সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম এর ফজিলত
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম এর ফজিলত
১ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ পাঠের ফাযীলাত।
২ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ, সুবহানাল্লাহিল আযীম পাঠের ফাযীলাত।
৩ পরিচ্ছেদঃ সুবৃহানাল্লাহিল আযীম ওয়াবিহামদিহী পাঠের ফাযীলাত।
৪ পরিচ্ছেদঃ সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী, আদাদা খলকিহী, ওয়া রিযা- নাফসিহী, ওয়া যিনাতা আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী
৫ পরিচ্ছেদঃ সুবহা-নাকা আল্ল-হুম্মা ওয়াবিহামদিকা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক
১ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ পাঠের ফাযীলাত।
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে লোক প্রতিদিন একশবার
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ, অর্থঃ আল্লাহ পবিত্র ও সমস্ত প্রশংসা তাহাঁরই
وَبِحَمْدِهِ | اللَّهِ | سُبْحَانَ |
ও সমস্ত প্রশংসা তাহাঁরই | আল্লাহ | পবিত্র |
বলবে তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হইবে তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও।
ফায়দাঃ ইমাম বুখারী, সহীহ বুখারী শরিফে, আবু হুরাইরা (রাদি.) এর সুত্রে এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং অধ্যায়ের নামকরন করেছেন “সুবহানাল্লাহ পাঠের ফাযীলাত”। [সহীহ বুখারী ৬৪০৫, আঃপ্রঃ ৫৯৫৭, ইঃফাঃ ৫৮৫০, আহমাদ ৮০১৪]
ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমে আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস ২ টি ভিন্ন সনদে হুবুহু বর্ণনা করেছেন [সহীহ মুসলিম ৬৭৩৬, ৬৭৩৫] তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
ইবনে মাজাহ সহিহ সনদে আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস হুবুহু বর্ণনা করেছেন [ইবনে মাজাহ ৩৮১২, আহমাদ ৭১২৭, তাখরীজুল কালিমুৎ তায়্যিব ৭] তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
ইমাম তিরমিজি তার জামে আত তিরমিজি শরিফে, আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস ২ টি ভিন্ন সনদে হুবুহু বর্ণনা করেছেন এবং পরিচ্ছেদের নামকরন করেছেন “সুবাহানালাহ ওয়া বিহামদিহি এর ফাযীলাত”। [তিরমিজি ৩৪৬৬,৩৪৬৯]
রুকন আল-দীন মুহিউস সুন্নাহ তার মিসকাতুল মাসাবিহ শরিফে আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস হুবুহু সঙ্কলন করেছেন। [মিসকাত ২২৯৬ , মুয়াত্ত্বা মালিক ৭১৩, ইবনি হিববান ৮২৯, সহীহ আল জামি ৬৪৩১, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯৪১৭, ইবনি মাজাহ ৩৮১২, আহমাদ ৮০০৯, সহীহ আত তারগীব ১৫৯০] তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করা হলো কোন্ কালাম সবচেয়ে উত্তম? তিনি বলিলেন, আল্লাহ তাআলা তাহাঁর ফেরেশ্তা কিংবা তাহাঁর বান্দাদের জন্য যে কালাম নির্বাচন করিয়াছেন, আর তা হলো,
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
“সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হাম্দিহি” অর্থাৎ- “আমি আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি”।
ফায়দাঃ ফায়দাঃ মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি এই হাদিসটি সংকলন করেছেন [ ফাজায়েলে আমল, কালেমায়ে ছুওম, ২য় পরিচ্চেদ ২ নং হাদিস)
ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমে আবু যার [রাদি.] এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস ২ টি ভিন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন [সহীহ মুসলিম ৬৮১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৭৬, ৬৬৭৭ ইসলামিক সেন্টার- ৬৭৩০, ৬৬৩১] তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সাহাবীগণ কে বললেনঃ তোমরা
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
“সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হাম্দিহি” অর্থাৎ- “আমি আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি”।
এক শত বার বল। যে ব্যক্তি তা একবার বলে তার জন্য দশটি সাওয়াব লিখা হয়। যে ব্যক্তি তা দশবার বলে তার এক শত সাওয়াব হয়। আর যে ব্যক্তি তা এক শতবার বলে তার জন্য এক হাজার সাওয়াব লিখা হয় এবং যে ব্যক্তি তা এর চেয়েও বেশি বলে আল্লাহ্ তাআলা তাকে আরও অধিক সাওয়াব দান করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চান তিনি তাকে মাফ করেন।
ইমাম তিরমিজি তার জামে আত তিরমিজি শরিফে, ইবনি উমার [রাদি.] এর বর্ণনায় উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান ও গারীব। [তিরমিজি ৩৪৭০]তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি এই তাসবিহ টি তার ফাজায়েলে আমলের জিকির অধ্যায়চেনার ভিন্ন্য ভিন্ন্য বর্ণনায় সংকলন করেছেন
সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহি এই দুইটি শব্দ প্রত্যেক মাখলুকের নামাজ ও তাসবিহ এবং উহারই বরকতে প্রত্যেক জিনিস কে রিজিক দান করা হয়। [কালেমা অধ্যায় ৩১ নং হাদিস, কালেমায়ে ছুওম অধ্যায়ের ১২ নং হাদীস, হাকেম, আহমদ, তারগিব]
যে ব্যাক্তি সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহি একশত বার পাঠ করিবে তাহার জন্য এক লক্ষ চব্বিস হাজার নেকি লেখা হইবে [কালেমায়ে ছুওম অধ্যায়ের ৩ নং হাদীস, তারগিব, হাকেম]
যে ব্যাক্তি রাত্রি জাগরণ করতঃ ইবাদতে মশগুল হইতে অক্ষম অথবা কৃপণতার কারনে মাল খরচ করা কথিন হয় অথবা কাপুরসতার কারনে জেহাদের হিম্মত হয় না সে যেন সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহি বেশি বেশি পরে। [কালেমায়ে ছুওম অধ্যায়ের ৫ নং হাদীস, তারগিব, তাবারানি]
২ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ, সুবহানাল্লাহিল আযীম পাঠের ফাযীলাত।
৬৭৩৯ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দুটি কালিমাহ্ জিহ্বার উপর উচ্চারণে খুবই হাল্কা, মীযানের পাল্লায় খুবই ভারী এবং পরম দয়ালু আল্লাহ এর নিকট অত্যন্ত প্রিয়। তা হলো
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হামদিহী সুবহা-নাল্ল-হিল আযীম অর্থঃ মহান আল্লাহ অতি পবিত্র, আল্লাহ পবিত্র ও সমস্ত প্রশংসা তাহাঁরই
وَبِحَمْدِه | اللهِ | سُبْحَانَ |
ও সমস্ত প্রশংসা তাহাঁরই | আল্লাহ | পবিত্র |
الْعَظِيمِ | اللهِ | سُبْحَانَ |
মহান | আল্লাহ | পবিত্র |
ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমে আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] এর বর্ণনা সুত্রে উপরোক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন [সহীহ মুসলিম-৬৭৩৯, মুসলিম ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫৪]
ইমাম ইবনে মাজাহ সহীহ সনদে আবু হুরাইয়া [রাদি.] হইতে উপরোক্ত হাদিসটি হুবুহু বর্ণনা করেছেন [ইবনে মাজাহ ৩৮০৬ ,তিরমিজি ৩৪৬৬,৩৪৬৭,৩৯৫৬,আহমাদ ৭১২৭] তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
ইমাম তিরমিজি, জামে আত তিরমিজি শরিফে, আবু হুরাইয়া [রাদি.] হইতে উপরোক্ত হাদিসটি হুবুহু বর্ণনা করেছেন [তিরমিজি-৩৪৬৭] তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
ফায়দাঃ মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি তার ফাজায়েলে আমল কিতাবের তৃতীয় অধ্যায়ে, কালেমায়ে ছুওমের ফাজায়েল এর প্রথম পরিচ্ছেদে ১ নং হাদিসে ইহা উল্লেখ করেছেন
ইমাম বুখারী, সহীহ বুখারী শরিফে এই হাদিসটির অধ্যায়ের নামকরন করেছেন “সুবহানাল্লাহ পাঠের ফাযীলাত”। তবে তিনি প্রথমে আজিম এবং তারপর বিহামদিহি বাক্যটি বলেছেন, যেমন
سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه
[সহীহ বুখারী-৬৪০৬, আঃপ্রঃ- ৫৯৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫১]
৩ পরিচ্ছেদঃ সুবৃহানাল্লাহিল আযীম ওয়াবিহামদিহী পাঠের ফাযীলাত।
জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক একবার বলে
سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহিল আযীম ওয়াবিহামদিহী, অর্থঃ আমি মহান আল্লাহ তাআলার প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা ঘোষণা করছি
তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ লাগানো হয়।
মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি তার ফাজায়েলে আমল কিতাবের তৃতীয় অধ্যায়ে, কালেমায়ে ছুওমের ফাজায়েল এর প্রথম পরিচ্ছেদের ৪ নং হাদিসে ইহা উল্লেখ করেছেন
ইমাম তিরমিজি তার জামে আত তিরমিজি শরিফে, জাবির [রাদি.] এর বর্ণনায় ২ টি ভিন্ন সনদে উপরোক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন [তিরমিজি-৩৪৬৪, ৩৪৬৫, সহীহঃ রাওযুন নাযীর [হাঃ ২৪৩], সহীহাহ [হাঃ ৬৪] তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪ পরিচ্ছেদঃ সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী, আদাদা খলকিহী, ওয়া রিযা- নাফসিহী, ওয়া যিনাতা আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী
ইবনি আব্বাস (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) জুওয়াইরিয়াহ (রাঃআঃ) এর কাছ থেকে বেরিয়ে এলেন। ইতিপূর্বে তার নাম ছিলো বাররাহ, নাবী (সাঃআঃ) তার এ নাম পরিবর্তন করেন। তিনি তার কাছ থেকে বেরিয়ে আসার সময়ও মুসাল্লায় বসে তাসবীহ পাঠ করতে করতে দেখেন এবং ফিরে এসেও তাকে ঐ মুসাল্লায় বসে থাকতে দেখেন। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি কি তখন থেকে একটানা এ মুসাল্লায় বসে রয়েছো? তিনি বলিলেন, হাঁ। তিনি বলিলেন, তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর আমি তিনবার চারটি কালেমা পড়েছি; এ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তুমি যা কিছু পাঠ করেছো, উভয়টি ওজন হলে আমার ঐ চারটি কালেমা ওজনে ভারী হইবে। তা হচ্ছেঃ
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী, আদাদা খলকিহী, ওয়া রিযা- নাফসিহী, ওয়া যিনাতা আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী, অর্থাৎ আল্লাহ পবিত্র ও সমস্ত প্রশংসা তাহাঁরই, তাহাঁর সৃষ্টির সংখ্যা পরিমাণ, তাহাঁর সন্তুষ্টি পরিমাণ, তার আরশের ওযন পরিমাণ ও তাহাঁর বাক্যসমূহের সংখ্যা পরিমাণ।
শব্দে শব্দে অর্থ
وَبِحَمْدِه | اللّٰهِ | سُبْحَانَ |
ও সমস্ত প্রশংসা তাহাঁরই | আল্লাহ | পবিত্র |
وَرِضَاءَ | خَلْقِه | عَدَدَ |
ও সন্তুষ্টি | সৃষ্টির | সংখ্যা |
عَرْشِه | وَزِنَةَ | نَفْسِه |
আরশের | ওযন | |
كَلِمَاتِه | وَمِدَادَ | |
তাহাঁর বাক্যসমূহের |
ফায়দাঃ ইমাম আবুদ দাউদ তার সুনানু আবু দাউদ শরিফে ইবনি আব্বাস (রাঃআঃ) এর বর্ণনা সুত্রে উপরোক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং অনুচ্ছেদের নামকরন করেছেন “কংকর দ্বারা তাসবীহ পাঠ করা” [আবু দাউদ ১৫০৩] তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
জুওয়ায়রিয়াহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফজরের নামায শেষে তাহার নিকট গেলেন। তখন তিনি [জুয়ায়রিয়াহ] আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত ছিলেন। বেলা বাড়লে বা দিনের অর্ধেক অতিবাহিত হলে তিনি পুনরায় ফিরে এসে জুয়ায়রিয়াহ [রাদি.] কে একই অবস্থায় দেখলেন। তিনি বলেনঃ তোমার নিকট থেকে যাওয়ার পর আমি চারটি কথা তিনবার বলেছি এবং তা তুমি এতক্ষণ যা বলেছ তাহার চেয়ে ওজনে অনেক বেশি।
سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ
“সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহি” [আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাহাঁর সৃষ্টি সংখ্যার সমান],
سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ
সুবহানাল্লাহি রিদা নাফসিহী [আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাহাঁর সন্তুষ্টি মোতাবেক],
سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ
সুবহানাল্লাহি যিনাতা আরশিহি [আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাহাঁর আরশের ওজনের সমপরিমাণ] এবং
سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
সুবহানাল্লাহি মিদাদা কালিমাতিহি [আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাহাঁর কালাম সমুহের সমপরিমাণ]। {৩১৪০}
{৩১৪০} মুসলিম ২৭২৬, তিরমিজি ৩৫৫৫, নাসাঈ ১৩৫২, আহমাদ ২৬২১৮,২৬৮৭৫,। সহীহ আবু দাঊদ ১৩৪৭। জিকিরের ফজিলত -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
ইবনে মাজাহ তার ইবনে মাজাহ শরিফে উম্মুল মুমিনীন জুওয়াইরিয়্যাহ্ [রাদি.] এর বর্ণনা সুত্রে উপরোক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন [ইবনে মাজাহ ৩৮০৮, নাসাঈ ১৩৫২, আহমাদ ২৬২১৮,২৬৮৭৫,। সহীহ আবু দাঊদ ১৩৪৭] তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
রুকন আল-দীন মুহিউস সুন্নাহ তার মিসকাত শরিফে উম্মুল মুমিনীন জুওয়াইরিয়্যাহ্ [রাদি.] এর বর্ণনা সুত্রে উপরোক্ত হাদিস এর মত বর্ণনা না করে তিনি ইবনি আব্বাস (রাঃআঃ) এর মত হুবুহু বর্ণনা করেছেীফ
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
[মিসকাত ২৩০১, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ১২৭, শুআবুল ঈমান ৫৯৬, আদাবুল মুফরাদ ৫০৪/৬৪৭, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১২, সহীহাহ্ ২১৫৬, সহীহ আত তারগীব ১৫৭৪, সহীহ আল জামি ৫১৩৯, ইবনি খুযায়মাহ্ ৭৫৩] তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৫ পরিচ্ছেদঃ সুবহা-নাকা আল্ল-হুম্মা ওয়াবিহামদিকা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক
আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন কোন মজলিসে বসতেন অথবা নামাজ আদায় করিতেন তখন কিছু বাক্য উচ্চারন করিতেন। আয়িশাহ [রাঃআঃ] তাঁকে উক্ত বাক্যসমূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলিলেন, কেউ যদি ভাল বাক্য বলে তা হলে সেগুলো কিয়ামত পর্যন্ত তাহাঁর মোহরস্বরূপ হইবে। আর সে যদি অন্য ধরনের বাক্য বলে তা হলে সেগুলো তাহাঁর জন্য কাফ্ফারা স্বরূপ হইবে। সে বাক্যগুলো হলঃ
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাকা আল্ল-হুম্মা ওয়াবিহামদিকা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক” অর্থঃ হে আল্লাহ! মহিমা আপনার, আমি আপনার প্রশংসা সহকারে শুরু করছি। আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই এবং অনুতপ্ত হয়ে আপনার নিকট ফিরে আসছি
وَبِحَمْدِكَ | اللَّهُمَّ | سُبْحَانَكَ |
আপনার প্রশংসা | হে আল্লাহ | মহিমা আপনার |
إِلَيْكَ | وَأَتُوبُ | أَسْتَغْفِرُكَ |
আপনার নিকট | এবং অনুতপ্ত | ক্ষমা চাই |
ফায়দাঃ মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি তার ফাজায়েলে আমল কিতাবের তৃতীয় অধ্যায়ে, কালেমায়ে ছুওমের ফাজায়েল এর প্রথম পরিচ্ছেদের ১৬ নং হাদিসে ইহা উল্লেখ করেছেন
ইমাম নাসাই তার সুনানু নাসাই শরিফে আয়িশাহ [রাঃআঃ] এর বর্ণনা সুত্রে উপরোক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং অনুচ্ছেদের নামকরন করেছেন ” সালাম ফিরানোর পর অন্য প্রকার যিকির” [নাসাই ১৩৪৪] তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply