ধ করে দিলেন। এরপর আবু বাক্র (রাদি.) রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর দরবারে আসলেন। আবু দারদা (রাদি.) বলেন, আমরা তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর কাছে ছিলাম, ঘটনা শোনার পর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেন, তোমাদের এই সঙ্গী আবু বাক্র আগে কল্যাণ লাভ করেছে। তিনি বলেন, এতে উমার লজ্জিত হলেন এবং সালাম করে নাবী (সাঃআঃ)-এর পাশে বসে পড়লেন ও সবকথা রাসুল (সাঃআঃ)-এর কাছে বর্ণনা করিলেন। আবু দারদা (রাদি.) বলেন, এতে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) অসন্তুষ্ট হলেন। আবু বাক্র সিদ্দীক (রাদি.) বারবার বলছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)! আমি অধিক দোষী ছিলাম। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, তোমরা আমার খাতিরে আমার সাথীর ত্রুটি উপেক্ষা করিবে কি? তোমরা আমার খাতিরে আমার সঙ্গীর ত্রুটি উপেক্ষা করিবে কি? এমন একদিন ছিল যখন আমি বলেছিলাম, “হে মানুষেরা! আমি তোমাদের সকলের জন্য রাসুল, তখন তোমরা বলেছিলে, “তুমি মিথ্যা বলেছ” আর আবু বাক্র (রাদি.) বলেছিল, “আপনি সত্য বলেছেন”।

ইমাম আবু আবদুল্লাহ বুখারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, غَامَرَআগে কল্যাণ লাভ করেছে। [৩৬৬১] (আ.প্র. ৪২৭৯, ই.ফা. ৪২৮২)

৬৫/৭/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তোমরা বল ক্ষমা চাই। (সূরা আল আরাফ ৭/১৬১)

৪৬৪১

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, ইসরাঈলীদেরকে আদেশ করা হয়েছিল যে, “নতশিরে প্রবেশ কর এবং বল, ক্ষমা চাই, আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করব” (সূরা আল আরাফ ১৫৮)। এরপর তারা তার উল্টো করিল, তারা নিজেদের নিতম্বে ভর দিয়ে মাটিতে বসে বসে প্রবেশ করিল এবং বলিল, حَبَّةٌ فِي شَعَرَةٍ যবের ভিতর বিচি চাই। [৩৪০৩) (আ.প্র. ৪২৮০, ই.ফা. ৪২৮৩)

৬৫/৭/৬

আল্লাহর বাণীঃ তুমি ক্ষমা করার অভ্যাস কর, ভাল কাজের নির্দেশ দাও এবং অজ্ঞ-মূর্খদের থেকে দূরে সরে থাক। (সূরা আল আরাফ ৭/১৯৯)

৪৬৪২

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, “উয়াইনাহ ইবনু হিস্ন ইবনু হুযাইফাহ এসে তাহাঁর ভাতিজা হুর ইবনু কাইসের কাছে অবস্থান করিলেন। উমার (রাদি.) যাদেরকে পার্শ্বে রাখতেন হুর ছিলেন তাদের একজন। কারীগণ, যুবক-বৃদ্ধ সকলেই উমার ফারূক (রাদি.)-এর মজলিসের সদস্য এবং উপদেষ্টা ছিলেন। এরপর উয়াইনাহ তাহাঁর ভাতিজাকে ডেকে বলিলেন, এই আমীরের কাছে তো তোমার একটা মর্যাদা আছে, সুতরাং তুমি আমার জন্য তাহাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি নিয়ে দাও। তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, আমি তাহাঁর কাছে আপনার প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করব।

ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, এরপর হুর অনুমতি প্রার্থনা করিলেন উয়াইনাহর জন্যে এবং উমার (রাদি.) অনুমতি দিলেন। উয়াইনাহ উমারের কাছে গিয়ে বলিলেন, হ্যাঁ আপনি তো আমাদেরকে অধিক অধিক দানও করেন না এবং আমাদের মাঝে সুবিচারও করেন না। উমার (রাদি.) রাগানি¦ত হলেন এবং তাঁকে কিছু একটা করিতে উদ্যত হলেন। তখন হুর বলিলেন, হে আমিরুল মুমিনীন! আল্লাহ তাআলা তো তাহাঁর নাবী (সাঃআঃ)-কে বলেছেন, “ক্ষমা অবলম্বন কর, সৎকাজের আদেশ দাও এবং মূর্খদেরকে উপেক্ষা কর” আর এই ব্যক্তি তো অবশ্যই মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর কসম উমার (রাদি.) আয়াতের নির্দেশ অমান্য করেননি। উমার আল্লাহর কিতাবের বিধানের সামনে চুপ হয়ে যেতেন। [৭২৮৬] (আ.প্র. ৪২৮১, ই.ফা. ৪২৮৪)

৪৬৪৩

আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

خُذْ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ আয়াতটি আল্লাহ তাআলা মানুষের চরিত্র সম্পর্কেই অবতীর্ণ করিয়াছেন। [৪৬৪৪] (আ.প্র. ৪২৮২, ই.ফা. ৪২৮৫)

৪৬৪৪

আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহ তাআলা তাহাঁর নাবী (সাঃআঃ)-কে মানুষের আচরণের ব্যাপারে ক্ষমা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন। [৪৬৪৩] (আ.প্র. ৪২৮৩, ই.ফা. ৪২৮৫ শেষাংশ)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply