সুরা আর রহমান বাংলা Sura Ar Rahman in Words & Audio
Arabic | Words |
৫৫, সুরা আর রহমান, আয়াত-৭৮, মাদানী, রুকু-৩
সুরা আর রহমান ع রুকু Ruku- [১](1)] >> [২](2] >> [৩][3]
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ |
(1) পরম করুণাময়, | ٱلرَّحۡمَٰنُ ١ |
(2) তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন, | عَلَّمَ ٱلۡقُرۡءَانَ ٢ |
(3) তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ, | خَلَقَ ٱلۡإِنسَٰنَ ٣ |
(4) তিনি তাকে শিখিয়েছেন ভাষা। | عَلَّمَهُ ٱلۡبَيَانَ ٤ |
(5) সূর্য ও চাঁদ (নির্ধারিত) হিসাব অনুযায়ী চলে, | ٱلشَّمۡسُ وَٱلۡقَمَرُ بِحُسۡبَانٖ ٥ |
(6) আর তারকা ও গাছ-পালা সিজদা করে। | وَٱلنَّجۡمُ وَٱلشَّجَرُ يَسۡجُدَانِ ٦ |
(7) আর তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করেছেন। | وَٱلسَّمَآءَ رَفَعَهَا وَوَضَعَ ٱلۡمِيزَانَ ٧ |
(8) যাতে তোমরা দাঁড়িপাল্লায় সীমালঙ্ঘন না কর। | أَلَّا تَطۡغَوۡاْ فِي ٱلۡمِيزَانِ ٨ |
(9) আর তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে ওযন প্রতিষ্ঠা কর এবং ওযনকৃত বস্তু কম দিও না। | وَأَقِيمُواْ ٱلۡوَزۡنَ بِٱلۡقِسۡطِ وَلَا تُخۡسِرُواْ ٱلۡمِيزَانَ ٩ |
(10) আর যমীনকে বিছিয়ে দিয়েছেন সৃষ্টজীবের জন্য। | وَٱلۡأَرۡضَ وَضَعَهَا لِلۡأَنَامِ ١٠ |
(11) তাতে রয়েছে ফলমূল ও খেজুরগাছ, যার খেজুর আবরণযুক্ত। | فِيهَا فَٰكِهَةٞ وَٱلنَّخۡلُ ذَاتُ ٱلۡأَكۡمَامِ ١١ |
(12) আর আছে খোসাযুক্ত দানা ও সুগন্ধিযুক্ত ফুল। | وَٱلۡحَبُّ ذُو ٱلۡعَصۡفِ وَٱلرَّيۡحَانُ ١٢ |
(13) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে[1] অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ١٣ |
(14) তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুষ্ক ঠনঠনে মাটি থেকে যা পোড়া মাটির ন্যায়। | خَلَقَ ٱلۡإِنسَٰنَ مِن صَلۡصَٰلٖ كَٱلۡفَخَّارِ ١٤ |
(15) আর তিনি জিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন অগ্নিশিখা থেকে। | وَخَلَقَ ٱلۡجَآنَّ مِن مَّارِجٖ مِّن نَّارٖ ١٥ |
(16) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ١٦ |
(17) তিনি দুই পূর্ব ও দুই পশ্চিমের[2] রব। | رَبُّ ٱلۡمَشۡرِقَيۡنِ وَرَبُّ ٱلۡمَغۡرِبَيۡنِ ١٧ |
(18) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ١٨ |
(19) তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। | مَرَجَ ٱلۡبَحۡرَيۡنِ يَلۡتَقِيَانِ ١٩ |
(20) উভয়ের মধ্যে রয়েছে এক আড়াল যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। | بَيۡنَهُمَا بَرۡزَخٞ لَّا يَبۡغِيَانِ ٢٠ |
(21) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٢١ |
(22) উভয় সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয় মণিমুক্তা ও প্রবাল। | يَخۡرُجُ مِنۡهُمَا ٱللُّؤۡلُؤُ وَٱلۡمَرۡجَانُ ٢٢ |
(23) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٢٣ |
(24) আর সমুদ্রে চলমান পাহাড়সম জাহাজসমূহ তাঁরই। | وَلَهُ ٱلۡجَوَارِ ٱلۡمُنشََٔاتُ فِي ٱلۡبَحۡرِ كَٱلۡأَعۡلَٰمِ ٢٤ |
(25) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٢٥ |
সুরা আর রহমান ع রুকু Ruku [১][1] >> [২](2] >> [৩][3]
(26) যমীনের উপর যা কিছু রয়েছে, সবই ধ্বংসশীল। | كُلُّ مَنۡ عَلَيۡهَا فَانٖ ٢٦ |
(27) আর থেকে যাবে শুধু মহামহিম ও মহানুভব তোমার রবের চেহারা[3]। | وَيَبۡقَىٰ وَجۡهُ رَبِّكَ ذُو ٱلۡجَلَٰلِ وَٱلۡإِكۡرَامِ ٢٧ |
(28) সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٢٨ |
(29) আসমানসমূহ ও যমীনে যারা রয়েছে, সবাই তাঁর কাছে চায়। প্রতিদিন তিনি কোন না কোন কাজে রত। | يَسَۡٔلُهُۥ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ كُلَّ يَوۡمٍ هُوَ فِي شَأۡنٖ ٢٩ |
(30) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٣٠ |
(31) হে মানুষ ও জিন, আমি অচিরেই তোমাদের (হিসাব-নিকাশ গ্রহণের) প্রতি মনোনিবেশ করব। | سَنَفۡرُغُ لَكُمۡ أَيُّهَ ٱلثَّقَلَانِ ٣١ |
(32) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٣٢ |
(33) হে জিন ও মানবজাতি, যদি তোমরা আসমানসমূহ ও যমীনের সীমানা থেকে বের হতে পার, তাহলে বের হও। কিন্তু তোমরা তো (আল্লাহর দেয়া) শক্তি ছাড়া বের হতে পারবে না। | يَٰمَعۡشَرَ ٱلۡجِنِّ وَٱلۡإِنسِ إِنِ ٱسۡتَطَعۡتُمۡ أَن تَنفُذُواْ مِنۡ أَقۡطَارِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ فَٱنفُذُواْۚ لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلۡطَٰنٖ ٣٣ |
(34) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٣٤ |
(35) তোমাদের উভয়ের প্রতি প্রেরণ করা হবে অগ্নিশিখা ও কালো ধোঁয়া, তখন তোমরা প্রতিরোধ করতে পারবে না। | يُرۡسَلُ عَلَيۡكُمَا شُوَاظٞ مِّن نَّارٖ وَنُحَاسٞ فَلَا تَنتَصِرَانِ ٣٥ |
(36) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٣٦ |
(37) যে দিন আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, অতঃপর তা রক্তিম গোলাপের ন্যায় লাল চামড়ার মত হবে। | فَإِذَا ٱنشَقَّتِ ٱلسَّمَآءُ فَكَانَتۡ وَرۡدَةٗ كَٱلدِّهَانِ٣٧ |
(38) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٣٨ |
(39) অতঃপর সেদিন না মানুষকে তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, না জিনকে। | فَيَوۡمَئِذٖ لَّا يُسَۡٔلُ عَن ذَنۢبِهِۦٓ إِنسٞ وَلَا جَآنّٞ ٣٩ |
(40) সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٤٠ |
(41) অপরাধীদেরকে চেনা যাবে তাদের চিহ্নর সাহায্যে। অতঃপর তাদেরকে মাথার অগ্রভাগের চুল ও পা ধরে নেয়া হবে। | يُعۡرَفُ ٱلۡمُجۡرِمُونَ بِسِيمَٰهُمۡ فَيُؤۡخَذُ بِٱلنَّوَٰصِي وَٱلۡأَقۡدَامِ ٤١ |
(42) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٤٢ |
(43) এই সেই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা অস্বীকার করত। | هَٰذِهِۦ جَهَنَّمُ ٱلَّتِي يُكَذِّبُ بِهَا ٱلۡمُجۡرِمُونَ ٤٣ |
(44) তারা ঘুরতে থাকবে জাহান্নাম ও ফুটন্ত পানির মধ্যে। | يَطُوفُونَ بَيۡنَهَا وَبَيۡنَ حَمِيمٍ ءَانٖ ٤٤ |
(45) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٤٥ |
সুরা আর রহমান ع রুকু Ruku [২][2] [১](1)] >> [৩][3]
(46) আর যে তার রবের সামনে দাঁড়াতে ভয় করে, তার জন্য থাকবে দু’টি জান্নাত। | وَلِمَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ جَنَّتَانِ ٤٦ |
(47) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٤٧ |
(48) উভয়ই বহু ফলদার শাখাবিশিষ্ট। | ذَوَاتَآ أَفۡنَانٖ ٤٨ |
(49) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ٤٩ |
(50) উভয়ের মধ্যে থাকবে দু’টি ঝর্ণাধারা যা প্রবাহিত হবে। | فِيهِمَا عَيۡنَانِ تَجۡرِيَانِ ٥٠ |
(51) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ٥١ |
(52) উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল থেকে থাকবে দু’ প্রকারের। | فِيهِمَا مِن كُلِّ فَٰكِهَةٖ زَوۡجَانِ ٥٢ |
(53) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ٥٣ |
(54) সেখানে পুরু রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় তারা হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে এবং দুই জান্নাতের ফল-ফলাদি থাকবে নিকটবর্তী। | مُتَّكِِٔينَ عَلَىٰ فُرُشِۢ بَطَآئِنُهَا مِنۡ إِسۡتَبۡرَقٖۚ وَجَنَى ٱلۡجَنَّتَيۡنِ دَانٖ٥٤ |
(55) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٥٥ |
(56) সেখানে থাকবে স্বামীর প্রতি দৃষ্টি সীমিতকারী মহিলাগণ, যাদেরকে ইতঃপূর্বে স্পর্শ করেনি কোন মানুষ আর না কোন জিন। | فِيهِنَّ قَٰصِرَٰتُ ٱلطَّرۡفِ لَمۡ يَطۡمِثۡهُنَّ إِنسٞ قَبۡلَهُمۡ وَلَا جَآنّٞ ٥٦ |
(57) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ٥٧ |
(58) তারা যেন হীরা ও প্রবাল। | كَأَنَّهُنَّ ٱلۡيَاقُوتُ وَٱلۡمَرۡجَانُ ٥٨ |
(59) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ٥٩ |
(60) উত্তম কাজের প্রতিদান উত্তম ছাড়া আর কী হতে পারে ? | هَلۡ جَزَآءُ ٱلۡإِحۡسَٰنِ إِلَّا ٱلۡإِحۡسَٰنُ ٦٠ |
(61) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٦١ |
(62) আর ঐ দু’টি জান্নাত ছাড়াও আরো দু’টি জান্নাত রয়েছে। | وَمِن دُونِهِمَا جَنَّتَانِ ٦٢ |
(63) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٦٣ |
(64) জান্নাত দু’টি গাঢ় সবুজ | مُدۡهَآمَّتَانِ ٦٤ |
(65) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ٦٥ |
(66) এ দু’টিতে থাকবে অবিরাম ধারায় উচ্ছলমান দু’টি ঝর্ণাধারা। | فِيهِمَا عَيۡنَانِ نَضَّاخَتَانِ ٦٦ |
(67) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٦٧ |
(68) এ দু’টিতে থাকবে ফলমূল, খেজুর ও আনার। | فِيهِمَا فَٰكِهَةٞ وَنَخۡلٞ وَرُمَّانٞ ٦٨ |
(69) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٦٩ |
(70) সেই জান্নাতসমূহে থাকবে উত্তম চরিত্রবতী অনিন্দ্য সুন্দরীগণ। | فِيهِنَّ خَيۡرَٰتٌ حِسَانٞ ٧٠ |
(71) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ٧١ |
(72) তারা হূর, তাঁবুতে থাকবে সুরক্ষিতা। | حُورٞ مَّقۡصُورَٰتٞ فِي ٱلۡخِيَامِ ٧٢ |
(73) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٧٣ |
(74) যাদেরকে ইতঃপূর্বে স্পর্শ করেনি কোন মানুষ আর না কোন জিন । | لَمۡ يَطۡمِثۡهُنَّ إِنسٞ قَبۡلَهُمۡ وَلَا جَآنّٞ ٧٤ |
(75) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٧٥ |
(76) তারা সবুজ বালিশে ও সুন্দর কারুকার্য খচিত গালিচার উপর হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে। | مُتَّكِِٔينَ عَلَىٰ رَفۡرَفٍ خُضۡرٖ وَعَبۡقَرِيٍّ حِسَانٖ ٧٦ |
(77) সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নি‘আমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? | فَبِأَيِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ٧٧ |
(78) তোমার রবের নাম বরকতময়, যিনি মহামহিম ও মহানুভব। | تَبَٰرَكَ ٱسۡمُ رَبِّكَ ذِي ٱلۡجَلَٰلِ وَٱلۡإِكۡرَامِ ٧٨ |
সুরা আর রহমান এর টিকা
[1] ‘উভয়ে’ দ্বারা জিন ও মানুষকে বুঝানো হয়েছে।
[2] দুই পূর্ব বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের উদয়স্থল এবং দুই পশ্চিম বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের অস্তস্থলকে বুঝানো হয়েছে।
[3] চেহারা বলতে কোন কোন তাফসীরকার আল্লাহর সত্তাকে বুঝিয়েছেন।
৫৪ সুরা ক্বামার << সুরা আর রহমান >>৫৬ সুরা ওয়াক্বিয়া
Leave a Reply