সুরা আল আনআম তাফসীর
সুরা আল আনআম তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা আন’য়াম আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
৬৫/৬/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তাহাঁরই কাছে আছে অদৃশ্যের চাবি; তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানে না। (সুরা আল-আনআম ৬/৫৯)
৬৫/৬/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ বলুনঃ তিনিই সক্ষম তোমাদের উপর শাস্তি প্রেরণ করিতে তোমাদের উপর দিক থেকে অথবা তোমাদের পদতল থেকে কিংবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করিতে এবং এক দলকে অন্য দলের যুদ্ধের স্বাদ গ্রহণ করাতে। দেখ, আমি কীরূপে বিভিন্নভাবে আয়াতসমূহ বর্ণনা করি, যাতে তারা বুঝে নেয়। (সুরা আল-আনআম ৬/৬৫)
৬৫/৬/৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ এবং নিজেদের ঈমানকে শিরকের সঙ্গে মিশ্রিত করেনি। (সুরা আল-আনআম ৬/৮২)
৬৫/৬/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ ইউনুস ও লূতকেও হিদায়াত দান করেছিলাম। আমি প্রত্যেককেই সারা জাহানের উপর ফাযীলাত দান করেছিলাম। (সুরা আল-আনআম ৬/৮৬)
৬৫/৬/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তারা ছিলেন এমন যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত দান করেছিলেন। অতএব, আপনিও তাদেরই পথে চলুন। (সুরা আল-আনআম ৬/৯০)
৬৫/৬/৭.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ অশ্লীল আচরণের কাছেও যেয়োনা তা প্রকাশ্য হোক কিংবা গোপন হোক। (সুরা আল-আনআম ৬/১৫১)
৬৫/৬/৮.অধ্যায়ঃ
অধ্যায়:
৬৫/৬/৯.অধ্যায়ঃ
৬৫/৬/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তাহাঁরই কাছে আছে অদৃশ্যের চাবি; তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানে না। (সুরা আল আনআম ৬/৫৯)
৪৬২৭
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তাহাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, অদৃশ্যের চাবি পাঁচটি “নিশ্চয় আল্লাহরই কাছে রয়েছে ক্বিয়ামাত সম্বন্ধীয় জ্ঞান এবং তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর তিনিই জানেন যা কিছু আছে গর্ভাধারে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করিবে এবং কেউ জানে না কোথায় তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু জানেন, সব খবর রাখেন” (সুরা লুকমান ৩১/৩৪)। [১০৩৯] (আ.প্র. ৪২৬৬, ই.ফা. ৪২৬৯)
৬৫/৬/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ বলুনঃ তিনিই সক্ষম তোমাদের উপর শাস্তি প্রেরণ করিতে তোমাদের উপর দিক থেকে অথবা তোমাদের পদতল থেকে কিংবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করিতে এবং এক দলকে অন্য দলের যুদ্ধের স্বাদ গ্রহণ করাতে। দেখ, আমি কীরূপে বিভিন্নভাবে আয়াতসমূহ বর্ণনা করি, যাতে তারা বুঝে নেয়। (সুরা আল আনআম ৬/৬৫)
৪৬২৮
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যখন এই আয়াত قُلْ هُوَ الْقَادِرُ عَلَى أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِنْ فَوْقِكُمْ অবতীর্ণ হল তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, “আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, আবার যখন أَوْ مِنْ تَحْتِ أَرْجُلِكُمْ অবতীর্ণ হল, তখনও বলিলেন, আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি এবং যখন أَوْ يَلْبِسَكُمْ شِيَعًا وَيُذِيقَ بَعْضَكُمْ بَأْسَ بَعْضٍ অবতীর্ণ হল তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, এটা অপেক্ষাকৃত হালকা, তিনি هَذَا أَهْوَنُ কিংবা هَذَا أَيْسَرُ বলেছেন। [৭৩১৩, ৭৪০৬] (আ.প্র. ৪২৬৭, ই.ফা. ৪২৭০)
৬৫/৬/৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ এবং নিজেদের ঈমানকে শিরকের সঙ্গে মিশ্রিত করেনি। (সুরা আল আনআম ৬/৮২)
৪৬২৯
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যখন وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ আয়াত অবতীর্ণ হল, তখন তাহাঁর সহাবাগণ বলিলেন, “যুল্ম করেনি আমাদের মধ্যে এমন কোন্ ব্যক্তি আছে?” এরপর অবতীর্ণ হল إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ “নিশ্চয় র্শিক মহা যুল্ম” (সুরা লুক্বমান ৩১/১৩)। [৩২] (আ.প্র. ৪২৬৮, ই.ফা. ৪২৭১)
৬৫/৬/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ ইউনুস ও লূতকেও হিদায়াত দান করেছিলাম। আমি প্রত্যেককেই সারা জাহানের উপর ফাযীলাত দান করেছিলাম। (সুরা আল আনআম ৬/৮৬)
৪৬৩০
ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেছেন, “আমি ইউনুস ইবনু মাত্তা থেকে উত্তম” এমন কথা বলা কারও জন্যে শোভনীয় নয়। [৩৩৯৫] (আ.প্র. ৪২৬৯, ই.ফা. ৪২৭২)
৪৬৩১
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেছেন, “আমি ইউনুস ইবনু মাত্তা (আ.) থেকে উত্তম”, এমন কথা বলা কারো জন্য শোভনীয় নয়। [৩৪১৫] (আ.প্র. ৪২৭০, ই.ফা. ৪২৭৩)
৬৫/৬/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তারা ছিলেন এমন যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত দান করেছিলেন। অতএব, আপনিও তাদেরই পথে চলুন। (সুরা আল আনআম ৬/৯০)
৬৫/৬/৬.অধ্যায়ঃ
আল্লাহর বাণীঃ
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ{كُلَّ ذِيْ ظُفُرٍ} الْبَعِيْرُ وَالنَّعَامَةُ {الْحَوَايَا} الْمَبْعَرُ وَقَالَ غَيْرُهُ {هَادُوْا} صَارُوْا يَهُوْدًا وَأَمَّا قَوْلُهُ هُدْنَا تُبْنَا هَائِدٌ تَائِبٌ.
ইবনু আববাস (রাদি.) বলেছেন, كُلَّ ذِيْ ظُفُرٍ উট, উটপাখী, الْحَوَايَا অন্ত্রসমূহ। অন্যজন বলেছেন هَادُوْا ইয়াহূদী হয়ে গেছে, তবে আল্লাহর বাণী هُدْنَا মানে تُبْنَا অর্থাৎ আমরা তাওবাহ করেছি, هَائِدٌ تَائِبٌ তাওবাহ্কারী।
৪৬৩৩
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, আল্লাহ তাআলা ইয়াহূদীদেরকে অভিসম্পাত করিয়াছেন, যখন তিনি তাদের উপর চর্বি নিষিদ্ধ করিয়াছেন তখন তারা ওটাকে তরল করে জমা করেছে, তারপর বিক্রি করে তার মূল্য ভক্ষণ করেছে। আবু আসিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ……… হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন জাবির (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) থেকে। [২২৩৬] (আ.প্র. ৪২৭২, ই.ফা. ৪২৭৫)
৬৫/৬/৭.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ অশ্লীল আচরণের কাছেও যেয়োনা তা প্রকাশ্য হোক কিংবা গোপন হোক। (সুরা আল আনআম ৬/১৫১)
৪৬৩৪
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নিষিদ্ধ কার্যে মুমিনদেরকে বাধা দানকারী আল্লাহর চেয়ে অধিক কেউ নেই, এজন্যই প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় অশ্লীলতা নিষিদ্ধ করিয়াছেন, আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ করার চেয়ে প্রিয় তাহাঁর কাছে অন্য কিছু নেই, সেজন্যেই আল্লাহ আপন প্রশংসা নিজেই করিয়াছেন।
আমর ইবনু মুররাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি আবু ওয়ায়িলকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি তা আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ থেকে শুনেছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, এটাকে কি তিনি রাসুল (সাঃআঃ)-এর বাণী হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। [৪৬৩৭, ৫২২০, ৭৪০৩; মুসলিম ৪৯/৬, হাদীস ২৭৬০, আহমাদ ৩৬১৬] (আ.প্র. ৪২৭৩, ই.ফা. ৪২৭৬)
৬৫/৬/৮.অধ্যায়ঃ
অধ্যায়:
৬৫/৬/৯.অধ্যায়ঃ
আল্লাহর বাণীঃ সাক্ষীদেরকে হাযির কর। (সুরা আল-আমআম ৬/১৫০)
৬৫/৬/১০.অধ্যায়ঃ
আল্লাহর বাণীঃ যেদিন আপনার রবের কোন নিদর্শন আসবে, সেদিন এমন কোন ব্যক্তির ঈমান কাজে আসবে না যে ব্যক্তি নেক কাজ করেনি। (সুরা আল আনআম ৬/১৫৮)
৪৬৩৫
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, “পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত ক্বিয়ামাত অনুষ্ঠিত হইবে না। লোকেরা যখন তা দেখবে, তখন পৃথিবীর সকলে ঈমান আনবে এবং সেটি হচ্ছে এমন সময় “পূর্বে ঈমান আনেনি এমন ব্যক্তির ঈমান তার কাজে আসবে না”। [৮৫; মুসলিম ৪/৭২, হাদীস ১৫৭, আহমাদ ৭১৬৪] (আ.প্র. ৪২৭৪, ই.ফা. ৪২৭৭)
৪৬৩৬
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, যতক্ষণ না পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় ঘটবে ততক্ষণ ক্বিয়ামাত হইবে না, যখন সেদিক থেকে সূর্য উদিত হইবে এবং লোকেরা তা দেখবে তখন সবাই ঈমান গ্রহণ করিবে, এটাই সময় যখন কোন ব্যক্তিকে তার ঈমান কল্যাণ সাধন করিবে না। তারপর তিনি আয়াতটি তিলাওয়াত করিলেন। [৮৫] (আ.প্র. ৪২৭৫, ই.ফা. ৪২৭৮)
Leave a Reply